সোমবার, ২৩ জুলাই, ২০১৮

মুসলমানদের খতনা ও কুরবানি


   মুসলমানদের খতনা ও কুরবানি


   ফেসবুক থেকে     শেয়ার করেছেন        প্রণব কুমার কুণ্ডু



খতনা ও কুরবানির প্রকৃত ইতিহাস:

নবী ইব্রাহিম ও তারস্ত্রী সারা মিশর ভ্রমণকালে, মিশরের রাজা তাদেরকে হাজেরা নামের এক দাসীউপহার দেয়। উপহার হিসেবে দাসী ! চিন্তা করুন। নবী মুহম্মদ যে দাসীদের ভোগকরতে বলেছে এবং সে নিজে তার উপহারপ্রাপ্ত দাসী মারিয়ার পেটে ইব্রাহিম নামেরএক পুত্রের জন্ম দিয়েছিলো- সেটা কিন্তু এমনি এমনি না; এটা এক সুদীর্ঘউত্তরাধিকার। যা হোক দাসী হাজেরার প্রতি ইব্রাহিমের অতিরিক্ত আগ্রহ দেখে, সারা, হাজেরার সাথে ইব্রাহিমের বিয়েই দিয়ে দেয়। কিন্তু স্বামীকে ভাগ করারকিছুদিনের মধ্যেই সারার মধ্যে হাজেরার প্রতি ঈর্ষা জেগে উঠে, হাজেরারসন্তান হওয়ার পর এই ঈর্ষা আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠে এবং সারা, ইব্রাহিমকে বাধ্যকরে, হাজেরা ও তার পুত্র ইসমাইলকে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করতে। শেষ পর্যন্তইব্রাহিম, ইসমাইল ও হাজেরাকে অল্প কিছু খাদ্য-পানীয় দিয়ে মরুভূমির মধ্যেরেখে আসে এবং সারাকে কথা দেয় সে কোনোদিন ইসমাইল ও হাজেরাকে দেখতে পর্যন্তযাবে না।
কাহিনী দেখে বোঝা যাচ্ছে, ইব্রাহিমের উপর সারার যথেষ্ট প্রভাবছিলো এবং ইব্রাহিম ছিলো সারার বশীভূত। না হলে কী কারণে সদ্যজাতশিশুপুত্রসহ যুবতী স্ত্রীকে কেউ মরুভূমির মধ্যে রেখে আসবে ? কিন্তু যুবতীস্ত্রী ও শিশু পুত্রের চিন্তায় ইব্রাহিমের আর ঘুম হয় না। গোপনে সে তাদেরদেখতে যায়, এই খবর সারার কাছে পৌঁছলে সারা ইব্রাহিমের উপর চাপ সৃষ্টি করে।তখন ইব্রাহিম বলে, 'আমি যদি হাজেরা ও ইসমাইলকে দেখতে গিয়ে থাকি এবং সেটাযদি তুমি প্রমাণ করতে পারো - বর্তমানে আমরা যেমন এই রকম অবস্থায় বলি, কানকেটে ফেলবো; ঠিক তেমনি ইব্রাহিম বলেছিলো -আমার লিঙ্গ কেটে ফেলবো'। সারাওদমবার পাত্রী নয়, অনুচরের মাধ্যমে সে ঠিকই প্রমাণ করে যে, ইব্রাহিম, হাজেরাও ইসমাইলকে দেখতে মরুভূমিতে গিয়েছিলো। এরকম চাক্ষুষ প্রমাণে অপমানিত হয়েইব্রাহিম নিজের হাতে থাকা কুড়াল দিয়ে নিজের লিঙ্গ কেটে ফেলতে উদ্যত হয়, তখনসারা কিছুটা কনসিডার করে বলে, ঠিক আছে, পুরোটা কাটতে হবে না, কিন্তু তুমিযে আমার সাথে মিথ্যা বলে প্রতারণা করেছো, তার সাক্ষ্য স্বরূপ তোমাকে ওটারকিছু অংশ কাটতে হবে। তার পর ইব্রাহিম নিজের লিঙ্গের অগ্রচর্ম কেটে ফেলে ওপরে যখন ইসমাইলকে বাড়িতে আনতে সমর্থ হয় তখন ইসমাইলেরও লিঙ্গঅগ্রজর্ম কেটেপরবর্তী বংশধরদের সবার এরূপ করার নির্দেশ দেয়। এক লেজকাটা শেয়ালের অন্যসবার লেজাকাটার চেষ্টা আর কি।এই কারণেই ইব্রাহিম পরবর্তী মুসা ও ঈসারঅনুসারীরা খতনা করে যাচ্ছে। আসলে এটা এক স্ত্রীর সাথে তার স্বামীরবিশ্বাসঘাতকতার নিদর্শন।
যা হোক, লিঙ্গ কাটতে বাধ্য হওয়ার পর স্ত্রী ওপুত্রের চিন্তায় ইব্রাহিম আরো ছঠফট করতে থাকে এবং ঘুমের মাঝে উল্টা পাল্টাস্বপ্ন দেখতে থাকে, যেটা খুবই স্বাভাবিক। আগে থেকেই নবী হিসেবে ইব্রাহিমেরকিছু পরিচিতি ছিলো এবং সে যে আল্লার নাম ভাঙিয়ে কিছু বললে, লোকে সেটাবিশ্বাস করবে, তাও সে বুঝতে পেরেছিলো। তাই এই স্বপ্নকে হাতিয়ার করেইইব্রাহিম, সারাকে বোকা বানিয়ে ইসমাইল ও হাজেরাকে বাড়িতে নিয়ে আসার ফন্দিআঁটে। ঘুম থেকে জেগে হঠাৎ হঠাৎ বলতে থাকে, আল্লা আমাকে আমার প্রিয় জিনিসকুরবানি করতে বলেছে। এরপর একের পর এক উট, দুম্বাসহ নানা কিছু কুরবানি করাহলো, কিন্তু ইব্রাহিমের স্বপ্ন দেখা আর থামে না। আল্লাও বলে না ইব্রাহিমেরপ্রিয় জিনিসের নাম আর ইব্রাহিমও তা বুঝতে পারে না। আসলে এসবের মাধ্যমেফাইনাল কথা প্রকাশ করার আগে ইব্রাহিম একটু পরিবেশ তৈরি করছিলো আর কি। শেষেইব্রাহিম সারাকে বলে আমার পুত্র ইসমাইল ই আমার সবচেয়ে প্রিয়, তাকেই কুরবানিকরবো। সারা চিন্তা করে দেখলো, এতে তো ভালোই হবে; ইসমাইল মরলে তার তো কোনোক্ষতি হবে না, উল্টো তার সতীন হাজেরা কষ্ট পাবে। তাই সারা তাতে সম্মতি দেয়এবং ইব্রাহিম গিয়ে ইসমাইল ও হাজেরাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনে। বাড়িতে আনার আগেইহাজেরা ও ইসমাইলকে ইব্রাহিম সব প্ল্যান খুলে বলে। এর ফলে কুরবানির প্রসঙ্গউঠতেই ইসমাইল এক বাক্যে রাজি হয়ে যায় এবং তাকে তাড়াতাড়ি কুরবানি করতে বলে, আর হাজেরাও চুপ থাকে।
এখানে একটি বিষয় চিন্তা করুন; সদ্যজাত শিশুসন্তানসহ যে হাজেরাকে তার স্বামী মরুভুমির মধ্যে নির্বাসন দিয়েছিলো, সেইস্বামী এখন তার সন্তানকে খুন করতে নিয়ে যাচ্ছে, আর হাজেরা কিছু বলছে না, আগে থেকে সব পরিকল্পনার কথা জানা না থাকলে কোন মেয়ে বা মায়ের পক্ষে এই সময়চুপ থাকা সম্ভব ? এরপর ইব্রাহিম, ইসমাইলকে কুরবানি করতে নিয়ে যায়, চোখবেঁধে তার গলায় তলোয়ার চালায়, কিন্তু গলা কাটে না, রাগে সেই তলোয়ার ছুঁড়েফেলে দিলে পাথর টুকরো টুকরো হয়ে যায়। এমন গাঁজাখুরি ঘটনা বাস্তবে কেউকোনোদিন শুনেছেন ? এমন কাহিনী শুধু মিথ্যার ভাণ্ডার ইসলামেই সম্ভব। শেষপর্যন্ত আল্লা ইব্রাহিমের কুরবানি কবুল করে এবং ইসমাইলের জায়গায় ইব্রাহিমেরই একটা দুম্বা কুরবানি হয়ে যায়। ঐ সময় ঐ দুম্বা কোথা থেকে আসবে ? আসলে আগেথেকেই এক চাকরের মাধ্যমে এমন ব্যবস্থা করে রেখে পরিকল্পনা মতো বাড়ি থেকেদূরে একটা মাঠের মধ্যে এই নাটক মঞ্চস্থ করার ব্যবস্থা করেছিলো ইব্রাহিম।এমনও তথ্য পাওয়া যায়, কিছু লোক ইব্রাহিমের চালাকির ঘটনাটাটা বুঝে যায়, তাদের মুখ বন্ধ করার জন্যই ঐ দুম্বার তিন ভাগের দুই ভাগ মাংস তাদের ঘুষদেওয়া হয় এবং এক ভাগ ইব্রাহিম নিজের ভাগে রাখে।এজন্যই কুরবানির মাংস এখনওতিনভাগে ভাগ হয় এবং দুই ভাগ বিলিয়ে দেওয়া হয়।
শেষে মুসার একটা গল্প।মুসা আল্লার প্রিয় নবী নয়, তারপরও ¬মুসার সাথে কথা বলার জন্য আল্লাপৃথিবীতে কোনো এক পাহাড়ের উপর নাকি নেমে আসতো। আর মুহম্মদ আল্লার প্রিয় নবীহওয়া সত্ত্বেও মুহম্মদকে আল্লার দেখা পাওয়ার জন্য বোরাক নামক এক কাল্পনিকপ্রাণীতে চড়ে সাত আসমান ডিঙিয়ে আল্লার কাছে যেতে হয়েছিলো। যা হোক,এই মুসারকাছে আল্লা নাকি একবার দুটো চোখ চেয়েছিলো। মুসা কারো কাছ থেকে সেই চোখসংগ্রহ করতে না পেরে আল্লার কাছে ফিরে গিয়ে বলেছিলো, কোথাও তো চোখ পেলামনা। উত্তরে আল্লা বলেছিলো, তোমার নিজের কাছেই তো দুটো চোখ আছে, তুমি অন্যকোথাও খুঁজতে গেলে কেনো ?
এই গল্প এজন্যই বললাম যে, প্রিয় জিনিস বলতেইব্রাহিমের কাছে তার পুত্রের প্রাণের কথাই কেনো মনে হলো ? মানুষের কাছেকোনটা বেশি প্রিয় ? নিজের প্রাণ না পুত্রের প্রাণ ?
জয় হিন্দ।
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ
From: Krishna kumar das


💜 জয় হোক সনাতনের 💜

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন