গান্ধি ও আরএসএস
2 বছর আগে
শেয়ার করেছেন :- প্রণব কুমার কুণ্ডু
Ashish Bhattacharya
গান্ধি ও আরএসএস
সেকুলার গান্ধী বনাম আরএসএস এর বর্ণবৈষম্য
সাল 1930 । স্থান : নাগপুরের কাছে ওয়ার্ধা নগর। পরাধীন ভারত মাতা। ভারতীয় রাজনীতিতে গান্ধীর রমরমা। যা বলেন তাই সাধারণ মানুষ
অন্ধবিশ্বাসের সাথে মেনে নেয়। সেই গান্ধী গেলেন ওয়ার্ধা নগরে। ভাষণ দিতে।
থাকলেন ঘনাস্যামদাস বিড়লার বাড়িতে। হাঁ ইনি সেই বিড়লা কোম্পানির মধ্যে
বিড়লা কোম্পানির একজন প্রতিষ্ঠাতা। এখন আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠী নামে পরিচিত।
গান্ধী দিল্লীতে গেলে বিড়লা হাউসেই থাকতেন। ঘনস্যামদাসের সাথে গান্ধীর
ভালোই হৃদ্যতা ছিল । ঘনশ্যমদাস কংগ্রেসের একজন সক্রিয় নেতাও ছিলেন।
সে যাই হোক , গান্ধী এলেন ওয়ার্ধা নগরে। খবর পেলেন কাছেই হচ্ছে আরএসএস এর প্রশিক্ষণ বর্গ বা ট্রেনিং ক্যাম্প। তা ঠিকই, কাছেই সেই ঘনস্যামদাসের আস্তাবল মাঠে আরএসএসের একটি প্রশিক্ষণ বর্গ চলছিল তখন। আরএসএসের আবেদনে সাড়া দিয়ে ঘনশ্যমদাস তার ফাঁকা মাঠে বর্গ করার অনুমতি দেন।
বর্গ বিষয়ে খবর পেয়ে গান্ধী নিজে সেই বর্গে যাওয়ার জন্য ঘনস্যামদাসের কাছে আগ্রহ প্রকাশ করেন। ঘনশ্যমদাস সংঘের কার্যকর্তাদের সাথে কথা বলে গান্ধীর আসার আর বর্গ পরিচয়ের ব্যবস্থা করেন। সনয়মত ঘনস্যামদাসের সাথে গান্ধী বর্গ পরিচয়ে যান। বর্গের মাঠ, তাঁবু, রন্ধনশালা, শৌচালয় পরিদর্শন করেন ও খুব অনুপ্রাণিত হন। গান্ধী সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তারজির সাথে সাক্ষাতের আগ্রহ প্রকাশ করেন। কিন্তু ডাক্তারজি সেদিন অন্য বর্গে থাকার জন্য সাক্ষাৎ হয় নি। পরের দিন শুধুমাত্র ডাক্তারজির সাথে দেখা করার জন্য গান্ধী আবার বর্গে যান।
সেই বর্গেরই একটি ঘটনা কংগ্রেসের সেকুলারি ও সংঘের বর্ণবৈষম্যের তত্ত্ব পরিষ্কার করে দেয়। বর্গ পরিদর্শনকালীন বর্গের পংতিভোজন চলছিল। স্বয়ং সেবকরা সারি দিয়ে মাটিতে বসে ভোজনমন্ত্র উচ্চারণের পর ভোজন শুরু করে। এখনো সেই বর্গের পংতিভোজন বৈচিত্র্য ময়। ডাল ভাত আর হাতা ভর্তি সবজি। লবন লঙ্কা পাওয়া যায়। তবে লেবুটা বিলাসিতা। সাধারণ এই পংতিভোজন পরিদর্শনের সময় গান্ধী স্বয়ং সেবকদের বর্ণ লক্ষ্য করে 4 জন স্বয়ং সেবককে প্রশ্ন করলেন। তাদের কি জাত ? কেউ বলল ব্রাহ্মণ কেউ ক্ষত্রিয় কেউ শূদ্র। গান্ধীর দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিল, তোমরা যে একসাথে একই পংতিতে বসে ভোজন করছো তাতে তোমাদের জাত যাবেনা তো ? গান্ধীর এই প্রশ্নের আগ্রহ কংগ্রেসের আসল চরিত্র বর্ণনা করে দেয়। কিন্তু এটা আরএসএস। গান্ধী উত্তর পেলেন। সেই 4 জনের 1 জন উত্তর দিলো। সেই স্বয়ং সেবক বললো, গান্ধীজি আমরা ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় বৈশ্য শূদ্র অবশ্যই ছিলাম। কিন্তু আরএসএস এর সাথে যুক্ত হওয়ার পর থেকে আমরা সবাই হিন্দু স্বয়ং সেবক। তারপর আর কোনো পরিচয় নেই।
সে যাই হোক , গান্ধী এলেন ওয়ার্ধা নগরে। খবর পেলেন কাছেই হচ্ছে আরএসএস এর প্রশিক্ষণ বর্গ বা ট্রেনিং ক্যাম্প। তা ঠিকই, কাছেই সেই ঘনস্যামদাসের আস্তাবল মাঠে আরএসএসের একটি প্রশিক্ষণ বর্গ চলছিল তখন। আরএসএসের আবেদনে সাড়া দিয়ে ঘনশ্যমদাস তার ফাঁকা মাঠে বর্গ করার অনুমতি দেন।
বর্গ বিষয়ে খবর পেয়ে গান্ধী নিজে সেই বর্গে যাওয়ার জন্য ঘনস্যামদাসের কাছে আগ্রহ প্রকাশ করেন। ঘনশ্যমদাস সংঘের কার্যকর্তাদের সাথে কথা বলে গান্ধীর আসার আর বর্গ পরিচয়ের ব্যবস্থা করেন। সনয়মত ঘনস্যামদাসের সাথে গান্ধী বর্গ পরিচয়ে যান। বর্গের মাঠ, তাঁবু, রন্ধনশালা, শৌচালয় পরিদর্শন করেন ও খুব অনুপ্রাণিত হন। গান্ধী সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তারজির সাথে সাক্ষাতের আগ্রহ প্রকাশ করেন। কিন্তু ডাক্তারজি সেদিন অন্য বর্গে থাকার জন্য সাক্ষাৎ হয় নি। পরের দিন শুধুমাত্র ডাক্তারজির সাথে দেখা করার জন্য গান্ধী আবার বর্গে যান।
সেই বর্গেরই একটি ঘটনা কংগ্রেসের সেকুলারি ও সংঘের বর্ণবৈষম্যের তত্ত্ব পরিষ্কার করে দেয়। বর্গ পরিদর্শনকালীন বর্গের পংতিভোজন চলছিল। স্বয়ং সেবকরা সারি দিয়ে মাটিতে বসে ভোজনমন্ত্র উচ্চারণের পর ভোজন শুরু করে। এখনো সেই বর্গের পংতিভোজন বৈচিত্র্য ময়। ডাল ভাত আর হাতা ভর্তি সবজি। লবন লঙ্কা পাওয়া যায়। তবে লেবুটা বিলাসিতা। সাধারণ এই পংতিভোজন পরিদর্শনের সময় গান্ধী স্বয়ং সেবকদের বর্ণ লক্ষ্য করে 4 জন স্বয়ং সেবককে প্রশ্ন করলেন। তাদের কি জাত ? কেউ বলল ব্রাহ্মণ কেউ ক্ষত্রিয় কেউ শূদ্র। গান্ধীর দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিল, তোমরা যে একসাথে একই পংতিতে বসে ভোজন করছো তাতে তোমাদের জাত যাবেনা তো ? গান্ধীর এই প্রশ্নের আগ্রহ কংগ্রেসের আসল চরিত্র বর্ণনা করে দেয়। কিন্তু এটা আরএসএস। গান্ধী উত্তর পেলেন। সেই 4 জনের 1 জন উত্তর দিলো। সেই স্বয়ং সেবক বললো, গান্ধীজি আমরা ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় বৈশ্য শূদ্র অবশ্যই ছিলাম। কিন্তু আরএসএস এর সাথে যুক্ত হওয়ার পর থেকে আমরা সবাই হিন্দু স্বয়ং সেবক। তারপর আর কোনো পরিচয় নেই।
জয় মা ভারতী।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন