গাংনাপুরের দেবগ্রাম
শেয়ার করেছেন প্রণব কুমার কুণ্ডু।
সমাজ বিবর্তন ও পুরাতত্ত্বের আলোকে নদীয়া জেলার এক বিলুপ্ত জনপদ-- দেবল রাজার গড় বা দেবগ্রাম।
একটি অদ্ভুত কিন্তু অবহেলিত জায়গা হচ্ছে দেবগ্রাম, জীবন্ত প্রত্নক্ষেত্র বলা যায়।এখানে ধানজমিতে চাষ করতে গেলে, লাঙ্গলের ডগায় উঠে আসে কোন সেই প্রাচীন, সম্ভবত পাল যুগের মূর্তি বা জলপ্রদীপ, সেন যুগের ঘর গেরস্থালির হাঁড়ি- কুঁড়ি অথবা সুলতানি আমলের সুরাপাত্র, হুঁকো, কলসি ইত্যাদি।মাটির সামান্য নিচেই অসংখ্য মৃৎপাত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নল পুকুর, বিল পাড়া, পন্ডে পাড়া প্রভৃতি অঞ্চলে।এইসব জায়গায় রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলে মাড়িয়ে যেতে হয় হাজার বছরের প্রাচীন ঐতিহাসিক সামগ্রী।পুকুর খুঁড়লে বেরিয়ে আসে বিশাল বিশাল পাথরের ব্লক, প্রাচীন ইট, সে ইট বিভিন্ন প্রকারের, ছোট থেকে শীল পাটার চেয়েও বড়।
এখানকার চাষিরা, জনমজুরেরা, সাধারণ মানুষেরা, বুঝে উঠতে পারছেন না, এই যে জিনিসগুলি উঠে আসছে, সেগুলি নিয়ে কি করবে তাঁরা।কিন্তু এটুকু তাঁরা খুব ভালো করে বুঝতে পারছেন, এসব জিনিষ অতি প্রাচীন, যতক্ষণ না সরকার বা কোনো বিশ্ববিদ্যালয় অধিগ্রহণ করছে, ততদিন এদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
শুনলে আশ্চর্য হবেন, গ্রামের মানুষেরা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে একটা আস্ত প্রত্নতাত্ত্বিক সংগ্রহশালা বানিয়ে ফেলেছেন।এদের সঙ্গে আছেন কয়েকজন উৎসাহী তরুণ ও যুবক যেমন ডা: বিশ্বজিৎ রায়, সঞ্জয় ভৌমিক, অনির্বান বসু, দেবজিৎ বিশ্বাস ইত্যাদি।
প্রতিদিনই কেউ না কেউ, কিছু না কিছু জিনিষ দিয়ে যাচ্ছে, এতে করে সংগ্রহশালায় আর নতুন করে কিছু রাখার স্থান অকুলান হয়ে গেছে।
সমগ্র দেবগ্রামবাসীরা অতিশয় উৎসাহী এই ঐতিহাসিক সম্পদ গুলি বাঁচাতে, কিন্তু বিদ্যোৎসাহী পন্ডিতেরা এবং পুরাতাত্ত্বিক কর্তৃপক্ষ এগিয়ে না এলে এভাবে বেশিদিন চলতে পারে না।দরকার বিজ্ঞান সম্মত খনন, সংরক্ষণ এবং বিশেষজ্ঞের মতামত।
এখানে পৌঁছাতে গেলে, সরাসরি চাকদহ বা রানাঘাট স্টেশনে এসে নেমে, যাওয়া যায়।ডা: বিশ্বজিৎ রায়-এর ব্যক্তিগত ভাবে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন , দেবগ্রাম নিয়ে অবহিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।আশায় রইলাম দেবগ্রামে একদিন চন্দ্র কেতুগরের মতন কর্মকান্ড শুরু হবে।
এখানে চাষিরা জমির মধ্যে যেসব জিনিষ পেয়েছেন, তার গুটিকয়েক ছবি তুলে ধরছি।এগুলি তাঁদের সংগ্রহশালায় রাখা আছে।
এখানকার চাষিরা, জনমজুরেরা, সাধারণ মানুষেরা, বুঝে উঠতে পারছেন না, এই যে জিনিসগুলি উঠে আসছে, সেগুলি নিয়ে কি করবে তাঁরা।কিন্তু এটুকু তাঁরা খুব ভালো করে বুঝতে পারছেন, এসব জিনিষ অতি প্রাচীন, যতক্ষণ না সরকার বা কোনো বিশ্ববিদ্যালয় অধিগ্রহণ করছে, ততদিন এদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
শুনলে আশ্চর্য হবেন, গ্রামের মানুষেরা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে একটা আস্ত প্রত্নতাত্ত্বিক সংগ্রহশালা বানিয়ে ফেলেছেন।এদের সঙ্গে আছেন কয়েকজন উৎসাহী তরুণ ও যুবক যেমন ডা: বিশ্বজিৎ রায়, সঞ্জয় ভৌমিক, অনির্বান বসু, দেবজিৎ বিশ্বাস ইত্যাদি।
প্রতিদিনই কেউ না কেউ, কিছু না কিছু জিনিষ দিয়ে যাচ্ছে, এতে করে সংগ্রহশালায় আর নতুন করে কিছু রাখার স্থান অকুলান হয়ে গেছে।
সমগ্র দেবগ্রামবাসীরা অতিশয় উৎসাহী এই ঐতিহাসিক সম্পদ গুলি বাঁচাতে, কিন্তু বিদ্যোৎসাহী পন্ডিতেরা এবং পুরাতাত্ত্বিক কর্তৃপক্ষ এগিয়ে না এলে এভাবে বেশিদিন চলতে পারে না।দরকার বিজ্ঞান সম্মত খনন, সংরক্ষণ এবং বিশেষজ্ঞের মতামত।
এখানে পৌঁছাতে গেলে, সরাসরি চাকদহ বা রানাঘাট স্টেশনে এসে নেমে, যাওয়া যায়।ডা: বিশ্বজিৎ রায়-এর ব্যক্তিগত ভাবে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন , দেবগ্রাম নিয়ে অবহিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।আশায় রইলাম দেবগ্রামে একদিন চন্দ্র কেতুগরের মতন কর্মকান্ড শুরু হবে।
এখানে চাষিরা জমির মধ্যে যেসব জিনিষ পেয়েছেন, তার গুটিকয়েক ছবি তুলে ধরছি।এগুলি তাঁদের সংগ্রহশালায় রাখা আছে।
এই দেবগ্রাম, গাংনাপুর-এর দেবগ্রাম ! পলাশী'র আগের দেবগ্রাম নয় !
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন