জাতবিচার
শেয়ার করেছেন প্রণব কুমার কুণ্ডু।
Shared by Pranab Kumar Kundu.
Santanu Banerjee এতে আছেন Prasanta Kumar Mondal
বোস সন্দীপ।
#ব্রাক্ষ্মণ কে?
ঋগবেদ ৭.১০৩.৮
যে ঈশ্বরের প্রতি গভীরভাবে অনুরক্ত, অহিংস, সৎ, নিষ্ঠাবান, সুশৃঙ্খল, বেদ প্রচারকারী, বেদ জ্ঞানী, সে ব্রাক্ষ্মণ !
-----------------------
#ক্ষত্রিয় কে?
ঋগ্বেদ ১০.৬৬.৮
দৃঢ়ভাবে আচার পালনকারী, সৎ কর্ম দ্বারা শুদ্ধ, রাজনৈতিক জ্ঞান সম্পন্ন, অহিংস, ঈশ্বর সাধক, সত্যের ধারক, ন্যায়পরায়ণ , বিদ্বেষমুক্ত ধর্মযোদ্ধা, অসৎ এর বিনাশকারী, সে ক্ষত্রিয়।
------------------------
#বৈশ্য কে?
অথর্ববেদ ৩.১৫.১
দক্ষ ব্যবসায়ী, দানশীল চাকুরীরত এবং চাকুরী প্রদানকারী।
-------------------------
#শূদ্র কে?
ঋগ্বেদ ১০.৯৪.১১
যে অদম্য,পরিশ্রমী, অক্লান্ত জরা যাকে সহজে গ্রাস করতে পারেনা, লোভমুক্ত, কষ্টসহিষ্ণু সেই শূদ্র।
(১) সত্যকাম জাবাল ছিলেন এক পতিতার পুত্র, যিনি পরে একজন ব্রাহ্মণ হন।
(২) প্রীষধ ছিলেন রাজা দক্ষের পুত্র, যিনি পরে শূদ্র হন।
(৩) ধৃষ্ট ছিলেন নবগের (বৈশ্য) পুত্র, কিন্তু পরে ব্রাহ্মণ হন, এবং তার পুত্র হন ক্ষত্রিয়। (বিষ্ণু পুরাণ ৪.২.২)।
(৪) রাথোটর জন্ম নেন ক্ষত্রিয় পরিবারে এবং পরে ব্রাহ্মণ হন, ( বিষ্ণু পুরাণ ও ভাগবত অনুযায়ী )।
(৫) হরিৎ ব্রাহ্মণ হন, ক্ষত্রিয়ের ঘরে জন্ম নেয়া সত্ত্বেও। (বিষ্ণু পুরাণ ৪.৩.৫)।
(৬) শৌনক ব্রাহ্মণ হন, যদিও ক্ষত্রিয় পরিবারে জন্ম হয়। (বিষ্ণু পুরাণ ৪.৮.১)। এমনকি বায়ু পুরাণ, বিষ্ণু পুরাণ ও হরিবংশ পুরাণ অনুযায়ী, শৌনক ঋষির পুত্রেরা সকল বর্ণের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। একই ধরনের দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় গ্রীতসমদ, বিতব্য ও বৃৎসমতির মধ্যে।
(৭) মাতঙ্গ ছিলেন চন্ডালের পুত্র, কিন্তু পরে ব্রাহ্মণ হন।
(৮) রাবণ জন্মেছিলেন ঋষি পুলৎস্যেরঘরে, কিন্তু পরে রাক্ষস হন।
(৯) বিশ্বামিত্রের পুত্রেরা শূদ্র হন। বিশ্বামিত্র নিজে ছিলেন ক্ষত্রিয়, যিনি পরে ব্রাহ্মণ হন।
(১০) বিদুর ছিলেন এক দাসীর পুত্র কিন্তু পরে ব্রাহ্মণ হন এবং হস্তিনাপুর রাজ্যের মন্ত্রী হন।
“শূদ্র” শব্দটি বেদে দেখা গেছে প্রায় ২০ বারের মতো। কোথাও এটি অবমাননাকরভাবে ব্যবহৃত হয়নি। কোথাও বলা হয়নি, শূদ্রেরা হলো অস্পর্শযোগ্য, জন্মগতভাবে এই অবস্থানে, বেদ শিক্ষা হতে অনুনোমোদিত, অন্যান্য বর্ণের তুলনায় নিম্ন অবস্থানের, যজ্ঞে অনুনোমোদিত।
বেদে বলা হয়েছে, শূদ্র বলতে বোঝায় কঠিন পরিশ্রমী ব্যক্তি। ( তপসে শূদ্রম্ – যজুর্বেদ ৩০.৫)। একারণেই পুরুষ সুক্ত এদের ঘোষণা দিয়েছে, মানব সভ্যতার কাঠামো হিসেবে। এজন্যেই পবিত্র বেদ ঘোষণা করেছে সাম্যের বাণী---
অজ্যেষ্ঠাসো অকনিষ্ঠাস এতে সং ভ্রাতারো তাবৃধুঃ সৌভগায় যুবা পিতা স্বপা রুদ্র এযাং সুদুঘা পুশ্নিঃ সুদিনা মরুদ্ভঃ ॥
(ঋগবেদ ৫.৬০.৫)
---কালাচাঁদ বিদ্যালঙ্কার
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন