বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

বড়ি মসজিদ



বড়ি মসজিদ



ফেসবুক থেকে শেয়ার করেছেন : প্রণব কুমার কুণ্ডু



প্রণব কুমার কুণ্ডু








‎A D Sajib‎ এতে 💥ALL BENGAL RSS💥রাস্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ💥

এই ভারতের আনাচে কানাচে কত যে "বাবরি মসজিদ" লুকিয়ে আছে, তার ইয়ত্তা নেই। এমন এক চর্চাহীন মসজিদের সাথে পরিচয় করাব আজ। 
হুগলি জেলার এক আধা শহর পান্ডুয়া। পান্ডু বা পান্ডুদাস নামে হিন্দু রাজার নাম থেকে পান্ডুয়ার উৎপত্তি। এই পান্ডুয়ায় জি.টি.রোডের ধারে আছে এক সুপ্রাচীন মিনার ও ভগ্ন মসজিদ। কাগজ কলমে এর পরিচয় "বড়ি মসজিদ" নামে।

রাজা লক্ষণ সেনের সভাকবি ধোয়ী (খ্রিস্টীয় বারো শতক) তাঁর "পবনদূত"-এ সুহ্ম অঞ্চলে (হুগলিতে গঙ্গা নদীর তীরবর্তী অঞ্চল) মুরারি, রঘুকুলগুরু এবং অর্ধনারীশ্বর মন্দিরসমূহের কথা উল্লেখ করেছেন। আন্দাজ করা হয় যে, এই মন্দিরগুলি ত্রিবেণী-সপ্তগ্রাম-পান্ডুয়ার অন্তর্গত ভূমিতে অবস্থিত ছিল।

১৩০০ খৃষ্টাব্দের কাছাকাছি এক রূপ পরিবর্তন জন্ম দেয় বড়ি মসজিদের।
বড়ি মসজিদটি বর্তমানে প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত এক আয়তাকার ইমারত। এর যেটুকু অবশিষ্ট আছে, সেটা যদি ভালো করে দেখেন, দেখবেন টুকরো টুকরো হিন্দু স্থাপত্য তার সর্বাঙ্গে। মসজিদের সামনেই ভারতীয় পুরাতত্ব বিভাগের যে বোর্ড আছে, সেখানেও লেখা আছে - মসজিদটির ছাদে ৬৩টি গম্বুজ। এবং সবগুলি দাঁড়িয়ে "হিন্দু নকশা যুক্ত" স্তম্ভের উপর। গম্বুজগুলি ভগ্ন। তবে অনেক স্তম্ভ এখনো দাঁড়িয়ে বা ভূপতিত হয়ে আছে, অঙ্গে তাদের প্রাচীন হিন্দু সভ্যতার চিহ্ন। চোখ মেলে চাইলেই দেখতে পাবেন। 
মন্দির ধ্বংস করে যে এই মসজিদ তৈরী হয়েছিল, তা দিনের আলোর মত সত্য।

মসজিদের সামনেই দাঁড়িয়ে আছে এক সুউচ্চ মিনার। ১৩৪০ খৃষ্টাব্দে বর্তমান রূপ পায়। ৩৯ মিটার উঁচু, পাঁচ তলা। এর প্রবেশদ্বারের দুই পাশে রয়েছে দুটি স্তম্ভ, সেখানে জ্বলজ্বল করছে হিন্দু চিহ্ন।

এই হুগলিতেই পান্ডুয়ার কিছুটা দক্ষিণ-পূর্ব দিকে গঙ্গার তীরে ত্রিবেণীতে রয়েছে জাফর খাঁ গাজীর দরগা, যা সন্দেহাতীত ভাবে হিন্দু মন্দির ধ্বংস করে তৈরী। সেটা নিয়ে বিস্তারিত লিখেছিলাম আগে। আসলে বঙ্গভূমিতে এরকম উদাহরণ অজস্র। নরমপন্থী ঐতিহাসিক তথা বুদ্ধিজীবী বলেন, ধ্বংসপ্রাপ্ত মন্দিরের উপাদান সংগ্রহ করে বানানো হয়েছে এই মসজিদ। ASI এর সাইনবোর্ডও সেরকম ইঙ্গিত দেয়।
হাঃ হাঃ হাঃ.... একটু পরিবর্তন করলেই যখন মন্দিরকে মসজিদে রূপ দেওয়া যায় তখন কে নতুন মসজিদ তৈরী করতে যাবে! আর যদি সত্যিই ভাঙা মন্দিরের অংশ নিয়ে মসজিদ তৈরী হয়ে থাকে, তাহলে মন্দির ভাঙল কে? মঙ্গল গ্রহের লোক?
 মানুষকে জানাবেন এই ইতিহাস।

পথ নির্দেশ : হাওড়া-বর্দ্ধমান (ভায়া-ব্যান্ডেল) শাখায় হাওড়া থেকে ৬০ কি.মি. দূরে পান্ডুয়া স্টেশন। স্টেশনের পূর্ব দিকে আন্দাজ ১ মাইল দূরে জি.টি. রোডের পাশেই বড়ি মসজিদ।


শেয়ার করেছেন
Pranab Kumar Kundu.




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন