পুত্রবধূসম রম্ভাকে নিয়ে জড়িত রাবণের গল্প।
পুত্রবধূসম রম্ভাকে নিয়ে জড়িত রাবণের গল্প।
কুবেরপুত্র নলকুবেরের অভিশাপ।
অলক্ষ্যে সীতা !
রম্ভা ছিল রাবণের পুত্রবধূ তুল্য।
রম্ভা অপ্সরাবিশেষ।
রামায়ণ মতে সমুদ্রমন্থন থেকে অপ্সরাদের উৎপত্তি।
রম্ভোরু।
কলাগাছের মতো সুপুষ্ট ও সুন্দর ঊরুবিশিষ্ঠা নারী।
রম্ভার ছিল ঐধরণের সুন্দর ঊরু।
রম্ভা, কুবেরপুত্র নলকুবেরের পত্নী ছিল।
এক দিন রাবণ, পুত্রবধূসম রম্ভাকে অন্যায় ভাবে সহযোগে প্রবৃত্ত হয়েছিল, সেই কারণে রাবণের প্রতি কুবেরের পুত্র নলকুবেরের অভিশাপ ছিল।
যদি রাবণ কামার্ত হয়ে কোন স্ত্রীলোকের অনিচ্ছায়, তার প্রতি বলপ্রয়োগ করে উপভোগের চেষ্টা করে, তবে রাবণের মাথা শত ভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে। অর্থাৎ এক এক মাথা দশ দশ ভাগে বিধ্বস্ত হয়ে পড়বে।
নলকুবেরের জ্যাঠা রাবণের প্রতি, ভাইপো নলকুবেরের এই ছিল অভিশাপ।
নলকুবের ধর্মেকর্মে ছিলেন, ব্রাহ্মণ, বাহুবলে ছিলেন, ক্ষত্রিয়, ক্রোধে ছিলেন, অগ্নি, আর ক্ষমায় ছিলেন পৃথিবী।
ঐ অভিশাপের জন্য সীতা বেঁচে গিয়েছিলেন।
তা না হলে, সীতা রাবণের দ্বারা ধর্ষিতা হতেন। এবং বলা তো যায় না, হয়তো, সেক্ষেত্রে, ধর্ষণে ধর্ষণে, রক্তক্ষরণে রক্তক্ষরণে, সীতা মারাও পড়তে পারতেন।
তবে দণ্ডকারণ্যের পঞ্চবটী বনের কুটির থেকে, রাবণের সীতা হরণের সময়, রাবণ কিন্তু সীতাকে স্পর্শ করে, এবং রাবণের সঙ্গে যেতে অনিচ্ছুক সীতাকে, 'শারীরিক ভাবে' বলপ্রয়োগ করেছিল !
রাবণের পিতা বিশ্রবা মুনি। মাতা রাক্ষসী কৈকসী।
কুবেরের পিতাও বিশ্রবা মুনি, তবে মাতা দেববর্ণিনী।
রাবণ ও কুবের ছিলেন, বৈমাত্রেয় ভাই।
প্রণব কুমার কুণ্ডু
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন