রবিবার, ৮ জুলাই, ২০১৮

চেঙ্গিস, তৈমুর ও বাবর

     
      চেঙ্গিস, তৈমুর ও বাবর

   
     ফেসবুক থেকে শেয়ার করেছেন                        প্রণব কুমার কুণ্ডু


চেঙ্গিস, তৈমুর ও বাবর

১। সর্বদাই উপযুক্ত সেনানায়ক নির্বচন করা হত, তারা দূরবর্তী স্থানে স্বাধীন ভাবে সৈন্য পরিচালনা করতেন কিন্তু কেন্দ্রীয় রণনীতিরর সঙ্গে সাযুজ্য রেখে।
২। চেঙ্গিস খানের খাস বাহীনি যারা তার সবথেকে কার্যক্ষম বাহীনি ছিল।
৩। পুরো ফৌজই অশ্বারোহী বাহিনী ছিল। তারা যে দ্রুততার সঙ্গে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেত, তা সেই সময়ের নিরিখে অসাধারণ।
চেঙ্গিসের সাম্রাজ্য এডরিয়াটিক থেকে ইয়েলো সী পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। রাশিয়ার কিছু অঞ্চলে তার সাম্রাজ্য ২০০ বৎসর পর্যন্ত বজায় ছিল।


তৈমুরের রণ সংগঠন :
তৈমুরের সেনাবাহিনী যে রণসংগঠন অনুসরণ করত, তা ভারতে মোঘল সাম্রাজ্যের শেষ দিন অবধি পালিত হয়।
১। ভ্যানগার্ড বা অগ্রবর্তী বাহীনি (হারাবল)
২। দক্ষিণ ভাগ (বরানঘর)
৩। বাম ভাগ (জরানঘর)
৪। মধ্য ভাগ (কুল বা ঘোল)
৫। রিয়ার গার্ড বা সেনাবাহিনীর পশ্চাৎ ভাগ রক্ষাকারী বাহীনি (চণ্ডাওয়াল)
৬। এই বাহীনির সম্মুখে থাকত অশ্বারোহী তীরন্দাজ বা ঝটিকা বাহীনি / skrimishers (কারাওয়াল)
৭। অ্যাডভানস রিজার্ভ (ইলতিমিশ) এর দুটি বাহীনি যা সেনাবাহিনীর মধ্যভাগের দুইদিকে এমন অবস্থানে থাকতো যে তারাই যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিত।
৮। দক্ষিণ ও বাম প্রান্তে একটি করে হালকা অশ্বারোহী বাহীনি থাকত, যা তুর্কি যুদ্ধকৌশল মতো দুই দিক থেকে শত্রুবাহীনিকে ঘিরে ফেলত। (তৌলকনামা) "the two horns of the crescent closed in the rear of the enemy".
তৈমুর যখন ভারত আক্রমণ করেন তার ১০০০ অশ্বারোহীর ৯২টি স্কোয়াড্রন (বা বাহীনি) অর্থাৎ ৯২০০০ সেনা ছিল।


বাবরের সেনা :
চেঙ্গিস আর তৈমুরের আগ্নেয়াস্ত্র ছিল না।
বাবরের ছিল। দু ধরনের : ১। কম দূরত্ব ও সোজা চালানোর জন্য মাসকেট। ২। বাধা অপসারণের জন্য এবং ভার্টিকাল ফায়ারিং এর জন্য বড় হাউটজার (মর্টার)। কামানগুলিকে বাবর উটের পিঠে চাপিয়ে ভারতে নিয়ে আসেন। তার এই মর্টার খুব ভারী ছিল না। একে ফর্কের উপর রেখে দাগা হত বলে একে ফালকোনেটও বলা হত।


তথ্যসুত্র : The Military History of India by Jadunath Sarkar

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন