নবদ্বার
শাস্ত্রের কথায় মানুষের শরীরে আছে 'নবদ্বার' !
দুই চক্ষু
দুই কর্ণ
দুই নাসারন্ধ্র
মুখ
পায়ু
উপস্থ।
ছেলেদের ক্ষেত্রে, পুংলিঙ্গে প্রস্রাব ও বীর্য নির্গমনের একই পথ !
মেয়েদের ক্ষেত্রে, প্রস্রাব নির্গমনের দ্বার ও যোনিদ্বার আলাদা আলাদা !
মেয়েদের ঐ দুটি দ্বারের মধ্যে, কোন যোগ সংযোগ বা যোগাযোগ নেই !
কাজেই, মেয়েদের ক্ষেত্রে, 'নব' ( নয় ) নয়, ওটা হবে 'দশ'দ্বার !
শাস্ত্রকারদের' ওটা সংশোধনের সুযোগ করে দিচ্ছি !
সম্ভবত, শাস্ত্রকারেরা, মুনি-ঋষিরা, মেয়েদের private parts ( নারীর দেহের যৌনাঙ্গ বা লজ্জাস্থান সমূহ ) তন্ন তন্ন করে খুঁজে দেখেন নি !
তাতে হয়তো, মুনি-ঋষিদের বীর্য নিষ্ক্রমণ হয়ে, তাঁদের ব্রহ্মচর্য পালনের ক্ষেত্রে, ক্ষতি হয়ে যেত !
ওগুলোর বাইরেও, আরেকটা শাস্ত্রীয় 'দ্বার' রয়েছে !
সেটি 'ব্রহ্মদ্বার' !
সাত্ত্বিক ব্যক্তিদের 'আত্মা' নাকি 'ব্রহ্মদ্বার' দিয়েই, শরীর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে যান !
আর মানুষের জন্মসূচনলগ্নে, ঈশ্বর, তখনকার ঐ নরম তুলতুলে 'ব্রহ্মদ্বার' দিয়েই, মানব শিশুর শরীরের মধ্যে প্রবেশ করেন !
কাজেই, মানুষের 'নবদ্বার' 'স্বতঃসিদ্ধ' নয়!
পুরুষদের ক্ষেত্রে, 'নবদ্বার'।
মহিলাদের ক্ষেত্রে, 'দশদ্বার' !
আর আত্মা নির্গমণের পথ, 'ব্রহ্মরন্ধ্র' ( near Coronal Suture in the Cranium ) যদি ভাগ্যগুণে মিলে যায়,
তবে পুরুষের ক্ষেত্রে, 'নবদ্বার' হবে 'দশদ্বার',
আর নারীর ক্ষেত্রে, 'দশদ্বার' হবে 'একাদশ'দ্বার !
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন