রবিবার, ২৪ জুন, ২০১৮

নেতাজি সুভাষ



   ্নেতাজি সুভাষ

   শেয়ার করেছেন                প্রণব কুমার কুণ্ডু




Sandip Rajak           ফেসবুক


নেতাজী সুভাষ বোস, ভারতের ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায় |
-------------------------------------------
-------------------------------------------------------------------
নেতাজী যদি ফিরে আসতেন জয়ী হয়ে হোক, পরাজিত হয়েই হোক, এমনকি বন্দি হয়েও হোক -- তাহলে সেদিন দেশের যে অবস্হা ছিল তাঁকে রুখবার সাধ্য কারও ছিল না | যে সশস্ত্র বিপ্লবী অভ্যূত্থানের উত্তাল তরঙ্গ সেদিন সৃষ্টি হতো তার অপ্রতিরোধ্য দূর্বার স্রোতে সাম্রাজ্যবাদী শাসনযন্ত্র এবং পুঁজিপতি ও গান্ধীবাদীদের ষড়যন্ত্র কোথায় ভেসে যেতো | কিন্তু, তারা নিস্কন্টক হল, পণ্ডিত ( ! ) জওহরলালকে আর তলোয়ার দিয়ে নেতাজী সুভাষচন্দ বোসকে অভ্যর্থনা জানাতে হতো না |
------ ' গান্ধীবাদ স্বাধীন ভারতবর্ষকে এক সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেবে | ' -( Bose,Werth,Ayer )
গান্ধীবাদীদের সুভাষ বোসের প্রতি এত অবিচার, এত অভদ্রতা, কুৎসিত, আচরনের মধ্যেও তাঁর ধোয্য, সৌজন্যবোধ তেজ ও দৃঢ়তা দেখে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ সেদিন মুগ্ধ হয়ে , অভিনন্দনবানী পাঠিয়ে " দেশনায়ক " বলে সম্বোধন করেছিলেন |
আজকাল যে-সব ছাত্র - যুবকরা একদিকে নেতাজীর ছবিতে মালা দেয়, আর একদিকে " কংগ্রেস জিন্দাবাদ " শ্লোগান তুলে, ---- তাদের অতীতের ঘটনাগুলোকে স্মরন করতে বলি | কংগ্রেসের গান্ধীবাদী নেতৃত্ব সুভাষবোসকে কোনঠাসা করার জন্য কিভাবে একটার পর একটা ঘৃন্য ষড়যন্ত্র করেছিল ---- সেগুলি ভেবে দেখতে অনুরোধ করি |
গান্ধী তার অসহযোগ অস্তটি বৃটিশের বিরুদ্ধে নয়, কংগ্রেস সভাপতি ( সুভাষচন্দ বোসের) বিরুদ্ধে প্রয়োগ করেছিল | তাঁকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছিল | আজ যারা কংগ্রেসের ঝান্ডা বহন করছেন, একই মন্চে গান্ধী, নেহেরু, ইন্দিরা, ও নেতাজীর ছবি স্থাপন করছেন, তাদের, বিশেষভাবে পশ্চিমবঙ্গের বিভ্রান্ত ছাত্র-যুব সম্প্রদায়কে স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসের এই কলংকজনক অধ্যায়ের কথা স্বরন করতে বলি |

লালবাহাদুর শাস্ত্রী বলেছিলেন, ---- " উনিই আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন | " ( নেতাজী সম্পর্কে এই ছিল প্রথম সত্যোচ্চারন )

মোরারজী দেশাই ছিলেন গান্ধী শিবিরের নেতা | গান্ধীবাদ তার মতাদর্শ কিন্তুু তিনিই ঐতিহাসিক পরিস্থিতিতে মূল্যায়ন করে বলেছিলেন, ---- ' যদি মহাযুদ্ধের পর সুভাষ বোস ভারতে ফিরে আসতে পারেন তবে, তিনিই হতেন সর্বেসর্বা | নেহেরু বলে কেউ থাকতো না, নেহেরু পরিবারের কেউ নেতা হতো না | ( দেয়ার উড হ্যা্ড বিন নো নেহেরু, নান ফ্রম হিজ ফ্যামিলি ) সুভাষচন্দ হতেন ভারতের নিয়তি পুরুষ | '

ডঃ পট্টভি সীতারামাইয়া বলেছিলেন, --- ' চারিত্রশক্তিতে নজিরবিহীন, বিশালাত্বে সীমাহীন, কীর্তিতে মহীয়ান ছিলেন নেতাজী সুভাষচন্দ বোস | '

বলেছিলেন জাপানি জেনারেল কাওয়াবে, --- " বিপ্লবী সৈন্যদলের সংগঠক ও প্রেরনাদাতারুপে, পাকা রনকৌশলী হিসাবে ও সামরিক অভিযানের পরিকল্পনাকারী রুপে সুভাষচন্দ বসুকে নিয়ে যে কোনো জাতি গর্বিত হতে পারেন | নেতাজী সুভাষ চন্দ বসুকে নিয়ে শুধু ভারতের গর্ববোধ করাই উচিত নয়, আধুনিক ভারতের মহত্তম বিপ্লবী ও শ্রেষ্ঠ মিলিটারি জেনারেল রুপে তাঁকে অভিবাদন জানানোও উচিত | ' কিন্তু, আমরা তাঁকে কি দিয়েছি ? ' তেজোর কুকুর ', ' লুণ্ঠনকারী ', ' আক্রমনকারী ', ' দস্যু ' -- ইত্যাদি ইত্যাদি |
' জীবনে যতোজন শ্রেষ্ঠ মানুষের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে, চন্দ্র বসু তাঁদের মধ্যে অন্যতম | ' --- বলেছিলেন, ফিলিপাইন্সের জনক ও প্রেসিডেন্ট ডাঃ জোসেফ লরেল |

গান্ধীর মতো একটা লোক, তার ' হরিজন ' পত্রিকাতে লিখতে বাধ্য হল, ----- ' নেতাজী নামের প্রভাব বিরাট | তাঁর সকল কাজের ভেতর দিয়ে প্রকট হয়েছে তাঁর অকুতোভয়তা | নেতাজী হলেন দেশপ্রেমিকের মাথার মুকুট | দেশপ্রেমের রাজা তিনি | '

এই রকম বোধদয় অনেকের হয়েছে | তবে অনেক দেরিতে |

আর তাই আজও রহস্যে মোড়া, - নেতাজী সুভাষচন্দ বোস, লালবাহাদুর শাস্ত্রী, ডঃ শ্যামাপ্রসাদজীর মৃত্যু রহস্য |

ভারত মাতা কি -- জয় |



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন