রূপক রায়-এর কলাম ( চোদ্দ )
ফেসবুক থেকে শেয়ার করেছেন : প্রণব কুমার কুণ্ডু
প্রণব কুমার কুণ্ডু
Rupok Roy
এই হামলাকারী ছিলো মুসলমান এবং সে আল্লাহু আকবার শ্লোগান দিয়ে বিনা কারণে তিনজনকে খুন করে এবং ১২জনকে আহত করে, কেনো মুসলমানদের মধ্যে এই ধরণের প্রবণতা, সেটা বুঝতে হলে পড়ুন নিচের এই প্রবন্ধটি-
ইসলাম কাউকেই বাঁচতে দেবে না:
১৪০০ বছর আগেই মুহম্মদ, কোরানের ৯/৫ আয়াতের মাধ্যমে ইসলামকে স্বীকার না করার অপরাধে সকল অমুসলিমের মৃত্যুদণ্ড দিয়ে গেছে, এখন মুহম্মদের অনুসারীরা তা বাস্তবায়ন করছে মাত্র। তারপরও মুসলমানদের কাছে ইসলাম মহান ধর্ম, শান্তির ধর্ম, যে ধর্ম মানুষকে মানুষ হিসেবে মর্যাদা দেয় না, অমুসলিমদেরকে মনে করে নাপাক (কোরান, ৯/২৮), নিকৃষ্ট ঘৃণ্য জীব (কোরান, ৮/৫৫) এবং তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করে (কোরান, ৪/৮৯)।
নিচে দেখে নিন সেই ঘাতক ও অমানবিক আয়াতগুলো, যেগুলোকে বিশ্বাস করে মুসলমানরা নির্দ্বিধায় এবং অবলীলায় যে কোনো প্রকারে অমুসলিমদেরকে হত্যা করে চলেছে-
কোরান- ৯/৫ = মুশরিকদের হত্যা কর যেখানেই তাদের পাও এবং তাদের ধরো, ঘেরাও করো এবং তাদের প্রতিটি ঘাঁটিতে তাদের খবরাখবর নেওয়ার জন্য শক্ত হয়ে বসো। অতঃপর তারা যদি তওবা করে, নামায কায়েম করে ও যাকাত দেয়, তাহলে তাদেরকে তাদের পথ ছেড়ে দাও।
-এখানে মুশরিক মানে মূর্তিপূজক। তারা ইসলাম গ্রহণ না করলে তাদেরক হত্যা করতে বলা হচ্ছে।
কোরান- ৯/২৮ = মুশরিক লোকেরা নাপাক।
-এখানে বলা হচ্ছে মূর্তিপূজকরা নাপাক মানে অপবিত্র।
কোরান-৪/৮৯ = তাদের মধ্যে থেকে কাউকে নিজের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যতক্ষণ না সে আল্লাহর পথে হিজরত করে আসবে । আর সে যদি হিজরত না করে, তবে যেখানেই পাবে তাকে ধরবে, তাকে হত্যা করবে এবং তাদের মধ্যে কাউকে নিজের বন্ধু ও সাহায্যকারী রূপে গ্রহন করো না।
- আর এথানে বলা হলো, অমুসলিমরা ইসলাম গ্রহণ না করলে তাদের সাথে বন্ধুত্ব না করতে।
এছাড়াও দেখুন মুসলমানরা জঙ্গী হয়ে কেনো মরতে চায় ?
এই ব্যাপারটা বুঝতে হলে, উপলব্ধি করার চেষ্টা করুন নিচের এই কয়েকটি আয়াতের অর্থ :
যারা আল্লার পথে নিহত হয়েছে, তাদেরকে মৃত মনে করো না। প্রকৃতপক্ষে তারা জীবিত, তারা আল্লার কাছ থেকে জীবিকা পেয়ে থাকে। ( কোরান, ৩/১৬৯)
প্রকৃত কথা এই যে, আল্লাহ তায়ালা মুমীনদের নিকট হতে তাদের হৃদয় মন এবং মাল সম্পদ জান্নাতের বিনিময়ে খরিদ করে রেখেছেন। তারা আল্লার পথে মরে ও মারে।- (কোরান, ৯/১১১)
প্রকৃতপক্ষে মুমিন তো তারাই, যারা আল্লা ও তার রসূলের প্রতি ঈমান এনেছে, অতঃপর কোনো সন্দেহ করে না এবং নিজের জীবন ও সম্পদ দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করেছে। তারাই সত্যবাদী-সত্য নিষ্ঠ লোক।- ( কোরান, ৪৯/১৫)
তোমরা কি মনে করেছো, তোমরা এমনিতে বেহেশতে প্রবেশ করবে , যতক্ষণ না আল্লাহ তোমাদের মধ্যে কে জিহাদ করেছে, আর কে করে নি, তা না জানছেন ? ( কোরান -৩/১৪২)
আর যেসব লোক আল্লাহর পথে নিহত হবে, আল্লাহ তাদের আমল সমূহকে কখনোই নষ্ট ও ধ্বংস হতে দেবেন না।- ৪৭/৪
এবং তাদেরকে সেই জান্নাতে দাখিল করাবেন, যে বিষয়ে তাদেরকে অবহিত করিয়েছেন।- ৪৭/৬
যারা ঈমান এনেছে, দেশত্যাগ করেছে এবং আল্লাহর রাহে নিজেদের মাল ও জান দিয়ে জিহাদ করেছে, তাদের বড় মর্যাদা রয়েছে আল্লাহর কাছে, আর তারাই সফলকাম।- ৯/২০
হে ঈমানদার লোকেরা, তোমাদের কী হয়েছে , তোমাদের যখন আল্লাহর পথে বের হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তখন তোমরা মাটি কামড়ে পড়ে থাকলে! তোমরা কি পরকালের তুলনায় দুনিয়ার জীবনকেই বেছে নিয়েছো ? এই যদি হয়ে থাকে তাহলে তোমাদের জেনে রাখা উচিত যে, দুনিয়ার জীবনের সাজ-সরঞ্জাম পরকালে খুব সামান্যই মনে হবে।- ৯/৩৮
আল্লাহর পথে লড়াই করা কর্তব্য সেই সব লোকেরই যারা যারা পরকালের বিনিময়ে দুনিয়ার জীবন বিক্রি করে দেয়। যারা আল্লাহর পথে লড়াই করবে কিংবা নিহত হবে বা বিজয়ী হবে, তাদেরকে আমি অবশ্যই বিরাট ফল দান করবো।- ৪/৭৪
তোমরা বের হয়ে পড়ো, হালকা কিংবা ভারী -ভারাক্রান্ত হয়ে। আর জেহাদ করো আল্লাহর পথে নিজেদের মাল সামান ও নিজেদের জান প্রাণ সঙ্গে নিয়ে, এ তোমাদের জন্য কল্যানময়, যদি তোমরা তা জানো।- ৯/৪১
তোমরা তাদের সাথে লড়াই করতে থাকো, যতক্ষণ না ফিতনা চুড়ান্তভাবে শেষ হয়ে যায় দ্বীন কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট না হয়।-২/১৯৩
যে সব মুসলমান কোনো অক্ষমতা ছাড়াই ঘরে বসে থাকে, আর যার আল্লার পথে জান ও মাল দ্বারা জিহাদ করে, এই উভয় ধরণের লোকের মর্যাদা এক নয়। আল্লাহতায়ালা বসে থাকা লোকেদের অপেক্ষা জান মাল দ্বারা জিহাদকারীদের মর্যাদা উচ্চে রেখেছেন। - ৪/৯৫
তাদের মধ্যে থেকে কাউকে নিজের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যতক্ষণ না সে আল্লাহর পথে হিজরত করে আসবে । আর সে যদি হিজরত না করে, তবে যেখানেই পাবে তাকে ধরবে, তাকে হত্যা করবে এবং তাদের মধ্যে কাউকে নিজের বন্ধু ও সাহায্যকারী রূপে গ্রহন করো না।- ৪/৮৯
আহলি কিতাব ও মুশরিকদের মধ্যে হতে যারা কুফরী করেছে, তারা নিকৃষ্টতম সৃষ্টি।-৯৮/৬
আমরা তোমাদের অস্বীকার করেছি এবং আমাদের ও তোমাদের মাঝে চিরকালের শত্রুতা স্থাপিত হয়েছে ও বিরোধ ব্যবধান শুরু হয়ে গেছে, যতক্ষণ তোমরা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান না আনবে।- ৬০/৪
পরে এই শহরে তোমাদের সাথে তাদের বসবাসই কঠিন হবে।- ৩৩/৬০
তাদের উপর চারেদিক হতে অভিশাপ বর্ষিত হবে, যেখানেই তাদেরকে পাওয়া যাবে, তাদেরকে পাকড়াও করা হবে ও নির্মমভাবে মারা হবে।- ৩৩/৬১
ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম চাইলে কখনো তা গ্রহণ করা হবে না- কোরান, ৩/৮৫
নামায কায়েম কর, যাকাত দাও এবং রসূলের আনুগত্য কর। আশা আছে যে তোমাদের প্রতি রহম করা হবে।- ২৪/৫৬
জয় হিন্দ।
💜 জয় হোক সনাতনের 💜
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন