রবিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৮

রূপক রায়-এর কলাম ( দশ )


রূপক রায়-এর কলাম ( দশ )


ফেসবুক থেকে     শেয়ার করেছেন       প্রণব কুমার কুণ্ডু


Rupok Roy


একটা হাতির মুখ মানুষের শরীরে কি বসানো যায় ? কী যুক্তি আছে এটার পেছনে ?
(Necessary Post for - Niloy Dev)

মুসলমানরা হিন্দুদেরকে ধর্ম বিষয়ে নানা প্রশ্ন করে বিব্রত করে, ঠিকঠাক সেই প্রশ্নগুলোর জবাব দিতে না পারলে হিন্দুরা হেয় হয়, এরপর ধর্ম নিয়ে সে হীনম্মন্যতায় ভুগে, যথা সময়ে এর ট্রিটমেন্ট করা না হলে, দিনের পর দিন এভাবে হেয় হতে হতে এক সময় সে হিন্দুধর্ম ত্যাগও করতে পারে। মুসলমানদের করা ঠিক এই ধরণের একটি প্রশ্নের জবাব দিচ্ছি আজকে।

পৌরাণিক কাহিনী মতে, শিব একবার বাধ্য হয়ে সূর্যকে হত্যা করে, তখন সূর্যের পিতা কশ্যপ, শিবকে অভিশাপ দেয়, সে নিজেও একদিন তার নিজ পুত্রকে হত্যা করতে বাধ্য হবে। এরপর, পার্বতী, তার প্রথম পুত্র কার্তিককে, জন্মের পরপরই, ঘটনাচক্রে ছয় কৃতিকার কাছে রেখে আসতে বাধ্য হলে তার মাতৃত্বের শুন্যতা সৃষ্টি হয় এবং সেই শুন্যতা পূরণে, মনের মাধুরী মিশিয়ে কাদামাটি দিয়ে পার্বতী একটি মূর্তি গড়ে এবং সেই মূর্তিতে প্রাণ সঞ্চার ক’রে একটি পুত্রের জন্ম দেয়। পার্বতী এই পুত্রের নাম দেয় বিনায়ক এবং তাকে নির্দেশ দেয় বাড়ির দরজায় পাহারা দিতে, যাতে পার্বতীর সাধনার সময় কেউ বাড়িতে ঢুকে তাকে বিরক্ত না করে; বিনায়ক সেই দায়িত্ব পালন করার সময় শিব সেখানে আসে এবং বাড়িতে ঢুকতে চায়, তখন বিনায়ক, শিবকে বাধা দেয় এবং তার সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করে, বিনায়কের এই রূঢ় আচরণ এবং মাতৃ আদেশ পালনের অহংকারের কারণে, শিব, বিনায়কের মুণ্ডুচ্ছেদ করে তাকে হত্যা করে। এরপরই পার্বতী সেখানে আসে, এবং তার পুত্রকে জীবিত করে না দিলে সংসারকে লণ্ডভণ্ড করে দেবার হুমকি দেয়। শেষ পর্যন্ত ত্রিদেব মিলে বিনায়ককে জীবিত করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং শিব বলে, উত্তর দিকে গমন করে প্রথম যে প্রাণীকে দেখতে পাবে, সব শুনে সে যদি স্বেচ্ছায় তার মাথা দিতে রাজী হয়, সেই মাথা লাগালে বিনায়ক জীবিত হবে। এই প্রাণীর সন্ধানে দেবরাজ ইন্দ্রসহ অন্যান্যরা উত্তরদিকে গমন করে এবং প্রথমেই এক হাতিকে দেখতে পায়, সেই হাতিকে ঘটনা খুলে বলতেই সে রাজী হয়ে যায় এই কারণে যে, সে মহাদেবের একজন ভক্ত এবং পূর্বে কোনো এক সময় মহাদেবের কাছাকাছি থাকার একটা প্রার্থনা সে জানিয়েছিলো, সেই সময় মহাদেব তাকে, ভবিষ্যতে, কোনো এক সময় তার এই প্রার্থনা পূরণ হবে বলে বর দিয়েছিলো, তার কাটা মস্তকের মাধ্যমে তার সেই ইচ্ছা পূরণ হচ্ছে ব’লে, হাতি তার মাথা দিতে রাজী হয়ে যায়, এরপর বিষ্ণু তার সুদর্শন চক্র দ্বারা হাতির মাথা কেটে দেয়, সেই মাথা দেবরাজ ইন্দ্র নিয়ে এসে দিলে শিব তা বিনায়কের দেহের সাথে জুড়ে দেয়; এভাবে বিনায়ক জীবিত হয়ে ওঠে এবং তার নতুন নাম দেওয়া হয় গণেশ।

যা হোক, গনেশের মাথা জোড়া লাগানোর ঘটনাকে মুসলমানরা বলে বা বলবে অজগুবি গল্প, কিন্তু তাহলে ইসলামের ইতিহাসের চাঁদকে দ্বিখণ্ডিত করে জোড়া লাগানোর ঘটনাটা কী ? কোরানের সূরা কমর এর ১ নং আয়াতে স্পষ্ট করে লিখা আছে, "চাঁদ দ্বি-খণ্ডিত হয়েছে", এর মানে হচ্ছে মুহম্মদের আঙ্গুলের ইশারায় চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হয়েছে এবং তার আঙ্গুলের ইশারাতেই চাঁদ আবার জোড়া লেগেছে। এতবড় একটা ঘটনার প্রমান শুধু কোরান ! যে কোরানের পাতায় পাতায় ভুল আর মিথ্যা। ইসলামের বর্ণনা মতে, এটা মাত্র ১৪০০ বছর আগের ঘটনা, অথচ পৃথিবীর আর কেউ সেই ঘটনা দেখলো না ! কোনো দেশ থেকে সেই ঘটনা আর দেখাই গেলো না! এ্রই রকম অলৌকিক ঘটনা যদি মুহম্মদের থাকতো তাহলে তাকে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য আর তরবারি নিয়ে ঘুরতে হতো না, এই ক্ষমতা দেখেই মুহম্মদের জীবদ্দশাতেই শুধু আরব নয়, সারা পৃথিবীর লোক ইসলাম গ্রহন করে ফেলতো।

এরপর মানুষের দেহ আর হাতির মাথাওয়ালা গনেশকে নিয়ে যদি মুসলমানদের এলার্জি থাকে, তাহলে বোরাক এর ঘটনাটা কী ? যে বোরাকে চড়ে মুহম্মদ সাত আসমান ডিঙ্গিয়ে আল্লার সাথে দেখা করে এসেছিলো ? এই বোরাকের দেহ ছিলো ঘোড়ার মতো আর মাথা ছিলো নারীর। যেই ঘটনাকে স্মরণ করে মুসলমানরা অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে শব-ই-মেরাজ নামে পালন করে থাকে।

মানুষের দেহে হাতির মাথা জোড়া লাগানোর ঘটনাটা চিকিৎসা বিজ্ঞানের সার্জারির একটা প্রতীকী ঘটনা মাত্র। এখন এক মানুষের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ অন্য মানুষের দেহে লাগিয়ে তাকে বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে, এমন কি কোনো কোনো প্রানীর অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মাধ্যমেও মানুষকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে, এই বৈজ্ঞানিক সাফল্য হয়তো একদিন এমন স্তরে পৌঁছবে যখন মানুষের কাটা মাথাও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জোড়া লাগিয়ে তাকে বাঁচানো সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে প্রশ্ন আসতে পারে, তাহলে মানুষের কাটা মাথা জোড়া লাগানোর পরিবর্তে উদাহরণ হিসেবে হাতির মাথা কেনো ? হাতির মাথা বলেই গল্পটা এখনো বেঁচে আছে এবং মানুষ তার চর্চা করে যাচ্ছে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য, না হলে গল্পটা এতদিনে হারিয়ে যেতো এবং ভবিষ্যতের সার্জারি বিদ্যা যে কোথায় পৌঁছতে পারে, এ ব্যাপারে মানুষ ধারণা হারিয়ে ফেলতো। মানবদেহে যে প্রাণীর অঙ্গ প্রত্যঙ্গ লাগানোর চেষ্টা চলছে, সেটা জানার জন্য ক্লিক করতে পারেন নিচের এই লিঙ্কে-

http://www.ntvbd.com/tech/17692/

এই ঘটনার অন্য দিকটা হলো, হিন্দুধর্ম প্রকৃতির ধর্ম, তাই প্রকৃতির সকল কিছুকে শ্রদ্ধা করা হিন্দুধর্মের অংশ। গনেশের মাধ্যমে আমরা হাতিকে সেই ধরণের শ্রদ্ধাই করি। এই শ্রদ্ধা থেকেই গনেশের পূজার উৎপত্তি এবং এই পূজার স্বীকৃতি আছে গীতায়। কেননা, পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ, অর্জুনকে যে বিশ্বরূপ দেখিয়েছিলেন তার মধ্যে গনেশ ছিলো।

গনেশ প্রসঙ্গে অন্য কটূক্তি হলো, সেইটাকে তোমরা হিন্দুরা আবার পূজা করো। আবার সেই গনেশের একটা কলা গাছ বউও আছে।

মেরাজের ঘটনাকে কোনো মুসলমান কি অস্বীকার করার ক্ষমতা রাখে ? রাখে না। কারণ, তাহলে তারা আর মুসলমান থাকবে না। মেরাজের ঘটনাকে স্বীকার করা মানেই হলো নারীর মস্তকযুক্ত ঘোড়ার দেহ- বোরাককে স্বীকার করা আর তাকে শ্রদ্ধা বা পূজা করা। মুসলমানরা যখন এই রকম একটা অদ্ভূত জন্তুকে রেসপেক্ট করছে, যা পৃথিবীতে কখনো ছিলো না; তখন হিন্দুদের গনেশ পূজাকে নিয়ে তাদের এত চুলকানি কেনো ?

আবার গনেশের কলা বৌ এর ব্যাপারটা হলো, দুর্গা পূজায় প্রকৃতির সমস্ত গাছের প্রতিনিধি হিসেবে থাকে নবপত্রিকা। এই নব পত্রিকা হলো নয়টি গাছ, এগুলোর মধ্যে কলা গাছ সবচেয়ে বড় হওয়ায়, অন্য গাছ গুলো কলাগাছের সাথে বেঁধে হলুদ শাড়ি পরিয়ে গনেশের পাশে রাখা হয়, যাকে সাধারণ মানুষ কলাগাছের বউ বলে ভুল করে। অনেক হিন্দুই এই সঠিক তথ্য জানে না, সেক্ষেত্রে কোনো মুসলমানের যদি এটা নিয়ে এরকম ভুল ধারণা থাকে এবং তা নিয়ে কটূক্তি করে, তাকে আর দোষ দিয়ে লাভ কী ?

উপরেই বলেছি, গনেশের দেহের সাথে হাতির মাথা লাগানোর ঘটনাটা একটা সার্জারির ঘটনা এবং এই ঘটনা ভবিষ্যতের জন্য নিদর্শন যে চিকিৎসা বিজ্ঞান কোথায় পৌঁছাবে, চিকিৎসা বিজ্ঞান যে, সেখান থেকে খুব বেশি দূরে নেই, সেটা বুঝতে পারবেন নিচের এই লিঙ্কে ক্লিক করলে; কারণ, মানুষের মাথা প্রতিস্থাপনের লক্ষ্য বিজ্ঞানীরা অলরেডি ইঁদুরের মাথা প্রতিস্থাপন করে ফেলেছে। নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে দেখতে পারেন নিউজটি-
http://www.dailymail.co.uk/…/Scientists-complete-head-trans…

এই লিঙ্কের আর্টিকেলটি দেখুন নিচে-
Ahead of a controversial plan to carry out the first human head transplant later this year, scientists have attached the head of a rat onto the body of another.
In the disturbing experiment, researchers in China affixed the heads of smaller, ‘donor’ rats onto the backs of larger recipients, creating two-headed animals that lived an average of just 36 hours.
The team, which involved the Italian neurosurgeon who is set to perform the hotly-debated procedure on a human, managed to complete the transplant without causing blood loss-related brain damage to the donor.
In the disturbing experiment, researchers in China affixed the heads of smaller, ‘donor’ rats onto the backs of larger rats, creating two-headed animals that lived an average of just 36 hours
HOW THEY DID IT
The researchers used three rats for each operation: a smaller rat, to be the donor, and two larger rats, acting as the recipient and the blood supply.
To maintain blood flow to the donor brain, the connected the blood vessels from that rat to veins of the third rat using a silicon tube, which was then passed through a peristaltic pump.
Then, once the head had been transplanted onto the second rat’s body, the researchers used vascular grafts to connect the donor’s thoracic aorta and superior vena cava to the carotid artery and extracorporeal veins of the recipient.
In the study, researchers from Harbin Medical University in China and controversial neurosurgeon Sergio Canavero built upon earlier head-grafting experiments to figure out how to avoid damage to the brain tissue during the operation, as well as long-term immune rejection.
Previously, scientists have attempted the procedure on dogs and monkeys, which helped to test neural preservation when blood flood to the brain had been cut off, they explain in the paper published to CNS Neuroscience & Therapeutics.
But, long-term survival of the specimens was not a priority.
The researchers used three rats for each operation: a smaller rat, to be the donor, and two larger rats, acting as the recipient and the blood supply.
To maintain blood flow to the donor brain, they connected the blood vessels from that rat to veins of the third rat using a silicon tube, which was then passed through a peristaltic pump.

আশা করছি, গনেশ সম্পর্কিত মুসলমানদের সকল কটূক্তির জবাব, আমার বন্ধুদের মুখে তুলে দিতে পেরেছি, তারপরও এ বিষয়ে কারো যদি কোনো প্রশ্ন থাকে, নির্দ্বিধায় কমেন্টে বা ইনবক্সে বলবেন, ঈশ্বর আমাকে তার সমাধান দেবার সময় ও জ্ঞান প্রদান করবেন বলে আশা রাখি।

জয় হিন্দ।
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।

From: Krishna kumar das
💜 জয় হোক সনাতন ধর্মের

Pranab Kumar Kundu



কুশণ্ডিকা


কুশণ্ডিকা



কুশণ্ডিকা।
বিবাহের পর অনুষ্ঠেয়, মাঙ্গলিক যজ্ঞবিশেষ।

বিবাহকালের, ধর্মকার্যবিশেষ !

ওটি, এক দিকে, মাঙ্গলিক যজ্ঞ, অন্য দিকে, সর্বহোমার্থক অগ্নিসংস্কার !

এতে, আগে নির্দিষ্ট 'ঋক্' গান গাইতে হত !
অন্তত, তিনবার, সেই 'ঋক্', নিদেনপক্ষে,  আবৃত্তি করতে হত।

এখন সেই 'ঋক্' গান গাওয়ার প্রথা, প্রায় উঠেই গেছে।

পরে দেখা যাবে, সেই গান গাওয়ার জন্য, কোন গাইয়ে দলকে, হয়তো দেয়া হবে 'ঠিকা'।

শনিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৮

অবাস্তব ইসলাম এবং মুসলমানদের প্রকৃত চরিত্র


অবাস্তব ইসলাম এবং মুসলমানদের প্রকৃত চরিত্র:


ফেসবুক থেকে      শেয়ার করেছেন        প্রণব কুমার কুণ্ডু


Rupok Roy


অবাস্তব ইসলাম এবং মুসলমানদের প্রকৃত চরিত্র:
লেখক - মুফতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ

( অনেক মুসলমান, হিন্দুদেরকে মুসলমান বানাতে মরিয়া, এদেরকে বলছি, জন্মসূত্রে মুসলমান এই মাসুদকে আগে থামান বা তার কথার জবাব দেন, তারপর হিন্দুদেরকে মুসলমান বানাইতে আইসেন।)

অামার বয়স তখন নয়, এর অাগে স্কুলে পড়েছি। স্কুলের সামনে থেকে বিকেলবেলা দলবেঁধে মাদরাসার ছাত্ররা হেঁটে কলেজমাঠে খেলতে যেত, তাদের সুশৃঙ্খল ও সারিবদ্ধভাবে হাঁটায় অামি মুগ্ধ হয়ে অাব্বাকে বললাম, “অামি মাদরাসায় পড়বো।”

অাব্বা অামাকে প্রতিদিন মাদরাসায় অানা-নেয়া করতেন।

মাদরাসা গমনের ক’দিন পরের ঘটনা- সকালে ফজরের পরপর দেখি বিরাট এক বিচারের অায়োজন, চারজন বড়ভাইকে পিঠমোড়া করে বাঁধা হয়েছে। গাজীপুরী হুজুর ও অন্যান্য হুজুররা মিলে চারজনকে ভয়াবহ রকম পেটালেন।

অামি একজনকে জিজ্ঞেস করলাম, এরা মার খাচ্ছে কেন? বলা হলো, ওরা রাতে অন্যের মশারিতে গিয়েছে। নয় বছরের মন বোঝেনি, বিছানায় যাওয়া অপরাধ কিনা। ভয় পেয়ে গেলাম এত মার দেখে, অাব্বাকে বললাম, অাব্বা, অন্যের মশারিতে ঢুকলে কি হয়? এবং এজন্য হুজুররা পেটায় কেন? অাব্বা কি জবাব দিয়েছিলেন মনে নেই।

অাব্বা ছিলেন নবীপুর মসজিদের ইমাম।

বারো বছর বয়সে হাফেজ হলাম। কোরঅান অামার মাতৃভাষায় লেখা নয়, কিন্তু কোরঅানকে খুব ভালোবাসতাম। কোরঅান অাল্লাহর বাণী, প্রতিটি হরফে দশ নেকি। কোরঅানে কোন প্রাণীর ছবি নেই, কোরঅানে কোন প্রকৃতির ছবি নেই।

নয় বছরের শিশুমন ছবিওয়ালা বই দেখলে পড়তে চাইত, গল্পের বই দেখলে পড়তে চাইত, কবিতা দেখলে পড়তে চাইত। হুজুররা বলতেন, ছবি অাঁকা, ছবি তোলা, ছবি দেখা, নাটক দেখা, গান শোনা, বাঁশি বাজানো, প্যান্টশার্ট পরা হারাম। হারাম জানতাম, তবুও বারবার অাকর্ষিত হত স্কুলের পাঠ্যবইয়ের ছবিগুলোয় মন, গান শোনার জন্য উতলা হয়ে যেত প্রাণ।

লুকিয়ে লুকিয়ে করকরানির বাসায় গিয়ে নাটক দেখতাম, রাতে মাদরাসার বিছানায় কোলবালিশ কাঁথা দিয়ে ঢেকে মনুষ্যরূপ বানিয়ে রাসেলদের বাসায় গিয়ে হিন্দি ও বাংলা ছবি দেখতাম অামরা ক’জন। সীমাদের বাসায় গিয়ে শুক্রবার বিটিভিতে বাংলা সিনেমা দেখতাম। একপর্যায়ে সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখতে থাকলাম। অাব্বা ধরে ফেললেন, হুজুররা জেনে গেলেন, শুরু হলো শাস্তি। এ শাস্তি দোষের নয়, অাল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য শয়তান খেদানোর জন্য মার খেলে সোয়াব হয়, মার খাওয়া অঙ্গ দোজখে জ্বলে না।

অাব্বা অামাকে প্রচণ্ড ভালোবাসতেন। মনে পড়ে- প্রায়ই তিনি পকেটে করে অাস্ত কিংবা কাটা ফল নিয়ে অাসতেন, অামি জানতাম সেটা দাওয়াত খেয়ে পকেটে করে নিয়ে অাসা ফল। ভালো দাওয়াত থাকলে মাদরাসা থেকে ছুটি নিয়ে দাওয়াতে নিয়ে যেতেন। অামার শিক্ষক হাফেজ অাবুল কাসেম অাব্বার মসজিদে তারাবি পড়াতেন, তাই খুব সুসম্পর্ক ছিল দুজনের মাঝে। হিফজখানায় অামি সবক (পড়া) দিতাম পাঁচ/ছয় পৃষ্ঠা করে, সবাই অবাক হত তা দেখে, দুই/তিনঘন্টায় পাঁচ-ছয় পৃষ্ঠা মুখস্ত করা সাধারণ বিষয় নয়।

হুজুর চাপ দিতে লাগলেন- এতে চলবে না, দশপৃষ্ঠা সবক দিতে হবে, সাথে পিটুনির ভয়। কী অার করা, একদিন জেদ করে ১১ পৃষ্ঠা সবক দিয়ে ফেললাম! হুজুর অাব্বাকে খবর দিলেন, অাব্বা তো মিষ্টিসমেত হাজির। হাফেজী শেষ হলো, কিতাবখানায় ভর্তি হলাম, মাওলানা হতে হবে।

কিন্তু বাংলা বইয়ের প্রতি দুর্নিবার অাকর্ষণ থামলো না, কবিতা-গল্প-উপন্যাসের প্রতি দুর্দমনীয় টান কমলো না।

বড়বোনের স্কুলবইগুলি পড়ে সাবাড় করতাম,

প্রতিবেশীর স্কুলবইগুলি পড়ে সাবাড় করতাম,

ফেরিওয়ালার কাছ থেকে কবিতা-গল্পের বই কিনে গোগ্রাসে গিলতাম।

উপন্যাস পড়া হারাম, হিন্দু রবীন্দ্রনাথের বই পড়া হারাম, বেনামাজির লেখা বই পড়া হারাম, নজরুলের দাড়ি ছিল না বলে তাঁর বইও পড়া হারাম! ফতোয়া শুনতাম।

কিন্তু কিছুতেই ছাড়তে পারছিলাম না ‘হারামের নেশা।’

সুযোগ পেলেই দে ছুট সিনেমা হলে, রাসেলদের বাসায়। সুযোগ পেলেই দৌড়াতাম ভিডিও গেম-এর দোকানে। মাদরাসায় নিয়ে যেতাম নজরুল-রবীন্দ্রনাথের হারাম বই, লুকিয়ে লুকিয়ে পড়তাম। রাতের বেলা না ঘুমিয়ে মাদরাসার গোসলখানার অালোয় গিয়ে নজরুল রবীন্দ্র পড়তাম। এতে ডিস্টার্ব হতো নিশি দরবেশ ভাইদের। নিশি দরবেশ ভাইয়েরা প্রতিরাতে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে অন্যের বিছানায় যেত, শরীর ঠান্ডা করতে। সারাদিন জোব্বা, তসবিহ, পাগড়ি নিয়ে জিকির-অাজকার ও দোয়া-দুরূদ পাঠ করতো।

নিশি দরবেশরা অামার নামে অভিযোগ দাখিল করলো, সে রবীন্দ্রনাথের বই পড়ে। হুজুররা অামার ট্রাংক ঘেঁটে রবীন্দ্র, নজরুল, সমরেশ, হুমায়ুন উদ্ধার করলেন, সাথে বেতের বাড়ি।

অামার ঘুম ছিল খুব গাঢ়, সহজে ভাঙতো না। ফজরের নামাজের পূর্বে অামাদেরকে ঘুম থেকে জাগাতে লাঠিচার্জ করতেন হুজুররা, দশ পনেরোটা বেতের বাড়ি খাওয়ার পর অামার ঘুম ভাঙত!

হুজুররা দয়ালু ছিলেন, প্রথমে অাস্তে পেটাতেন এরপর ক্রমেই জোরে।
একদিন তো মাওলানা মাসুদ হুজুরের (অামার নামের মিতা) খাটের নিচেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম!

অারেকদিনি সবার বেডিংয়ের তলায় ঘুমিয়েছিলাম, ঘামে পুরো জবজবে অবস্থা!

ক্লাসমেটরা অামার মাথাকে বলত কম্পিউটার, সারাদিন ঘুমিয়েও প্রত্যেক পরীক্ষায় ফার্স্ট হতাম।

অাব্বার অাশা ছিল- তাঁর ছেলে জগদ্বিখ্যাত অালেম হবে। অাব্বা খুব পছন্দ করতেন ইমাম গাজ্জালি ও অাশরাফ অালি থানভীর বই। তিনি অাশা করতেন, তাঁর ছেলে যুগের গাজ্জালি হবে।

একদিন কলেজমাঠে গিয়ে শুনি একটি গাড়িতে বাজছে- “ওরে নিল দরিয়া…

” অামি মন্ত্রমুগ্ধের মত শুনলাম। অামার ক্লাসমেট ও বন্ধুরা গান শুনতো, হুজুররা লুকিয়ে গান শুনতেন, কিন্তু ছাত্ররা গান শুনলে পেটাতেন!

অামি যখন কিতাবখানার দ্বিতীয় বর্ষে পড়ি তখন হিফজখানার প্রধান শিক্ষক ছিলেন চট্টগ্রামের একজন মুজাহিদ হুজুর, তিনি সারাক্ষণ জেহাদি চেতনা প্রচার করতেন। লম্বা দাড়ি, পাগড়ি, জোব্বা সবসময় পরিধান করতেন। প্রত্যেক রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তেন।

তৃতীয় বর্ষের এক বড়ভাই হঠাৎ বোমা ফাটালেন- জেহাদি হুজুর নাকি তাহাজ্জুদ শেষে ছাত্রদের সাথে অাকাম করেন। বড়ভাইদের নেতৃত্বে তদন্ত হলো, হিফজখানার সুন্দর চেহারার ছাত্রদেরকে জেরা করে থলের বেড়াল টেনে অানা হলো।

বয়সে ছোট হওয়ার কারণে ফার্স্টবয় হওয়া সত্ত্বেও তদন্ত কমিশনে অামি অানফিট। কিন্তু খবর জানতাম। কমপক্ষে দশজন ছাত্রের কাছ থেকে সাক্ষ্য সংগ্রহ করা হলো। ছোট্ট এক ছাত্রের সাক্ষ্যদান ছিল বেশ চমকপ্রদ: তার ভাষ্য, হুজুর অামারে রাইতে ডাইক্কা নিয়া গেল। অামি রাজি না অইলে হুজুর অামারে অাল্লার গজবের ভয় দেহাইলো। কইলো, তুই কাম করতে না দিলে কালকে অাল্লার গজবে ধ্বংস অইয়া যাবি। তহন ভয়ে রাজি অইলাম। হুজুরের সোনা অামার … দিয়া ঢুকাইলো। অামি ব্যতায় কাইন্দা ফালাইলে হুজুর কইলো, কানলেও অাল্লার গজব পড়বো! কাম শ্যাষ অইলে হুজুরের … থিক্কা কষ বাইর অইলো।

মাদরাসায় তীব্র অান্দোলন হলো জেহাদি হুজুরের বিরুদ্ধে, সব ছাত্রকে ডেকে মুহতামিম (প্রিন্সিপাল) সাহেব বললেন- এই কথাগুলি বাইরে বললে ইসলামের ক্ষতি হবে, কমিটিকেও বলা যাবে না, ইসলামের ক্ষতি হবে।

জেহাদি হুজুরের পক্ষে মুহতামিম সাহেব, সবাই গজারির লাঠি যোগাড় করলাম। অামি অামার ক্লাসে বয়সে সবার ছোট হয়েও গজারির লাঠি হাতে পেলাম। অবশেষে রাতের অাঁধারে জেহাদিকে মাদরাসা থেকে বের করে দেয়া হলো।

অাবার টান, অাবার কবিতা, অাবার উপন্যাস ফিরে এলো জীবনে। হাতে এলেন জীবনানন্দ, যতই পড়ি ততই মুগ্ধ হই।

“অাবার অাসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে এই বাংলায়” পড়ার পর কেঁদে ফেলেছিলাম, এত সুন্দর হয় পৃথিবী! এত সুন্দর হয় বাংলা ভাষা!

মাদরাসার বন্দি জীবনেও যেন দেখছিলাম প্রকৃতিকে অাপন শোভায়। অার মাদরাসায় যে বন্দিজীবন যাপন করছি অামরা সবাই তা তো শুধুই অাল্লাহর রেজামন্দি লাভের অাশায়।

দুনিয়ার সুখ অাসল সুখ নয়। দুনিয়ার পাখি, নদী, পাহাড়, সাগর, ফুল, ফল কিছুই অাসল নয়। অাখেরাতের নদী, অাখেরাতের পাখি, অাখেরাতের ফুল হলো অাসল ফুল।

ততদিনে মনের রাজ্যে সর্বনাশ করে ফেলেছে জীবনানন্দ; জোনাকির ঝিকিমিকি, ঝিঁঝিপোকার ডাক, চাঁদের জ্যোৎস্না, তটিনীর কুলকুল রব, শটিবনের নান্দনিকতা, বাবুইয়ের সৃষ্টিশীলতা অামাকে নেশাগ্রস্ত করে ফেলেছে। জীবনানন্দ প্রকৃতিকে ভালবাসতে শিখিয়েছে।

না, না, এসব শয়তানের ওয়াসওয়াসা! শয়তান দুনিয়ার সৌন্দর্যে ভুলিয়ে অামাকে অাখেরাত বিমুখ করতে চায়। শয়তান হিন্দুদের কবিতা দিয়ে অামার ঈমান নষ্ট করতে চায়।

হিন্দুদের বই বয়কট করলাম, মুসলমানদের বই পড়তে লেগে গেলাম।
হুমায়ুন অাজাদ নামের অচেনা এক মুসলমান লেখকের প্রবন্ধ পড়লাম ‘অন্যদিন’-এ, “কবিতায় অামার প্রথম অনুভূতি” পড়ে অাবারও থ হয়ে গেলাম। কবিতা তাহলে এত ভাল! বাংলা ভাষা তাহলে এত মধুর !

কিন্তু হুজুররা যে বলেন, বাংলা হিন্দুদের ভাষা, অারবির চেয়ে বাংলাকে বেশি ভালবাসলে ঈমান নষ্ট হবে!

না, বাংলা পড়া যাবে না, অারবি পড়তে হবে, উর্দু পড়তে হবে।

মুসলমান হুমায়ুন অাজাদ এত সুন্দর লিখেছে, তাই তাঁর নামটা মুখস্ত মনে রেখেছি।

চারিদিকে শোরগোল, মিছিল, অান্দোলন। তসলিমা নাসরিনের ফাঁসি চাই। হুজুররা অামাদের বোঝালেন, ইহুদীদের টাকা খেয়ে তসলিমা মুসলমানদের ঈমান নষ্ট করার মিশনে নেমেছে। তসলিমা শুধু ‘খারাপ কাম’ করে।

শয়তান বসে নেই, অামাকে দাগা দিতে লাগলো- পড়েই দেখ, কি লিখেছে তসলিমা!

তাহাজ্জুদের নামাজ বাড়ালাম, জিকির-অাজকার বাড়ালাম, হুজুরের সাথে মোশাওয়ারা (কাউন্সেলিং) বাড়ালাম। হুজুর পরামর্শ দিতে লাগলেন, দোয়া ও অামল বাতলে দিলেন।

সব দোয়া ব্যর্থ করে দিল বিতাড়িত শয়তান। তসলিমার বই কিনলাম, মাদরাসায় রেখে গোপনে পড়লাম। যতই পড়ি ততই ‘অাস্তাগফিরুল্লাহ, নাউজুবিল্লাহ’ পড়ি, তবুও পড়তে ভাল লাগে, ভাষা ভাল লাগে।

একদিন নিশি দরবেশদের কারণে ফাঁস হয়ে গেল- তসলিমার বই অাছে মাসুদের কাছে। সারা মাদরাসা তোলপাড়, প্রচণ্ড পিটিয়ে বহিষ্কার করা হবে মাসুদকে, সিদ্ধান্ত পাকা। উত্তরা বাইতুসসালাম মাদরাসা। একজন শিক্ষক অামার পক্ষে কথা বললেন। ছেলেটা মেধাবি, সহজ সরল, ওকে এবারের মত ক্ষমা করা হোক। হুজুরদের পায়ে ধরে তওবা করলাম, ইহুদীর দালালদের বই পড়বো না।

অাল্লাহর কাছেও বেশ কিছুদিন কান্নাকাটি করলাম, শয়তান খান্নাছদের বই পড়েছি, অাল্লাহ ও রাসুলের দুশমনদের বই পড়েছি।

একদিন পত্রিকা পড়তে গিয়ে মহাত্মা গান্ধীর জীবনের কিছু অংশ পাঠ করলাম।

মহাত্মা গান্ধী হিন্দু, হিন্দু কখনোই ভাল হতে পারে না। হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, ইহুদী সবাই ‘ফি নারি জাহান্নামা খালিদীনা ফিহা।’

ছবিযুক্ত বাংলা বইয়ে তীব্র অাকর্ষণ, কবিতায় তীব্র অাকর্ষণ, মায়ের ভাষায় তীব্র অাকর্ষণ।

হুজুরের পরামর্শ নিলাম। হুজুর বললেন, “তুমি ইসলামি লেখকদের সাহিত্য পড়।”

হাতে এলো অাবুল অাসাদ, কাসেম বিন অাবুবকর, নসীম হিজাযীর বই।
অাবুল অাসাদের জিহাদি গল্পের চেয়ে মাসুদ রানা ভাল লাগল।

মাসুদ রানা শুরু হলো, সাথে গভীর অনুশোচনা ও তওবা। তসলিমা ফিরে এলো, সাথে অাবার তওবা।

ভাবতে লাগলাম, অামার ক্লাসমেটরা রাতে তাহাজ্জুদ পড়ে, এরপর অন্যের মশারিতে ঢোকে। সারাদিন তসবিহ জপে, সুযোগ পেলেই জুনিয়র ছাত্রদের সাথে চুমোচুমি করে। পুরুষ হয়ে অারেক ছেলেকে কিভাবে চুমোয় বুঝিনি, পুরুষ কিভাবে পুরুষের পায়ুপথে মুজামা’অাত (সহবাস, অারবি শব্দ) করে বুঝিনি।

অামিও ভাবা শুরু করলাম, তারা ‘অাকাম’ করে তওবা করে অাল্লাহর কাছে মাফ চায়, অামিও কাফের-মুরতাদের বই পড়ে অাল্লাহর কাছে মাফ চাইব।

বড়ভাই কামাল খুবই অামলদার ছিল। অামি জোরে হাসলে নিষেধ করতো, অাল্লাহর রাসুল জোরে হাসতে নিষেধ করেছেন, মুচকি হাসতে বলেছেন। কামাল ভাই খুবই অামলদার ছিল, প্রায় দিনই তাহাজ্জুদ শেষে “মুজামাঅাত” না হলে তার চলত না!

কাফেররা সারাদিন হাইওয়ানের (জন্তু) মত অাকামকুকাম করে, মুসলমান সামান্য কিছু করলেই দোষ!

পড়ানো হল ‘কুদুরি, হেদায়া, নূরুল অানওয়ার, উসুলুশ শাশী’ কিতাব সমূহ। জেহাদ, গনিমতের মাল বণ্টন, তালাক, নিকাহ, সংসার, সহবাস এর মাসঅালা পড়লাম। শয়তান ধোঁকা দিতে শুরু করলো- তোমার নবীর চেয়ে মহাত্মা গান্ধী ভালো, তোমার নবীর চেয়ে জীবনানন্দ ভাল, তোমার নবীর চেয়ে নজরুল ভাল।

নজরুল যদি ভালই হয় তাহলে নজরুল কেন নবীকে এত ভক্তি করেছে? গান্ধী যদি মহান হয় তাহলে গান্ধীর চেয়ে নবীজির অনুসারী এত বেশি কেন?

অাবারও শয়তান সাময়িক পরাজিত হলো।

অারবি সাহিত্য খুব পছন্দ করতাম, এখন দেখছি বাংলা সাহিত্যও ভাল লাগছে!

ইংরেজিও ভাল লাগছে। মাদরাসায় ইংরেজির কিচ্ছু শেখায়নি, কিন্তু দেখছি অামি ইংরেজি খুব সহজে বুঝি। ইংরেজি শিখতে লাগলাম উইদাউট হেল্প অব টিচার।

অামি অনেক কবিতা পারতাম বলে শরীয়তপুরী হুজুর (সাহিত্যিক হিসেবে সুনাম অাছে) অামাকে খুব স্নেহ করতেন। অন্যরা অবশ্য অামাকে ‘বিতর্কিত’ মনে করতেন।

এলো তালেবান অান্দোলন, চতুর্দিকে তালেবানের প্রশংসা, অাফগানিস্তানের শান্তি ও সাম্যের প্রশংসা শুনতাম হুজুরদের কাছে। হাতে পেলাম মাসিক ‘জাগো মুজাহিদ।’ জেহাদি চেতনা জেগে উঠল। বাংলাদেশকে ইসলামিক দেশ বানাতেই হবে, একমাত্র জেহাদের মাধ্যমেই কায়েম হবে ইসলাম।

ততদিনে একটু বড় হলাম, দাড়িমোচ গজালো।

“অামরা হব তালেবান, বাংলা হবে অাফগান” স্লোগানে মুখর করলাম পল্টন ময়দান।

অাবারো শয়তান, অাবারো ওয়াসওয়াসা।

জেহাদ কি মানবতার সমাধান? রক্তপাতে কি শান্তি?

শয়তান নিয়ে এলো মহাত্মা গান্ধীকে, “চোখের বদলে চোখ পৃথিবীকে অন্ধ করে দেবে।”

– ঈমানে ওয়াসওয়াসা হানা দিল।

অাবারো প্রবোধ-

মহাত্মা যত ভালই হোক, সে হিন্দু। হিন্দুরা ‘ফি নারি জাহান্নামা খালিদীনা ফিহা।’
অাবার তওবা, অাবার ইস্তিগফার…

– প্রিয়নবী, পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ অাপনাকে ভালবাসে। অামিও তাদের একজন ছিলাম। অাপনার মোটিভেশনাল পাওয়ার সত্যিই অসাধারণ! একটি বিশৃঙ্খল জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার কৃতিত্বও অাপনার।

অাপনাকে নিয়ে কত স্তুতিকাব্য রচিত হয়েছে, কত সঙ্গীত গাওয়া হয়েছে, কত মানুষ জীবন দিয়েছে অাপনার ভালবাসায়!

অাপনি কি সমর্থন করেন অাপনার উম্মতের বর্তমান কর্ম?
অাপনি নিজেও যা করেছেন তা কি অাপনি এখনও সমর্থন করছেন?

অামি কাফেরদের বই পড়ে তওবা করতাম। অাপনি দৈনিক একশোবার তওবা করতেন।

অাপনিও কি লুকিয়ে লুকিয়ে কাফেরদের বই পড়তেন?

লেখক: আব্দুল্লাহ আল মাসুদ। ১০ বছর টানা মসজিদে ইমামতি করেছেন মুফতি মাসুদ, দীর্ঘদিন একটি কওমী মাদ্রাসার প্রিন্সিপ্যালের দায়িত্ব পালন করেছেন।

From: Krishna kumar das
💜 জয় হোক সনাতনের 💜

Pranab Kumar Kundu


শুক্রবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৮

রূপক রায়-এর কলাম ( নয় )


   রূপক রায়-এর কলাম ( নয় )


   ফেসবুক থেকে      শেয়ার করেছেন      প্রণব কুমার কুণ্ডু


ইসলামের ৫ টি স্তম্ভের সাথে কোরানের সম্পর্ক কতটুকু ?
মুসলমানরা খুব জোর গলায় প্রচার করে যে, ইসলামের স্তম্ভ বা খুটি হলো ৫টি, যেমন-
১. কালিমা
২. নামাজ
৩. রোজা
৪. হজ্জ ও
৫. যাকাত।
এর সাথে তারা আরও বলে যে ইসলামের সংবিধান হল কোরান।
এখন দেখা যাক ইসলামের সংবিধানে এই ৫টি খুঁটির একটিও আছে কিনা ?
ইসলামের ১ নং খুঁটি, কালিমা, (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ), এই বাক্যটি কি কোরানে লিখা আছে ?
নাই।
ইসলামের দুই নং খুঁটি নামাজ, নামাজ কিভাবে আদায় করতে হবে, তা কি কোরানে বর্ননা করা হয়েছে ?
না।
ইসলামের তি নং খুঁটি রোজা, রোজা কিভাবে রাখতে হবে, কিভাবে রোজা ভাঙবে, তা কি বিস্তারিত কোরানে বর্ননা করা হয়েছে ?
না।
ইসলামের ৪ নং খুঁটি হজ, হজ্জ কিভাবে করতে হবে, তা কি কোরানে বিস্তারিত বর্ননা করা হয়েছে ?
না।
ইসলামের ৫ নং খুঁটি, যাকাত, যাকাত কিভাবে দিতে হবে, যাকাতের মেকানিজম কী হঁবে ? তা কি কোরানে বিস্তারিত বর্ননা করা হয়েছে ?
না।
তাহলে ইসলামের ৫ খুঁটির সাথে ইসলামের সংবিধান বাল কোরানের সম্পর্ক কতটুকু ?
৭২ হুরলোভীঁ লম্পটদের কাছে জবাব চাই।
আইডিয়া : নীল নীমো।
জয় হিন্দ।
From: Krishna kumar das
💜 জয় হোক সনাতনের 💜

নীল সরস্বতী



নীল সরস্বতী

দশ মহাবিদ্যার মধ্যে দ্বিতীয়া। তিঁনি, মহাবিদ্যা তাঁরার, আর এক অনন্য রূপ।

এই নীল সরস্বতী, একদা মূর্খ কালিদাসকে, 'বর' প্রদান করে, তাঁকে, প্রাচীন ভারতবর্ষের, শ্রেষ্ঠ কবি বানিয়েছিলেন !


নীল সরস্বতীর মূল মন্ত্রঃ

ঐং ওং হ্রীং স্ত্রীং হূং ফট্।

নীল সরস্বতীর মহামন্ত্রঃ

ওং হ্রীং শ্রীং হ্রীং ঐং হূং নীল সরস্বতী ফট্ স্বাহা।


            

বৃহস্পতিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৮

Pranab Kumar Kundu @pkkundu10 Tweets 15.7K Following 18 Followers 25

   
    Pranab Kumar Kundu @pkkundu10 Tweets 15.7K Following 18 Followers 25

    প্রণব কুমার কুণ্ডু'র ট্যুইট পর্যালোচনা
 





আমার কবিতার Pageviews by Browsers & Pageviews by Operating systems


 আমার কবিতার Pageviews by Browsers & Pageviews by Operating systems
 Blog : pranabk.blogspot.com


Pageviews by Browsers

EntryPageviews
Chrome
56366 (55%)
Firefox
26212 (25%)
Safari
8951 (8%)
Internet Explorer
8605 (8%)
Opera
642 (<1%)
SamsungBrowser
404 (<1%)
UCBrowser
323 (<1%)
Mobile Safari
258 (<1%)
CriOS
165 (<1%)
Minimo
132 (<1%)
Image displaying most popular browsers

Pageviews by Operating Systems

EntryPageviews
Windows
40640 (39%)
Macintosh
29815 (29%)
Linux
20050 (19%)
Android
7748 (7%)
iPhone
2348 (2%)
Unix
671 (<1%)
compatible
390 (<1%)
BlackBerry
140 (<1%)
Other Mobile
138 (<1%)
Nokia
133 (<1%)
Image displaying most popular platforms