রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৭

শ্রীমদ্‌ভাগবতে শুদ্ধ-অশুদ্ধ ( গদ্য )






শ্রীমদ্‌ভাগবতে শুদ্ধ-অশুদ্ধ ( গদ্য )



শ্রীমদ্‌ভাগবতে শুদ্ধ-অশুদ্ধ

মেজে-ঘষে, জল দিয়ে ধুয়ে, পাত্রের শুদ্ধিকরণ হয়।
মল-মূত্রের সংস্পর্শে, সেই পাত্র, আবার, অশুদ্ধ হয়ে ওঠে।
কোনবস্তুর, শুদ্ধাশুদ্ধির প্রশ্ন উঠলে, ব্রাহ্মণের মন্ত্র দ্বারা, তার শুদ্ধিকরণ হয়ে থাকে।
ফুল, জল ছিটিয়ে শুদ্ধ হয়।
শুঁকলে ফুল অশুদ্ধ হয়।
ফুলের গন্ধ নাকে এলে, সেই ফুল, অশুদ্ধ হয় কিনা, তা জানা নেই !
সদ্য রন্ধন করা অন্ন-ব্যঞ্জন শুদ্ধ।
বাসি অন্ন-ব্যঞ্জন অশুদ্ধ।
রিফ্রিজিরেটারে খাবার রাখলে, শুদ্ধ না অশুদ্ধ, শ্রীমদ্‌ভাগবতে তা লেখা নেই !
তখনকার মুনি-ঋষিরা, রিফ্রিজিরেটার কী তা সম্ভবত জানতেন না !
বিশাল জলাশয় ও নদীর জল শুদ্ধ।
ক্ষুদ্র জলাশয়ের জল অশুদ্ধ।
তা হলে তো গঙ্গানদীর জলের দূষণ প্রতিহত ও নিয়ন্ত্রণ করার, দরকার পড়ত না !
ওয়াটারপিউরিফায়ারের জল শুদ্ধ কিনা, তাও, শ্রীমদ্‌ভাগবতে লেখা নেই !




* সূত্র : ' শ্রীমদ্ভাগবত-মহাপুরাণ ', পৃষ্ঠা ১৮৬৯, গীতা প্রেস।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন