শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬

রাত্রিদেবী, ঊষাদেবী ও সূর্য প্রণাম !




রাত্রিদেবী, ঊষাদেবী ও সূর্য প্রণাম !



সন্ধ্যাবেলায় আমরা প্রদীপ জ্বালি। সান্ধ্যদীপ দিই। শাঁখ বাজাই। এটা ধর্মের এবং রীতির সাথে সম্পর্কীয় একটা মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান।

সন্ধ্যার আবছা অন্ধকারে, প্রদীপের আলো, নিশ্চয় মনকে আপ্লুত করে।তবে আজকাল ইলেকট্রিকের জোরালো আলোর ছটায়, ঠাকুরঘরে, সে প্রদীপের আলো, ম্লান হয়ে যায় !

সন্ধ্যা বেলায় আমরা তুলসী তলায়ও প্রদীপ দিই। প্রণাম করি।

মনে পড়ে, হরিদ্বারের সান্ধ্যমেলা ! পাতার ভেলায় প্রদীপ জ্বালিয়ে, ফুল ধূপকাঠি দিয়ে, গঙ্গার ক্যানেলের জলে ভাসানো হচ্ছে ! একসময় ভালো লাগত।তবে এখন 'ফ্লাড' লাইটের ঠ্যালায়, তার মাধুর্য একেবারে ম্লান হয়ে গেছে !

কেউ যদি গঙ্গোত্রীতে যান, গঙ্গোত্রীর গঙ্গামন্দিরে, সন্ধ্যার পরে, গঙ্গার আরাধনা দেখবেন ! অনেকটা হরিদ্বারের ধাঁচে।
লোকজন খুবই কম। হয়তো  একশোজন হবে ! ভালো লাগবে ! তবে ওখানে ভাগীরথীতে,  'আলোর নৌকা',  সেরকম ভাবে,  সাধারণত ভাসানো হয় না ! তবে যদি কেউ ভাসান, সেটা আলাদা কথা।

সন্ধ্যবেলায় প্রদীপ জ্বালিয়ে, শঙ্খ বাজিয়ে, আমরা, বেদোক্ত  রাত্রিসূক্তের বর্ণনায়, রাত্রিরূপা দেবীকে আহ্বান করি !

রাত্রিরূপা দেবী অমর। অনাদি কাল থেকে বিদ্যমান ! ভবিষ্যতেও অনন্তকাল তিনি বিদ্যমান থাকবেন ! রাত্রিরূপা দেবী সারা বিশ্বজুড়ে পরিব্যাপ্ত !

রাত্রিরূপা দেবী, ঊষাকালে, ঊষাদেবীকে প্রকাশ করেন !

ঊষা। উষা বানানও হয়। ওটা রাত্রির অবসান বোঝায়। সেটা সূর্যোদয়ের অব্যবহিত পূর্বক্ষণ ! সাধারণভাবে, আমরা বলি, 'ভোরবেলা' !
আমাদের হিন্দুধর্মে, হিন্দুশাস্ত্রে, সবকিছু প্রাকৃতিক ঘটনার পেছনে, এক-একজন দেব বা  দেবীর 'কল্পনা' করা হয়েছে !
প্রকৃতিক বা লৌকিক ঘটনার পেছনে, এক-একজন 'অপ্রাকৃতিক' বা 'অলৌকিক' দেব-দেবীর 'কল্পনা' ! কল্পনার তো কোন বাঁধ-বাঁধন নেই ! 'কল্পনায়' সব কিছুই সম্ভব ! এই কল্পনা অবাস্তব ! তবে সেই সব কল্পনার বিষয়বস্তু, oral tradition থেকে, শাস্ত্রে, 'টুকলিফাই' করে, বারবার  ঠাকুর-দেবতাদের কথা বলে,  সে কথা বলিয়ে বলিয়ে, আমাদের মন, ঠাকুর-দেবতাদের অস্তিস্তের, তাঁদের  'পাইয়ে দেবার তত্ত্বে',  বিশ্বাস করিয়েছে ! এ ব্যাপারে শাস্ত্রকারদের এবং ব্রাহ্মণদেরও  হাত রয়েছে !

সম্ভবত, ঠাকুর-দেবতাদের তত্ত্বের বাইরে, 'রূপকথা'র গল্পগুলো, আমাদের মনে, অনেক বেশি, আনন্দ সঞ্চার করে !

ঊষাকে শাস্ত্রীয় দৃষ্টিতে বলা হয়, রাত্রিদেবীর অধিষ্ঠাত্রী দেবী !

ঊষাদেবীর অবির্ভাবে, রাতের অন্ধকার দূর হয়।

সকালে আমরা সূর্য প্রণামও  করি !

তবে ঊষাদেবীকে আমরা আহ্বানও করি না, প্রণামও করি না !

রাত্রিদেবীরও অাপাত বিদায়, বা আপাত 'বিসর্জন'ও, অন্তত  মনে মনে, মানসিকভাবে, করি না !

রাত্রিদেবীর আগমনে, আমরা বাড়িতে সুখে শয়ন করি। ঘুমাই।

স্বামী-স্ত্রীরা,  তাঁদের ব্যক্তিগত, শারীরিক ও মানসিক সম্পর্ক-সম্বন্ধ,  বজায় রাখেন !

বেদের রাত্রিসূক্তের রাত্রিরূপা দেবী ( দুই )

বেদের রাত্রিসূক্তের রাত্রিরূপা দেবী



তুমি বেদের রাত্রিসূক্তের রাত্রিরূপা দেবী ! তুমি চিরকাল চিরদিনের জন্য অমর !

তুমি সমস্ত বিশ্বজুড়ে ব্যাপ্ত হয়ে আছ !

প্রতিদিনই রাত্রি আসে, রাত্রি যায়, রাত্রি হয়, আর তুমি চির অমরই থেকে যাও !

তুমি পরা চিৎশক্তিরূপে, তোমার বোন ব্রহ্মবিদ্যাময়ী ঊষাদেবীকে প্রকাশ করে থাক !


ঊষা রাত্রির অধিষ্ঠাত্রী দেবী !


ঊষাদেবীর প্রকাশে স্বতঃই সকল অন্ধকার দূর হয়ে যায় !


প্রতিদিন  প্রভাতে ঘুম থেকে উঠে, আমরা, বেদের রাত্রিসূক্তের রাত্রিরূপা দেবীকে বিদায় জানাই। 


ঊষাদেবীকে আর সূর্যদেবকে, নিবিষ্ট মনে একসাথে প্রণাম করি !

বেদোক্ত রাত্রিসূক্তের, রাত্রিদেবীর আগমন হেতু, আমরা, সন্ধ্যাবেলায়, প্রদীপ জ্বালিয়ে, তাঁকে বরণ করি ! শঙ্খ বাজাই ! প্রণাম করি !


রাত্রিরূপাদেবী, রাত্রিময়ী চিৎশক্তি ! তিনি, পরমাকাশরূপ, সর্বব্যাপী পরমাত্মার কন্যা !


তুমি, সঘৃত, আমিষবর্জিত, সুগন্ধি আতপ পুষ্পান্ন গ্রহণ কর !


রাত্রিদেবীর আগমনে, আমরা বাড়িতে সুখে শয়ন করি। নিদ্রা যাই !


 রাতের অবসরে, স্বামী-স্ত্রী, তাঁদের, ব্যক্তিকেন্দ্রিক শারীরিক এবং মানসিক সম্পর্ক 'পুনঃনবীকরণ' করেন !







সূত্র 'শ্রীশ্রীচণ্ডী', পৃষ্ঠা ৩৪-৩৫। গীতা প্রেস।
মূল সংস্কৃত থেকে অনুবাদক - শ্রীরামনারায়ণদত্ত শাস্ত্রী "রাম"।
বঙ্গানুবাদ -শ্রীদুর্গাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য।






বেদের রাত্রিসূক্তের রাত্রিরূপা দেবী


বেদের রাত্রিসূক্তের রাত্রিরূপা দেবী
তুমি বেদের রাত্রিসূক্তের রাত্রিরূপা দেবী ! তুমি চিরকাল চিরদিনের জন্য অমর !
তুমি সমস্ত বিশ্বজুড়ে ব্যাপ্ত হয়ে আছ !
প্রতিদিনই রাত্রি আসে, রাত্রি যায়, রাত্রি হয়, আর তুমি চির অমরই থেকে যাও !
তুমি পরা চিৎশক্তিরূপে, তোমার বোন ব্রহ্মবিদ্যাময়ী ঊষাদেবীকে প্রকাশ করে থাক !
ঊষা রাত্রির অধিষ্ঠাত্রী দেবী !
ঊষাদেবীর প্রকাশে স্বতঃই সকল অন্ধকার দূর হয়ে যায় !
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে, আমরা, বেদের রাত্রিসূক্তের রাত্রিরূপা দেবী, ঊষাদেবীকে আর সূর্যদেবকে, নিবিচ্ট মনে একসাথে প্রণাম করি !
বেদোক্ত রাত্রিসূক্তের, রাত্রিদেবীর আগমন হেতু, আমরা, সন্ধ্যাবেলায়, প্রদীপ জ্বালিয়ে, তাঁকে বরণ করি ! শঙ্খ বাজাই ! প্রণাম করি !
রাত্রিরূপাদেবী, রাত্রিময়ী চিৎশক্তি ! তিনি, পরমাকাশরূপ, সর্বব্যাপী পরমাত্মার কন্যা !
তুমি, সঘৃত, আমিষবর্জিত, সুগন্ধি আতপ পুষ্পান্ন গ্রহণ কর !
রাত্রিদেবীর আগমনে, আমরা বাড়িতে সুখে শয়ন করি। নিদ্রা যাই !






সূত্র 'শ্রীশ্রীচণ্ডী', পৃষ্ঠা ৩৪-৩৫। গীতা প্রেস।
মূল সংস্কৃত থেকে অনুবাদক - শ্রীরামনারায়ণদত্ত শাস্ত্রী "রাম"।
বঙ্গানুবাদ -শ্রীদুর্গাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য।





অষ্টভুজা দুর্গা

অষ্টভুজা দুর্গা


মা দুর্গার, অনুপম আটহাত বিশিষ্ট মৃন্ময়ী দেবী মূর্তি।
আট হাতে ক্রমশ গদা খড়্গ ত্রিশূল বাণ ধনুক পদ্ম ঢাল ও মুগুর।
মূর্তির মাথায় চন্দ্রচিহ্ন।
মায়ের তিন নেত্র।
রক্তরাঙা বস্ত্র পরনে।
দেবী সিংহ আরূঢ়া।
ত্রিশূল দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মহিষাসুর বধ হচ্ছে।
পুজোতে লাল করবীর ফুল লাগে।
দুর্গামাকে মালপোয়া খাওয়াতে হয়।
দুর্গামায়ের ভক্তরাও মালপোয়ার ভাগ পায়।



* সূত্র 'শ্রীশ্রীচণ্ডী', গীতা প্রেস। পৃষ্ঠা ২১২।

অষ্টভুজা দুর্গা

অষ্টভুজা দুর্গা



মা দুর্গার, অনুপম আটহাত বিশিষ্ট মৃন্ময়ী দেবী মূর্তি।

আট হাতে ক্রমশ গদা খড়্গ ত্রিশূল বাণ ধনুক পদ্ম ঢাল ও মুগুর।

মূর্তির মাথায় চন্দ্রচিহ্ন।

মায়ের তিন নেত্র।

রক্তরাঙা বস্ত্র পরনে।

দেবী সিংহ আরূঢ়া।

ত্রিশূল দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মহিষাসুর বধ হচ্ছে।

পুজোতে লাল করবীর ফুল লাগে।

দুর্গামাকে মালপোয়া খাওয়াতে হয়।

দুর্গামায়ের ভক্তরাও মালপোয়ার ভাগ পায়।




* সূত্র  'শ্রীশ্রীচণ্ডী', গীতা প্রেস। পৃষ্ঠা ২১২।

শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৬

কার্ল মার্কসের কমিউনিস্ট নীতি

কার্ল মার্কসের কমিউনিস্ট  নীতি



কার্ল মার্কসের কমিউনিস্ট নীতি, ব্যক্তিগত মালিকানার লোপ, পারিবারিক মালিকানার বিলোপ।

দেশের সম্পদ, দশের সম্পদের,  সমবন্টনে পক্ষপাতী।

কিন্তু  সেটা তো, পক্ষপাত  দুষ্ট !

বলে গণসাম্যবাদ। সমভোগ তন্ত্র !

আসলে  ওটা  গোষ্ঠীগঠনে, উপভোগ  তন্ত্র !

মানুষের  ব্যক্তিগত গুণ, পারিবারিক  গুণ, সেও  তো সম্পদ।

সে  সম্পদ,সমবন্টন  হবে কি করে ?

কখনও  কি তা  হতে পারে ?

আসলে  লড়াইটা, সমতার  নয় !

লড়াইটা, কুক্ষিগত মুষ্টিবদ্ধ ক্ষমতার !

বৈচিত্র, বিভিন্নতায়, অ-সম সব কি্ছু !

দেখতে  গেলে, সমতা  হয়ই না !

সমতা   আসবে কোথা থেকে ?

সমতার  মাপকাঠিই  নেই !

এক ঈশ্বর ছাড়া, কেউ,' সম ' হতে পারে না ! সেখানেও সন্দেহ থেকে যায় !

সম মানের মান মর্যাদা, সমান সুযো্গ, সমান অর্থ,

ন্যায়  ও  সত্য থেকে, বিচ্ছিন্ন হয়ে, জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে,

জীবনের প্রতিষ্ঠা থেকে, বঞ্চিত হয়ে,

কমিউনিজম, আর  আমাকে আকৃষ্ট করে না !

ওটা  একটা  অসত্য, অন্যায্য, নিকৃষ্ট  মতবাদ !

কমিউনিজমকে, পাতালপুরীতে,রেখে আসতে হবে !

অন্যথায়, পাতালে পুঁতে দিতে হবে !

কার্ল মার্কসের বাণিজ্যিকরণ

কার্লস মার্কসের বাণিজ্যিকরণ



কার্লস মার্কসের বাণিজ্যিকরণ হয়ে গেছে !

বহুদিন ধরে চলছে।

মার্কসের নাম, ছবি, সাইনবোর্ড  টাঙিয়ে, ব্যবসা  খুলে বসেছি আমরা !

তোমরা,  আমাদের, 'বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মীঃ'-তে শামিল হও।

আমাদিগকে, শ্রম দিয়ে, অর্থ দিয়ে, বিবেক বন্ধক দিয়ে, আলিঙ্গন করো।

ক্রীতদাস হও !

আমাদের সাথে, অভিযোজিত হয়ে, বেঁচে থাকো !

না হতে পারলে, তোমাদের  ওপর, আমরা অত্যাচার করবো।

নির্যাতিত হবে।

শেষমেশ

মেরে ফেলবো !

কার্ল মার্কস

কার্ল মার্কস



আমার শব্দভাবনায় কার্ল মার্কস তুমি এসে গেছ !

বিশ্বে এসেছিলে পাঁচই মে আঠারোশো অাঠারো খ্রিস্টাব্দে।

বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দার্শনিক প্রবক্তা তুমি।

টেমস নদীর ওপর লন্ডনব্রিজ।

লন্ডনের ঐ টেমস নদীর তীরে কবরে তুমি চিরশায়িত।

তোমার মৃত্যুদিন চোদ্দই মার্চ আঠারোশো তিরাশি খ্রিস্টাব্দে।

মার্চ মাস আমাদের এখানে, পশ্চিমবঙ্গে,  পলাশের মাস।

লালে লাল পলাশ ফুলের লালিমায় বিস্তৃত দিগন্ত উজ্জ্বল।

কার্ল মার্কস তুমি নিজে কমিউনিস্ট হয়েছিলে তোমার ছাব্বিশ বছর বয়সে।

পঁয়ষট্টি বছর বয়স পর্যন্ত তুমি বেঁচে ছিলে।

উনচল্লিশ বছর ধরে তুমি কমিউনিস্ট ভাবধারায় আপ্লুত ছিলে।

'আমার কবিতার 'দর্শক'-দেশের নাম'




'আমার কবিতার 'দর্শক'-দেশের নাম'


১। ভারত
২। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
৩।জার্মানি
৪। বাংলাদেশ
৫। নেদারল্যাণ্ডস
৬। রাশিয়া
৭। ফ্রান্স
৮। আয়ারল্যাণ্ড
৯। সংযুক্ত আমির আমিরাত
১০। অস্ট্রেলিয়া
১১। রুমানিয়া
১২।সৌদি আরব
১৩। ডেনমার্ক
১৪। ইন্দোনেশিয়া
১৫। চিলি
১৬। তুরস্ক
১৭। ভেনেজুয়েলা
১৮। সিঙ্গাপুর
১৯। চীন
২০। ভিয়েতনাম
২১। মরোক্কো
২২। কাতার
২৩ পাকিস্তান
২৪। ফিলিপিন
২৫। পোল্যাণ্ড
২৬। ফিজি
২৭। মিশর
২৮। বেলজিয়াম
২৯। যুক্তরাজ্য
৩০। আলজেরিয়া
৩১। ইসরায়েল
৩২। বাহরাইন
৩৩। সুরিনাম
৩৪। বতসোয়ানা
৩৫। গ্রীস
৩৬। অস্ট্রিয়া
৩৭। সার্বিয়া
৩৮। ঘানা
৩৯। হাঙ্গেরি
৪০। ইতালি
৪১। থাইল্যান্ড
৪২। ইরাক
৪৩। আর্মেনিয়া
৪৪। এন্টিগুয়া ও বারবুডা
৪৫। নাইজেরিয়া
৪৬। চেচিয়া
৪৭। বেলারুশ
৪৮। জর্ডন
৪৯। আজারবাইজান
৫০। ইউক্রেন
৫১।কেনিয়া
৫২। সিঙ্গাপুর
৫৩।কিরগিজিস্তান
৫৪।কাজাখস্তান
৫৫। ব্রাজিল

প্রভৃতি

অন্তত ওপরের ঐ  ৫৫টি  দেশ।

আমার  'কবিতা এবং কবিতা সম্বন্ধীয়'  'পোস্ট'গুলি  ১৮২৮ !

মোট  'পৃষ্ঠাদর্শন'  ২৯৩৮৬ !

ধন্যবাদ !

নমস্কার !

প্রণব কুমার কুণ্ডু।

২৭। ০৩। ২০১৭।

'আমার গদ্যরচনায় দেশের নাম ( তিন )'

'লেখক প্রণব কুমার কুণ্ডু'র ছবি'


'আমার গদ্যরচনায় দেশের নাম ( তিন )'

Blog  pranabk2.blogspot.com


সংযুক্তি পাবেন

Twitter.com/pkkumdu10
Twitter.com/pkkundu101

Facebook.com/pkkundu10

googleplus.com Pranab Kumau Kundu


 দেশগুলি

১। ভারত
২। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
৩। জার্মানি
৪। পোল্যাণ্ড
৫। আয়ারল্যান্ড
৬। নেদারল্যান্ডস
৭। ফিলিপাইন
৮। বাংলাদেশ
৯। ডেনমার্ক
১০। ব্রাজিল
১১। মিশর
১২। তুরস্ক
১৩। ইন্দোনেশিয়া
১৪। অস্ট্রিয়া
১৫। বেলজিয়াম
১৬। ফ্রান্স
১৭। সৌদি আরব
১৮। মালয়েশিয়া
১৯। রোমানিয়া
২০। বেলারুশ
২১। ভিয়েতনাম
২২। ওমান
২৩। ইসরায়েল
২৪। সিঙ্গাপুর
২৫। জাপান
২৬। জর্জিয়া
২৭। কলম্বিয়া
২৮।থাইল্যান্ড
২৯। আলজেরিয়া
৩০।ইউক্রেন
৩১।ফিলিস্তিন
৩২। অ্যাঙ্গোলা
৩৩। যুক্তরাজ্য
৩৪। স্পেন
৩৫। গ্রীস
৩৬। মোরক্কো
৩৭। কাজাখস্তান
৩৮। সেনেগাল
৩৯। কেনিয়া
৪০। বেলজিয়াম
৪১। মেক্সিকো
৪২। সংযুক্ত আরব আমিরাত
৪৩। উজবেকিস্তান
৪৪। আইসল্যান্ড
৪৫। কানাডা
৪৬। আর্জেন্টিনা
৪৭। রাশিয়া
৪৮। ইতালি
৪৯। পেরু
৫০। পর্তুগাল
৫১। জর্ডন
৫২ । আফগানিস্তান
৫৩ । দক্ষিণ কোরিয়া
৫৩ । Unknown Region
৫৪ । কুয়েত
৫৫ । বাহারিন
প্রভৃতি
অন্তত ৫৫টি দেশে !

* + Unknown Region as declared by Google+



 গদ্যরচনায় মোট পোস্ট ১১২৪।

গদ্যরচনায় মোট 'পৃষ্ঠাদর্শন'  ৯০,৯০৫।

এখন ভারত সহ বিশ্বের অন্তত ৫১ টি দেশের 'দর্শক' আমার গদ্যরচনা দেখেন/পড়েন/'ক্লিক' করেন।

০৬।১১।২০১৭। /৩১।১০। ২০১৮।

'লেখক প্রণব কুমার কুণ্ডু'র ছবি'

ভাইফোঁটা



ভাইফোঁটা


শারীরিক অসুস্থতার কারণে, এবারের ভাইফোঁটায় বোনের বাড়িতে যেতে পারিনি !

বোন-ভগ্নিপতিই কষ্ট করে এসেছিল !

বোন সঙ্গে করে এনেছিল, ওর নিজের হাতে তৈরি করা,  ঢোকলা, উকমা, গোকুল পিঠে, মালপোয়া, পাটিসাপটা, পায়েস, ডিম আর দুধের তৈরি ঝুরুঝুরু,  হালুয়া ।

সঙ্গে ছিল দুবাই থেকে আনা খেজুর।

আর ভালো দোকানের, কম মিষ্টির, বড় সাইজের, ভালো সন্দেশ।

এইসব বিশেষ পদগুলি তো ছিলই, সঙ্গে ছিল, আমাদের বাড়ির 'অন্নভোজ'-এর  নিয়মিত ব্যবস্থার পদগুলিও !

পেটপুরে, আনন্দ করে, আমরা সবাই মিলে খেলুম !

খাওয়ার পরে,  ভুঁড়িটাকে, ডুগি-তবলা করে,  আনেকক্ষণ ধরে বাজালুম !

বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৬

এঁটো




এঁটো


দুধ খাও ? ওটা তো বাছুরের এঁটো !
গুড় চিনি খাও ? ওটা তো মাছি আর পিঁপড়ের এঁটো !
ফল খাও ? বাদুর আর পাখির এঁটো !
মধু খাও ? সে তো বাঁজা কর্মী মৌমাছির এঁটো !
হামি খাও ? সেও তো এঁটো-এঁটো মাখামাখি !
তাই এঁটোতে-এঁটোতে এত ঘ্যানপ্যানানি কেন ?


শ্রাদ্ধপুরুতের এঁটো অনেক শ্রাদ্ধক্রিয়ায় খেতে ্হয় ! ওটা এঁটো নয় ?


ঠাকুরের এঁটো তো প্রসাদ ! ওটা জগন্নাথদেবের হলে আবার নহাপ্রসাদ !



প্রেম ভালোবাসায় অনুরাগে, প্রীতি-সৌহার্দ্যে বন্ধুত্বে, প্রণয়াকাঙক্ষায়, যে চুমু খেয়ে,  হৃদয়-মন  ভরানো হয়,  তাও তো এঁটো-এঁটোময় ! তবে এই চুমু খাওয়ায়, এঁটোঘেন্নার  ব্যাপারই নেই ! এটা স্বর্গীয় এঁটো ! এই এঁটোর চমক জেগে থাকে, সারাটা জীবনজুড়ে,  সারাটা জীবন ধরে !  স্মৃতির খোপে খোপে,  মনের খোঁপায় !

হাতি এবং হাতির বাচ্চা




হাতি এবং  হাতির বাচ্চা


হাতিরা খুব বলশালী। খুব বুদ্ধিমান। নিজেদের সন্তানদের হাতিরা আগলে রাখে।

হাতিরা মানুষ নয়, তাই তাদের অসুস্থ বাচ্চাদের, কোলে কাঁকালে করে, বয়ে নিয়ে যেতে পারে না !

কিন্তু অসুস্থ বাচ্চাদের তারা শুঁড়ে করে তুলে, পিঠে বসিয়ে, কিংবা পিঠের ওপর শুইয়ে, এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যায় না কেন ?

অসুস্থ, চলতে ফিরতে হাঁটতে পারে না, এমন বাচ্চাদের, হাতিরা, বনের মধ্যে একা-একাকী ফেলে রেখে, হাতির দল চলে যায় !

সেই বাচ্চারা, বনের বাঘ-সিংহের, হায়নাদের, খাবারে পরিণত হয় !

'কবিতার 'পৃষ্ঠাসর্শন' ও 'পোস্ট''




'কবিতার 'পৃষ্ঠাদর্শন' ও 'পোস্ট''


আমার কবিতার 'ইতিহাসের পৃষ্ঠাদর্শন',  ২২৭৫২ !

'পোস্ট', ১৪৯১ !

আমার 'জাতীয় পতাকা' লেখা




আমার 'জাতীয় পতাকা' লেখা


আমার 'জাতীয় পতাকা' শীর্ষক লেখাটির জন্য, 'পৃষ্ঠাদর্শন' তিনশো ছাড়িয়েছে !

তারপরে, 'শরভ', এবং অন্যান্য পোষ্টগুলি।

দেখুন,

পোস্টগুলির প্রবেশ এবং পৃষ্ঠাদর্শন

 


  প্রবেশ                                              পৃষ্ঠাদর্শন

১৩ নভেম্বর, ২০১৬
301








১৬ নভেম্বর, ২০১৬
49








২৭ নভেম্বর, ২০১৬
43








৮ ডিসেম্বর, ২০১৬
43








২৯ নভেম্বর, ২০১৬
38








37








36








২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬
36








২৪ নভেম্বর, ২০১৬
30









দেখুন, 'পোস্টগুলি'র,    'প্রবেশ',  এবং  'পৃষ্ঠাদর্শন' !

বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬

ইন্দোনেশিয়া




ইন্দোনেশিয়া


আমার গদ্যরচনার  'দর্শক'আসনে এখন 'ইন্দোনেশিয়া' এসে গেছে !

শুভার্থিদের শুভাকাঙিক্ষদের জানাচ্ছি !

নমস্কার !

প্রণব কুমার কুণ্ডু।

সুরিনাম




সুরিনাম


আমার 'কবিতাদর্শন'-এ এখন 'সুরিনাম'-এর নাম যোগ হয়েছে !

আটল্যান্টিক মহাসাগরের তীরে, দক্ষিণ আমেরিকার উত্তর-পূর্ব অংশে, 'সুরিনাম' রাষ্ট্র।

সুরিনাম, দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে ছোট স্বাধীন রাষ্ট্র।

সুরিনামের রাজধানী, 'পারামারিবো'।

সুরিনামে অনেক বক্সাইট খনি আছে !

সুরিনাম  বক্সাইট আকরিকের জন্য বিখ্যাত।

বক্সাইট থেকে অ্যালুমিনিয়াম ধাতু পাওয়া যায়।

সুরিনামে প্রায় ৩৭%  লোক ভারত থেকে এসেছিল এবং তারা হিন্দু ছিল।

বতসোয়ানা




আমার 'কবিতা দর্শনে' নবতম সংযোজন, 'বতসোয়ানা'।

 ওখানে প্রায় দশ হাজার হিন্দু রয়েছেন ! দেশটিতে সনাতন ধর্মের জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে ! বহুমানুষ হিন্দু ধর্মে দীক্ষিত হচ্ছেন ! দেশটির, Gaborone শহরে নির্মিত এক বিশাল মন্দির, দেশের সকলের দৃচ্টি আকর্ষণ করেছে ! মন্দিরটি দেখতে অনেক মানুষজন আসেন ! ওটা যেন একটি পর্যটন কেন্দ্র !

নীচে  'বতসোয়ানা'র  Gaborone শহরের সুন্দর মন্দিরটির  ছবি দেখানো হয়েছে !

'বতসোয়ানা' আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণাংশে অবস্থিত একটি স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র।

বতসুয়ানা। ইংরেজিতে,  Botswana, উচ্চারণ,  'বট্‌সুয়ানা'।

১৯৬৬ সালে বর্তমান বতসুয়ানা ব্রিটেনের কাছ থেকে, স্বাধীনতা লাভ করে !

তার আগে বতসুয়ানার নাম চিল, 'বেচুয়াল্যাণ্ড'।

দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতি 'সুয়ানা'।

জাতির নাম থেকে, দেশের নাম এসেছে !

বতসোয়ানার জনগণ, দেশের একমাত্র রেলসড়ক ও দেশের দক্ষিণ দিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার সীমান্তের কাছাকাছি অঞ্চলে বসবাস করেন।

'হীরা'ও অন্যান্য খনিজ ধাতুর খনিগুলির জন্য, বতসোয়ানা,  অর্থনৈতিকভাবে বেশ উন্নত এবং ধনী দেশ।

স্বাধীনতার পর থেকে দেশটির অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির 'হার' ারো বেড়েছে।

দেশের অধিকাংশ স্থান, শুষ্ক ও চাষবাসের অনুপযুক্ত।

মধ্য ও দক্ষিণ-পশ্চিম ভাগের, অধিকাংশ জায়গা জুড়ে 'কালাহারি' মরুভূমি।



আমার গদ্যরচনায় দেশের নাম ( দুই )

দেশ অনুসারে পৃষ্ঠাদর্শন                                  আমার গদ্যরচনায় দেশের নাম ( দুই )

ব্লগ দর্শকদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় দেশের গ্রাফ
প্রবেশপৃষ্ঠাদর্শন
ভারত
976
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
593
জার্মানি
76
পোল্যান্ড
24
আয়ারল্যান্ড
10
নেদারল্যান্ডস
8
ফিলিপাইন
4
বাংলাদেশ
2
ডেনমার্ক
2
ব্রাজিল
1

মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৬

চৈতন্যতত্ত্ব




চৈতন্যতত্ত্ব


আমার চৈতন্যতত্ত্ব অনাদি এবং মৌলিক।

অনাদি অর্থাৎ আদিহীন। কারণহীন। উৎপত্তিহীন। স্বয়ম্ভূ।

মৌলিকের ভেতরও মৌলিকতা আছে। মৌলিকত্ব আছে। মৌলিকতত্ত্বও  আছে।

মৌলিকের ভেতর,  অণীয়ান। অণুর চেয়েও ক্ষুদ্র। অনুতর। সূক্ষ্ম। সূক্ষ্ম থেকেও সূক্ষ্ম। সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম। [ সংস্কৃতে, অণু + ঈয়স্ ]।

এর পরে করণ চৈতন্যতত্ত্ব। আরো সূক্ষ্ম, কারণ চৈতন্যতত্ত্ব। আরো সূক্ষ্ম, তা হবার নয়। সেটা কারণাতীত চৈতন্য বা কারণাতীত চৈতন্যতত্ত্ব।

সেটা তাহলে, শূন্য চৈতন্য। শূন্য চৈতন্য-এর আবার 'তত্ত্ব' হবে কি ভাবে ?

মৌলিকের ভেতর অণীয়ান। সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম। কেবলমাত্র ওখানে, চৈতন্য-এর  'ফোটন' কণার স্পন্দন !

আমার হৃদয় তা কেবল অনুভূতিতে গ্র্হণ করতে সক্ষম !

আমার চৈতন্যের  চৈতন্যবোধ বিশ্ব জুড়ে পরিব্যাপ্ত !

আমার অনুভূতির তরঙ্গে তরঙ্গে তা তরঙ্গায়িত !

লিমেরিক-এর সংখ্যা তিনশো ছাড়িয়েছে !







     কবি প্রাবন্ধিক প্রণব কুমার কুণ্ডু'র ছবি 


লিমেরিক-ছড়াকার   প্রণব কুমার কুণ্ডু


লিমেরিক-এর সংখ্যা তিনশো ছাড়িয়েছে !

আমার 'লিমেরিক' কবিতার সংখ্যা এখন তিনশো  ছাড়িয়ে গেছে। আপনারা যাঁরা 'লিমেরিক' পড়তে ভালোবাসেন, তাঁরা দেখুন

http//pranabk.blogspot.com

Twitter.com/pkkundu10
Twitter.com/pkkundu101

Facebook.com/pkkundu10

Google+ pranab kumar kundu

Printerest


ধন্যবাদ !


প্রণব কুমার কুণ্ডু।

১৬।০২।২০১৭।


আমার বীজপুরুষ




আমার বীজপুরুষ


আমার বীজপুরুষ। আমার বংশ প্রবর্তক। আমার আদি পুরুষ।

তিনিই আমার ঈশ্বর। তিনিই আমার জগদীশ্বর।

আমার বীজপুরুষের বাইরে, আমার আর কোন ঈশ্বর, জগদীশ্বর, ঠাকুর-দেবতা, গুরু, পুরোহিত, তর্পণ,  শ্রাদ্ধ প্রভৃতি নেই।


আমার বীজপুরুষ।
আমার বংশপ্রবর্তক।
আমার আদিপুরুষ।
আমার আদিপুরুষই আমার ঈশ্বর।
আমার আদিপুরুষই আমার জগদীশ্বর।

সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৬

মশক




মশক


মশক।
মশা।
মশ।
কীট বিশেষ।
মশ্ ( শব্দ করা ) + যথাক্রমে অন্ ও অক কর্তৃ । বি. পু।


মশার উল্লেখ আছে

শক্লযজুর্বেদে  ২৪.২৯ ।

পাণিনী  ২. ১. ৪৮। উদুম্বরমশক। স্থূল মশক ।

মনু  ১. ৪০ ।



'সর্ব্বং খলস্য চরিতং মশকঃ করোতি' ! হিতোপদেশ। ১. ৮২ । তারাকুমার কবিরত্ন। পরিশোধিত সংবং  ১২৪৫।



*  সূত্র  'বঙ্গীয় শব্দকোষ', পৃষ্ঠা  ১৭৪১।
*  সুত্র  ''সরল বাঙ্গালা অভিধান', সুবলচন্দ্র মিত্র সংকলিত। পৃষ্ঠা  ১০২৭।

পর্ব পার্বণ পরব

পর্ব পার্বণ পরব


পর্ব।
দেবতার পূজা,  বা শাস্ত্রে বর্ণিত ধর্ম আচরণের জন্য,  নির্দিষ্ট দিন।

ওটাকেই বলা হয়, পার্বণ।

পরব।
সামাজিক বা ধর্মীয় উৎসব।

সংক্রান্তি তিথি
অষ্টমী তিথি
চতুর্দশী তিথি
পূর্ণিমা তিথি
অমাবস্যা তিথি  ইত্যাদির প্রতিপালনও পার্বণ।

তবে আজকাল, পর্ব পার্বণ পরব ইত্যাদি শব্দগুলি, মোটামুটিভাবে সমার্থবাচক শব্দে পরিণত হয়েছে।

এখন হিন্দুধর্মের সৎ আচরণ পালনে, তুলনামূলকভাবে,অনীহা দেখা যাচ্ছে।

হিন্দুধর্মের শিষ্টাচার, এখন কেবলমাত্র. সামাজিক এবং ধর্মীয় উৎসবে পরিণত  হয়েছে।

আঙটিসম্রাট




আঙটিসম্রাট


আমার পরিচিত একজন আঙটিসম্রাট ছিলেন !

আমি যখন তাঁকে প্রথম দেখি, তখন তিনি, নৈহাটি শহরের সাব-পোস্টাফিসে 'আউট-ডোরে'র কাজ করতেন !

তাঁর দুই হাতের সব আঙুলে ছিল গাদাগাদা আঙটিধারণ !

সোনার আঙটি। রূপোর আঙটি। পেতলের আঙটি। তামার আঙটি। সেগুলোতে সব দামি দামি 'পাথর' বসানো ! আর বেশ ভারি ভারি !

আমার কাছে তাঁর নিজের নামের কোন গুরুত্বই ছিল না !

তিনি আমার কাছে ছিলেন কেবল আঙটিসম্রাট !

আঙটি, আঙুলে অলঙ্কাররূপে পরা হয়, এমন বলয় !

তবে, আঙটিসম্রাটের আঙটিগুলো ছিল, বলতে পারেন, অলঙ্কারের বাইরেও, অলঙ্কারের চেয়েও, অনেক বেশি !

আঙটিসম্রাট, আঙটিগুলো,  তুকতাক, বশীকরণ, আর তাঁর নিজের ভালো এবং মঙ্গলকামনায় পরত !

আঙটি। অঙ্গুরীব।আংটি।

এই আঙটিসম্রাট, একদিন মালগাড়ির তলা দিয়ে লাইন পেরোতে গিয়ে, মালগাড়ির চাকায় চাকায় পিষ্ট হয়ে, অমানুষিক কষ্ট স্বীকার করে, কাটা পড়লেন !

রেল পুলিশের,  আঙটিসম্রাটের 'লাশ',  'লাশকাটাঘরে' নেবার পথে,  এবং,  মড়িঘরে',   যে ঘরে, লাশ কেটে, 'শবব্যবচ্ছেদ' করা হয়, আঙটিসম্রাটের দুই হাতের সমস্ত আঙুলের, সমস্ত  দামি দামি আঙটিগুলো,  'খোয়া' গিয়েছিল !

গার্হস্থ্য আশ্রমে



গার্হস্থ্য আশ্রমে


গার্হস্থ্য বা গার্হস্থ বলতে বোঝায় গৃহস্থাশ্রম। গৃহস্থ জীবন।

আশ্রম অর্থাৎ সংসার ত্যাগী সাধু বা তপস্বিদের আবাস। শাস্ত্রচর্চার বা সাধনার স্থান। মঠ।

সৎসঙ্গ, সাধু লোকের বা ভালো লোকের সঙ্গ বা সাহচর্য।

গার্হস্থ্য আশ্রমে, সৎসঙ্গের, স্ত্রীসংসর্গের নিয়ম আছে।

স্ত্রীসংসর্গ অর্থাৎ, স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস। সংগম।


ঋতু শুরুর দিন থেকে, ঋতুর পঞ্চম দিন, অথবা, ঋতুর ষষ্ঠ দিন  থেকে,  ঋতুর একাদশ দিন পর্যন্ত, স্ত্রীসংসর্গ অর্থাৎ, স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস, সংগম-এর  প্রশস্ত সময়।

ঋতু, স্ত্রীলোকেদের মাসিক রজস্রাব। স্ত্রীরজ।

ঋতুমতী, রজস্বলা। যার ঋতুস্রাব হয়, এমন।

ঋতুস্নান, ঋতুমতী হওয়ার পর, চতুর্থ দিনের দিন, স্নান করার সংস্কার।


সুখসঙ্গম, ধীরে ধীরে, সময় বইয়ে, করা যায় বা দেওয়া যায়।

প্রয়োজনে, প্রত্যাহার,
এবং অথবা, কুম্ভক, করা যায়।

সাবধানে চলা ভালো।




*  সূত্র :  শ্রীশ্রীগোস্বামীপ্রভুর মন্ত্রশিষ্য বরিশাল নিবাসী, প্রয়াত রসিকচন্দ্র রায়ের ডাইরী। 'মন্দির' পত্রিকা, পৌষ  ১৪১৬।



শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৬

বড়ো বড়ো পৌরাণিক ঋষিদের 'ঋষিত্ব' !




বড়ো বড়ো পৌরাণিক ঋষিদের 'ঋষিত্ব' !


ব্র্‌হ্মর্ষি।
ব্রহ্মন্ ( ব্রাহ্মণ ) অথচ ঋষি, কর্মধা। বি; পু। ব্রহ্মর্ষিরা  জাতিগতভাবে ব্রাহ্মণ ! তাঁদের সঙ্গে 'ব্রহ্ম'-এর কোন যোগসূত্র আলাদাভাবে  নেই ! শাস্ত্রে,  'ব্রহ্ম' এবং 'ব্রাহ্মণ' এক করা হয়েছে ! এটা ঠিক নয় ! ব্রহ্মর্ষি বসিষ্ঠ প্রমুখ !

দেবর্ষি।
যিনি দেব ও মন্ত্রদর্শন হেতু, ঋষিত্ব প্রাপ্ত হয়েছেন ! যেমন, নারদ প্রমুখ।

মহর্ষি।
প্রধান মুনি। সপ্ত প্রকার পৌরাণিক ঋষিদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ঋষি ! মহান যে ঋষি, কর্মধা। মহা + ঋষি। বি; পু। বেদব্যাস প্রমুখ।

পরমর্ষি।
শ্রেষ্ঠ ঋষি। ভেলাদি প্রমুখ। বেদব্যাসও পরমর্ষি  group-এ ( দলে ) পড়েন ! পরম যে ঋষি। কর্মধা। বি; পু।

কাণ্ডর্ষি।
বেদবিভাগের মীমাংসক ঋষি। যেমন,

কর্মকাণ্ডের বেদভাগের মীমাংসক, জৈমিনি।

ব্রহ্মকাণ্ডের বেদভাগের মীমাংসক, বেদব্যাস।

ভক্তিকাণ্ডের বেদভাগের মীমাংসক, শাণ্ডিল্য।

এঁরা সবাই, কাণ্ডের, অর্থাৎ বেদপরিচ্ছেদের ঋষি।
ষষ্টিতৎপুরুষ। বি; পু।
যেমন, জৈমিনি, বেদব্যাস, শাণ্ডিল্য, প্রভৃতি !

মীমাংসক। নিষ্পত্তিকারক। সনন্ত মান্ ( বিচার করা ) + ণক কর্তৃ। বিণ;। ( স্ত্রী- মীমাংসিকা। )
মিমাংসক। মীমাংসাশাস্ত্রজ্ঞ।


শ্রুতর্ষি।
শ্রুতপ্রধান ঋষি। সুশ্রুত প্রভৃতি ।


রাজর্ষি।
রাজা অথচ ঋষি।

যিনি রাজা  হয়েছেন, রাজা রয়েছেন, অথচ ঋষির মতন আচরণ করেন !

যিনি রাজকার্য সামলান, রাজত্বও করেন, অথচ সময় সুবিধা বুঝে, ঋষির মতন 'তত্ত্ব' আলোচনা করেন !

কেবল সাংসারিকতায় ব্যস্ত থাকেন না !

এঁনাকে বলা যায়, রাজশ্রেষ্ঠ !

ইনি রাজাও এবং ঋষিও
!
রাজর্ষি, জনক প্রভৃতি !

আমার এই আলোচনায় দেখা যাচ্ছে, মহর্ষি কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস, বা ব্যাসদেব, 'মহর্ষি' হিসাবে, 'পরমর্ষি' হিসাবে, এবং, 'কাণ্ডর্ষি' হিসাবেও, তিন জায়গায় নিজের জায়গা করে নিয়েছেন !

'মহর্ষি' হিসাবে, বেদব্যাস প্রধান  মুনি।   তিনি সপ্ত প্রকার পৌরাণিক ঋষিদের মধ্যে, শ্রেষ্ঠ ঋষি !

'বেদব্যাস', 'পরমর্ষি' হিসাবেও শ্রেষ্ঠ ঋষি।

'কাণ্ডর্ষি' হিসাবেও', বেদব্যাস,  'ব্র্‌হ্মকাণ্ডের বেদভাগের মীমাংসক' !

বেদব্যাস, বেদের বিভাগকর্তা ব্যাসমুনি,  যিনি পরাশর ও সত্যবতীর পুত্র।



বেদব্যাস/কৃষ্ণদ্বৈপায়ন।

উনি মহামনীষী ছিলেন !

উনিই সর্বপ্রথম, বেদের সংগ্র্হ ও বিভাগ করেন বলে তিনি 'বেদব্যাস'।

একটি দ্বীপে তাঁর জন্ম বলে, তিনি,  দ্বৈপায়ন।

তিনি কৃষ্ণবর্ণের ছিলেন বলে, তাঁর নাম কৃষ্ণদ্বৈপায়ন।

মূলত তখনকার মুনিদের মধ্যে, বেদব্যাস একজন সুপ্রসিদ্ধ ও অসাধারণ ঋষি ছিলেন !


শুদ্ধ বিশুদ্ধ থাকা ধর্ম সম্প্রদায়ের মহান গুরুদেবের ফরমান !




শুদ্ধ বিশুদ্ধ থাকা ধর্ম সম্প্রদায়ের মহান গুরুদেবের ফরমান !


গুরুদেব শিষ্যকে কহিলেন, "বুঝেছ উপেন,"

"মিথ্যা কথা বলিবে না" !

"চুরি করিবে না" !

"নিজের বৌ-এর সঙ্গও অধিক করিবে না" !

"সম্প্রদায়ের সমস্ত স্ত্রী-লোকদের ভগিনী বলিয়া জ্ঞান করিবে" !



কিছুদিন বাদে সম্প্রদায়ের সমস্ত ভগিনীরা সম্প্রদায় ছেড়ে পালিয়ে চলে গেল !


বুঝলো ওখানে তাদের কিছুই হ্ওয়ার নেই !


কিছু পাওয়ারও নেই !


তখন সম্প্রদায়ের বাইরে এবং ভেতরে, ছিছিক্কার পড়ে গেল !


সম্প্রদায় ভেঙ্গে গেল !

বড়ো বড়ো পৌরাণিক ঋষিরা সব সাত ধরণের !




বড়ো বড়ো পৌরাণিক ঋষিরা সব সাত ধরণের !


বড়ো বড়ো পৌরাণিক ঋষিরা সব সাত ধরণের !

তাঁরা

'ব্রহ্মর্ষি'  বসিষ্ট প্রমুখ।
'দেবর্ষি'  নারদ প্রমুখ।
'মহর্ষি'  ব্যাস প্রমুখ।
'পরমর্ষি'  ভেলাদি প্রমুখ।
'কাণ্ডর্ষি  জৈমিনি প্রভৃতি।
'শ্রুতর্ষি'  সুশ্রুত প্রভৃতি।
'রাজর্ষি'  জনক প্রভৃতি।

শিক্ষানবীশ ঋষিরা, যাঁরা ঋষিতুল্য, তাঁদের সাধারণ ঋষিদের কাছাকাছি মূল্য !

শিক্ষানবীশ ঋষিরা, যাঁরা ঋষি প্রায়, তাদের মধ্যে সবায় হয়তো একদিন সাধারণ ঋষি হবেন, এমনটাই দেখা যায় !

শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৬

মোদিজি মশাই !




মোদিজি মশাই !


মোদিজি !
দু হাজার টাকার নোট পেলাম ! কে দু হাজার টাকার নোটের ভাঙ্গানি দেবে ?

মোদিজি !
দৈনন্দিন বাজার করব  কি ভাবে ? কে দু হাজার টাকার নোটের ভাঙ্গানি দেবে ?

মোদিজি !
মুদিখানার কেনাকাটাও বা কি করে করব  ? কে দু হাজার টাকার নোটের ভাঙ্গানি দেবে ?

মোদিজি !
দু হাজার টাকার নোটের ভাঙ্গানি পা্ওয়ার অভাবে, দু হাজার টাকার নোটের ভাঙ্গানি দেবার জন্য,  একপ্রস্থ নতুন ব্যাঙ্ক খুলুন ! গৃহস্থ বাঁচুক !

মোদিজি !
নাকি আপনি চাইছেন, গৃ্হস্থ কাঁদুক ?

বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৬

দু হাজার টাকার নোট





দু হাজার টাকার নোট


দু হাজার টাকার নোট, কি গরীব, কি মধ্যবিত্ত, কি উচ্চবিত্ত, এদের কারোর, দৈনন্দিন বাজার খরচে, কাজে আসবে না !

ওটার ভাঙ্গানি পাওয়া যাবে না !

পাঁচশো টাকার বা হাজার টাকার নোটের মতো, ঘরে তুলে রাখতে হবে !

ও টাকা আবার 'ব্যান' ( ban ) করতে হবে !

দু হাজার টাকার নোট বাজারজাত করা, কি ফাজলামি ? না খচরামি ? না নিমকহারামি ? না নিমকহালালি ?

বুঝতে পারছি না !

আমার গদ্যরচনায় দেশের নাম


আমার গদ্যরচনায় দেশের নাম

দেশ অনুসারে পৃষ্ঠাদর্শন

ব্লগ দর্শকদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় দেশের গ্রাফ
প্রবেশপৃষ্ঠাদর্শন
ভারত
892
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
473
জার্মানি
61
পোল্যান্ড
16
আয়ারল্যান্ড
8
নেদারল্যান্ডস
8
ফিলিপাইন
4
ডেনমার্ক
2
ব্রাজিল
1

ব্রাউজার অনুসারে পৃষ্ঠাদর্শন

প্রবেশপৃষ্ঠাদর্শন
Firefox
823 (51%)
Chrome
545 (34%)
Internet Explorer
108 (6%)
Safari
60 (3%)
SamsungBrowser
29 (1%)
UCBrowser
21 (1%)
Opera
1 (<1%)
চিত্র সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রাউজার প্রদর্শন করছে

অপারেটিং সিস্টেম অনুসারে পৃষ্ঠাদর্শন

প্রবেশপৃষ্ঠাদর্শন
Windows
998 (62%)
Macintosh
261 (16%)
Linux
209 (13%)
Android
108 (6%)
iPhone
8 (<1%)
Unix
3 (<1%)
compatible
1 (<1%)
চিত্র সবচেয়ে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম প্রদর্শন করছে

বিন্দুজ নাদজ




বিন্দুজ  নাদজ


পৃথিবীতে দুই ধরণের 'প্রজা' আছে ! প্রজা, এখানে, মনুষ্য ! অর্থাৎ, মানুষ !
এক ধরণের প্রজা, স্ত্রী-পুরুষের সংযোগ-সম্পর্কে, যাদের জন্ম !

শাস্ত্রে, এদের বলা হয় 'বিন্দুজ' ! কেননা,শাস্ত্রে, 'শুক্র'কে বলা হয়, 'বিন্দু' ! বিন্দু অর্থে ফোঁটা। যেমন, বীর্য বিন্দু ! সেই 'বিন্দু' থেকে জন্ম বলে, 'বিন্দুজ' ! 'জ', বিণ., সমাসের পরপদে থাকলে, অর্থ,   জাত, উৎপন্ন,  যেমন,  জলজ, পঙ্কজ, সরোজ, ইত্যাদি ! এখানে, সেই হিসাবে, মানুষ 'বিন্দুজ' !

আমাদের দুই' ভ্রূ'-এর মধ্যে 'আজ্ঞাচক্র' থাকে। সেই আজ্ঞাচক্রকেও বলে বিন্দু ! ওখানে, আমার নামে নাম, প্রণবরূপ অন্তরাত্মার  অবস্থান ! প্রণববিন্দু হেতু, ভ্রুমধ্য, বিন্দু !

বিন্দু, রূপক অর্থে, প্রকৃতি। আবার বিন্দু, বীজবিশেষ-ও !

নায়িকার ওষ্ঠে, নায়কের কৃত, দন্তক্ষত-ও বিন্দু !

বিন্দুপাতে সন্তানের জন্ম !

বীর্যবিন্দুর একটি শুক্রাণু , যেহেতু ডিম্বাণুকে ভেদ করে, তাই বিন্দু বেদনশীল এবং সেই শুক্রাণু বেদনশীলতার-ও জ্ঞাতা !

শুক্রাণু, প্রাণশক্তি সম্পন্ন !

বেদন। বোধ। অনুভূতি।
বেদন। জ্ঞান। জ্ঞাপন।
বেদন। ব্যথা। বেদনা।


প্রজা আবার সৃষ্টি হয়, শব্দ অর্থৎ 'নাদ' থেকে ! নাদ, ধ্বনিবিশেষ !

এখানে, প্রজা বলতে মানুষ !

'প্রজাপতি' শব্দ থেকে, 'প্রজা' শব্দ এসেছে !

আমাদের দেশে এখন প্রজা, ভারতরাষ্ট্রের এবং প্রাদেশিক রাজ্যের, যেমন পশ্চিমবঙ্গের, লোকজন !

একসময়ে 'প্রজাপতিরা' ছিলেন,  মনুষ্যকুলের স্রষ্টা বা প্রধান পালক। যেমন 'বিধাতা' !

'প্রজাপতি নির্বন্ধ' কথাটা এখানে সাযুজ্যপূর্ণ ! নির্বন্ধ, অর্থাৎ, বিধান, নিয়ম, ব্যবস্থা। যেমন, 'বিধি নির্বন্ধ"। 'দৈবের নির্বন্ধ'। ইত্যাদি !

শুরুতে, বিধাতা ছাড়াও, ব্রহ্মা ছিলেন 'প্রজাপতি' !

এরপরে অন্য প্রজাপতিরা এসে গেলেন, যেমন

১। মরীচি
২। অত্রি
৩। নারদ
৪। অঙ্গিরা
৫। পুলস্ত্য
৬। পুলহ
৭। ক্রতু
৮।দক্ষ
৯। বশিষ্ঠ
১০। ভৃগু

এই দশ জন সকলেই ব্র্হ্মার 'মানস পুত্র' ছিলেন !

'নাদ' থেকেও, 'প্রজা' সৃষ্টি !

সেই প্রজাসৃষ্টি সংঘটিত হয়, 'দীক্ষা'  'মন্ত্র' 'উপদেশ' 'পরামর্শ' ইত্যাদির দ্বারা !

দীক্ষা।

দীক্ষা, ইষ্টমন্ত্রদান, ইষ্টমন্ত্র গ্রহণ, গুরুর কাছ থেকে প্রাপ্ত মন্ত্র বা উপদেস গ্রহণ। নিয়ম পালন। সংস্কার সাধন। ব্রত পালন। ইত্যাদি।

মন্ত্র।

মন্ত্র হচ্ছে, পবিত্র শব্দ বা শব্দ সমষ্টি বা পবিত্র বাক্য, বা বাক্য সমষ্টি, যা সঠিক ভাবে আন্তরিকতার সাথে স্পষ্ট উচ্চারণ করে, দেব-দেবীর পূজা করা হয় !

মন্ত্র উচ্চারণে, ত্রাণ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে ! ত্রাণ, বিপদ পাপ প্র্ভৃতি থেকে, উদ্ধার রক্ষা নিষ্কৃতি মুক্তি !

মন্ত্র সংস্কৃতে লেখা এবং মন্ত্র, বৈদিক সাহিত্যের অংশবিশেষ !

মন্ত্রতন্ত্র বলতে বোঝায়, বিবিধ মন্ত্র ও সেই অনুযায়ী বিভিন্ন প্রক্রিয়া !

মন্ত্র দ্বারা পবিত্রকৃত করা যায়, একে বলে মন্ত্রপুত করা !

মন্ত্রের আবার শক্তি বা জোর থাকে, একে বলে মন্ত্রশক্তি !

মন্ত্রদ্বারা আবার কাউকে বশীভূতও করা যায় !

মন্ত্রশিষ্য, কোন ব্যক্তি কর্তৃক দীক্ষিত শিষ্য !

অনেকে আবার মন্ত্রের সাহায্যে কর্মসাধনও করে থাকেন, তাঁরা মন্ত্রসাধক !

মন্ত্রের দ্বারা সিদ্ধিলাভের প্রয়াস করা যায়।

মন্ত্র জপ দ্বারা সিদ্ধিপ্রাপ্ত হলে, তাঁকে বলা হয়, মন্ত্রসিদ্ধ।


উপদেশ/পরামর্শ

উপদেশ হচ্ছে, পরামর্শ। সৎ পরামর্শ !

উপদেশ কখনও বা অনুশাসন !  কখনো শিক্ষা।

গুরু বা শিক্ষক বা কোন ভালো উপদেশক বা সেই ধরণের অন্য কেউ, উপদেষ্টা হতে পারেন !


পরামর্শ,

 পরামর্শ, সাধারণত, পরস্পর আলোচনা সাপেক্ষে, দিঙ্‌নির্ণয় করা বা করানো ! স্থির সিদ্ধান্তে পোঁছানো !

পরামর্শে, যুক্তি থাকে, মন্ত্রণাও থাকতে পারে। পরামর্শ অভিমতও। কখনো, 'বুদ্ধি' দেওয়া !


নিবৃত্তিপরায়ণ সাধু-মহাপুরুষরা, যাঁরা একসময়ে ছিলেন,
নিবৃত্তিপরায়ণ সাধু-মহাত্মারা, যাঁরা এখন আছেন,
এবং নিবৃত্তিপরায়ণ সাধু-সন্ন্যাসিরা যাঁরা আগামী ভবিষ্যতে হবেন,
তাঁরা, যাদের মন্ত্রদীক্ষা দেবেন, সেই দীক্ষিত সন্তানেরা, তাঁদের 'নাদজ প্রজা' !

যুক্তি-তর্কের খাতিরে, ধরে নিন, 'সপ্ত ঋষি', এবং 'চতুর্দশ মনু', বিবাহিত ছিলেন। তাঁদের থেকে জন্মপ্রাপ্ত সন্তানেরা, 'প্রাথমিক ভাবে' 'বিন্দুজ প্রজা' !

সেই সন্তানেরা যদি কোন 'গুরুদেব'-এর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন,  তবে তাঁরা, সেই গুরুদেব-এর 'নাদজ প্রজা' !

এখানে একটু পৌরাণিক গল্প বলে নিই !

চতুঃসন,
ভগবানের যে অবতারে, চারজন 'সন', অর্থাৎ, সনক, সনন্দন বা সনন্দ, সনাতন, সনৎকুমার ছিলেন, তাঁরা সবাই ছিলেন, 'কৌমার' ব্রতধারী ! এঁদের কাছ থেকে, যারা, 'নির্দেশনা', 'উপদেশ' ইত্যাদি পেয়েছিলেন, তারা সবাই ছিলেন ঐ 'চতুঃসন'-এর  'নাদজ প্রজা' !

বর্তমান যুগে, গুরু-শিষ্যের পরম্পরায়, শিষ্যরা, পুরনো ভাবধারায় 'প্রজা' !

এখন অনের ধর্মীয় সংগঠনও, সংগঠনের কোন কোন ব্যক্তিবিশেষের নামে, দাপিয়ে গুরুগিরি চালায় !
সংগঠনের আয়-উন্নতি তাতে ভালোই হয় ! তাদের শিষ্যরাও, সেই সংগঠনের  'নাদজ প্রজা' ! সেই 'প্রজারা' সংগঠনকে অর্থনৈতিকভাবে অনেক শক্তিশালী করে তোলে !


'আমার কথা ( এক )'



               প্রণব কুমার কুণ্ডু, প্রবন্ধ লেখক, কবি


লিমেরিক-ছড়াকার   প্রণব কুমার কুণ্ডু



'আমার কথা  ( এক )'




আমি পঞ্চান্ন বছর ধরে বাংলা ভাষায় কবিতা লিখছি ! আমার কোন প্রকাশিত কবিতার বই নেই। কোন প্রকাশনা সংস্থা এগিয়ে আসে নি ! দিলাম অনেকগুলো কবিতা ইন্টারনেটে লোড করে । ভালো সাড়া পাচ্ছি ! আমার কবিতার পাঠক-পাঠিকার সংখ্যা এখন সবচেয়ে বেশি ভারতে। তারপরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।



১। ভারত


২। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

অন্যান্য দেশগুলি যেমন


৩। জার্মানি

৪। বাংলাদেশ

৫। রাশিয়া

৬। নেদারল্যাণ্ডস

৭। ফ্রান্স

৮। আয়ারল্যাণ্ড

৯। সংযুক্ত আরব আমিরাত

১০। অস্ট্রেলিয়া

১১। রুমানিয়া

১২। সৌদি আরব

১৩। ডেনমার্ক

১৪। ইন্দোনেশিয়া

১৫। চিলি

১৬। তুরস্ক

১৭। ভেনেজুয়েলা

১৮। সিঙ্গাপুর

১৯। চীন

২০। ভিয়েতনাম

২১। মরোক্কো

২২। কাতার

২৩। পাকিস্তান

২৪। ফিলিপিন

২৫। পোল্যাণ্ড

২৬। ফিজি

২৭। মিশর

২৮। বেলজিয়াম

২৯। যুক্তরাজ্য

৩০। আলজেরিয়া

৩১। ইসরায়েল

৩২। বাহরাইন

৩৩। সুরিনাম

৩৪। বতসোয়ানা

৩৫। গ্রীস

৩৬। অস্ট্রিয়া

৩৭। সার্বিয়া

৩৮। ঘানা

৩৯। হাঙ্গেরি

৪০। ইতালি

৪১। থাইল্যান্ড

৪২। ইরাক

৪৩। আর্মেনিয়া

৪৪। এন্টিগুয়া ও বারবুডা

৪৫। নাইজেরিয়া

৪৬। চেচিয়া

৪৭।বেলারুশ

৪৮। জর্ডন

৪৯। আজারবাইজান

৫০। ইউক্রেন

৫১। কেনিয়া

৫২। সিঙ্গাপুর

৫৩। কিরগিজিস্তান

৫৪। কাজাখস্তান

৫৫। ব্রাজিল

৫৬। বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা

৫৭। জর্জিয়া

৫৮। দক্ষিণ কোরিয়া

৫৯। কুয়েত

৬০। মেক্সিকো

৬১। সুইজারল্যান্ড

৬২। হংকং

৬৩। ফরাসী পলিনেশিয়া

৬৪। সুইডেন

৬৫। কানাডা

৬৬। লেবানন

৬৭। ওমান

৬৮। আর্জেন্টিনা

৬৯। ফিলিস্থিন

৭০। রুয়ান্ডা

৭১। কলম্বিয়া

৭২। মঙ্গোলিয়া

৭৩। হাঙ্গেরি

৭৪। জাপান

৭৫। ডোমেনিকান প্রজাতন্ত্র

৭৬। পেরু

৭৭। লিবিয়া

৭৮।স্পেন

৭৯। মালয়েশিয়া





প্রভৃতি

অন্তত ৭৯ টি দেশে ।



এখন দেখছি বাংলা কবিতায় পাঠক /পাঠিকার সংখ্যার এবং রাষ্ট্র সংখ্যার নিরিখে আমার কবিতা আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে গেছে !

এখন পর্যন্ত  ৪২৭৭ টি  কবিতা এবং কবিতা সংক্রান্ত বিবরণ পাবেন।

আমার কবিতায় নৈতিক আধ্যাত্মিক সাংস্কৃতিক সামাজিক রাজনৈতিক ধর্মীয় বিষয় বস্তু পাবেন। বিদ্রুপাত্মক কবিতাও আছে ! ছোটদের জন্যেও কবিতা আছে। মনোরঞ্জনের কবিতাও পাবেন ! হাসির কবিতা পাবেন।

এছাড়া 'ছড়া কবিতা'  আর  'লিমেরিক'  আছে। প্রেমের কবিতা পাবেন। বিজ্ঞান বিযয়ক কবিতা পাবেন। সমস্ত কবিতার সূচি পাবেন। সূচি দেখে কবিতা নির্বাচন করতে পারবেন। সূচি আপ-টু-ডেট পাবেন। সূচিতে নির্দিষ্ট কবিতা  'ক্লিক' করলে কবিতাটি পেয়ে যাবেন।


বিশ্বে  ৯৬৭০৪ জন  'পাঠক / পাঠিকা'  এখন পর্যন্ত আমার কবিতা পড়েছেন / দেখেছেন / 'ক্লিক' করেছেন।


আমার কবিতা পড়ুন। আপনার পরিচিত অন্যান্যরা, যারা কবিতা পড়তে ভালোবাসেন, তাদের বলুন।

মতামত জানান। কবিতাপ্রাপ্তির ঠিকানাগুলি, ট্যুইটার, ফেসবুক, ব্লগ, গুগুল+।।

Blog : pranabk.blogspot.com



ধন্যবাদ !


এর মধ্যে আমার গদ্যরচনার ব্লগ শুরু হয়েছে। গদ্যরচনাও দেখুন ! pranabk2.blogspot.com

নতুন সংষোজনা, Google+ ওখানে ইংরেজিতে pranab kumar kundu সার্চ করুন। পেয়ে যাবেন ! ট্যুইটার এবং ফেসবুকেও আমার গদ্যরচনা পাবেন। 'প্রণব কুমার কুণ্ডুর গদ্যরচনা'।

আরেকটা 'ব্লগ'ও শুরু করেছি !
"প্রণব কুমার কুণ্ডুর বিভিন্ন বিষয়ক রচনা"
pranabk3blogspot.com
ওটাও দেখুন !


নমস্কার !

অনন্দে থাকুন !

প্রণব কুমার কুণ্ডু ।
১০।০৮।২০১৭। / ৩০।১০। ২০১৬


ঠিকানা


Twitter.com/pkkundu10
Twitter.com/pkkundu101

Facebook.com/pkkundu10

http//pranabk.blogspot.com

Email: pkkundu10@gmail.com



মোবাইল  +৯১ ৮০১৭৪৩৫১৮০ / ৯১২৩০০৭৭২৯


স্থায়ি ঠিকানা

২২৩ মিত্রপাড়া রোড

শ্যামাসুন্দরীতলা

নৈহাটি

উত্তর ২৪ পরগনা

পশ্চিমবঙ্গ

ভারত

পিনকোড ৭৪৩১৬৫ ।