দিব্যদৃষ্টি ( দুই ) ( গদ্য )
আমি স্বাধীন ! যেখানে আমার প্রাণের কিছুমাত্র সংকোচ উপস্থিত হয় না, বা মনের সংকোচনও হয় না, তিনি আমার মা।
আমার মা জননী !
তিনি জগজ্জননীও।
তাঁর কাছে, আমার পূর্ণ স্বাধীনতার ক্ষেত্র।
এই বুড়ো বয়সেও, মায়ের দুদু খেলেও, উনি কিচ্ছুটি বলেন না !
তিনি যে আমার মা !
আমার মা জননী।
তিনি আমাকে পুরোপুরি দেখেন ! ভালোভাবে দেখেন !
কারণ, দুইটির জায়গায়, তাঁর, তিনটি নেত্র !
মাঝেরটি আবার উল্লম্ব।
ঊর্ধ্বঅধঃভাবে খাড়া।
তাই দিয়ে উনি, তফাত করেন, মানুষ এবং ভেড়া !
আমার মায়ের আবার, তৃতীয় নয়নের, চোখের পাতাই নেই !
তাই তাঁর তৃতীয় নয়নের, ভিশন-ই আলাদা !
ঝড়বৃষ্টিতেও, তাঁর দৃষ্টি।চব্বিশ ঘন্টাই দৃষ্টি।
দারুণ দুরদৃষ্টি !
একদম স্বচ্ছ দৃষ্টি।
চশমাই লাগে না !
নেত্রপল্লবের ভেতরে, প্ল্যাসটিকের পরকলা, বা, কনট্যাক্ট্ লেন্সসেসেরও, দরকার পড়ে না।
তার ওপরে আবার মায়ের দিব্যদৃষ্টি !
দৃষ্টিতে দৃষ্টিতে, একদম ছয়লাপ।
আমি ছেলে হিসাবে, বলছি। তবে বলছি না, প্রলাপ !
চোখের ডাক্তারদের, বন্ধ হয়ে যায় ঝাঁপ !
একি !
আমি কি বকছি?
না বলছি?
ঠিক বলছি ?
সত্যিই প্রলাপ ?
না সংলাপ ?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন