ইসলামে প্রশ্ন করা কেনো নিষেধ ?
এই বিষয়ের প্রেক্ষাপটটা বুঝতে হলে, নিচে দেওয়া আমার অন্য একটা পোস্টের কিছু অংশ আগে পড়ে নিন :
জন্মসূত্রে জায়েদ এর পুরো নাম জায়েদ বিন হারিথ। এর মানে হলো সে হারিথ নামে কোনো এক ব্যক্তির পুত্র। এই জায়েদ ছিলো জন্মসূত্রে সিরিয়ার অধিবাসী এবং বাল্যকালে তাকে কেউ চুরি ক’রে ক্রীতদাস হিসেবে মুহম্মদের ৪০ বছর বয়স্কা খালাম্মা টাইপের স্ত্রী খাদিজার কোনো এক আত্মীয়ের কাছে বিক্রি করে দেয়, পরে সে ঐ নিকটাত্মীয়ের কাছ থেকে খাদিজার কাছে হ্যান্ডওভার হয় এবং খাদিজার কাছেই বড় হতে থাকে।
এরপর ২৫ বছর বয়সী মুহম্মদের সাথে খাদিজার বিয়ে হলে জায়েদ ও মুহম্মদের খুব ভাব হয় এবং খাদিজা, জায়েদকে, মুহম্মদের অধীনে দিয়ে দেয়, ফলে জায়েদ ক্রীতদাস অবস্থা থেকে মুক্ত হয়। পরে, জায়েদের বাবা, তার ছেলেকে খুঁজতে খুঁজতে মক্কায় আসে এবং জায়েদের সন্ধান মুহম্মদের কাছে পেলে, জায়েদকে যেকোনো মূল্যে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু মুহম্মদ, যেহেতু তার কোনো পুত্র সন্তান জীবিত ছিলো না, সেহেতু সে, জায়েদকে দত্তক পুত্র হিসেবে নেয় এবং মক্কায় সর্বসমক্ষে ঘোষণা করে,
“হে লোক সকল, আমি জায়েদকে আমার পুত্র হিসেবে সর্ব সমক্ষে স্বীকার করে নিচ্ছি, আর তোমরা তার সাক্ষী থাকো, আজ থেকে আমি তার উত্তরাধিকারী, আর সে আমার উত্তরাধিকারী।”- (মিশকাত হাদিস, খণ্ড-৩, পৃষ্ঠা-৩৪০)
এই ঘোষণার পূর্বাপর ঘটনার কারণে জায়েদ তার জন্মদাতা পিতার সাথে যেতে অস্বীকৃতি জানায় এবং তার পিতা, পেয়েও সন্তান হারানোর শোক ও গভীর মনোবেদনা নিয়ে চোখের জলে মক্কা ত্যাগ করে।
যা হোক, এরপর জায়েদ বিবাহযোগ্য হলে, মুহম্মদ তারই ফুফাতো বোন জয়নাবের সাথে তার বিয়ে দেয়। মুহম্মদ যখন জয়নাবের জন্য বিয়ের প্রস্তাব জয়নাবের বাড়ি পাঠায়, তখন জয়নাব ভেবেছিলো মুহম্মদই তাকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু যখন সে শুনে তার বিয়ে হচ্ছে জায়েদের সাথে তখন সে একটু মনক্ষুণ্নই হয়; কারণ, জয়নাবের স্বপ্ন ছিলো মুহম্মদের সাথেই তার বিয়ে হবে। কেননা, মুহম্মদ তখন মদীনার একচ্ছত্র রাজা, আর রাজা যতই বৃদ্ধ হোক, রাজাকে বিয়ে করে রাজরানী হওয়ার সুখ ও প্রভাব প্রতিপত্তি কে না চায় ? কিন্তু রাজাকে না পেলেও রাজার ইচ্ছাকে পাশ কাটানোর ক্ষমতা শুধু জয়নাবেরই নয়, মদীনার কারোরই ছিলো না; তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও জয়নাবকে জায়েদের ঘরে যেতে হয়। জয়নাব ও জায়েদের এই বিয়ে হয় ৬২৯ খ্রিষ্টাব্দে, মুহম্মদের মক্কা থেকে মদীনায় পলায়নের ৭ বছর পর।
বিয়ের কিছু দিন পরেই, মুহম্মদ কোনো একটা কাজে জায়েদের বাড়ি যায় এবং হঠাৎ করে ঘরে ঢুকে পড়ায় জয়নাবকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় দেখতে পায়। সঙ্গে সঙ্গে মুহম্মদের মুখ থেকে বেরিয়ে আসে,
“সকল প্রশংসা আল্লাহর, হৃদয় যেভাবে চায় তিনি সেভাবে বদলে দিতে পারেন।”
আপনারা বাস্তব অবস্থা একটু বিশ্লেষণ করলেই বুঝবেন, জীবনে দুই একবার ঘরের লোকদের সামনে এরকম ঘটনা ঘটা অসম্ভব কিছু নয়; কোনো সভ্য পুরুষ যেমন এই ধরণের ঘটনাকে দেখেও না দেখার ভান করে বা করবে, তেমনি কোনো সভ্য মহিলাও এসব ঘটনা ঘটার পর তা ভুলে যেতে চেষ্টা করে বা করবে, সেটা অন্যকে বলা তো দূরের কথা। কিন্তু জয়নাব, জায়েদ যখন বাড়িতে আসে তখন তাকে সব বলে দেয়- যেন পাড়ার কোনো লোক তাকে টিজ করেছে বা কুপ্রস্তাব দিয়েছে!
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এসব শুনে জায়েদ তার স্ত্রীকে বলতো- যা হয়েছে ভুলে যাও, ঘরের লোকেদের সামনে ওসব হয়েই থাকে, এরপর থেকে কেয়ার থাকবে যাতে এমন আর না ঘটে।
কিন্তু সব শুনেই জায়েদ তার পিতার কাছে ছুটে যায় এবং বলে, “আপনার মনে হয় জয়নাবকে পছন্দ হয়েছে, আমি ওকে তালাক দিচ্ছি, আপনি ওকে বিয়ে করুন।”
জয়নাবের কাছ থেকে সব ঘটনা শুনে জায়েদের কি এমন হয়েছিলো যে- সে নিজের পিতাকে, তারই স্ত্রীকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দিচ্ছে ? মানুষ তার নিজের স্ত্রীকে রক্ষা করার জন্য লড়াই করে, জীবন দেয়; কারণ, রক্তের সম্পর্কের কেউ না হলেও স্ত্রী ই যে কোনো মানুষের কাছে একসময় হয়ে উঠে সবচেয়ে আপন, তাই স্ত্রীর তুলনায় পিতা-মাতা-ভাই-বোন-আত্মীয়-স্বজন সবাই তুচ্ছ হয়ে যায়। সেই স্ত্রীকে জায়েদ কেনো স্বেচ্ছায় তার পিতার বিছানায় তুলে চাচ্ছে, এর পেছনের ঘটনাটা আসলে কী ? এই স্বেচ্ছাদানের পেছনে জায়েদের মনে আসলে কী কাজ করছিলো ?
প্রকৃতপক্ষে জায়েদ খুব ভালো করেই জানতো তার পিতা মুহম্মদের মনস্তত্ত্ব। জায়েদ যখনই জয়নাবের কাছে শুনেছে যে, তাকে ঐ স্বল্প বসনে দেখেই মুহম্মদ বলে উঠেছে-
“সকল প্রশংসা আল্লাহর, হৃদয় যেভাবে চায় তিনি সেভাবে বদলে দিতে পারেন।”
তখনই জায়েদ বুঝে গিয়েছিলো যে, তার পিতা, তার স্ত্রীকে পছন্দ করে ফেলেছে, আর কোনো উপায় নেই, আর বেশি সময়ও নেই, এখন একমাত্র কাজই হলো অপেক্ষা না করে নিজেই গিয়ে পিতার কাছে এই প্রস্তাব দেওয়া। জায়েদের এতটা আতঙ্কিত হওয়ার কারণ হলো, জায়েদ নিজের চোখে দেখেছে, নিজের উদ্দেশ্য সাধনে তার পালক বাপ কী পরিমান নিষ্ঠুর ও নৃশংস হতে পারে। কারণ, মুহম্মদ ৬২৭ খ্রিষ্টাব্দে একদিনে ৮০০ কুরাইজা ইহুদিকে হত্যা করে গনিমতে মাল হিসেবে তাদের সকল নারী শিশু এবং তাদের সম্পদ দখল করেছিলো এবং সেই গণহত্যার রাতেই কুরাইজা গোত্রের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ে রিহানাকে শয্যা সঙ্গিনী বানিয়েছিলো। এরপর ৬২৮ খ্রিষ্টাব্দে খয়বরের যুদ্ধের সময় গোত্রপতি কিনানার স্ত্রী সাফিয়াকে দখল করার জন্য, কিভাবে কিনানার বুকের উপর জ্বলন্ত কাঠ রেখে তিলে তিলে কষ্ট দিয়ে কিনানাকে হত্যা করে তার স্ত্রী সাফিয়াকে দখল করে সেই রাতেই তাকে ভোগ করেছিলো, এসব ঘটনা মুহম্মদ ঘটিয়েছে জায়েদের চোখের সামনেই। তাই জায়েদ ছিলো আতঙ্কিত, সে ভেবেছিলো, আর কোনো রক্ষা নেই, এখনই স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পন না করলে যে কোনো প্রকারেই হোক তাকে খুন করে হলেও তার পিতা, তার স্ত্রীকে হস্তগত করবেই, যেহেতু তার পিতার মনে তার স্ত্রীকে লেগে গিয়েছে এবং এর জন্য যদি প্রয়োজন হয় আরবের প্রচলিত রীতি নীতি উল্টাতে এবং তাকে বৈধতা দেওয়ার জন্য কোরানের নামে বাণী নাজিল করতেও মুহম্মদ দেরি করবে না; বাস্তবে হয়েছিলোও তাই। নিজের স্ত্রীকে, মুহম্মদের বিছানায় তুলে দিয়েওজায়েদ তার শেষ রক্ষা করতে পারে নি ।
যা হোক, আতঙ্কিত হয়ে জায়েদ যখন তার বাপের কাছে গিয়ে বলে, আমি জয়নাবকে তালাক দিচ্ছি, আপনি ওকে বিয়ে করুন। তখন মুহম্মদ ভদ্রতা দেখিয়ে বলে,
“তোমার স্ত্রীকে পরিত্যাগ করো না এবং আল্লাহকে ভয় করো।”
মুহম্মদ যদি কোনো সভ্য মানুষ হতো তাহলে এই কথা না বলে বলতো, “তুমি এমন প্রস্তাব আমাকে দেওয়ার সাহস কী করে পাও ? তুমি আমার পুত্র, আর জয়নাব আমার মেয়ের মতো।”
সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, মুহম্মদ যদি নৃশংস সন্ত্রাসী না হয়ে কোনো সভ্য মানুষ হতো, তাহলে সে জয়নাবের সামনে- কখন কার মন পরিবর্তন করিয়ে দেয় – ঐ কথা না বলে বৌমাকে ঐ অবস্থায় দেখেও তার পোষাক ঠিক করার জন্য তাকে সময় দিয়ে অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে থাকতো, আর জায়েদকে তার পিতার কাছে এসে এই ধরনের প্রস্তাব দেওয়ার প্রয়োজনই পড়তো না।
কিন্তু মুখে মুহম্মদ লোকলজ্জার ভয়ে জায়েদকে ঐ কথা বললেও তার মনের কথা ওটা ছিলো না, মুহম্মদ সব সময় ভাবছিলো কিভাবে জয়নাবকে কব্জা করা যায়। ভাবনাতেই তো মানুষের মনে বাণীর উদয় হয়, তাই কয়েক দিন ভাবনার পর মুহম্মদের ইচ্ছাকে বাস্তবায়িত করার জন্য তার দালাল আল্লাও মুহম্মদের ইচ্ছা পূরণের বাণী নিয়ে এসে হাজির! সেই দিন মুহম্মদ ছিলো আয়েশার ঘরে, আয়েশার বয়স তখন মাত্র ১৪/১৫, খাদিজা মারা যাওয়ার পরেও মুহম্মদের ঘরে তখন পাঁচ ৫ টা বউ। মুহম্মদের উপর নাজিল হলো কোরানের ৩৩/৩৭ আয়াত-
“হে নবী, সেই সময়ের কথা স্মরণ করো, যখন তুমি সেই ব্যক্তিকে যার প্রতি আল্লাহ এবং তুমি অনুগ্রহ করেছিলে, বলেছিলে যে, তোমার স্ত্রীকে পরিত্যাগ করো না এবং আ্ল্লাহকে ভয় কর। তখন তুমি নিজের মনে সেই কথা লুকিয়েছিলে, যা আল্লা প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন। তুমি লোকদেরকে ভয় করেছিলে, অথচ আ্ল্লাহর অধিকার সবচেয়ে বেশি যে, তুমি তাকেই ভয় করবে। পরে জায়েদ যখন তার নিকট হতে নিজের অধিকার পূর্ণ করে নিলো, তখন আমি তাকে তোমার সহিত বিবাহ দিলাম, যেন নিজেদের পোষ্যপুত্রদের স্ত্রীদের ব্যাপারে মুমিন লোকদের কোনো অসুবিধা না থাকে… যখন তারা তাদের নিকট হতে নিজেদের প্রয়োজন পূর্ণ করে নিয়েছে। আল্লার নির্দেশই তো পালিত হওয়া উচিত ছিলো।”
এই আয়াত নাজিল হওয়ার পর মুহম্মদ হাসি মুখে বলে, “কে জয়নবের কাছে যাবে ও তাকে সুসংবাদ দিবে? তাকে বিবাহ করার জন্য আল্লাহ্ আমাকে আদেশ করেছেন।”
উপরে আমি আল্লাকে মুহম্মদের দালাল বলেছি, এতে আল্লাকে কম সম্মান দেওয়া হচ্ছে বা তাকে কম উপাধি দেওয়া হচ্ছে, আসলে বলা উচিত………….দালাল।
এই আয়াত এবং এই কথা বলার পরপরই আয়েশা মুহম্মদকে বলেছিলো, “আমার মনে হয় আল্লা আপনার ইচ্ছা পূরণ করতে খুবই উদগ্রীব এবং একটুও সময় নেয় না।” (মুসলিম- ৮/৩৪৫৩)
যা হোক, জায়েদ তো ভয়-ত্রাসে আগে থেকেই মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলো জয়নাবকে তালাক দেওয়ার। আয়েশার ঘরে ঐ আয়াত ডাউনলোড হওয়ার সাথে সাথে যখন জয়নাবের কাছে ঐ খবর এলো যে আল্লা নিজে মুহম্মদ ঔ জয়নাবের বিয়ে দিয়ে দিয়েছে, তখন তা শুনেই জায়েদ জয়নাবকে তালাক দিয়ে দেয় আর এতে জয়নাবও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায় না; কারণ, তার তো শুরু থেকেই মুহম্মদকে বিয়ে করার ইচ্ছা ছিলো, এখন সেটা বাস্তবায়িত হচ্ছে দেখে জয়নাব বেশি খুশিই হলো। মুহম্মদের বয়স তখন ৫৮ আর জয়নাব সদ্য যুবতী।
আরবের মেয়েদের রুচি কোনো লেভেলে ছিলো সেটা একটু চিন্তা করুন; যুবক জায়েদকে ফেলে অনায়াসে জয়নাব বাপের বয়সী এবং বাপতুল্য শশুর মুহম্মদকে বিয়ে করে তার বিছানায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললো! আরব সহ মধ্যপ্রাচ্যের মেয়েদের রুচি এখনও সেই লেভেলেই আছে। পৃথিবীর সকল দেশে এমনকি অন্যান্য মুসলিম দেশের মেয়েরাও এখন স্বামীর ভাগ কাউকে দিতে চায় না, কিন্ত আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশের মেয়েরা অনায়াসে চার সতীনের সাথে সংসার করে এবং যখন তখন তালাক খেয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভিক্ষাও করে। যে ইসলাম, নারীদেরকে একটা নিশ্চিন্ত সংসারের অধিকার দেয় নি, একান্ত আপন করে তাকে একজন পুরুষের অধিকার দেয় নি, সেই ইসলামের অনুসারী মুসলমানরা আবার জোর গলায় বলে- একমাত্র ইসলামই নারীকে দিয়েছে সর্বোচ্চ মর্যাদা। এরা আসলে এই কথাগুলো মুখ দিয়ে বলে না পাছা দিয়ে বলে, সেটা নিয়ে একটা গবেষণা হওয়া দরকার।
তালাকের প্রসেস সম্পন্ন হলে, মুহম্মদ, সাবেক পুত্রবধূ জয়নাবকে নিয়ে গিয়ে ঘরে তুলে, আল্লা যেহেতু নিজে তাদের বিয়ে দিয়েছিলো, সেহেতু মনে হয় কবুল টবুল বলার অনুষ্ঠানের আর দরকার হয় নি। যা হোক, আগের বিয়েগুলোতে না করলেও, এই বিয়ে উপলক্ষে মুহম্মদ তিন দিন ব্যাপী ভোজসভার আয়োজন করে। কারণ, মুহম্মদ এটা জানতোই যে এই বিয়ে নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠবে, তাই খাইয়ে দাইয়ে যদি লোকজনকে কিছুটা ঠাণ্ডা রাখা যায়; কিন্তু তবুও মুহম্মদকে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়।
বিয়ে উপলক্ষে লোকজন খাওয়া দাওয়া শেষ করেও উঠে না গিয়ে গল্পে মশগুল ছিলো, এদিকে বিছানায় জয়নাবের কাছে যাওয়ার জন্য মুহম্মদের আর তর সইছিলো না; যা হোক, সেক্স না করলে ইসলামের বিবাহ আবার পূর্ণতা পায় না, লোকজন চলে গেলে মুহম্মদ, জয়নাবের সাথে রাত কাটিয়ে তার ও জয়নাবের বিবাহকে পূর্ণতা দেয়।
এর পরেই শুরু হয় আসল ঘটনা।
হুরলোভী বান্দাদের লেখা ইসলামের ইতিহাসে, আরবে, মুহম্মদের পূর্ববর্তী সময়কে আইয়ামে জাহেলিয়া বলা অন্ধকার যুগ বলা হলেও, প্রকৃতপক্ষে আরবে এবং ইসলামের দখল করা দেশগুলোতে আইয়ামে জাহেলিয়া বা অন্ধকার যুগ শুরু হয়েছে ইসলামের প্রাদুর্ভাবের পর। একটা মাত্র উদহারণ দিই, মুসলমানরা বলে ইসলামের পূর্বে আরবে কন্যা শিশুদেরকে জীবন্ত কবর দেওয়া হতো; এটা একটা চরম মিথ্যা প্রচার। যদি এটা সত্য হয়, তাহলে আরবের মানুষগুলো তাদের অপরিসীম সেক্স মেটানোর জন্য মেয়ে পেতো কোথায় ? আর মুহম্মদও তার জীবদ্দশায় অসংখ্য যুদ্ধে গনিমতের মাল হিসেবে অসংখ্য অমুসলিম মেয়েকে বন্দী করে ভোগ করেছে, তাদেরকে যৌনদাসী হিসেবে বাজারে বিক্রি করেছে, আরবের লোকজন যদি তাদের মেয়েদেরকে জন্ম হওয়া মাত্র মাটিতে পুঁতে ফেলতো, তাহলে এই মেয়েগুলো এসেছিলো কোথা থেকে।
তাছাড়া সেই সময় আরবের মেয়েরা কী পরিমান স্বাধীন ও ক্ষমতাবান ছিলো, তার সবচেয়ে উদহারণ মুহম্মদের প্রথম স্ত্রী খাদিজা; যার জন্ম মুহম্মদের জন্মের অন্তত ১৫ বছর আগে। প্রথম স্বামীর মৃত্যুর পর এই খাদিজা, নিজের ইচ্ছাতে পর পর ২ টি বিয়ে করে, যার মধ্যে মুহম্মদ একজন, সে নিজে স্বামীর ব্যবসার দেখাশোনা করতো, মুহম্মদ ছিলো যেই ব্যবসার চাকর। তাহলে মুসলমানদের দাবী মতো, ইসলামের পূর্বে যদি কন্যা শিশুদের জীবন্ত কবর দেওয়া হতো, তাহলে খাদিজার এমন জীবন যাপন কী সম্ভব ছিলো ? তাছাড়া মুহম্মদেরও দাদারও ছিলো একটা বিশাল বংশ, এই বংশেরও কি এমন একটা ঘটনা ইসলামের ইতিহাসে আছে, যেখানে কোনো কন্যা শিশুকে জীবন্ত কবর দেওয়া হয়েছে ? না, নেই। তাই মুসলমানদের বলা ঐ সব গল্প শুধু গাল গল্প নয়, বাল গল্প।
এখানে আরও একটা বিষয় লক্ষ্যণীয়, মুহম্মদই শুরু করে পর্দার নামে মেয়েদেরকে ঘরে বা বস্তায় বন্দী করে রাখার প্রথা, তার আগে মেয়েরা স্বাধীনভাবে ঘুরতে পারতো, এখনও যেমন অমুসলিম মেয়েরা ঘুরতে পারে, আর এটাকে কি অস্বীকার করা যাবে যে, যখন কোনো মেয়েকে বোরকা পরানো হয়, তখন আসলে তার ডানা কেটে দেওয়া হয়, যাতে সে আর মুক্তভাবে চলাফেরা করতে না পারে। তাহলে নারীদের জন্য প্রকৃত আইয়ামে জাহেলিয়া বা অন্ধকার যুগ কোনটা ?
যা হোক, ফিরে আসি আজকের মূল প্রসঙ্গে, মুহম্মদ যখন নিজের পালকপুত্রের স্ত্রীকে বিয়ে করে, সেই সময় আরবে এই ধরণের কাজ কেউ করতো না, এটা ছিলো একটা নিন্দনীয় ব্যাপার এবং লোকজন পালক পুত্রের স্ত্রী হোক বা নিজের পুত্রের স্ত্রী হোক, তাকে নিজের কন্যার মতোই বিবেচনা করতো; এখনও যেমন ইসলামী প্রভাব ছাড়া যেকোনো সভ্য সমাজের লোকজন তা বিবেচনা করে। নানা ঘটনার মধ্যে দিয়ে মুহম্মদ যখন জয়নাবকে বিয়েই করে ফেললো, তখন লোকজনের মনে এ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করলো, যদিও মুহম্মদ তাদের সেই মনোভাব বুঝতে পেরে তাদেরকে খাইয়ে দাইয়ে তাদেরকে ঠাণ্ডা রাখার চেষ্টা করেছিলো, কিন্তু তারপরও মুহম্মদকে তাদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতেই হয়, একদিন বেশ কিছু লোক মুহম্মদকে এসে প্রশ্ন করে-
“আল্লা্র রসূল, আপনি নবী হয়ে কিভাবে নিজের পালকপুত্রের স্ত্রীকে বিয়ে করার মতো অসম্মানের ও নোংরা কাজ করতে পারেন ?আপনি তো নিয়মিতভাবে যুদ্ধ বন্দিনীদের ২০% নিজের ভোগের জন্য রাখেন, তাছাড়াও আপনার হারেমে তো যুবতী সুন্দরী স্ত্রী ও দাসীতে ভরা; আল্লার রসূল, আপনার এই জঘন্য কাজ, আরবে, পালক নেওয়ার মতো সম্মানজনক সংস্কৃতিকে লজ্জিত করেছে।”
শুনে মুহম্মদ বলে, আমার কাছে একমাত্র সম্মানজনক কাজ হলো আল্লার আদেশ মেনে চলা এবং আল্লাই আমাকে আদেশ করেছেন, জয়নাবকে বিয়ে করার জন্য, এই দেখো আয়াত,
“আমি তাকে আপনার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করলাম, যেন মুমিনদের পোষ্যপুত্ররা তাদের স্ত্রীদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলে, সে সব স্ত্রীকে বিবাহ করার ব্যাপারে মুমিনদের কোনো অসুবিধা না থাকে।”- (কোরান, ৩৩/৩৭)
মদীনার লোকজন বলে, এটা খুবই আশ্চর্যজনক যে, আল্লা আমাদেরকে আমাদের পালকপুত্রের স্ত্রীদেরকে বিবাহ করার জন্য উৎসাহ দিচ্ছেন। যদি আল্লা এটা চায়, তবে তাই না হয় হোক, কিন্তু আপনি কিভাবে চারটার বেশি স্ত্রী গ্রহন করতে পারেন, এটা তো কোরানের স্পষ্ট লংঘন (৪/৩)। এটা কি ব্যভিচার নয় ?”
মুহম্মদ বলে, মোটেই নয়। আমার জন্য খালাতো ফুফাতো মামাতো বোনকে বিয়ে করা বৈধ, আর জয়নাব আামার ফুফুর মেয়ে। এই দেখো আয়াত,
“আপনার বিবাহের জন্য বৈধ করেছি, আপনার খালাতো, মামাতো, ফুফাতো বোনকে যারা আপনার সাথে হিজরত করেছে।”- (কোরান, ৩৩/৫০)
-কিন্তু এটা তো প্রশ্ন নয়, প্রশ্ন হলো আপনার স্ত্রীর সংখ্যা নিয়ে। কোরানের নির্দেশ লংঘন করে কিভাবে আপনি চারটার বেশি স্ত্রী রাখতে পারেন ?
মুহম্মদ এর কোনো জবাব দিতে না পেরে চুপ করে থাকে।
মদীনার লোকজন আরো বলে, আল্লার রসূল আপনাকে আরো একটি প্রশ্ন করবো, শুনেছি, যে মুসলিম নারীই এসে আপনাকে বিয়ে করতে চায়, আপনি তাকেই অল্প সময়ের জন্য বিয়ে করেন আর তারপর তালাক দিয়ে দেন, এটা কি সত্যি ?
মুহম্মদ বলে, হ্যাঁ সত্যি। মুসলিম নারীরা আমার কাছে নিজেদেরকে উৎসর্গ করে আত্মশুদ্ধি আর মৃত্যুর পর আল্লার কাছ থেকে বাড়তি সুবিধা পাওয়ার আশায়। আর আল্লা আমাকে তাদের আশা পূর্ণ করার অনুমতি দিয়েছে, এই দেখো আয়াত-
“সেই মুমিন নারীও তোমার জন্য হালাল যে নিজেকে নবীর জন্য উৎসর্গ করেছে, যদি নবী তাকে বিয়ে করতে চায়। এই সুবিধাদান খালেসভাবে কেবল তোমারই জন্য, অন্য ঈমানদার লোকদের জন্য নয়।”- (কোরান ৩৩/৫০)
এরপর তাদেরকে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য মুহম্মদ বলে, তোমরা জানো আমি খুব ব্যস্ত মানুষ, সবার প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়, তোমরা এখন আসতে পারো, তাছাড়া আমার স্ত্রীরাও আমার বাড়ির সামনে তোমাদের লম্বা লাইন দেখতে পছন্দ করে না।
শুনে লোকজন বলে, আসলে আপনার স্ত্রীরাই আমাদের কাছে এ ব্যাপারে অভিয়োগ করেছে, আপনি একের পর এক বিয়ে করে স্ত্রীর সংখ্যা বাড়াচ্ছেন, কিন্তু তারা বলে যে, আপনি কাউকেই ঠিকমতো সন্তুষ্ট করতে পারেন না; আমরা চাইলেই কিন্তু এই অবস্থার সুযোগ নিতে পারি, যেমন একবার জিহাদে গিয়ে আয়েশার উপর সুযোগ নিয়েছিলো সাফওয়ান বিন মুয়াত্তাল।
মুহম্মদ বলে, আল্লা সব জানেন, এজন্যই তিনি আমার স্ত্রীদেরকে হুকুম দিয়েছেন পর্দা করতে, যেন তোমাদের দৃষ্টির আড়ালে তারা থাকতে পারে। আর এরপর আমার অনুমতি ছাড়া তোমরা কেউ আমার বাড়িতে আসবে না। আর যদি আমার স্ত্রীদের সাথে একান্ত প্রয়োজনে কথা বলতেই হয়, তাহলে পর্দার আড়াল থেকে বলবে।
মুহম্মদের কথা শুনে মদীনার লোকজন বলে, ঠিক আছে, আপনার মৃত্যুর পর কি আমরা অন্তত তাদেরকে বিয়ে করতে পারবো ? কারণ, আপনি বৃদ্ধ হয়ে গেছেন, আর আপনার স্ত্রীরা এখনও যুবতী, আর তাদেরকে অসন্তুষ্টও মনে হয়।
মুহম্মদ বলে, কখনো নয়। কেউ আমার স্ত্রীদেরকে ছোঁবে না, এমনকি আমার মৃত্যুর পরেও নয়।
-কিন্তু আপনি তো অন্যদের বিধবা স্ত্রীকে বিয়ে করেছেন, তাহলে আমরা আপনার বিধবা স্ত্রীকে বিয়ে করতে পারবো না কেনো ?
- কারণ, এটা আল্লার পছন্দ নয়।
উপরের এই সমস্ত ঘটনার জন্যই মুহম্মদ ডাউনলোড করে নিচের এই আয়াত, দেখে নিন এবং মিলিয়ে নিন উপরে বলা ঘটনাগুলো-
“হে বিশ্বাসীগণ, ভোজন সম্বন্ধে নিমন্ত্রণ হওয়া ব্যতীত, তোমরা নবীর গৃহে প্রবেশ করো না, কিন্তু যখন তোমাদেরকে আসতে বলা হয়, তখন এসো এবং ভোজন শেষে চলে যেও, গল্পগুজব করে বসে থেকো না, এটা নবীকে কষ্ট দেয়, কিন্তু নবী তোমাদেরকে লজ্জায় কিছু বলতে পারে না, কিন্তু আল্লা সত্য প্রকাশ করতে লজ্জা বোধ করেন না, এবং যখন কোনো কিছু নবী পত্নীদের নিকট থেকে তোমরা চাইবে, তখন পর্দার অন্তরাল থেকে চাইবে, এটা তোমাদের এবং তাদের হৃদয়ের বিশুদ্ধতার জন্য আবশ্যক। নবীকে কষ্ট দেওয়া এবং তার অবর্তমানে তার পত্নীদেরকে বিয়ে করা তোমাদের জন্য বৈধ নয়, এটা আল্লার নিকট গুরুতর পাপ।– (কোরান, ৩৩/৫৩)
যা হোক, মদীনার লোকজন আরো বলে, কিন্তু আল্লার রসূল, কোনো মুসলিম নারী যদি আমাদের কাছে আসে, তাদেরকে বিয়ে করার অনুরোধ নিয়ে এবং আমরা যদি আপনার মতো অল্প সময়ের জন্য বিয়ে করি, তাহলে কী হবে ?
-না, এটা হবে না।
-কিন্তু কোরানেই কি বলা হয় নি যে, আপনি আমাদের জন্য আদর্শ স্বরূপ ? (কোরান, ৩৩/২১) এছাড়াও কোরানে কি এটা বলা হয় নি যে, আমরা যেন আপনার করা কাজকে উদাহরণ হিসেবে গ্রহণ করে আল্লাহকে ভালোবাসি ? (কোরান, ৩/২১)
যুক্তিতে হেরে গিয়ে মুহম্মদ ক্ষেপে গিয়ে বলে, আমাকে বিরক্ত করবে না, বুঝেছো ?
মদীনার লোকজনও বলে, তাহলে ঐ আয়াতগুলো কী ? আপনি যখন যা কিছু করেন, তা আল্লা সাথে সাথে মেনে নেয় এবং তাতে আপনার কোনো দোষ নেই, কিন্তু সেগুলো আমরা করতে চাইলেই দোষ ? আমরা আপনার আদর্শকে অনুসরণ করবো, না কোরানের নির্দেশকে ?
এটা শুনে মুহম্মদ বলে- খামোস, আল্লা তোমাদের উদ্দেশ্যে বলেছে নবীকে বিরক্ত না করতে (৩৩/৫৩), আর এখন তোমরা আমাকে অসম্ভব বিরক্ত করছো।
লোকজন বলে, আমরা আপনাকে বিরক্ত করলাম কোথায়, আমরা তো শোনার জন্য আপনাকে জাস্ট প্রশ্ন করছি মাত্র। আমরা কি আপনাকে প্রশ্নও করতে পারবো না ?
- না, প্রশ্নও করতে পারবে না।
-এটা কোরানের কোথায় লিখা আছে ?
-এই দেখো, কোরানে বলা আছে, তোমরা নবীকে কোনো প্রশ্ন করো না, কারণ প্রশ্ন করলে তোমরা তোমাদের বিশ্বাস হারাবে (কোরান- ৫/১০১,১০২)। আর যারা আমার উপর থেকে বিশ্বাস হারাবে, তারা মুনাফেক হিসেবে গন্য হবে, আর মুনাফেকদের গর্দান কাফেরদের চেয়ে আগে কাটতে আল্লা আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এরপরই মুহম্মদ, লোকজনের মুখের উপর তার ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয় এবংপরে তার অনুসারীদেরকে নির্দেশ দেয়, যে ইসলাম ত্যাগ করবে তাকে হত্যা করো- (বুখারি, ৪/৬৩/২৬০)।
এরপর থেকেই মুহম্মদের কোনো কিছু সম্পর্কে প্রশ্ন করা ইসলামে নিষেধ এবং কোনো মুসলমান বেহেশতের ৭২ টা হুর হারানোর জন্য কোন প্রশ্ন না করে না; কারণ প্রশ্ন করলেই তারা ঈমান হারাবে, আর ঈমান হারালে ইসলাম মতে, বেহেশতে ঢোকার তো কোনো চান্স ই নেই, সোজা জাহান্নামে। তাই কোনো মুসলমান চায় না ইসলাম ও মুহম্মদ সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন করতে, ভাবখানা এমন, কী দরকার বাবা এমন রিস্ক নিয়ে ? নবী বলেছে, তার উপর বিশ্বাস রাখলেই বেহেশতে যাইয়া ফুর্তি করার জন্য ৭২ টা ন্যাংটা হুর নিশ্চিত; একারণেই মুসলমানরা একটি নির্বোধ ও সিলগালা মানসিক প্রতিবন্ধী জাতি এবং সাথে সাথে চুড়ান্ত লম্পটও, যাদের চুড়ান্ত লক্ষ্য হলো ইহকালে জিহাদের নামে কোপাকুপি আর পরকালে আল্লার পতিতালয়ের ৭২ খানা হুরের সাথে পোকাপুকি।
জয় হিন্দ।
💜 জয় হোক সনাতনের 💜
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন