বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৭

দিব্যদৃষ্টি ( দুই ) ( গদ্য )






 দিব্যদৃষ্টি ( দুই ) ( গদ্য )





আমি স্বাধীন ! যেখানে আমার প্রাণের কিছুমাত্র সংকোচ উপস্থিত হয় না, বা মনের সংকোচনও হয় না, তিনি আমার মা।
আমার মা জননী !
তিনি জগজ্জননীও।

তাঁর কাছে, আমার পূর্ণ স্বাধীনতার ক্ষেত্র।

এই বুড়ো বয়সেও, মায়ের দুদু  খেলেও, উনি কিচ্ছুটি বলেন না !
তিনি যে আমার মা !
আমার মা জননী।

তিনি আমাকে পুরোপুরি দেখেন ! ভালোভাবে দেখেন !
কারণ, দুইটির জায়গায়, তাঁর, তিনটি নেত্র !

মাঝেরটি আবার উল্লম্ব।
ঊর্ধ্বঅধঃভাবে খাড়া।

তাই দিয়ে উনি, তফাত করেন, মানুষ এবং ভেড়া !

আমার মায়ের আবার, তৃতীয় নয়নের, চোখের পাতাই নেই !
তাই তাঁর তৃতীয় নয়নের, ভিশন-ই আলাদা !

ঝড়বৃষ্টিতেও, তাঁর দৃষ্টি।চব্বিশ ঘন্টাই দৃষ্টি।

দারুণ দুরদৃষ্টি !

একদম স্বচ্ছ দৃষ্টি।

চশমাই লাগে না !

নেত্রপল্লবের ভেতরে,  প্ল্যাসটিকের পরকলা,  বা, কনট্যাক্‌ট্ লেন্সসেসেরও, দরকার পড়ে না।

তার ওপরে আবার মায়ের দিব্যদৃষ্টি !

দৃষ্টিতে দৃষ্টিতে, একদম ছয়লাপ।

আমি ছেলে হিসাবে, বলছি। তবে বলছি না, প্রলাপ !

চোখের ডাক্তারদের, বন্ধ হয়ে যায় ঝাঁপ !

একি !
আমি কি বকছি?
না  বলছি?
ঠিক বলছি ?

সত্যিই প্রলাপ ?
না   সংলাপ ?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন