বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

অশোকস্তম্ভ





অশোকস্তম্ভ



অশোকস্তম্ভ, সম্রাট অশোক কর্তৃক নির্মিত প্রস্তরস্তম্ভ !

অশোকস্তম্ভের শীর্ষে রয়েছে তিনটি সিংহমূর্তি !

তিনটি সিংহমূর্তির মাঝখানে রয়েছে তিনটি চক্র !

স্তম্ভটি স্বাধীন ভারতের সরকারি প্রতীক চিহ্ন !

অশোকচক্র, স্বাধীন ভারতের জাতীয় পতাকায়, স্থান পেয়েছে !

অনেকে বলেন, তাতে,  ভারতের জাতীয় পতাকার,  সৌন্দর্য বেড়েছে !

সম্রাট অশোক মৌর্য বংশের তৃতীয় রাজা !


স্বাধীন ভারতের, সরকারি প্রতীক চিহ্ন, এবং, স্বাধীন ভারতের জাতীয় পতাকায় স্থান পাওয়া,  দুইটি বিষয়ই,  সম্রাট অশোক এবং বুদ্ধদেব পেয়েছেন !

ভারতে এখনও, বৌদ্ধধর্মের জয়জয়কার !
বৌদ্ধধর্মের জয়জয়ন্তী !

হিন্দুরা, এখন কেবল, লবডঙ্কা চুষছেন !

ভারত স্বাধীন হ্ওয়ার সময়, যাঁরা ক্ষমতার শীর্ষবিন্দুতে ছিলেন, তাঁরা, হিন্দুদের ঠকিয়েছেন !

বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

ইরান


ইরান

ফেসবুক থেকে শেয়ার করেছেন                          প্রণব কুমার কুণ্ডু।


সমস্ত ইরান ছিল আর্য সভ্যতার লীলাভূমি




 সমস্ত ইরান ছিল আর্য সভ্যতার লীলাভূমি


ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলাম প্রসারের ইতিহাস  (পর্ব-২৬)


হজরত মুহাম্মদের আচরণ, এই সমস্ত ঘটনা থেকেই, জেহাদে ইসলাম প্রসারের অঙ্গরূপে, দেব মন্দির ও দেব প্রাতিমা ধ্বংস অবশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি গজনীর সুলতান, 
মাহাম্মুদ প্রভৃতি ইসলামিষ্ট সুলতানগণ, দেব প্রতিমা ধ্বংসের সময় কোরানের সেই আয়াতটিই উচ্চারণ করতেন,  যা কাবা গৃহের দেব প্রতিমা ধ্বংসের সময় সগর্জনে আউয়েছিলেন মুহাম্মদ নিজে। এম এস পিকথলের অনুবাদে- "Truth hath come and falsehood hath vanished away. Lo! Flasehood is over bound to vanish" (Koran-17/81)

একই সঙ্গে আমাদের মনে রাখতে হবে ফিরজ শাহ তোঘলক সিকান্দার, লোদী,
আওরঙ্গজেব প্রমুখ ভারতীয় শাসনকর্তাগণ হযরত মুহাম্মদের সুন্না প্রয়োগ করেই কোট
কোটি লোককে ইসলামে দীক্ষিত হতে বাধ্য করেছিল। ইরানেও এমনটি হয়েছিলো। সমস্ত ইরান ছিল আর্য সভ্যতার লীলাভূমি। মুসলমানরা, ৬৫১ খৃষ্টাব্দেই, ইরান দখল করে, 
হিন্দুদের দেব মন্দির সমূহ ধ্বংস করে দিয়েছিল;  এবং জোর করে ইসলামে দীক্ষিত হতে বাধ্য করেছিল। যারা ইসলাম গ্রহণ করেনি, তারা পালিয়ে যায়। এ সময় শেষ আর্য সম্রাট আপ্তেস্বর (যর্জাদিগিদ) ইরান থেকে পালিয়ে খোরাসানে চলে যান। যারা জাননি (অগ্নি উপাসক আর্যরা), খৃষ্টীয় নবম শতাব্দীর মধ্যভাগে, খলিফা আল-মুতারক্কিলের সময় (৮৪৭-৮৬১ সালে),  তারা চরমভাবে নির্যাতিত হন। অনেকে ইরানের পূর্ব দিকে পার্বত্য কোহিস্থানে পালিয়ে গিয়ে আত্মরক্ষা করেন। অনেকে আরব সাগর পাড়ি দিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। বর্তমানে ভারতের অগ্নি উপাসকরা তাদেরই বংশধর। বাকিরা, কুল কিনারা না পেয়ে, ইসলামে দীক্ষিত হতে বাধ্য হয়।
(সূত্র- পারস্য সাহিত্য পরিক্রমা, পার্বতীচরণ চট্টোপাধায়,)

পৃথিবীর অন্যান্য দেশের প্রাথমিক ইসলামের ইতিহাসও প্রায় একই রকম। এখানে একটা কথা বলা আবশ্যক। ইদানীং কিছু লেখক বলে থাকেন, হিন্দুরা ভারত থেকে বৌদ্ধদের তাড়িয়ে দিয়েছে। এ ব্যপারে ভীমরাও রমজী আম্বেদকর বলেছেন, "ইসলামের জন্ম হয়েছে 'বুত' বা 'বুদ্ধের' শত্রু হিসেবে। শুধু ভারতেই নয়, পৃথিবীর যেখানে ইসলাম গেছে, সেখানেই তারা বৌদ্ধদেরে ধ্বংস করেছে।

তাঁর ভাষায়--

"Islam came out as the enemy of the 'Butt. The word 'But' as every-  body knows is an Arabic word and means an idol. Not many people  however Imow what the derivation of the word 'But' is. 'But' is the Arabic  corruption of Buddha. Thus the origin of the word indicates that in the  Moslem mind idol worship had come to be indentified with the religion of  Islam destroyed Buddhism not only in India but wherever it  Buddha  went ". Dr Babasäheb B.R. Ambedkar's Writings and Speeches, Published  by Govt. of Maharastra, Vol. 3, p- 229-230)



মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

কৈলাশ


কৈলাশ


শেয়ার করেছেন,               ফেসবুক থেকে,                প্রণব কুমার কুণ্ডু।


উচ্চতা কম হওয়া স্বত্বেও আজও কেন কেউ উঠতে পারেননি মহাদেবের কৈলাশ পর্বতে?
ভগবান শিবের বাসস্থান কৈলাশে। পুরাণের গল্পের মাধ্যমে সকলের এই তথ্য জানা। কিন্তু বাস্তবে কৈলাশ পর্বত নিয়ে রয়ে গেছে অনেক প্রশ্ন। পবিত্র কৈলাস পর্বতের উচ্চতা ৬৬৩৮ মিটার যা উচ্চতায় মাউন্ট এভারেস্টের(৮৮৪৮ মিটার) থেকে প্রায় ২২১০ মিটার কম। মাউন্ট এভারেস্টে মানুষের পা পড়লেও কেন কৈলাশ নিয়ে এত রহস্য? কৈলাশকে কেন অলৌকিক স্থান বলে মনে করা হয়?
এমন নয় যে কেউ এই পর্বতে ওঠার চেষ্টা করেনি, তবে নানা কারণে তারা পর্বতের শিখর পর্যন্ত পৌছাতে পারেনি। এই পর্বতে ওঠার চেষ্টা করা অনেকেই নিজেদের নানা অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। কেউ বলেন যে চূড়ার কাছাকাছি পৌঁছাতেই হঠাৎ করে ঝড় শুরু হয়ে যায়, আবার কেউ বলে যে হঠাৎ তার মনে হতে লাগে যে তার মৃত্যু হতে চলেছে তাই তাড়াতাড়ি নীচে নেমে আসে। তবে এগুলো সব চমৎকার না বিজ্ঞান তার কোন সঠিক উত্তর আজও বিজ্ঞানীরা দিতে পারেনি।
শোনা যায় বরফে ঢাকা এই কৈলাস পর্বত ছিল আদিযোগী শিব ও তাঁর সঙ্গী শক্তির বাসস্থান। কে এই আদিযোগী শিব? যোগী সংস্কৃতিতে শিবকে ভগবান বলে নয়, একজন যোগী হিসেবেই মানা হয়। যোগসাধনার আরম্ভ করেছিলেন আদিযোগী শিব। যোগীরা মনে করেন প্রায় ১৫ হাজার বছর আগে আদিযোগী শিব হিমালয়ের উপর উদ্দাম নৃত্য নেচে নিজেকে যোগী হিসেবে পরিপূর্ণ রূপ দিয়েছিলেন। দীর্ঘ তপস্যা ও যোগ সাধনা করে নিজেকে জ্ঞানে সমৃদ্ধ করেছিলনে এবং পার্থিব আকাঙ্খা থেকে মুক্ত করেছিলেন।
হিন্দু নদ, শতদ্রু নদ, ব্রহ্মপুত্র নদ, কর্নালি নদী বেষ্টিত এই কৈলাশকে হিন্দুরা সবথেকে পবিত্র পর্বত বলে মনে করেন। এই পর্বতের আর একটি রহস্যময় দিক হল এই পর্বতটি দেখলে মনে হয় যেন বিশাল এক পিরামিড। রাশিয়ার বিজ্ঞানী কৈলাশ সম্পর্কে বলেছিলেন যে এটি আসলে কোনও পর্বত নয়। কোনও মানুষের তৈরি বিশাল পিরামিড। কিন্তু এত বড় পিরামিড তৈরি করবেন এমন মানুষ কী পৃথিবীতে কোনও দিন ছিলেন? এই নিয়েও প্রশ্ন থেকে গিয়েছে মানুষের মধ্যে।
কৈলাশে পর্বতে গেলে নাকি দ্রুত গতিতে বয়স বাড়ে। বিগত কয়েক বছরে কেউ কৈলাশে পৌঁছতে পারেননি। বর্তমানে জীবিতদের মধ্যে পৌঁছেছিলেন শুধু তিব্বতের সাধু মিলারেপা। উচ্চতম পর্বত শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টে যারা চড়েছেন, তারা পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছেন কৈলাশে উঠতে। তিনিই জানিয়েছেন কীভাবে যেন চোখের নিমেশে বয়স বেড়ে যায়। দু’সপ্তাহে যে বয়স বাড়ে, তা যেন ১২ ঘন্টাতেই কৈলাশের উপর বেড়ে যায়। কী করে এমন সম্ভব তার হদিস এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। শোনা যায় যে কৈলাশ নাকি নিজের অবস্থান পরিবর্তন করে প্রায়। সেজন্যই কৈলাশের শৃঙ্গে বহু মানুষ পৌঁছতে ব্যর্থ হয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা অনেকেই বলেন যে এই পর্বতে বিশেষ চুম্বকীয় এলাকা আছে যার কারনে সেখানে কম্পাস কাজ করে না। অনেক পররবতারোহী এও দাবী করেছেন যে কৈলাস পর্বতে সময় খুব দ্রুত শেষ হয়ে যায় । হিন্দু, বৌদ্ধ এবং জৈনদের পবিত্র স্থান হওয়ায় অবশেষে ২০০১ সালে চিন এই পর্বতে ওঠার ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
মানস সরোবর (গড লেক) এবং রাক্ষস তাল সরোবর (এভিল লেক) ঘিরে রয়েছে কৈলাশকে। কৈলাশের পাশে এই জোড়া সরোবর থাকারও একটি কারণ আছে। প্রত্যেকের মধ্যেই ভালো এবং খারাপ রয়েছে। অশুভ বা শয়তান বলে কিছু হয় না। এসবই মানুষের মধ্যে বিরাজ করে। হিন্দু যোগস্বাস্ত্রে কৈলাশের পাশে এই সরোবর দুটিকে এভাবেই ব্যাখ্যা করা হয়।
কৈলাশ যখন বরফ পড়ে তখন তা ‘ওম’ চিহ্নের আকার নেয় বলে শোনা যায়। এর পিছনে তা এখনও অজানা। ‘ওম’ ধ্বনিকে হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈনদের সবথেকে পবিত্র ধ্বনি বলে মনে করা হয়। শুধু ওম নয়, স্বস্তিকা চিহ্নেরও অস্তিত্ব পাওয়া যায় এই কৈলাশে। রোজ সন্ধ্যায় যখন সূর্য অস্ত যায় তখন কৈলাশের উপর একটি ছায়া পড়ে। এই ছায়া ‘স্বস্তিকা’ চিহ্নের আকার নেয়। মনে করা হয় সূর্য দেবতা কৈলাশকে এই চিহ্নের মাধ্যমে সম্মান জানাচ্ছেন।

হিরোশিমার বনসাই


হিরোশিমার বনসাই

শেয়ার করেছেন                             প্রণব কুমার কুণ্ডু।               ফেসবুক থেকে।
হিরোশিমায়_বেঁচে যাওয়া প্রায় চারশ বছরের এক_বনসাই_গাছের_ইতিকথা।
–---------------------------------------------------
এই গাছের জন্ম তার চারশো বছর আগে, আনুমানিক ১৬২৫ সালে। ধীরে ধীরে বড় হয়ে উঠছিল জাপানের হিরোশিমা থেকে মাত্র ২ মাইল দূরে এক সম্ভ্রান্ত ইয়ামাকি পরিবারে। আজ এত বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও বেঁচে আছে বহাল তবিয়তে। বহু ইতিহাসের নি:শব্দ সাক্ষী। গত তিন শতক ধরে বিশ্বজুড়ে ঘটে গিয়েছে বহু ঘটনা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ অতিক্রম করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং সেখান থেকে শুরু করে লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর স্বাধীনতা প্রাপ্তি, বিশ্বজুড়ে ঘটে যাওয়া একের পর এক যুগান্তকারী ঘটনা— সব কিছুর সাক্ষী থেকেছে। প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের আঁচ তেমনভাবে না লাগলেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সাক্ষী হয়ে দেখেছে যুদ্ধের ভয়াবহ নির্মম পরিণতি।
#মানব সভ্যতার ইতিহাসে এক ভয়াবহ কলঙ্কের দিন ১৯৪৫ সালের ৬ই আগস্ট। তাইতো বারাক ওবামার কন্ঠের নির্মম স্বীকারোক্তিঃ “৭১ বছর আগে একদিন হিরোশিমার আকাশ থেকে মৃত্যু নেমে এসেছিল। মানবসভ্যতা যে চাইলে নিজেকেই ধ্বংস করতে পারে, সেদিন তা বোঝা গিয়েছিল। এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে।’’ এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে একদিকে যেমন মানব সভ্যতার কাছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ক্ষমা চাওয়া এবং তেমনি অপরাধবোধের কথাও ফুটে ওঠে।
#হ্যাঁ। আজ আপনাদের জানাবো সে ঘটনারই এক নীরব সাক্ষী ৩৯১ বছরের এক বনসাই বৃক্ষের অজানা কাহিনী।
#বনসাই অর্থাৎ বামন গাছ। তবে দেখতে ছোট হলেও এই গাছটির জীবনকাল অনেক দীর্ঘ। প্রায় ৪০০ বছরের বেশি বাঁচে এই গাছ। এই বনসাই অন্তত সেই সত্যেরই প্রতিধ্বনি করে। উচ্চতায় খাটো, একে জাপানিজ হোয়াইট পাইনও বলা হয়ে থাকে। কিন্তু প্রবীণ এই বনসাই গাছটি হিরোশিমা গাছ নামেই অধিক পরিচিত। প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো দিনের ইতিহাসকে বুকে লালন করে ঠাঁই উচ্চ শিরে দাঁড়িয়ে আছে এখনও। কেমন করে এই গাছ পারমাণবিক বোমার নিষ্ঠুর আঘাত থেকে বেঁচে গেছে, আর এখন সে কোথায়? কেমন আছে? তা জানতে আপনাদের চঞ্চল মন যদি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে তাহলে মনকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। কারণ মানুষই হচ্ছে সে জীব যে সবসময় অজানাকে জানতে, অ-দেখাকে দেখতে, ভয়কে জয় করতে চায়। আজ সে কাহিনী শোনাবো।
৬ই আগস্ট, ১৯৪৫ সাল। সময় আটটা বেজে ১৫ মিনিট। জীবিকার লক্ষ্যে ছুটে চলা হাজার হাজার মানুষের কেউ জানতেন না যে সেদিন তাদের জীবনে কী ভয়াবহ অন্ধকার নেমে আসছে। জাপানের রাজধানী টোকিও মহানগর থেকে ৫০০ মাইল দূরে হিরোশিমা নামক শহরের উপরে ঘটে গেলো পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম নৃশংসতা যা আজও ভাবলে যে কারো গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠবেই নিঃসন্দেহে।
প্রথম পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপে ইতিহাস সৃষ্টি করল যুক্তরাষ্ট্র। বোমাটির ডাকনাম যদিও ছিল ‘লিটল বয়’, তার কার্যক্রম কিন্তু মোটেও লিটল ছিল না, যেকোনো নির্মম ধ্বংসযজ্ঞকে হার মানায় সে। সেদিনের সেই ঘটনার জন্য আজও জাপানবাসীরা প্রতিনিয়ত মাশুল দিয়ে যাচ্ছে। বোমার তীব্রতার কারণে দুই কিলোমিটারের মধ্যে যতগুলো কাঠের স্থাপনা ছিল সব ক’টি মাটির সঙ্গে মিশে যায়। ৫০০ মিটার বৃত্তের মধ্যে আলিশান দালানগুলো চোখের পলকে ভেঙেচুরে ধুলিসাৎ হয়ে যায়।
৫ বর্গমাইল এলাকা মোটামুটি ছাই এবং ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। বোমা বিস্ফোরিত হওয়ার সময় হিরোশিমা নগরীর লোকসংখ্যা ছিল প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার। পারমাণবিক বোমার দাপটে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার অধিবাসীর মৃত্যু ঘটেছিল। আহত হয় আরও কয়েক লক্ষ মানুষ। শুধু তাই নয়, এই বিধ্বংসী পারমাণবিক বোমার অভিশাপের নির্মম শিকার হয় পরবর্তী প্রজন্মও। বেঁচে ফেরা অনেক পরিবারে জন্ম নিতে থাকে বিকলাঙ্গ শিশু।
হিরোশিমার যে এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটেছিল, সেখান থেকে মাত্র ২ মাইল দূরে থাকত ইয়ামাকি পরিবার। সেই সময় বনসাইটি ছিল ওই পরিবারের সঙ্গেই। বোমার আঘাতের তীব্রতায় এই পরিবারের বাসাবাড়ি সম্পূর্ণ তছনছ হয়ে যায়। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বৈদ্যুতিক সব সংযোগ। বিকল হয়ে পড়ে টেলিফোন লাইন। আশেপাশের পরিবারগুলোর যে কেউ, কাউকে সাহায্য করবে, সে অবস্থা পর্যন্ত তখন কারোই ছিল না। কিন্তু সৌভাগ্যের বিষয় হল, এত কিছুর পরও কোন এক অলৌকিক কারণে ওই বিস্ফোরণ থেকে কোনও মতে রক্ষা পান ইয়ামাকি পরিবার। বেঁচে গিয়েছিল সেই গাছটিও। বোমার চরম বিপর্যয়ের সাক্ষী হয়ে বেঁচে গেল সেই পরিবার আর তার সাথে এই বনসাই বৃক্ষটি। এরপর থেকে এই গাছের নাম হয়ে যায় হিরোশিমা বনসাই।

#এর পরের কাহিনী আরো চমকপ্রদ। ইতিহাস তার যোগ্যতম স্থান খুঁজে নেয়। এই কথার যৌক্তিকতা প্রমাণ করেন সেই ইয়ামাকি পরিবারের এক বংশধর মাসারু ইয়ামাকি। তিনি ১৯৭৫ সালে এই বনসাই বৃক্ষটিকে দান করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় উদ্যান ইউনাইটেড স্টেটস ন্যাশনাল আরবোরেটুম এ হিরোশিমা বনসাইকে রাখা হয়েছে। কিন্তু অতি আশ্চর্যের বিষয় এই যে, গাছটি যুক্তরাষ্ট্রকে দান করার সময় ইয়ামাকি পরিবারের তরফ থেকে সেদিন জানানো হয়নি, এই গাছটির সঙ্গে হিরোশিমার স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে।
🌳২০০৩ সালে মাসারু ইয়ামাকি পুত্র ইয়াসুয়ো ইয়ামাকি বনসাই গাছটি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন।
#কিন্তু কেন? কেনই বা তিনি বা তাঁর পরিবার গাছটিকে যুক্তরাষ্ট্রকে দিলেন? এ এক রহস্য যা এখনো উন্মোচন হয়নি। এ প্রশ্নের উত্তর এখনো তার কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। হয়ত তিনি বা তার পরিবার, এর মধ্য দিয়ে আমেরিকার নিষ্ঠুরতার কথা নীরবে জানান দিতে চেয়েছেন। হিরোশিমা বৃক্ষের মধ্য দিয়ে হিরোশিমার ঘটনা মানুষ মাঝে আবার নতুনভাবে জানতে পারবে, হয়তো বা পরবর্তী প্রজন্ম এই ঘটনা সারা পৃথিবীকে জানান দিবে এমন মনোবাসনা ছিল ইয়ামাকি পরিবারের।
ঠিক এই উদ্দেশ্যেই হয়তো ২০০১ সালে মাসারু ইয়ামাকির নাতিরা যখন এই গাছটিকে দেখতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসেন, সেদিন তারা সমগ্র বিশ্ববাসীর সম্মুখে আনলেন এই সত্য ঘটনা যা ঘটেছিল আজ থেকে ৭২ বছর আগে। কিন্তু ইতিহাস অনেকেই স্বীকার করতে চান না। বিশেষ করে, যারা এই ঘটনার জন্য প্রত্যক্ষভাবে দায়ী, সেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশানাল মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ ইয়ামাকি পরিবারের দেওয়া তথ্যকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করে এবং এই তথ্যকে ভিত্তিহীন বলে জানিয়ে দেয় যে, দু’দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব বাড়াতেই এই উপহার দিয়েছিলেন ইয়ামাকি পরিবার। ভবিষ্যত প্রজন্মই এই সত্যতার ভিত্তি খুঁজবে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত ইতিহাসের এক অংশীদার এই হিরোশিমা বৃক্ষ।
গাছ মানেই এক অর্থে জীবন। বাড়ির আঙিনায় কিংবা রাস্তার ধারে, বা মাঠের এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা গাছ যে শুধু দূষণ প্রতিহত করে তা কিন্তু নয়, যুগ যুগ ধরে বয়ে চলা এই ধরিত্রীর ইতিহাস সে অবলীলায় নি:শব্দে ধরে রাখে। পোড়া বাড়ির দেওয়াল ফুঁড়ে গজিয়ে ওঠা কিংবা রাস্তার ধারে গজিয়ে ওঠা বট-অশ্বত্থ বৃক্ষও বহু ক্ষয়ে যাওয়া পরিবারের ইতিহাসের সাক্ষী। মনে করিয়ে দেয় দীর্ঘ সময়ের অজানা নানান কথা। কিন্তু সেই গাছই যদি ৩৯১ বছরের পুরনো হয়, তাহলে প্রায় চার শতকের ইতিহাসেরও সাক্ষী হয়ে আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায়। আর সেজন্য এই হিরোশিমা গাছটিই এখন খবরের শিরোনামে।



রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

আবোল-তাবোল


আবোল-তাবোল

শেয়ার করেছেন                 প্রণব কুমার কুণ্ডু।
যে ভাষায় আমের নাম হিমসাগর
আর গ্রামের নাম বীরসিংহ
ফুলের নাম অপরাজিতা
আর দুলের নাম ঝুমকো
পাখির নাম বউকথাকও
আর ফাঁকির নাম দেশভাগ
মিষ্টির নাম বালুসাই
আর বৃষ্টির নাম ইলশেগুঁড়ি
মাছের নাম রূপচাঁদা
আর গাছের নাম শিশু
কবির নাম জীবনানন্দ
আর ছবির নাম সাড়ে চুয়াত্তর
কাজির নাম নজরুল
আর পাজির নাম পাঝাড়া
ঋতুর নাম হেমন্ত
আর থিতুর নাম বিবাহিত
মাসের নাম শ্রাবণ
আর ঘাসের নাম দূর্বা
গানের নাম ভাটিয়ালী
আর ধানের নাম বিন্নি
খেলার নাম গোল্লাছুট
আর ঠেলার নাম বাবাজি
সুরের নাম রামপ্রসাদি
আর গুড়ের নাম নলেন
রেলের নাম কাঞ্চনকন্যা 
আর তেলের নাম জবাকুসুম 
দাদার নাম ফেলু 
আর ধাঁধার নাম শুভঙ্করী
হাসির নাম খিলখিল 
আর বাঁশির নাম মোহন
যুদ্ধের নাম মুক্তি 
আর বুদ্ধের নাম অমিতাভ
প্রেমের নাম দেবদাস 
আবার প্রেমের নাম পরকীয়া
নদীর নাম কীর্ত্তনখোলা 
আর যদির নাম দিবাস্বপ্ন
রোগের নাম সন্ন্যাস 
আর যোগের নাম মণিকাঞ্চণ 
সাপের নাম শঙ্খচূড় 
আর বাপের নাম আপনি বাঁচলে ..
তাকে ভালো না বেসে পারি?


ভাবা যায়,
এই রূপসী বাংলার
মধুমাখা ভাষা নিয়ে
কী মিষ্টি সব বচন

একেবারে বাণী হয়ে ঘুরছে
অন্তর্জালে
অনেকটা ভাইরালের মতন।

মাতৃভাষার একান্ত ভক্ত
বন্ধু শিশির রায়
করেছেন
এমন মধুর সম্ভাষণ!

একটুও বাড়িয়ে বলা নয়,
আসলে এই তো আমাদের বাংলাভাষা
হৃদয়ের স্পন্দন


শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

চৈতালির কবিতা


চৈতালির কবিতা




চৈতালির কবিতা



Chaitali Chowdhury  my father    অনুভব করছেন।
আমার বাপি

বাপি বাপি বাপি!
তুমি কি খুব রাগী নাকি??
সবাই বলে, তুমি যেনো কেমন!
আমার মতে মানুষ যেমন, তেমন।
সহজ সোজা সরল পথে,
কাজ করতে নিজের মতে।
রোজ সকালে নিয়ম করে,
ট্রেন ধরতে কাকভোরে ।
দুই হাতে দুই ব্যাগ বয়ে,
জীবনভোর কষ্ট সয়ে।
আজকে তুমি বৃদ্ধ যখন,
মেজাজ হারাও যখন তখন ।
তবুও তুমি আমার বাপি,
সঙ্গে শুধু ভাই কে রাখি।
সুস্থ থাকো শান্ত থাকো,
নিজেকে একটু সামলে রাখো।
ছোট্ট মণি কোলে চড়ে ,
তোমার গলা জড়িয়ে ধরে। ,
লুকিয়ে বলে, 'টুটি, বাপি টুকি '
আজকে দাও না পড়ায় একটু ছুটি।
তোমার শাসন মাথায় করে,
চলবো সোজা রাস্তা ধরে।
আমি এখন দূরে থাকি,
তোমায় কেবল মনে রাখি।
হাসলে তুমি আমার বাপি,
রাগলে তোমার সঙ্গে থাকি।।

মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

শরৎ চ্যাটুজ্যে


শরৎ চ্যাটুজ্যে

শেয়ার করেছেন, ফেসবুক থেকে, প্রণব কুমার কুণ্ডু।

শরৎচন্দ্র মারা গেছেন প্রায় আশী বছর আগে। এখন ওনাকে নিয়ে কিছু খুলাখুলি আলোচনা হতেই পারে। শরৎচন্দ্র ও রবীন্দ্রনাথ , দুজনে এমন মাপের মানুষ, যাদের নিয়ে বহু লোক সারা জীবন পড়াশোনা করে গিয়েছেন। তবে রবীন্দ্রনাথের পড়ুয়া সংখ্যা আমার মনেহয় বিশ্বে সর্বাধিক। এত বেশী বিদেশী ভাষাভাষী, একক একজন লেখককে নিয়ে পড়াশোনা করেননি।
শরৎচন্দ্রের সঙ্গে পাঠকের সম্পর্কটা ওয়ান ইজ টু ওয়ান। মাঝে না ছিল কোন প্রচার, না ছিল বিজ্ঞাপন। বাঁধা ছিল বিস্তর, তার উপর,পথের দাবী, বাজেয়াপ্ত হলে, সাধারন মানুষ, শরৎ চন্দ্র সম্পর্কে ভয় পেয়ে গেলো। লোকের মূখে মূখে শরৎ চন্দ্র বাংলার কোনে কোনে পৌছে গেলেন।
এখন জানতে ইচ্ছে করে উনি মানুষ হিসাবে কেমন ছিলেন?
আমি শরৎ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শ্যাম সুন্দর বন্দোপাধ্যায় কে খুব কাছ থেকে দেখার সূযোগ পেয়েছি। উনি শরৎ চন্দ্রকে দেবতা জ্ঞানে শ্রদ্ধা করতেন।বাংলায় ডক্টরেট করেন শরৎ চন্দ্রের উপর লিখে। ওনার একটি বই শরৎ চেতনা। বইটির একটি কপি, আমার মা কে উপহার দিয়েছিলেন। আমার মা ও বাংলার শিক্ষিকা ছিলেন।
বইটি পড়ে আমি শরৎ চন্দ্রের ব্যক্তিগত জীবন কিছু জানতে পারি। ডঃ শ্যাম সুন্দর বন্দোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ঐ, শরৎ চেতনা, ই একটু ঘষে মেজে ওনার ডক্টরেট ডিগ্রী হয়েছিলো।
শরৎ চন্দ্র ও রবি ঠাকুরের একটু বিবাদ হয়, পথের দাবীকে অবৈধ ঘোষনা করা নিয়ে। রবি ঠাকুর এক পত্র দেন শরৎ চন্দ্রকে। বিষয়টা পথের দাবী প্রকাশে ওনার আপত্তি। শরৎ চন্দ্র একটু কড়া জবাব দেন।তবে পত্রবাহক শরতের পত্র বিশ্বকবিকে দেন নি।
এ সম্পর্কে শ্যাম সুন্দর ব্যানার্জীর বক্তব্য - বাপ জ্যাঠার বিবাদে সন্তানের কথা বলা অনুচিত।
শরত মারা গেলে, ব্রাহ্ম সমাজের মূখপাত্র, এক লাইন খবর ছাপে - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় নামক এক লেখক পরলোকে।
শরতের চরিত্রহীন, প্রকাশিত হলে, রবি ঠাকুরের উক্তি - এত দিনে চরিত্রহীনের চরিত্র বোঝা গেলো। উত্তরটা শরত দেন, ভ্রাতা ও ভগিনী মিলনে যে বালকের সৃষ্টি, তাহা টিকিলো না,টিকিতে পারেনা।রবি ঠাকুর ও তার বোন একটি পত্রিকা প্রকাশের চেষ্টা করে, যা কয়েক সংখ্যার পর, বন্ধ হয়ে যায়। নাম বালক।
শরত বর্মায় ১৯০৬ সালে শান্তি দেবীকে বিয়ে করেন, তার একটি পুত্র সন্তান হয়। দুজনে প্লেগে ১৯০৮ এ মারা যায়।
দুঃখে উনি ফিরে আসেন। তারপর হাওড়ায় মোক্ষদা,উনি নাম দেন হিরন্ময়ী, নামে এক মহিলার সঙ্গে থাকেন, ১৯১০.থেকে।তখন ওনার বয়স চৌত্রিশ। ওনাকে নাকি বিয়েই করেন নি।তবে এক নিষ্ঠভাবে ভালোবেসেছিলেন, সে নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
শরত বাবুর সঙ্গে বিপ্লবীদের গোপন যোগাযোগ ছিলো।উনি দেশপ্রেমী বিপ্লবীদের সমর্থন করায় অনেকে ওনাকে সমালোচনা করতো।উনি নোবেল পাননি। অথচ বহু নোবেল জয়ী ওনার ধারে কাছে আসে কিনা, সন্দেহ আছে।১৯৭৫ নাগাদ দেশ পত্রিকায়, সাহিত্যে নোবেল লরিয়েট দের লেখা, ধারাবাহিক প্রকাশিত হতো, পড়ে যতটুকু বুঝেছি,, শরতচন্দ্র কারুর থেকে কম নন। তবে পথের দাবীর একটি লাইন মনে আছে - সাপটা তোমাকে অকারনে ছোবল মারিবেনা, উহা ইংল্যান্ড হইতে আসে নাই।
সমালোচক রা শরতচন্দ্রকে দুশ্চরিত্র, খারাপ পাড়ার খদ্দের বলতেও ছাড়েন নি। এসম্পর্কে শরতের বক্তব্য, যাকে ভালোবাসিনা, তাকে ভোগ করার কথা চিন্তাও করিনা।
ওনার মত স্পষ্টবাদী মানুষকে ভরসা করা যেতেই পারে। হয়তো গিয়ে মদ্যপান করতেন। সম্পর্ক তৈরী করলে, ওনার লেখায় প্রকাশ পেতো।
মৃত্যুর পর সম্পত্তি ছিলো সামান্য। বই লিখেও ঠকে গেছেন। এনারা বাঙালীকে শুধু দিয়েই গেছেন। বিনিময় নেননি কিছুই।পাঠকের শ্রদ্ধাটাই এনাদের সেরা পাওনা

Soumen Dutta খুব সুন্দর পোস্ট। ধন্যবাদ
পরিচালনা করুন



Laboni Kundu রামের সুমতি...মেজদিদি....চন্দ্রনাথ,...অরক্ষনাীয়া....গগৃহদাহ ---- পড়ার সময় যখন কেঁদে ফেলি তখন অন্তঃস্থলের সাম্রাজ্যের সম্রাট তিনি., নোবেল সেখানে তুচ্ছ ,...
পরিচালনা করুন



Prince Nandy শ্রদ্ধেয় শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে বেশি কিছু বলার ধৃষ্টতা আমার নেই,তবে বাংলা সাহিত্যে কথা সম্রাট একজনই ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন; ওঁনার 'ইন্দ্রনাথ ও শ্রীকান্ত' যে বয়সে পড়েছিলাম,সেটা ইন্দ্রনাথের মতোই দামাল বয়স ছিল,গল্পটা পড়ার সময় নিজেকে ইন্দ্রনাথ আর বাস্তবে সেই কাজগুলো করছি সেটাই মনে হত l লেখকের জয় তো এখানেই, যে পাঠককে গল্পের চরিত্রের সাথে মিলিয়ে দিতে পারে
1