মতি নন্দী
ফেসবুক থেকে শেয়ার করেছেন প্রণব কুমার কুণ্ডু
কথাসাহিত্যিক এবং সাংবাদিক
মতি নন্দী (জন্মঃ-১০ জুলাই, ১৯৩১ - মৃত্যুঃ- ৩ জানুয়ারি, ২০১০)
মতি নন্দী (জন্মঃ-১০ জুলাই, ১৯৩১ - মৃত্যুঃ- ৩ জানুয়ারি, ২০১০)
জাতীয় পুরস্কার পাওয়া ‘কোনি’ ছবির সেই বিখ্যাত সংলাপটা - ‘ফাইট কোনি, ফাইট’, ক্রীড়াবিদ আর কোচদের কাছে চিরকালের প্রেরণা হয়ে আছে। মতি নন্দী তাঁর উপন্যাসের মধ্য দিয়ে খেলাধুলার জগতকে নতুন ব্যঞ্জনায় প্রকাশ করেছেন। পেশায় ছিলেন ক্রীড়া সাংবাদিক। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রথম ক্রীড়া জগতকে অবলম্বন করে একাধিক অসামান্য উপন্যাস রচনা করেন তিনি।
উত্তর কোলকাতায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে আনন্দবাজার পত্রিকার ক্রীড়া বিভাগের সাংবাদিক হিসেবে তিনি বহুদিন কাজ করেন। লস এঞ্জেলেস, মস্কো অলেম্পিকসহ এশিয়ান গেমস প্রভৃতি টুর্নামেন্টে তিনি সাংবাদিক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। সাংবাদিকতার সাথে সাথে সাহিত্যচর্চাও করতে থাকেন। তাঁর উপন্যাসের মধ্য দিয়ে তিনি বেশ কিছু ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের চরিত্র অঙ্কন করেছেন এবং তাঁদের সংগ্রামী জীবন ও তা থেকে উত্তরণের কথা লিখে তাঁর পাঠকদেরকে অনুপ্রাণিত ও ঋদ্ধ করেছেন।
তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপন্যাস ‘কোনি’ এক সাঁতারু মেয়ের কাহিনি, যেটি পরবর্তীকালে চলচ্চিত্রায়িতও হয়েছে । তিনি ‘স্টপার’, ‘স্ট্রাইকার’ প্রভৃতি ক্রীড়াবিষয়ক উপন্যাস যেমন লিখেছেন, তেমনই ‘সাদা খাম’, ‘গোলাপ বাগান’, ‘ বিজলিবালার মুক্তি’ প্রভৃতি ধ্রুপদী উপন্যাসের মধ্য দিয়ে সুনিপুণ ভাবে সামাজিক অসঙ্গতি ও উত্তরণের ছবিও চিত্রিত করেছেন। ‘দ্বাদশ ব্যক্তি’, ‘বারান্দা’, ‘ছায়া’, ‘দ্বিতীয় ইনিংসের পর’, ‘ভাল ছেলে’, ‘মালবিকা’ প্রভৃতি তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উপন্যাস। শিশুকিশোর-উপযোগী গল্প ও উপন্যাস রচনাতেও মতি নন্দী দক্ষতার সাক্ষর রেখেছেন। সাহিত্যসমালোচক সন্তোষ কুমার ঘোষ তাঁকে ‘মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সার্থক উত্তরসূরি’ বলে ভূষিত করেন। অনেক সমালোচক মতি নন্দীর সাহিত্যকে সাংবাদিকের রিপোর্ট বলে কটাক্ষ করলেও তিনি নিজে কখনই এসব নিন্দায় কান দেননি। নিজের কথায় তিনি বলেছেন- “নিজের সম্পর্কে এটুকু বলতে পারি অযত্নের লেখা কখনও ছাপতে দিইনি।” জীবনের অভিজ্ঞতাকে সম্বল করেই তিনি তাঁর কলম চালিয়েছেন । তাই একদিকে যেমন তাঁর সাংবাদিকতা-জীবনের অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ একাধিক ক্রীড়াচরিত্র তিনি তৈরি করেছেন, তেমনই সমাজআশ্রয়ী উপন্যাসে প্রেম, যৌনতা, মানসিক টানাপড়েন সবই এসেছে স্বাভাবিক নিয়মে। সৃষ্টিশীলতার সম্মানস্বরূপ তিনি ‘রবীন্দ্র পুরস্কার’ এবং বাংলা আকাদেমি পুরস্কারে’ সম্মানিত হন।
...................
উত্তর কোলকাতায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে আনন্দবাজার পত্রিকার ক্রীড়া বিভাগের সাংবাদিক হিসেবে তিনি বহুদিন কাজ করেন। লস এঞ্জেলেস, মস্কো অলেম্পিকসহ এশিয়ান গেমস প্রভৃতি টুর্নামেন্টে তিনি সাংবাদিক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। সাংবাদিকতার সাথে সাথে সাহিত্যচর্চাও করতে থাকেন। তাঁর উপন্যাসের মধ্য দিয়ে তিনি বেশ কিছু ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের চরিত্র অঙ্কন করেছেন এবং তাঁদের সংগ্রামী জীবন ও তা থেকে উত্তরণের কথা লিখে তাঁর পাঠকদেরকে অনুপ্রাণিত ও ঋদ্ধ করেছেন।
তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপন্যাস ‘কোনি’ এক সাঁতারু মেয়ের কাহিনি, যেটি পরবর্তীকালে চলচ্চিত্রায়িতও হয়েছে । তিনি ‘স্টপার’, ‘স্ট্রাইকার’ প্রভৃতি ক্রীড়াবিষয়ক উপন্যাস যেমন লিখেছেন, তেমনই ‘সাদা খাম’, ‘গোলাপ বাগান’, ‘ বিজলিবালার মুক্তি’ প্রভৃতি ধ্রুপদী উপন্যাসের মধ্য দিয়ে সুনিপুণ ভাবে সামাজিক অসঙ্গতি ও উত্তরণের ছবিও চিত্রিত করেছেন। ‘দ্বাদশ ব্যক্তি’, ‘বারান্দা’, ‘ছায়া’, ‘দ্বিতীয় ইনিংসের পর’, ‘ভাল ছেলে’, ‘মালবিকা’ প্রভৃতি তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উপন্যাস। শিশুকিশোর-উপযোগী গল্প ও উপন্যাস রচনাতেও মতি নন্দী দক্ষতার সাক্ষর রেখেছেন। সাহিত্যসমালোচক সন্তোষ কুমার ঘোষ তাঁকে ‘মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সার্থক উত্তরসূরি’ বলে ভূষিত করেন। অনেক সমালোচক মতি নন্দীর সাহিত্যকে সাংবাদিকের রিপোর্ট বলে কটাক্ষ করলেও তিনি নিজে কখনই এসব নিন্দায় কান দেননি। নিজের কথায় তিনি বলেছেন- “নিজের সম্পর্কে এটুকু বলতে পারি অযত্নের লেখা কখনও ছাপতে দিইনি।” জীবনের অভিজ্ঞতাকে সম্বল করেই তিনি তাঁর কলম চালিয়েছেন । তাই একদিকে যেমন তাঁর সাংবাদিকতা-জীবনের অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ একাধিক ক্রীড়াচরিত্র তিনি তৈরি করেছেন, তেমনই সমাজআশ্রয়ী উপন্যাসে প্রেম, যৌনতা, মানসিক টানাপড়েন সবই এসেছে স্বাভাবিক নিয়মে। সৃষ্টিশীলতার সম্মানস্বরূপ তিনি ‘রবীন্দ্র পুরস্কার’ এবং বাংলা আকাদেমি পুরস্কারে’ সম্মানিত হন।
...................
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন