মঙ্গলবার, ১৭ জুলাই, ২০১৮

স্বর্ণকুমারী দেবী


স্বর্ণকুমারী দেবী


ফেসবুক থেকে      শেয়ার করেছেন             প্রণব কুমার কুণ্ডু




নিউজ ফীড

সুজয় কর্মকার
১৫ মে, ২০১৭ · tag সুজয় কর্মকার(সদস্য), ৩ others
স্বর্ণকুমারী দেবী: বহুমুখী প্রতিভার এক অসাধারণ ব্যক্তিত্ব।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~`~~~~~~~~~`~~

বাংলায় প্রথম উল্লেখযোগ্য মহিলা-ঔপন্যাসিকের নাম নিঃসংশয়ে স্বর্ণকুমারী দেবী। ঠাকুরবাড়ীর অন্যান্য তারকার মত স্বর্ণকুমারীও মধ্যাহ্ন-আকাশে রবির উজ্জ্বল আলোকচ্ছটায় স্বভাবিকভাবেই অনেকখানি ঢাকা পড়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু নিজের বিস্ময়কর বহুমুখী প্রতিভাবলেই নিজের দুর্ভাগ্যকে অতিক্রম করতে পেরেছিলেন। তিনি তাঁর কালেই দেশে বিদেশে যেভাবে সমাদৃত ও অভিনন্দিত হয়েছিলেন কালের বিচারে তা ছিল অভূতপূর্ব এবং বলা যায় ঈর্ষণীয়ও।

ঠাকুরবাড়ীর পরিশীলিত সাংস্কৃতিক পরিবেশে ধীরে ধীরে বেড়ে উঠছিলেন স্বর্ণ। তাঁর স্বতন্ত্র কিছু গুন পিতা দেবেন্দ্রনাথের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। ভোর হতে না হতেই বাগান থেকে আঁচল ভরে ফুল তুলতেন। প্রিয় ফুলগুলি পিতাকে উপহার দিতেন। পারতপক্ষে ছেলেরা বাবার কাছ না ঘেঁসলেও মহর্ষির কন্যাদের প্রতি ছিল স্নেহপূর্ণ সজাগ দৃষ্টি। রূপে গুনে অসাধারণ ব্যক্তিত্বময়ী স্বর্ণকুমারীকে ঠাকুরবাড়ীর সকলেই একটু অন্য চোখে দেখত। স্বর্ণকুমারী পিতার আদর, মায়ের স্নেহ, ভাইদের ভালোবাসা অর্জন করেছিলেন নিজগুনে। অন্তঃপুরেই তিনি শিক্ষালাভ করেছিলেন। মহর্ষী স্বর্ণকুমারীর একটি লেখা পড়ে পাশে লিখে দিয়েছিলেন, 'স্বর্ণ, তোমার লেখনিতে পুষ্পবৃষ্টি হউক'।

পিতার পরেই স্বর্ণকুমারীর হৃদয়ে যাঁর বিরাট আসনটি পাতা ছিল, তিনি সত্যেন্দ্রনাথ। ঠাকুরবাড়ীর মেয়েদের মধ্যে শিক্ষার যে বীজ দেবেন্দ্রনাথ বপন করছিলেন তাকে বাইরের আলো হাওয়া দিয়ে পল্লবিত করে তুলেছিলেন তাঁর মেজদা সত্যেন্দ্রনাথ। স্বর্ণকুমারী দেবী তাঁর একটি প্রবন্ধে বলেছেন 'বাড়ীর মেয়েরা সকলেই জানিত, মেজদার মত সহায় বন্ধু তাহাদের আর কেহ নাই; তাঁহার উপর সকলেরই বিশ্বাস ছিল অসীম।' স্বর্ণকুমারীর সঙ্গে মেজদাদা সত্যেন্দ্রনাথের আজীবন একটি অন্তরঙ্গ যোগ ছিল। স্বর্ণকুমারীর জীবনের অনেক অংশই কেটেছে তাঁর মেজদার কাছে প্রবাসে। মেজদার অফুরন্ত ভালোবাসা পেয়েছিলেন তিনি।

ভালোবাসা পেয়ছিলেন তাঁর জ্যোতিদাদারও। স্বর্ণকুমারীর সাহিত্যসাধনার প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ। তিনি বাড়ীর মেয়ে বউদের একত্র করে ইংরেজী গল্প তরজমা করে শোনাতেন। স্বর্ণও ছোট ছোট গল্প রচনা করে তাঁর জ্যোতিদাকে শোনাতেন। নতুনদা মানেই আড্ডা,আনন্দ, হুল্লোড়, গান, গল্প, কথকতা। পিয়ানো বাজিয়ে সুর তুলতেন, গান করতেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ। গান শুনে মোহিত হতেন স্বর্ণকুমারী। যোগ দিতেন দাদার সঙ্গে। ঠাকুরবাড়ীর মেয়েলি আড্ডা বা রান্নঘরের কাজে স্বর্ণকুমারী থাকতেন না। তিনি থাকতেন,পড়াশোনা, লেখালেখি, নিয়ে। সাহিত্য -সংগীতে ভাইবোনে ছিলেন কাছাকাছি। এমনি করে দাদাদের স্নেহ-আদরে বড় হতে লাগলেন স্বর্ণকুমারী। চলতে লাগল সাহিত্য-চর্চাও।

কৃষ্ণনগরে ব্রাহ্মধর্ম প্রচার করতে গিয়ে দেবেন্দ্রনাথ তাঁর কিশোরী কন্যা আদরের স্বর্ণের জন্য বর খুজে আনলেন। পাত্র জানকীনাথ ঘোষাল। জয়রামপুর গ্রামের জয়চন্দ্র ঘোষালের ছোট ছেলে। শিক্ষিত, সুদর্শন। সবচেয়ে বড় কথা মনটি তাঁর সংস্কার মুক্ত। চিরকালের জেদী এবং তেজী ছেলেকে জামাই করতে গিয়ে ঠাকুরবাড়ীর মেয়েকে বিবাহের দুটি শর্ত ( ব্রাহ্ম ধর্মে দীক্ষিত হওয়া এবং ঘর জামাই হয়ে থাকা) জলাঞ্জলি দিতে হল। তা হলেও ঠাকুরবাড়ী পেল একটি রত্ন। শুধু স্বর্ণকুমারী নয় জোড়াসাকোর ঠাকুর পরিবারের সকলের ভালোবাসা জয় করেনিলেন বিরাট হৃদয়ের এই মানুষটি। খুশি হলেন স্বর্ণ।সেই সঙ্গে খুশি ঠাকুরবাড়ির ছোট বড় সকলেই। বিয়ের পর স্বর্ণকে নিয়ে গেলেন জানকীনাথ শিয়ালদায় একটি বাড়ীতে।

বিপত্তি বাধল অন্য জায়গায়। মহর্ষির মেয়েকে বিয়ে করায় প্রাচীন ঋষিদের মত ক্রোধে জ্বলে উঠলেন জানকীনাথের পিতা জয়রাম ঘোষাল। ত্যজ্যপুত্র করলেন ছেলেকে। শুধু তাই নয়, দুহাতে সম্পত্তি ওড়াতে লাগলেন। ভবিষ্যতে ছেলের হাতে যেন না পড়ে। ছেলেও সমান ক্রোধালু। সে অন্যায় কিছু করেনি 'ঘোষালে রাগ' তাঁরও আছে। শুধুমাত্র সংস্কারের কাছে মাথা নোয়াতে তাঁর বিবেক অক্ষম। অবশেষে হার মানতে হল জয়রাম ঘোষালকে। বৌমা এবং নাতি নাতনীদের জন্য স্নেহের আসন পেতে দিলেন। উজাড় করে দিলেন ভালোবাসা। তাঁর পরাভবের মধ্যেই লুকিয়ে আছে স্বর্ণকুমারী এবং জানকীনাথের নিবিড় ভালোবাসার প্রমাণ।

জানকীনাথের চিরকালই মনটি ছিলসংস্কার মুক্ত । তাঁর স্বর্ণ সংসারের ঘেরাটোপে আটকা পড়ে যাক, এ তিনি চাননি। তাই নিজে যেবার আইন পড়তে বিলাত গেলেন স্বর্ণকে পাঠিয়ে দিলেন জোড়াসাঁকোয়। উদ্দেশ্য স্ত্রীর জীবনে সাহিত্য সংস্কৃতির আকর্ষণকে নিভে যেতে না দেওয়া। স্বর্ণ ফিরে এল জ্যোতিদাদার সান্নিধ্যে। সেদিন দুজনের মনে কি আনন্দ! আবার শুরু হল সাহিত্যচর্চা, গানের আসর। মনে সাহস আর উৎসাহ পেয়ে উপন্যাস রচনায় হাত দিলেন। জ্যোতিদাদার স্নেহানুকুল্যে "দীপনির্বান" নামে একটি উপন্যাস লিখে স্বর্ণকুমারী সে সময় সাহিত্যিক মহলে হৈচৈ ফেলে দিলেন। কিছুদিন পর 'পৃথিবী' নামে একখানি গভীর গবেষণা মূলক বই লিখে স্বর্ণকুমারী সকলের প্রশংসা অর্জন করেছিলেন। বাংলা সাহিত্যের আসরে তিনি আদায় করে নিলেন প্রার্থিত সম্মান-যা তাঁর পথচলাকে আরো সুগম করেছিল।

অন্তঃপুরে বসেই স্বর্ণকুমারী রচনা করলেন এক অপূর্ব গীতিনাট্য 'বসন্তোৎসব'। রবীন্দ্রনাথ তখন বিলাতে। জ্যোতিদাদার উৎসাহে সেটি অভিনীত হল। সেদিন সঙ্গীতের এক মহা হিল্লোলে হিল্লোলিত হল ঠাকুরবাড়ী। সাহিত্যচর্চার এই অভ্যাসটি স্বর্ণকুমারীর বিবাহ-পরবর্তী জীবনেও অব্যাহত থাক। সেই সঙ্গে যুক্ত হল সামাজিক, রাজনৈতিক, ও সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে তাঁর বিবিধ ও বিচিত্র সৃজনশীল কার্যকলাপ। নারীকল্যানে নিবেদিতপ্রাণা স্বর্ণকুমারী অনাথ, অসহায় বিধবাদের সমাজে পুনর্বাসনের জন্য স্থাপন করলেন সখিসমিতি' -সেটি পরবর্তীকালে কন্যা হিরন্ময়ীর প্রচেষ্টায় 'বিধবা শিল্পাশ্রমে' পরিনত হয়। তিনি আজীবন এগুলির সাথে যুক্ত ছিলেন। তাঁর স্বদেশপ্রীতি ও রাজনৈতিক সচেতনতার প্রমান মেলে সদ্যপ্রতিষ্ঠিত জাতীয় কংগ্রেসের পঞ্চম ওষ্ঠ অধিবেশনে প্রতিনিধি হিসাবে যোগদানে।

সাহিত্য সংসারে স্বর্ণকুমারীর বড় অবদান ১৮৮৪ তে 'ভারতী' সম্পাদনার দায়িত্ব নিয়ে উপন্যাস, গল্প, কবিতা,ও প্রবন্ধে 'ভারতী'র ডালি সাজানো। শুধু নিজের লেখা না, তিনি লেখক-গোষ্ঠীও তৈরী করে গেছেন। এই মহীয়সী মহিলা আঠারো বছর ধরে তখনকার ঐতিহ্যবাহী'ভারতী' পত্রিকার সম্পাদকের পদে আসীন ছিলেন-একজন মহিলার পক্ষে সহজ কথা নয়। সাহিত্যের সব শাখাতেই তিনি কলম চালনা করেছেন। লিখেছেন গল্প নাটক, প্রহসন, কবিতা গাথা, গান রম্যরচনা প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনী, গীতিনাট্য, স্মৃতিকথা, ভ্রমণ কাহিনী, স্কুল পাঠ্য বই- একজন মহিলার পক্ষে যা প্রায় অসম্ভবের পর্যায়ে পড়ে। এ অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন স্বর্ণকুমারী। সেই সময় Calcutta Review IndianMirror Sunday Mirror, Hindoo Patriot প্রভৃতি সাময়িক পত্র ও সংবাদপত্রগুলিতে তাঁর বইয়ের সুখ্যাতিমূলক সমালোচনা বের হয়েছিল।

স্বর্ণকুমারীর সুদীর্ঘ জীবন বাণী-সাধনায় সমুজ্জ্বল। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল :'দীপনির্বাণ', 'ছিন্নমুকুল', ' 'হুগলীর ইমামবাড়ী', 'স্নেহলতা', 'বিদ্রোহ', 'মিবাররাজ', 'ফুলের মালা', 'কাহাকে?' 'নবকাহিনী', 'মালতী' 'বসন্ত-উৎসব' 'গাথা', 'কবিতাও গান','কৌতুকনাট্যও বিবিধকথা' 'পৃথিবী' 'বল্যবিনোদ' 'গল্প-স্বল্প' 'বর্ণবোধ', 'দেব কৌতুক', 'বিবাহ উৎসব', 'কনেবদল', 'পাকচক্র', 'রাজকন্যা', 'নিবেদিতা','বিচিত্রা' 'স্বপ্নবাণী', 'যুগান্ত কাব্যনাট্য' 'মিলন-রাত্রি' ও'দিব্য-কমল'। 'গীতি -গুচ্ছ' ও'প্রেমগীতি' নামে দুখানা স্বরলিপির বই, ফুলের মালা এবং কাহকে?র ইংরেজি অনুবাদ যথাক্রমে The Fatal Garland এবংAn Unfinished Song. নামে প্রকাশিত হয়েছে।

স্বর্ণকুমারীর দুই মেয়ে। এক ছেলে। বড় মেয়ে হিরন্ময়ী। তারপর ছেলে জ্যোৎস্নানাথ। তারপরে সরলাদেবী। 'ভারতী' সম্পাদনার কাজে তিনি মেয়েদের সাহায্য পেয়েছিলেন। হিন্ময়ীর বিবাহ হয়েছিল রাজশাহীর অধ্যাপক ফনীভূষন মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। সরলার বিবাহ হয় পাঞ্জাবের আর্যসমাজ নেতা পন্ডিত রামভজ দত্তচৌধুরীর সঙ্গে। পুত্র জ্যোৎস্নানাথের বিয়ে হয় কেশব সেনের কন্যা কুচবিহারের মহারাণী সুনীতি দেবীর জ্যৈষ্ঠা কন্যা রাজকুমারী সুকৃতির সঙ্গে। জ্যোৎস্নানাথ বোম্বাই এবং পুনায় রত্নগিরি জেলার জজ ছিলেন। পরে বোম্বাই হাইকোর্টের বিচারপতি হয়েছিলেন। স্বর্ণকুমারীর আরো একটি কন্যাসন্তান ছিল। নাম তার উর্মিলা। ছোট্ট উর্মিলাকে নিঃসন্তান বৌঠান কাদম্বরী দেবী কন্যাস্নেহে পালন করছিলেন। উর্মিলা থাকত কাদম্বরীদেবীর সাথ ঠাকুরবাড়ির তেতালায়। সিড়ি থেকে পড়ে গিয়ে শৈশবেই উর্মিলার মৃত্যু হয়। এই দুর্ঘটনা না ঘটলে ঠাকুরবাড়ীর ইতিহাস অন্যরকম হত। কাদম্বরী দেবী হয়ত অকালে সরে যেতে পারতেন না।

আলোক-বর্তিকা হাতে নিয়ে আগে আগে পথ দেখিয়ে স্বর্ণকুমারীকে যিনি নিয়ে যাচ্ছিলেন -সেই জানকীনাথ ঘোষাল মারা গেলেন। মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়লেন স্বর্ণকুমারী। সমস্ত ঝড়-ঝাপটা দুর্যোগ থেকে তাঁকে রক্ষা করে, সাহিত্যক্ষেত্রে সার্থক করে তুলতে তাঁকে এগিয়ে দিয়েছে জানকীনাথ ঘোষালের ভালোবাসা। এতদিন তাই পথের কাঁটাও বুঝি তাঁর পায়ের তলায় ফুল হয়ে ফুটে উঠেছে। স্বামী হারিয়ে অসহায় ক্লান্ত স্বর্ণকুমারী জীবনের সব আনন্দ যেন শেষ গেল। 'ভারতীর' দায়িত্বভার ছেড়েদিয়ে বাইরের পৃথিবী থেকে একপ্রকার নিজেকে সরিয়ে নিলেন। তাঁর কথায়, ".. এমন স্বামী পাওয়া বহুপুণ্যের ফল: চিরদিন আমার সুখ কিসে হবে তাই দেখেছেন..এমন স্বমীকে কি করে ভুলবো।" না। তিনি ভুলতে পারেননি। পরজন্মে আবার স্বামীর সাথ মিলিত হবেন-এই বিশ্বাস নিয়ে তিনি চলে গেলেন ৩রা জুলাই ১৯৩২।

বঙ্গীয় সাহিত্য জগতে এমন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী রমনীব্যক্তিত্ব দ্বিতীয় আর নেই। প্রায় ছ'দশক জুড়ে সাহিত্য সৃষ্টির কাজে নিজেকে ব্যপৃত রেখেছিলেন। ইঁহার পূর্বে অন্য কোন মহিলা বাংলা ভাষায় উপন্যাস গীতিনাট্য,অথবা বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ লিখেছেন বলে মনে হয় না। তিনি ছিলেন 'ভারতী'র মত প্রথম শ্রেনীর একটি মাসিক পত্রিকার সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে সফল এডিটর। এতবড় মাপের একজন সাহিত্যিক-সম্পাদক ও তাঁর সৃষ্টি সম্পর্কে আমরা কতটুকু জানি? স্বীকার করতেই হয়, না, জানিনা। এ আমাদের পরিতাপ ও লজ্জার কথা। তাঁকে নতুন করে আবিষ্কার করা, তাঁর সৃষ্টির নতুন করে মূল্যায়ণ করা, তাঁর যোগ্য আসনে তাঁকে সুপ্রতিষ্ঠিত করা আমাদের কালের কর্তব্য।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------বই:--
"স্বর্ণকুমারী দেবী -স্বতন্ত্র এক নারী: সম্পাদনা অমিত্রসূদন ভট্টাচার্য।
"স্বর্ণকুমারী দেবী":-মীনা চট্টোপাধ্যায়।
"স্বর্ণকুমারী দেবী":-শ্রী ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়।
"যাদের সংস্পর্শে এসেছি": জ্যোতিষচন্দ্র ঘোষ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন