বুধবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৮

তিরুপতি মন্দিরের চুনি


       তিরুপতি মন্দিরের চুনি                  * চুনি : রক্তবর্ণ বহুমূল্য রত্ন, পদ্মরাগ মণি, ruby. *

       ফেসবুক থেকে         শেয়ার করেছেন            প্রণব কুমার কুণ্ডু


তিরুপতি মন্দিরে ৫০০ কোটির চুনী নাকি উধাও ! একমাত্র এই শর্ত পালিত হলেই বিগ্রহের রত্ন-অলঙ্কার সম্ভার দেখাবে তিরুপতি মন্দির কর্তৃপক্ষ!!!!!
😱😱😱😱😱😱😱😱😱😱😱😱😱😱😱
দীর্ঘ টালাবাহনা অনেক দিন চলছিল। মন্দিরের রত্নালংকার নাকি হাত সাফাই হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মন্দির কতৃপক্ষ সব অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছিল। অবশেষে রাজি হয়েছে বিশ্বের ধনীতম মন্দির | তারা প্রদর্শন করবে সঞ্চিত অলঙ্কার ও রত্নরাজি জানিয়েছে তিরুপতি তিরুমালা মন্দির কর্তৃপক্ষ | সিদ্ধান্তের নেপথ্যে সক্রিয় কর্তৃপক্ষ তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম বনাম রমনা দীক্ষিতুলু দ্বৈরথ | ফলে রত্ন প্রদর্শনে রাজি মন্দির কর্তৃপক্ষ তবে যদি শাস্ত্রমতে অসুবিধে না থাকে | শাস্ত্র যদি অনুমতি দেয়‚ তবে অলঙ্কার প্রদর্শনে বাধা নেই | দীক্ষিতুলু সরব হয়েছেন দুর্নীতির অভিযোগে | তাঁর দাবি‚ গত ২২ বছর ধরে মন্দিরের বহু মূল্যবান রত্ন একে একে উধাও হয়ে গেছে | তিনি এই নিয়ে সিবিআই তদন্তও দাবি করেছেন |
মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে অনিল কুমার সিঙ্ঘলের দাবি‚ অগম শাস্ত্র অনুযায়ী মন্দিরের দেববিগ্রহের অলঙ্কার প্রদর্শনে বিধিনিষেধ আছে | তাই ভাবা হয়েছে‚ সব রত্ন ও অলঙ্কারের ত্রিমাত্রিক ছবি বানানো হবে | তারপর জাদুঘরে রাখা হবে আমজনতার দেখার জন্য | যদিও পরে বলেছেন এটা তাঁর ব্যক্তিগত পরামর্শ | বাকিরা সহমত হলে তবেই এ পথে ভাবা হবে |
অন্যদিকে দীক্ষিতুলুর অভিযোগ তিরুপতি মন্দিরে নথিভূক্ত আছে একটি চুনী | কিন্তু সেটা সংগ্রহ থেকে উধাও | একইরকম একটি রত্ন সম্প্রতি জেনেভায় নীলাম হয়েছে বলে তাঁর দাবি | এই ইঙ্গিতে ক্ষুব্ধ মন্দির কর্তৃপক্ষ | তাদের বক্তব্য‚ মন্দিরের কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেন দেবতার রত্ন অলঙ্কার ইত্যাদি নিরাপদে রাখতে | সেখানে এ ধরণের অভিযোগ সর্বৈব ভিত্তিহীন |
যে চুনী নিয়ে দীক্ষিতুলু সরব হয়েছেন সেটি ১৯৪৫ সালে দান করেছিলেন মাইসোরের মহারাজা | বর্তমান বাজারমূল্য আনুমানিক ৫০০ কোটি টাকারও বেশি | দাবি করা হয়েছে‚ ২০০১ সালে ব্রহ্মোৎসব গরুড় উৎসবের সময় তা পড়ে ভেঙে যায় | এবং তার টুকরোগুলি রাখা আছে পেশকারের কাছে | রক্ষিত খণ্ডগুলো ওই চুনীরই‚ কোনও গোলাপি মুক্তোর নয়‚ দাবি মন্দির কর্তৃপক্ষর |
ইতিমধ্যে দীক্ষিতুলু একটি প্রেস কনফারেন্স করেন | তাঁর বক্তব্য‚ ১৯৯৬ সালে অবলুপ্ত হয় মীরাসি ব্যবস্থা | মন্দিরের সম্পতি‚ দেবতার অলঙ্কার বিগ্রহ দেখভালের দায়িত্ব বর্তায় তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম বা TTD-র উপর | সেই থেকেই অলঙ্কারের কোনও নিরাপত্তা নেই বলে অভিযোগ | একটি প্ল্যাটিনামের চেন-এ লাগানো ছিল চুনীটি | বলা হয়েছে‚ বিগ্রহের গলায় সেটা পরানো ছিল | গরুড় উৎসবের সময় ভক্তরা বিগ্রহের উদ্দেশে প্রণামী ছুড়েছিলেন তাতে খণ্ডিত হয়ে যায় মূল্যবান রত্নটি | দীক্ষিতুলু মনে করেন এটি কোনও বিশ্বাসযোগ্য কারণই নয় |
তাঁর প্রশ্ন‚ পুরনো অলঙ্কার থাকতে নতুন গয়না কেন পরানো হয় বিগ্রহকে ? অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রশ্ন করেছিলেন বলে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে‚ অভিযোগ দীক্ষিতুলুর | কিন্তু তাঁর দাবি‚ তিনি অন্যায় করে থাকলে তাঁকে সমুচিত সাজা দেওয়া হোক | কিন্তু সত্য সামনে আসুক |

লাইক
মন্তব্য করুন
মন্তব্যগুলি
Pranab Kumar Kundu একেই বলে হরির লুট ! ওরা আবার চোর হয় নাকি, ধ্যুৎ !
পরিচালনা করুন

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন