ব্রাহ্মধর্মাবলম্বিদের, ব্রাহ্মধর্মের নিয়ম অনুসারে বিবাহ !
কিন্তু নানা কারণে, ব্রাহ্মধর্ম, ব্রাহ্মসমাজ, ব্রাহ্মবিবাহ, বিশেষ সফলতা পায়নি !
ব্রাহ্মধর্মের নিয়ম অনুযায়ী, ব্রাহ্মবিবাহ, মূলত ভেস্তে গেছে !
রাজা রামমোহন রায়, সর্বপ্রথম, ব্রা্হ্মধর্মের প্রচলন করেন ! সেটা ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দ। তখন ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠিত হয় !
ব্রাহ্মধর্মাবলম্বিরা, একেশ্বরবাদী !
শুধুমাত্র, 'নিরাকার' পরমেশ্বরের উপাসনা করেন !
সাকার 'পরমেশ্বর' বলে যদি কিছু থেকে থাকে, তাঁরা তাতে আগ্রহী নন !
নিরাকার পরমেশ্বরকে, তাঁরা 'ব্রহ্ম' বলেন !
ব্রাহ্মধর্মাবলম্বিদের মধ্যে, জাতিভেদ প্রথা নেই !
স্ত্রী-স্বাধীনতা স্বীকৃত !
হিন্দু সংস্কারের, কুসংস্কারঅংশ তাঁরা বাদ দিতে চেয়েছিলেন !
তাঁরা নিজেদের progressive অর্থাৎ, অগ্র্গতিমূলক হিন্দু বলে ভাবতেন !
যদিও, রাজা রামমোহন রায়, তাঁর জীবনের শেষ দিন পর্ষন্ত, তাঁর 'পৈতে' অক্ষুণ্ণ রেখেছিলেন !
দেবদেবী'র পূজা, ব্রাহ্মধর্মাবলম্বিদের ধাতে নেই !
তবে তাঁরা 'সরস্বতী', 'লক্ষ্মী', এইসব দেবীদের পূজা করেন কিনা, তা তাঁরাই বলতে পারবেন !
তবে তাঁরা মূর্তিপূজায় আগ্রহী নন !
অত্যধিক নারী স্বাধীনতার প্রচলন থাকার ফলে, হিন্দুদের তুলনায়, ব্রাহ্মধর্মাবলম্বী বিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রে, ডিভোর্সের
সংখ্যা বেশি ! কন্যা যদি অর্থ উপার্জন করেন, তবে সে প্রবণতা আরো বাড়ে !
রাজা রামমোহন রায় ছাড়া, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, কেশব চন্দ্র সেন, এঁরা, ব্রাহ্মসমাজের ব্যাপারে ভালোভাবেই জড়িয়ে পড়েন !
এখন, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'আদি ব্রাহ্মসমাজ', জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বড়িতে তাঁদের অফিস; কেশবচন্দ্র সেনের 'নববিধানী সমাজ', কেশব সেন স্ট্রিটে, ব্রা্হ্মমন্দিরে তাদের আফিস; শিবনাথ শাস্ত্রীর, 'সাধারণ ব্রা্হ্মসমাজ', বিধান সরণিতে, ওদের নিজেদের সমাজ বাড়িতে, ওদের আফিস !
ব্রা্হ্মসমাজ, এখন মূলত, ঐ তিন ভাগে বিভক্ত !
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন