যজ্ঞোপবীত বা পৈতার অপরনাম হচ্ছে প্রতিজ্ঞাসূত্র বা ব্রতসূত্র।

৮ বছর বয়স থেকে ১২ বছর বয়সের মধ্যে প্রতিটি বৈদিক ধর্মাবলম্বির উপনয়ন আবশ্যক।

উপনয়নের মাধ্যমে পবিত্র সুত্রটি শিষ্য গুরু কর্তৃক প্রাপ্ত হয়।বর্তমানে ঘুণেধরা সমাজে নারীদের থেকে এই অধিকার কেড়ে নিয়ে বেদের বিরুদ্ধ আচরণ করেছে শয়তানেরা।
প্রতিটি পৈতা তিনটি আলাদা সূত্রকে গিঁট দিয়ে বেঁধে তৈরি করা। এই গিঁট বা বন্ধনকে ব্রহ্মগ্রন্থি বা ঈশ্বর কর্তৃক প্রদত্ত গ্রন্থি বলে।এই তিনটি সূত্র ঈশ্বর কর্তৃক নির্দেশিত প্রতিটি মানুষের তিনটি ব্রত বা ঋণ বা দায়িত্বের প্রতীক।
আচার্য ব্রহ্মচারিকে উপনয়ন দিয়ে নিজের সাহচর্যে রাখেন। আধ্যাত্মিক, আধিভৌতিক, আধিদৈবিক এই তিন অবিদ্যার অন্ধকার দূর করতে নিজের বিদ্যার বেষ্টনীর মধ্যে তাকে ধারণ করেন।যখন ব্রহ্মচারী সকল বিদ্যা লাভ করিয়া দ্বিতীয় জন্ম লাভ করে, তখন তাহাকে দেখতে সকল বিদ্বানের একসাথে সমবেত হন( অথর্ব্ববেদ ১১।৫।৩)।
মনুষ্যদেহ ৯দ্বার যুক্ত, ২ চোখ,২ কান,২ নাক,মুখ,
লিঙ্গ ও পায়ু এই ৯দ্বার দিয়েই শরীরে পাপ প্রবেশ করে।
এই নবদ্বার বন্ধ করার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি স্বরুপ ৯টি তন্তু সমৃদ্ধ যজ্ঞোপবীত বা পৈতা। যজ্ঞোপবীত বা পৈতায় ৩টি গিট বা ব্রহ্মগ্রন্থি থাকে।এই গিঁটত্রয় কর্তব্যপরায়ণ মানুষকে ৩টি ঋণের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
কি সেই তিনটি ঋণ যা প্রত্যেকটি মানুষের শোধ করতে হয়?
♦ওঁম স সূর্যস্য রশ্মিভি: পরিব্রুথম তন্তু
তন্বস্ত্রিব্রুথম যথাবিদে।
প্রশিশো নবিয়সি পথিরজনীনমুপা যথি নিষ্কৃতম।।
(ঋগ্বেদ ৯।৮৬।৩২)

♦যে ব্যক্তি যজ্ঞোপবীত ধারণ করেন তিনি গুরুর কাছে এটা অবগত হন যে তিনটি ঋণ তার শোধ করতে হবে যেমন দেবঋণ, পিতৃঋণ, ও ঋষিঋণ।
( ঋগ্বেদ ৯।৮৬।৩২)
সেই ঋণত্রয় হলো-
১।দেব ঋণ- ঈশ্বর কর্তৃক প্রদত্ত আমাদের বেঁচে থাকার অপরিহার্য এই পৃথিবী, পরিবেশ ও প্রাণিকূলের প্রতি দায়িত্ব। পৃথিবীকে সুন্দর করে গড়ে তোলা,পরিবেশ শুদ্ধ করা,ও জীব সেবা করা।
২।পিতৃঋণ- পিতামাতার প্রতি ঋণ।নি:স্বার্থভাবে এই জীবন্ত দুই দেবতা আমাদের লালন পালন করেন,মানুষ করেন। তাদের যথাসাধ্য সেবা যত্ন ও দেখাশোনা করা আমাদের কর্তব্য।

৩।ঋষিঋণ- প্রাচীন বৈদিক ঋষিগণ থেকে শুরু করে গুরু- শিক্ষক, এরাই আমাদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলেন।এদের সেবা ও অনুসরণ করা আমাদের কর্তব্য।

উপনয়ন পঞ্চগিট- যজ্ঞোপবীত বা পৈতাতে পাচটি গিট থাকে। এই পাচটি গিট উপরোক্ত ঋণসমূহ পরিশোধে পাঁচটি বাধার কথাকে স্মরণ করিয়ে দেয়- কাম ক্রোধ, হিংসা, লোভ, মোহ।যজ্ঞোপবীত বা পৈতা বাম কাঁধ থেকে ঝুলিয়ে ডান দিকের কোমর পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে কেননা
এই সূত্রটি ঠিক হ্নদপিন্ডের উপর দিয়ে যায়, যার মাধ্যমে প্রতিকী হিসেবে বোঝনো হয়েছে যে নিজের দায়িত্বগুলো মন থেকে পালন করতে হবে।
আসুন পৈতা ধারণ করে ঋণত্রয় থেকে মুক্ত হই !
নির্ভীক সৈনিক।
ছবিতে থাকতে পারে: 1 জন, টেক্সট
শেয়ার করেছেন : - প্রণব কুমার কুণ্ডূ













প্রণব




কুমার




কুণ্ডূ





ছবিতে থাকতে পারে: 1 জন, টেক্সট
♦যে ব্যক্তি যজ্ঞোপবীত ধারন করেন তিনি গুরুর কাছে এটা অবগত হন যে তিনটা ঋন তার শোধ ক রতে হবে যেমন দেবঋন, পিতৃঋন,ঋষিঋন
(৯।৮৬।৩)
সেই ঋনত্রয় হলো-
১।দেব ঋন- ঈশ্বর কর্তৃক প্রদত্ত আমাদের বেচে থাকার অপরিহার্য এই পৃথিবী, পরিবেশ ও প্রানীকূলের প্রতি দায়িত্ব। পৃথিবীকে সুন্দর করে গড়ে তোলা,পরিবেশ শুদ্ধ করা,ও জীব সেবা
করা।
২।পিতৃঋন- পিতামাতার প্রতি ঋন।নি:স্বার্থভাবে এই জীবন্ত দুই দেবতা আমাদের লালন পালন করেন,মানুষ করেন। তাদের যথাসাধ্য সেবা যত্ন ও দেখাশোনা করা আমাদের কর্তব্য।
৩।ঋষিঋন- প্রাচীন বৈদিক ঋষিগন থেকে শুরু করে গুরু- শিক্ষক, এরাই আমাদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলেন।এদের সেবা ও অনুসরণ করা আমাদের কর্তব্য।
উপনয়ন পঞ্চগিট- যজ্ঞোপবীত বা পৈতাতে পাচটি গিট থাকে। এই পাচটি গিট উপরোক্ত ঋনসমূহ পরিশোধে পাচটি বাধার কথাকে স্মরণ করিয়ে দেয়- কাম ক্রোধ, হিংসা, লোভ, মোহ।যজ্ঞোপবীত বা পৈতা বাম কাধ থেকে ঝুলিয়ে ডান দিকের কোমর পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে কেননা
এই সূত্রটি ঠিক হ্নদপিন্ডের উপর দিয়ে যায়, যার মাধ্যমে প্রতিকি হিসেবে বোজানো হয়েছে যে নিজের দায়িত্বগুলো মন থেকে পালন করতে হবে।
আসুন পৈতা ধারণ করে ঋনত্রয় থেকে , নির্ভীক সৈনিক।
ছবিতে থাকতে পারে: 1 জন, টেক্সট
লাইক করুন
কমেন্ট করুন
শেয়ার করুন