ইরান
ফেসবুক থেকে শেয়ার করেছেন প্রণব কুমার কুণ্ডু।
সমস্ত ইরান ছিল আর্য সভ্যতার লীলাভূমি
সমস্ত ইরান ছিল আর্য সভ্যতার লীলাভূমি |
ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলাম প্রসারের ইতিহাস (পর্ব-২৬)
হজরত মুহাম্মদের আচরণ, এই সমস্ত ঘটনা থেকেই, জেহাদে ইসলাম প্রসারের অঙ্গরূপে, দেব মন্দির ও দেব প্রাতিমা ধ্বংস অবশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি গজনীর সুলতান,
মাহাম্মুদ প্রভৃতি ইসলামিষ্ট সুলতানগণ, দেব প্রতিমা ধ্বংসের সময় কোরানের সেই আয়াতটিই উচ্চারণ করতেন, যা কাবা গৃহের দেব প্রতিমা ধ্বংসের সময় সগর্জনে আউয়েছিলেন মুহাম্মদ নিজে। এম এস পিকথলের অনুবাদে- "Truth hath come and falsehood hath vanished away. Lo! Flasehood is over bound to vanish" (Koran-17/81)
মাহাম্মুদ প্রভৃতি ইসলামিষ্ট সুলতানগণ, দেব প্রতিমা ধ্বংসের সময় কোরানের সেই আয়াতটিই উচ্চারণ করতেন, যা কাবা গৃহের দেব প্রতিমা ধ্বংসের সময় সগর্জনে আউয়েছিলেন মুহাম্মদ নিজে। এম এস পিকথলের অনুবাদে- "Truth hath come and falsehood hath vanished away. Lo! Flasehood is over bound to vanish" (Koran-17/81)
একই সঙ্গে আমাদের মনে রাখতে হবে ফিরজ শাহ তোঘলক সিকান্দার, লোদী,
আওরঙ্গজেব প্রমুখ ভারতীয় শাসনকর্তাগণ হযরত মুহাম্মদের সুন্না প্রয়োগ করেই কোট
কোটি লোককে ইসলামে দীক্ষিত হতে বাধ্য করেছিল। ইরানেও এমনটি হয়েছিলো। সমস্ত ইরান ছিল আর্য সভ্যতার লীলাভূমি। মুসলমানরা, ৬৫১ খৃষ্টাব্দেই, ইরান দখল করে,
হিন্দুদের দেব মন্দির সমূহ ধ্বংস করে দিয়েছিল; এবং জোর করে ইসলামে দীক্ষিত হতে বাধ্য করেছিল। যারা ইসলাম গ্রহণ করেনি, তারা পালিয়ে যায়। এ সময় শেষ আর্য সম্রাট আপ্তেস্বর (যর্জাদিগিদ) ইরান থেকে পালিয়ে খোরাসানে চলে যান। যারা জাননি (অগ্নি উপাসক আর্যরা), খৃষ্টীয় নবম শতাব্দীর মধ্যভাগে, খলিফা আল-মুতারক্কিলের সময় (৮৪৭-৮৬১ সালে), তারা চরমভাবে নির্যাতিত হন। অনেকে ইরানের পূর্ব দিকে পার্বত্য কোহিস্থানে পালিয়ে গিয়ে আত্মরক্ষা করেন। অনেকে আরব সাগর পাড়ি দিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। বর্তমানে ভারতের অগ্নি উপাসকরা তাদেরই বংশধর। বাকিরা, কুল কিনারা না পেয়ে, ইসলামে দীক্ষিত হতে বাধ্য হয়।
আওরঙ্গজেব প্রমুখ ভারতীয় শাসনকর্তাগণ হযরত মুহাম্মদের সুন্না প্রয়োগ করেই কোট
কোটি লোককে ইসলামে দীক্ষিত হতে বাধ্য করেছিল। ইরানেও এমনটি হয়েছিলো। সমস্ত ইরান ছিল আর্য সভ্যতার লীলাভূমি। মুসলমানরা, ৬৫১ খৃষ্টাব্দেই, ইরান দখল করে,
হিন্দুদের দেব মন্দির সমূহ ধ্বংস করে দিয়েছিল; এবং জোর করে ইসলামে দীক্ষিত হতে বাধ্য করেছিল। যারা ইসলাম গ্রহণ করেনি, তারা পালিয়ে যায়। এ সময় শেষ আর্য সম্রাট আপ্তেস্বর (যর্জাদিগিদ) ইরান থেকে পালিয়ে খোরাসানে চলে যান। যারা জাননি (অগ্নি উপাসক আর্যরা), খৃষ্টীয় নবম শতাব্দীর মধ্যভাগে, খলিফা আল-মুতারক্কিলের সময় (৮৪৭-৮৬১ সালে), তারা চরমভাবে নির্যাতিত হন। অনেকে ইরানের পূর্ব দিকে পার্বত্য কোহিস্থানে পালিয়ে গিয়ে আত্মরক্ষা করেন। অনেকে আরব সাগর পাড়ি দিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। বর্তমানে ভারতের অগ্নি উপাসকরা তাদেরই বংশধর। বাকিরা, কুল কিনারা না পেয়ে, ইসলামে দীক্ষিত হতে বাধ্য হয়।
(সূত্র- পারস্য সাহিত্য পরিক্রমা, পার্বতীচরণ চট্টোপাধায়,)
পৃথিবীর অন্যান্য দেশের প্রাথমিক ইসলামের ইতিহাসও প্রায় একই রকম। এখানে একটা কথা বলা আবশ্যক। ইদানীং কিছু লেখক বলে থাকেন, হিন্দুরা ভারত থেকে বৌদ্ধদের তাড়িয়ে দিয়েছে। এ ব্যপারে ভীমরাও রমজী আম্বেদকর বলেছেন, "ইসলামের জন্ম হয়েছে 'বুত' বা 'বুদ্ধের' শত্রু হিসেবে। শুধু ভারতেই নয়, পৃথিবীর যেখানে ইসলাম গেছে, সেখানেই তারা বৌদ্ধদেরে ধ্বংস করেছে।
তাঁর ভাষায়--
তাঁর ভাষায়--
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন