শুক্রবার, ২২ জুন, ২০১৮

নির্বাচিত কলাম তসলিমা নাসরিন


নির্বাচিত কলাম তসলিমা নাসরিন      ফেসবুক থেকে শেয়ার করেছেন                     প্রণব কুমার কুণ্ডু




বাঙালি মেয়েদের জন্য ‘সতীত্ব রক্ষা’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ একগামিতা শুধু নারীর জন্য অবশ্য পালনীয়, পুরুষের জন্য নয়। পরপুরুষ সঙ্গমে পাতিব্রত্য ধর্মের লোপ হলে সতীত্বনাশ হয়। সামাজিক বৈধতা অতিক্রম করলে নারীকে ‘পতিতা’ হতে হয়, কিন্তু পুরুষ যথেচ্ছাচারী হলে তাকে ‘পতিত’ হতে হয় না। একটি পুরুষ যত বহুগামী হোক না কেন, বিয়ে করার বেলায় কুমারী ছাড়া নৈব নৈব চ। আমি কিছু প্রগতিশীল শিক্ষিত পুরুষের কথা জানি, যারা স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হতে গিয়ে বিছানায় সাদা চাদর বিছিয়েছে স্ত্রীর কুমারীত্ব প্রমাণ করার উদ্যেশ্যে। চাদরে রক্তের দাগ না পাওয়ায় তারা স্ত্রীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। নারীর যোনিমুখে একটি অসম্পূর্ণ পাতলা আবরণ থাকে, গ্রিকদের বিয়ের দেবতা ‘হাইমেন’-এর নাম অনুসারে আবরণটির নাম হাইমেন (সতীচ্ছেদ) রাখা হয়েছে। বিখ্যাত গাইনোকোলোজিস্ট স্যার নরম্যান জেফকট বলেছেন-‘প্রথম সঙ্গমে হাইমেন বিদীর্ণ হয়, এর ফলে সামান্য রক্তপাত হতে পারে অথবা নাও হতে পারে। হাইমেন বিদীর্ণ ছাড়াও সঙ্গম সম্ভব। সুতরাং কুমারীত্ব প্রমাণ করবার জন্য এটি একটি চিহ্ন বটে কিন্তু বিশ্বাসযোগ্য নয়।’


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন