মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৯

সংক্রান্তি মাস মাসপয়লা সৌরমাস চান্দ্রমাস তিথি রাশি রাশিচক্র


সংক্রান্তি  মাস  মাসপয়লা  সৌরমাস  চান্দ্রমাস  তিথি  রাশি রাশিচক্র























প্রণব কুমার কুণ্ডু


মাস।
যে দিন রাত্রি ১২টার মধ্যে বাংলা মাসের সংক্রান্তি হয়, তার পরের দিনই মাসের প্রথম দিন। সেটাই মাস পয়লা।
মূলত একটি সংক্রান্তির ঠিক পরের দিন থেকে পরের সংক্রান্তি পর্যন্ত সময়কে এক মাস বলে। সেটাই সৌরমাস।
স্থূল হিসাবে ৩০ দিনে হয় এক মাস। মাস বৎসরের ১২ ভাগের এক ভাগ। মাস শুক্লপক্ষ ও কৃষ্ণপক্ষ  উভয়ের মিলিত কাল।  মাস দুই প্রকার। চান্দ্রমাস এবং সৌরমাস।

চান্দ্রমাস।
শুক্ল প্রতিপদ থেকে আমাবস্যা বা কৃষ্ণ প্রতিপদ থেকে পূর্ণিনা পর্যন্ত কাল কে চান্দ্রমাস বলে। চান্দ্রমাস ৩০ তিথিতে গণিত মাস।

সৌরমাস।
সূর্যের এক রাশিতে অবস্থান কালকে সৌরমাস বলা।

তিথি।
তিথি চন্দ্রকলার ক্রিয়া উপলক্ষিত কাল।
তিথির সংখ্যা ১৫।
তিথি চন্দ্রকলার হ্রাসবৃদ্ধি দ্বারা সীমাবদ্ধ কাল।
তিথি চান্দ্রমাসের ৩০ ভাগের ১ ভাগ।
তিথির প্রণেতা চন্দ্র।

বৈদিক পঞ্জিকা অনুযায়ী, একটি চান্দ্রদিনকে তিথি বলে। চাঁদ ও সূর্যের মধ্যে ১২ ডিগ্রি দ্রাঘিমাকোণ বৃদ্ধির সময়কে একটি তিথির সময়কাল বলে ধরা হয়। তিথির সূচনার সময় দিন অনুযায়ী বদল হয়। তিথির মোট সময়কাল ১৯ ঘন্টার কাছাকাছি থেকে ২৬ ঘন্টার কাছাকাছি থাকে। ( উইকিপিডিয়া )

তিথির নামগুলি :
প্রথমা
দ্বিতীয়া
তৃতীয়া
চতুর্থী
পঞ্চমী
ষষ্ঠী
সপ্তমী
অষ্টমী
নবমী
দশমী
একাদশী
দ্বাদশী
ত্রয়োদশী
চতুর্দশী
পূর্ণিমা/অমাবস্যা

সূর্য এবং রাশি।
লক্ষ্য করা যায়, সূর্য পরিক্রমণ অনুসারে, সূর্য প্রতিটি রাশি অতিক্রম করতে একই সময় নেয় না। এ ক্ষেত্রে, সূর্যের এক একটি রাশি আতিক্রম করতে সময় লাগতে পারে  ২৯, ৩০, ৩১,  বা ৩২ দিন।
এই জন্যে প্রতি বছর বিভিন্ন বাংলা মাসের দিনসংখ্যা সমান হয় না ।
সেই কারণে বছর ঋতুভিত্তিক থাকে না !
বছরের পর বছর ধরে, একটু একটু করে সরে যায় !
ফলে এক একটি মাস ক্রমশ মূল ঋতু থেকে পিছিয়ে যেতে থাকে !

সংক্রান্তি।
বাংলা মাসের শেষ দিন। এদিন সূর্যের এক রাশি থেকে অন্য রাশিতে সংক্রমণ হয়।

রাশি।
রাশি, আকাশে সূর্যের আপাত গতিপথের ১২টি কাল্পনিক ভাগ।
রাশিগুলি :
মেষ
বৃষ
মিথুন
কর্কট
সিংহ
কন্যা
তুলা
বৃশ্চিক
ধনু
মকর
কুম্ভ
মীন।
রাশির সংখ্যা ১২।

রাশিচক্র : ১২টি রাশিঘটিত কল্পিত বৃত্ত।

১লা বৈশাখ


১লা বৈশাখ























প্রণব কুমার কুণ্ডু



যে দিন রাত্রি ১২টার মধ্যে সূর্য ০ ( শূন্য ) ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশে প্রবেশ করে, তার পরের দিনই ১লা বা পহেলা বা পয়লা বৈশাখ।

সংক্রান্তি


সংক্রান্তি























প্রণব কুমার কুণ্ডু



সংক্রান্তি।
বাংলা মাসের শেষ দিন।
সূর্ষের এক রাশিতে পরিক্রমণের শেষ দিন।

সোমবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৯

সূর্য সৌরমাস রাশি রাশিচক্র


সূর্য সৌরমাস রাশি রাশিচক্র
#



#



















প্রণব কুমার কুণ্ডু
#

#
সৌরমাস।
সৌরমাস নির্ধারিত হয়. সূর্যের গতিপথের ওপর নির্ভর করে।
#
#
সূর্ষ।
সূর্যের ভিন্ন অবস্থান নির্ণয় করা হয়, আকাশের অন্যান্য নক্ষত্রের বিচারে।
#
#
রাশি।
প্রাচীন কালের ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা,  সূর্যের বার্ষিক অবস্থান আনুসারে, আকাশকে, কাল্পনিক ভাবে, ১২টি ভাগে ভাগ করেছিলেন।
এক একটি ভাগকে তারা নাম দিয়েছিলেন, 'রাশি'।
#
#
রাশিচক্র।
আর ১২টি রাশির সমন্বয়ে, এক বছরে, কাল্পনিক ভাবে,   যে পূর্ণ আবর্তন চক্র সম্পন্ন হয়, তার নাম দিয়েছিলেন রাশিচক্র। রাশিচক্র একটি কাল্পনিক বৃত্ত।
#
#
এই রাশিগুলির পরপর নাম :
মেষ
বৃষ
মিথুন
কর্কট
সিংহ
কন্যা
তুলা
বৃশ্চিক
ধনু
মকর
কুম্ভ
মীন।
#
#
সংক্রান্তি।
সূর্যের বার্ষিক অবস্থানের বিচারে, সূর্য কোন না কোন রাশিতে বিরাজমান হয়।
সূর্য কখনও একই সঙ্গে, দুইটি রাশিতে থাকে না।
এই বিচারে, সুর্যের পরিক্রমা অনুসারে, সূর্য যে দিন একটি রাশির ওপর তার গমন পথ শেষ করে  , সেই দিনটিকে বলে, ছেড়ে দেওয়া রাশি সম্পর্কিত মাসটির,  সংক্রান্তি। সংক্রান্তি মাসের শেষ দিন।
সংক্রান্তির শেষে,  সূর্যের, এক রাশি থেকে, অন্য রাশিতে গমন।।
#
#
মাস।
বৎসরের ১২ ভাগের এক ভাগ। স্থূল হিসাবে ৩০ দিন। মাসের দিনের সংখ্যা কম-বেশি হতে পারে। মাস দুই প্রকার। চান্দ্রমাস ও সৌরমাস।
#
#
চান্দ্রমাস।
শুক্ল প্রতিপদ থেকে অমাবস্যা,  বা কৃষ্ণ প্রতিপদ থেকে পূর্ণিমা পর্যন্ত কালকে চান্দ্রমাস বলে।
#
#
সৌরমাস।
সূর্যের এক রাশিতে অবস্থান কালকে সৌরমাস বলে।
#
#
বাংলা  পঞ্জিকার মাসগুলি :
বৈশাখ
জৈষ্ঠ
আষাঢ়
শ্রাবণ
ভাদ্র
আশ্বিন
কার্তিক
অগ্রহায়ণ
পৌষ
মাঘ
ফাল্গুন
চৈত্র।
#

#
প্রণব কুমার কুণ্ডু

******************************************************************************************

শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৯

শিক্ষা ( দুই )


শিক্ষা  ( দুই )























প্রণব কুমার কুণ্ডু



রক্ষণশীলতা
একটি জৈবিক ধর্ম।

রক্ষণশীল সমা্জ তার নিজস্ব সত্তা ও নিজস্ব ঐতিহ্য অটুট রাখার জন্য,
এবং ভবিষ্যৎ সমাজকে তার অভিলষিত লক্ষ্যে পরিচালনা করার জন্য,
নবীন প্রজন্মকে,
প্রয়োজন মতো শিক্ষা দিয়ে,
প্রস্তুত করে।



* প্রসঙ্গ : স্বামী লোকেশ্বরানন্দ সম্পাদিত 'ভারত সংস্কৃতির রূপরেখা'।


নজরুল-নার্গিস-প্রমীলা


নজরুল-নার্গিস-প্রমীলা























প্রণব কুমার কুণ্ডু




নজরুলের আসল জীবনসঙ্গিণী আশালতা সেনগুপ্ত, যিনি প্রমীলা। ডাকনাম ছিল 'দুলী'।

নজরুলের জীবনে প্রথমে একজন আসতে পারতেন, নার্গিস ! কিন্তু পুরোপুরিভাবে,  ইসলামিমতে,  বিবাহ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ার দরুণ, তা সম্ভব হয়নি।

দুজনের সঙ্গেই নজরুলের আলাপপরিচয় ছিল।

নার্গিসের আসল নাম সৈয়দা খাতুন।
নার্গিস ছিলেন,  অসামান্য সুন্দরী। তিনি ছিলেন সুকণ্ঠের অধিকারীণী,  ভালো গান গাইতে পারতেন।
নার্গিসকে 'ছবি' বলেও ডাকা হোত।
নার্গিসের মা আসমাতুন্নেসা। বাবা আবদুল জববার।

নার্গিস ( নজরুলের দেওয়া নাম ) এবং প্রমীলা,  দুজনেই পূর্ববঙ্গের কুমিল্লার নারী।

প্রমীলা ছিলেন, সেই পূর্ববঙ্গেরই মানিকগঞ্জ জেলার, শিবালয় উপজেলার, তেওটা গ্রামের বসম্ত কুমার সেনগুপ্তর মেয়ে। মা গিরিবালা দেবী।

পিতার মৃত্যুর পরে, প্রমীলা,  মায়ের সঙ্গে কুমিল্লায় চলে আসেন।

নজরুলের সাথে প্রমীলার , এবং প্রমীলার মা, গিরিবালা দেবীর,  পূর্ব পরিচয় ছিল।

মূলত গিরিবালা দেবীর আত্যন্তিক আগ্রহে, নজরুলের সাথে প্রমীলার বিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল।

তবে মুসলিম ধর্মের বিধান অনুযায়ী, প্রমীলাকে মুসলিম ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে হয়েছিল।

নজরুল কিন্তু, ব্যক্তিগত ভাবে,  হিন্দু-মুসলিম ধর্মের ব্যাপারে, মোটামুটিভাবে, লিবারাল ছিলেন।

কাজি নজরুলের নামের প্রথম অংশের জন্য, নজরুলের ছেলেরাও, তাদের নামের আগে 'কাজি' শব্দটি ব্যবহার করতেন।

মুজাফফর আহমেদ ছিলেন একজন কম্যুনিস্ট। পরবর্তিতে তিনি খ্যাতনামা কমিউনিস্ট লিডার হয়েছিলেন। তিনি কিন্তু নজরুলের সাথে নার্গিসের বিয়ের ঘোরতর বিরোধী ছিলেন।

বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৯

পুলস্ত্য ঋষি


পুলস্ত্য ঋষি








































প্রণব কুমার কুণ্ডু



পুলস্ত্য ঋষি, সপ্তর্ষি মণ্ডলের অন্তর্গত একজন স্বনাম বিখ্যাত ঋষি।

পুলস্ত্য ঋষি, ব্রহ্মার দশ মানসপুত্র তথা দশ প্রজাপতির অন্যতম।

পুলস্ত্য ঋষি, সুমেরু পর্বতের শিখরের পাশে, তৃণবিন্দু নামের জনৈক মুনির অশ্রমের কাছে, একমনে তপস্যা অভ্যাস করতেন।
সেখানে স্বর্গের অপ্সরাগণ আর মর্ত্যের ঋষিকন্যারা একসাথে মিলেমিশে, সময়ে সময়ে, এবং সময়ে-অসময়ে, নাচা-গানা-বাজনা ইত্যাদি করে, নানান ধরণের হৈচৈ হুল্লোড় করত।

তাতে পুলস্ত্য ঋষির তপস্যায় বিঘ্ন ঘটত। ঋষি বিরক্ত হতেন।

ঋষি তখন ঐসব অপ্সরাদের এবং ঋষিকন্যাদের এই বলে সতর্ক করে সাবধান করে দেন, যে,  এরপরে যাকে বা যাদের ঋষিজির সামনে দেখা যাবে, নাচ গান বাজনা ইত্যাদি করবে, হট্টগোল করবে, ঋষিজির মনঃসংযোগে বাধার সৃষ্টি করবে,  তারা এমনি এমনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়বে !
ফলে ঐসব অপ্সরারা এবং ঋষিকন্যারা ওখান থেকে পালিয়ে গেল।  ভয়ে ওরা আর আসত না। ওরা আসা বন্ধ করে দিল।

ঘটনাক্রমে আনাবধানবশত, বেড়াতে বেড়াতে, মনের অজান্তে,  তৃণবিন্দু মুনির এককন্যা, হবির্ভু যার নাম, একদিন ওখানে এসে হাজির হল, এবং পুলস্ত্য মুনির দৃষ্টিগোচরে পড়ে গেল।
ফলে হবির্ভূ গর্ভবতী হয়ে পড়ল !

সেটা কি এমনি এমনি হয়ে গেল, না পুলস্ত্য মুনি কামার্ত হয়ে হবির্ভূর সাথে সঙ্গম ক্রিয়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন ! তা কিন্তু ঠিক বোঝা গেল না !

এরপরে তৃণবিন্দু মুনির বিশেয অনুরোধ ক্রমে, পুলস্ত্য মুনি ঐ কন্যাটিকে সাগ্রহে বিবাহ করেন।
ঐ গর্ভ থেকে, পুলস্ত্য মুনির বিশ্রবা নামক পুত্রের জন্ম হয়।
এই বিশ্রবা মুনি রাবণদের ( রাবণ, কুম্ভকর্ণ, বিভীষণ, শূর্পণখা, এবং কুবেরের ) পিতা।

দেখুন তৃণবিন্দু মুনির কন্যাকে, পুলস্ত্য মুনি,  প্রেম ছাড়া কিভাবে বিবাহ করেছিলেন !

[ প্রাচীন সিংঘল দ্বীপের ( বর্তমানে শ্রীলংকার )  পেলোনারুয়াতে পুলস্ত্য মুনির একটি গ্রানাইট  পাথর নির্মিত মূর্তি পাওয়া গেছে। ]

                                                                                                                                                             
পুলস্ত্য মুনির মূর্তি { উইকিপিডিয়া }