বুধবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়


      উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়


      ফেসবুক থেকে         শেয়ার করেছেন                 প্রণব কুমার কুণ্ডু


আইনজীবী, রাজনীতিবিদ এবং ভারতীয় কংগ্রেসের প্রথম ও অষ্টম সভাপতি
উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় (জন্মঃ- ২৯ ডিসেম্বর, ১৮৪৪ - মৃত্যুঃ- ২১ জুলাই, ১৯০৬) (সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান অনুযায়ী)
১৮৬৫ সালে দাদাভাই নওরোজির সহায়তার লন্ডনে তিনি ভারতীয়দের জন্যে ইন্ডিয়া সোসাইটি গঠন করেন। পরে ১৮৭৬ সালে ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন স্থাপনে তিনি তাঁর বন্ধু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাহায্য করেন। এটি ছিল ভারতবর্ষের প্রথম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (১৮৮৫) প্রতিষ্ঠায়ও তিনি সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। তিনি এর প্রথম এবং অষ্টম সভাপতি মনোনীত হন। তিনি বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক কাউন্সিলেরও সদস্য ছিলেন ১৮৯৩ থেকে ১৮৯৫ সাল পর্যন্ত। রাজনীতিতে দারুণ উৎসাহী ছিলেন বলে ১৮৯৮ সালে তিনি লিবারেল দলের প্রার্থী হিসেবে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্সের নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন।
উমেশচন্দ্র ছিলেন উদারনৈতিক এবং স্ত্রীশিক্ষার উৎসাহী সমর্থক। সেজন্যে তিনি বিলেত থেকে ফিরেই তাঁর স্ত্রী হেমাঙ্গিনীকে আধুনিক শিক্ষা দিয়ে তাঁকে আধুনিকা করে তোলেন। তিন সন্তান সহ তাঁকে তিনি বিলেতে পাঠান ১৮৭৪ সালের প্রথম দিকে। ১৮৮৮ সালে উমেশচন্দ্র লন্ডনের দক্ষিণ শহরতলীতে একটি বাড়ি কেনার পর হেমাঙ্গিনী তাঁর সন্তানদের নিয়ে স্থায়ীভাবে লন্ডনে বাস করতে থাকেন। এই বাড়িটি কার্যত প্রবাসী ভারতীয়দের রাজনীতির আখড়ায় পরিণত হয়। উমেশচন্দ্রের পুত্র এবং কন্যারা অক্সফোর্ড ও কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন।
জন্ম
তাঁর জন্ম কলকাতার খিদিরপুরে। তাদের আদি নিবাস ছিল বাগাণ্ডা, হুগলি। তাঁর পিতা গিরীশ চন্দ্র অ্যাটর্নি ছিলেন। উমেশচন্দ্র ১৮৬৪ সালে রুস্তমজী জামশেদজী জিজিবাই বৃত্তি পেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে ইংল্যান্ডে আইন অধ্যয়ন করতে যান। ১৮৬৭ সালের জুন মাসে তিনি ব্যারিস্টার হন এবং তার প্রায় দেড় বছর পরে কলকাতায় ফিরে ১৮৬৮ সালের নভেম্বর মাসে কলকাতা হাইকোর্টে আইন-ব্যবসা আরম্ভ করেন। কর্মজীবন থেকে অবসর নেওয়ার পর উমেশচন্দ্র ১৯০২ সাল থেকে স্থায়ীভাবে লন্ডনে বাস করেন এবং ১৯০৬ সালে ওখানেই মারা যান।
……………


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন