শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৩

জিজিয়া

 জিজিয়া

এই দিনে
3 বছর আগে
24 নভেম্বর, 2020 
সবাই-এর সঙ্গে শেয়ার করা হয়েছে
সবাই
ফটোর কোনো বিবরণ নেই।
#ভারত_উপমহাদেশে_জিজিয়া
ভারতবর্ষের মাটি বর্তমানে যাহারা হিন্দু ও অমুসলিমগণ রহিয়াছেন, তাঁহাদের পূর্ব পুরুষের কথা গুলো সহজেই ভূলে গেলেন কি করে?
আজ অনেকেই বলে এবং গর্বে আত্মহারা হয়ে বলে- “আমি হিন্দু,,….ভালো কথা !
কিন্তু আপনার এই ধর্ম কে বাঁচাইতে পূর্ব সূরিগণ কত অত্যাচার সমস্যার সন্মুখিন হয়েছেন! তাহার ইতিহাস আমরা অনেকেই জানি না বা জানতে দেওয়া হয় না ।কারণ এটা ভারত সেকুলার সভ্যতার দেশ। এই দেশে ভাইচারাই মূল কথা। আমি লিখব আপনি পড়বেন উভয়ে দোষী । ইসলাম ধর্ম ভারতীয় উপমহাদেশের বিস্তারিত হয়েছে কি ভাবে?

ইসলাম ধর্মের তিনটি কারণ বুঝতে হবে!
১) তরবারের নিচে “জন্নত,,( জান্নাত)।
২) জিজিয়া।
৩) খাজনা ।

এই তিনটি কারণে আজ ভারত উপমহাদেশে ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইসলাম ধর্মের বিস্তারিত ঘটেছে । অনেকেই বলে ভারতে ইসলাম ধর্মের বিস্তারিত ঘটেছে সূফিদের আগমনে । ভালো কথা! এঁদের কথাই উল্লেখ করি! কারণ ইসলাম ধর্ম শান্তি “ধর্ম,, আজ এই উপমহাদেশে যাঁদের মুসলমান বলা হয়, তাঁরাই বা কি করে হঠাৎ , আরবের একটা জীবন দর্শন কে- বেছে নিলেন? এর কারণ জিজিয়া কে একটু দেখি!

বিখ্যাত ইসলাম বিশ্লেষক আল-জামাকশারী-জিজিয়া প্রদানের ব্যখ্যা দিয়েছেন ঃ " তাদের নিকট থেকে জিজিয়া নেয়া হবে-অবমাননা ও মর্যাদাহানিকর ভাবে । জিম্মিকে সশরীরে হেঁটে আসতে হবে,ঘোরায় চড়ে নয় । যখন সে জিজিয়া প্রদান করবে, তখন কর-আদায়কারী বসে থাকবেন, আর সে থাকবে দাঁড়িয়ে । আদায়কারী তাঁর ঘাড় ধরে ঝাঁকি দিয়ে বলবেন, “ জিজিয়া পরিশোধ কর,, এবং জিজিয়া পরিশোধের পর আদায়কারী তাকে-ঘাড়ের পেছনে একটা চাটি মেরে তাকে তাড়িয়ে দেবে।।
মিশরের বিখ্যাত সূফি পন্ডিত আস- সারানিঃ- অতপর-আমির তার ঘাড়ে একটি চাটি মারবে এবং আমিরের সামনে উপস্থিত লোক ( মুসলিম) তাকে রূঢ় ভাবে হাটিয়ে দিবে।। জন প্রিয় সূফি সাধক-শেখ আহমদ সিরহিন্দী- তিনি আকবরের রাজত্ব কালের এক জন উপদেষ্টা ছিল । আকবর যখন নিজেরই আল্লাহ বলে নতুন ধর্মের স্থাপিত করার চেষ্টা করেন ।তখন জিজিয়া কর শিথিল করে ।সেই সময়- এই মহান সূফি পত্র লিখে -ইসলাম এবং নিজের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে লিখলেন-- ইসলামের সস্মান “কুফরী,,( অবিশ্বাস)ও কাফির(অবিশ্বাসী) কে অপমান করার মধ্যে নিহিত।যে কাফির কে সন্মান দেয় সে মুসলিম কে অপমানিত করে । তাদের উপর জিজিয়া আরোপের উদ্দেশ্যে হলো, এমন করে তাদের কে অপমানিত করো, যাতে তারা সবসময় ভীতসন্ত্রস্ত ও কম্পমান থাকে । কাশ্মীরের সুলতান জয় নুল আবেদীনের কাছে একটি চিঠিতে পারস্য থেকে পন্ডিত গণ লেখেন- তাদের উপর জিজিয়া আরোপের প্রধান উদ্দেশ্যে হলো, তাদের কে অপমানিত করা। আল্লাহ তাঁদেরকে অপমানিত করার জন্যই জিজিয়া কর প্রতিষ্ঠা করেছেন । এর মূল উদ্দেশ্য হলো তাদের কে অপমানিত করো আর মুসলিমদের সন্মান ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা । উপমহাদেশে জিজিয়া কর ছাড়াও ভয়ানক ছিল-“ “খাজনা,, বা “ভূমি,, কর। মহান আকবরের রাজত্ব কালের খাজনা ছিল অমুসলিমদের জন্যে সবচেয়ে কম- এক তৃতীয় অংশ। যদিও তখন কাশ্মীরে ছিল তিন-চতুর্থ অংশ ।

আলাউদ্দিন খলজীসহ অনেক শাসনকর্তা খারাজের পরিমান ছিল-৫০-৭৫% হ্যাঁ ৫০-৭৫ শতাংশ । ভয় পেলেন না কি?ঔরঙ্গজেব নামেও এতটাই ছিল ।

আসুন এবার দেখি খারাজ দেবার পদ্ধতি কেমন ছিল?
সুলতান আলাউদ্দীন খলজীর বিজ্ঞা ইসলাম পন্ডিত কাজী মুঘিসুদ্দিনের কাছে উপদেশ চাইলে কাজী এই ভাবে বর্ণনা করে ঃ-- আদায়কারী যদি তার (খারাজ দাতার) মুখে থু-থু দিতে চান, তাহলে সে মুখ হা- করবে। তার উপর এ চরম অপমান ও আদায়কারী কতৃর্ক তার মুখের ভিতরে থু-থু দেওয়ার উদ্দেশ্যে হলো এ শ্রেণির উপর আরোপিত চরম বশ্যতা, ইসলামের গৌরব ও বিশ্বাসের প্রতি মহিমান্বিত এবং মিথ্যা ধর্মের( হিন্দুত্ব বাদ) প্রতি অবহেলা করা ।
তাহলে এই জিজিয়া ও খারাজের হাত থেকে মুক্তি হবার উপায় কি?
হ্যাঁ এর উপায় ও ছিল!
ফিরোজশাহ তুঘলকের স্মৃতি কথা “ ফতুয়াই ফিরোজশাহ,, তেই উল্লেখ দেখিঃ-
আমি আমার অবিশ্বাসী প্রজাদেরকে নবীর ইসলাম ধর্ম গ্রহনের উৎসাহিত করি! আমি ঘোষণা করি যে!- যারা ধর্ম পরিবর্তন করে মুসলমান হবে, তারা প্রত্যেকেই জিজিয়া কর থেকে মুক্তি পাবেন । সর্বত্র জনগণের মাঝে এই সংবাদ পৌঁছে যায় ও বিপুল সংখ্যক হিন্দু নিজেদের কে উপস্থাপন করে ইসলাম ধর্মের সসম্মানে স্বীকার করে নেয় । এরূপ তারা দিনের পর দিন সর্বত্র থেকে এগিয়ে আসে ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা নিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে । এবং জিজিয়া থেকে মুক্তি হয়,এবং উপহার ও সসম্মানের দ্বারা আনুকূল্য পায় ।
**ব-দ্বীপ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত-“জিহাদ,, বইয়ের আলোকে**

অনেকেই বলে আকবর নাকি জিজিয়া খারিজ করে দেন। এটা কিন্তু সঠিক নয়, প্রথম দিকে তিনি ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা দেওয়া চেষ্টা করেছিলেন এবং অনেকেই ইসলাম ধর্মের সসম্মানে স্বীকার করতে দিয়ে ছিল । পরবর্তী কালে সে জিজিয়া কর শিথিল করে । কিন্তু ভূমি কর তো হাতিয়ার ছিল । ঔরঙ্গজেব সময় অবস্থা ৫০% ছিল । এছাড়াও-কুতুব-উদ-দীন আইবক ও মহম্মদ-বিন-তূঘলক তারাও কম ছিল না । প্রথম জিজিয়া কর শুরু হয়, মুহাম্মদ( সাঃ) সময় থেকে-
জিজিয়া কর এর তাৎপর্যপূর্ণ কারণ ঃ- কুফর ও শিরক হল আল্লাহ ও তার রসূলের সাথে বিদ্রোহ । এই বিদ্রোহীদের শাস্তি “মৃত্যু দন্ড,,। কিন্তু আল্লাহর বড় দয়া বান এবং রহমত গুণ সম্পূর্ণ ,তাই তিনি এই কঠোররতা হ্রাস করে, ঘোষণা করেন. যে- তারা যদি ইসলাম রাষ্ট্রের অনুগত প্রজা রূপে ইসলাম আইন-কানুনকে মেনে নিয়ে থাকতে চায়, তবে তাদের কে থাকতে দিতে হবে। এর জন্য সামান্য জিজিয়া কর নিয়ে মৃত্যু দন্ড থেকে তাদের অব্যাহত দেওয়া হবে । এরং ইসলাম রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে তাদের জান-মালের নিরাপত্তা বিধান থাকবে। শরীয়তের হিসেবে এটাই জিজিয়া কর, আর এর কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। যখন -যেমন -তখন -তেমন। খাইবার-হ্যাঁ খাইবার যুদ্ধে -অমুসলিমদের উপরে বিজয়ী হয়ে সেই অঞ্চলের উপর সর্ব প্রথম জিজিয়া কর শুরু করে । এখন মহম্মদ কে তারা বাৎসরিক উৎপাদনের ৫০% হিসেবে জিজিয়া দেবার জন্য শিকার করে, তার পর তাদেকে সেখানে থাকার অনুমতি পান।
ভারতে মাটিতে বর্তমান যারা হিন্দু তারা কত অত্যাচার সমস্যার মধ্যে নিজের ধর্মের রক্ষা করেছেন?



এই দিনে
3 বছর আগে
24 নভেম্বর, 2020 
সবাই-এর সঙ্গে শেয়ার করা হয়েছে
সবাই

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন