বৃহস্পতিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

নেহেরু কে ?


নেহরু কে ?

ফেসবুক থেকে  শেয়ার করেছেন      প্রণব কুমার কুণ্ডু


প্রণব কুমার কুণ্ডু











Surajit Sutradhar Partha Sarathi Sen এবং অন্যান্য 2 জন এর সঙ্গে আছেন।


বিষয়:---
শিশু দিবস,
দয়া করে কেউ এড়িয়ে যাবেন না একটিবার মন দিয়ে পড়ুন। 
১৪ই নভেম্বর শিশু দিবস ,মুলত এই শিশু দিবস পালিত হয় জহরলাল নেহেরুর জন্মদিন উপলক্ষে।
কিন্তু কেন?
কারণ জহরলাল নেহরু প্রাপ্ত বয়সেও নাকি তাঁর মনটা ছিল শিশুদের মত নির্মল ও অবোধ।
কে এই জহরলাল নেহেরু??
উঃ:-আফগান মুসলমান গাজী খাঁনের তিন ছেলে ,বড় ছেলে ফৈজাল খাঁন যে চৌদ্দ বছর বয়সে আন্ত্রিক রোগে মারা যায়,মেজো ছেলে সেলিম খাঁন যার বংশধররা হচ্ছেন ঐ জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ‍্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহরা ,আর ছোট ছেলে ময়িম খাঁন।এই ময়িম খাঁন ভাবলেন যে এই ভারতবর্ষে/জম্মুদ্বীপে/আর্যাবর্তে যদি আমি মুসলমান হয়ে রাজনীতির ময়দানে পা রাখি তবে এদেশের মানুষ আমাকে মেনে নেবেন না তাই তিনি নিজের নাম পরিবর্তন (ময়িম খাঁন)করে নাম ধারন করলেন মতিলাল নেহেরু।এই মতিলাল নেহেরুর ছেলেই হলেন জহরলাল নেহরু।আর জহরলালের মেয়ে ইন্দিরা নেহেরু/গাঁন্ধী। ইন্দিরা আবার বিয়ে করলেন এক পারসিয়ান মুসলিম ফিরোজ খাঁনকে।ফিরোজকে গাঁন্ধীজী দত্বক ছেলে হিসেবে নিয়ে নিজের উপাধি উপহার দেন আর ফিরোজ খাঁন থেকে হয়ে গেলেন ফিরোজ গাঁন্ধী।ফিরোজ ও ইন্দিরার মিলিত সন্তান রাজীব গাঁন্ধী ।রাজীব আবার বিয়ে করলেন এক ইটালিয়ান খ্রীষ্টান মহিলাকে যিনি নাকি আবার রাশিয়ার চর ,নাম অ‍্যান্টোনিমো এডভিগ আলবানিয়া মাইনো(সোনায়া গাঁন্ধী)এই সোনিয়া ও রাজীবের মিলিত সন্তান হলেন আজকের রাহুল গাঁধী ।যিনি নিজেও জানেন না নিজের গৌত্র ও বংশ পরিচয়।যাক সেসব কথা এবার আসা যাক শিশুদিবস ও জহরলালের কথায়। স্বাধীনতার প্রাক্কাল থেকেই জহর লালের একটাই লালসা ছিল যেন তেন প্রকারে ভারতের মসনদ দখল করা মানে নিজেকে প্রধান মন্ত্রী প্রতিষ্ঠিত করা।তাতে ভারতবর্ষের অস্তিত্ব থাক আর যাক।তাই সেদিন ১৫ই আগষ্ট ১৯৪৭এর আগে মাউন্টব্যাটেন জহরলালকে বললেন যে তোমাকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে পারি তবে কিছু শর্তের বিনিময়ে।কি সেই শর্ত??সেই শর্ত হলো ৪০০০০(চল্লিশ হাজার)পাতার transfer of power agreement.অর্থাৎ ক্ষমতা হস্তান্তরের চুক্তিপত্র।যার প্রথম পাতার আর্টিকল নং ১৪৭ এ লেখা ছিলো ১/ভারতকে আজীবনের জন‍্য ব্রিটিশ কমন ওয়েল্থের সদস‍্য থাকতে হবে,২/নেতাজী সুভাষ চন্দ্রকে দেশদ্রোহী ঘোষণা করতে হবে ,৩/ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তথা ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিবে ভারতবর্ষের পারলামেন্ট তথা সুপ্রিমকোর্টকে সেই নির্দেশ পালন করতে হবে,৪/ব্রিটিশদের লেখা ভারতের (বিকৃত) ইতিহাস কোনদিন পরিবর্তন করা যাবেন, ৫/আই এন এর কোন বাহিনীকে ভারতের সেনাবাহিনীতে বহাল রাখা যাবেনা,৬/দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ব্রিটিশ সেনাদের সমাধী স্থল যা দিল্লিতে অবস্থিত তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ভারতবর্ষকে নিতে হবে ,ইত‍্যাদি ইত‍্যাদি আরো অনেক কিছু।আর এই চুক্তি পত্রে নির্লজ্জের মতো সেদিন স্বাক্ষর করেছিলেন এই জহরলাল নেহরু শুধু প্রধানমন্ত্রী ও পরিবারতন্ত্র রাজনীতি কয়েক করার জন‍্য।তারপর এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ নেহেরুর প্রধানমন্ত্রী হবার পালা ।ইনাকে শপথবাক্য পাঠ করালেন লর্ড মাউন্টব‍্যাটেন আর জহরলাল শপথবাক্য পাঠ করলেন ভারতমাতার নামে নয়,পাঠ করলেন ইংল‍্যাণ্ডের রাজা ষষ্টম জর্জের নামে। স্বাধীনতার প্রাক্কালে মাউন্টব‍্যাটেন সিঙ্গাপুরে অবস্থিত আজাদ হিন্দ বাহিনীর স্মৃতি সৌধ প্রত‍্যক্ষ দিবালোকে ডিনামাইট দিয়ে গুঁড়িয়ে দিলেন আর সেখানে দেখা যায় নেহেরু মাউন্টব‍্যাটেনের মেয়ে পামেলা হিক্সের সঙ্গে একসাথে সিগারেট পান করছেন ও হাত তালি দিচ্ছেন।যে নেহেরু মদ, সিগারেট ও মেয়েমানুষ ছাড়া এক মূহুর্ত থাকতেন না আজ তার জন্মদিনে পালিত হয় শিশুদিবস!!!!!!এর চেয়ে বড় দুঃখ,কষ্ট ও লজ্জা আমাদের আর কি হতে পারে??সত‍্যিই এ যেন এক ত‍্যাগী প্রেমময় মানুষের জন্মদিন।শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু যেমন প্রেম বিলিয়ে হিংসা ও দ্বেষ দূর করে মন জয় করতেন বীর নির্লজ্জ,কামুক, চরিত্রহীন নেহেরু মাউন্টব‍্যাটেনের স্ত্রী মিসেস এডুইনা ও মেয়ে পামেলা হিক্সের সঙ্গে অগাধ প্রেম ও লাগামহীন মেলামেশার দ্বারা ভারতবর্ষকে স্বাধীন করতে চেয়েছিলেন।এ যেন ছিলো নেহেরুর স্বর্গীয় সুষমাণ্ডিত অপার্থিব সম্পর্ক।যে নেহেরু ভারতের শিশুদের কাছে থেকে কেড়ে নিলেন ভারতের প্রকৃত ইতিহাস,যে শিশুদেরকে শিক্ষা দিলেন দেশদ্রোহিতার শিক্ষা,যে শিশুদের কে শিক্ষা দিলেলেন নিজ বাবার নাম ও বংশ পরিচয় পাল্টে দেওয়া,যে শিশুদেরকে শিক্ষা দিলেন মদ‍্যপান-ধূম পান তারি জন্মদিন আজ শিশুদিবস!!!!হায় হায় রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, নেতাজী, বিবেকানন্দ, ক্ষুদিরাম,ভগৎ সিং,বিনায়ক দামোদর সাভারকার,উল্লাস করে দত্ত কেন জন্মেছিলেন তোমরা এই দূর্ভাগা দেশে ?????!!!!!!!

নমস্কারন্তে----সঞ্জীত কুমার মণ্ডল,ছুটিপুর ,দৌলতাবাদ , মুর্শিদাবাদ,৭৬০২৫৫৯১৯২

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন