কবি, লেখক, প্রবন্ধকার, ছড়াকার, লিমেরিক লিখিয়ে,
বিজ্ঞানবিষয়ক প্রবন্ধ লিখিয়ে, শ্রী প্রণব কুমার কুণ্ডুর ছবি
লেখক প্রণব কুমার কুণ্ডু
হজরত মহম্মদ ( গদ্যরচনা )
'হজরত মহম্মদ', 'ইসলাম ধর্মের', প্রবর্তক। তিনি ধর্ম প্রচারক ছিলেন। তিনি ধর্মাচার্যও ছিলেন। পাঁচশো সত্তর খ্রিস্টাব্দে আরব দেশের 'মক্কা' নামক বাণিজ্যস্থলে তিনি জন্মেছিলেন। বলা হয় তিনি ঈশ্বরের দূত। কথাটা আমার কাছে শোনায় ভারি অদ্ভুত !
মহম্মদের পিতা আব্দুল্লা। মাতা অমীনা।
কন্যা ফতেমা। জামাতা আলি। দৌহিত্র হাসেন ও হুসেন।
মহম্মদের মৃত্যুর পরে খেয়োখেয়িতে আর তরবারিতে তরবারিতে তখন অনেকে মাতেন। প্রচুর, খুন-জখম, হানাহানি চলে।
মহম্মদের পিতা আব্দুল্লা। মাতা অমীনা।
কন্যা ফতেমা। জামাতা আলি। দৌহিত্র হাসেন ও হুসেন।
মহম্মদের মৃত্যুর পরে খেয়োখেয়িতে আর তরবারিতে তরবারিতে তখন অনেকে মাতেন। প্রচুর, খুন-জখম, হানাহানি চলে।
সূত্র 'বঙ্গীয় শব্দকোষ, পৃষ্ঠা ১৭৪৬।
হজরত মহম্মদ-এর পূর্বপুরুষেরা, সিরিয়ার লোক ছিলেন !
পুর্বপুরুষদের একজন, তিনিও 'হজরত' ছিলেন, নাম হজরত এব্রাহিম।
তাঁর দুই 'বৌ' ছিল!
এক 'বৌ' 'হাজেরা'-কে, শিশুপুত্রসহ, হজরত এব্রাহিম, নির্মমভাবে আরবের মরুভূমিতে, নির্বাসিত করেছিলেন !
অন্য পত্নী, 'সারা খাতুন'-কে নিয়ে, হজরত এব্রাহিম, সিরিয়াতে বাস করতে থাকেন।
সারা খাতুনের ছেলে, এস্হাক্।
এস্হাক্-এর ছেলে, ইয়াকুব।
ইবাকুব, ' হজরত এস্রাইল' নামে পরিচিত ছিলেন।
এস্রাইল-এর বংশে, হজরত ইউসুফ, 'হজরত ইসার ( Jesus Christ )', 'মাতা মেরী', হজরত মুসা, হজরত সোলেমান প্রভৃতি মহাত্মাগণ জন্মেছিলেন।
'হজরত ইসার', উনিই, 'Jesus Christ'. উনিই, 'যিশু খ্রিস্ট'।
এখানে, 'হজরত' শব্দের অর্থ, সম্ভবত, 'অতি সম্মানীয় ব্যক্তি'।
এখানে পেয়ে গেলেন, যিশু খ্রিস্টের, এবং, যিশু খ্রিস্টের বংশের, সংক্ষিপ্ত পরিচিতিও ! 'মাতা মেরী'কেও পেলেন।
হজরত এব্রাহিমের নির্বাসিতা 'স্ত্রী', হাজেরার পুত্র, 'এস্মাইল'-এর বংশে, 'হজরত মহম্মদ'-এর জন্ম।
এসমাইল 'মক্কা' বাণিজ্যকেন্দ্রের সংগঠক ও প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।
এসমাইলের একাদশ পুরুষ থেকে, 'কোরেশ' নামক বিখ্যাত বংশের উদ্ভব হয়।
কোরেশ বংশের অষ্টম পুরুষ, 'হাসেম'।
হাসেমের পুত্র, 'আবদুল মত্লেব'।
আবদুল মত্লেবের ছেলে, 'আবদুল্লা'।
এই আবদুল্লা, 'মহম্মদ'-এর জনক।
আমিনার গর্ভাবস্থায়, আমিনার স্বামী, আবদুল্লা, আমিনাকে সঙ্গে নিয়ে, 'মদিনা'য় চলে যান, এবং সেখানেই আকস্মিক ভাবে, আবদুল্লার মৃত্যু ঘটে।
৫৭০ খ্রিস্টাব্দে হজরত মহম্মদের জন্ম।
জন্মের অল্প কিছুদিন পরে, মহম্মদের মা, মহম্মদকে, আরবের যাযাবর জাতি, 'বেদুইন'-দের হাতে তুলে দিয়েছিলেন, মহম্মদকে বড় করে তুলতে এবং দেখভাল করার জন্য। মায়ের কোল ছেড়ে মহম্মদ তখন বেদুইনদের সাথে মরুভূমিতেই থাকত। এর ফলে শিশুরা অনেক বেশি কর্মঠ ও মরুভূমির ধকল সইতে পারত।
বেদুইন, আরবের যাযাবর জাতিবিশেয। আরবিতে বলা হয়, 'বদবী'। অর্থ মরুবাসী। ইংরেজিতে 'bedouin'.
হজরত মহম্মদের ছয় বৎসর বয়সে, তাঁর মা, আমিনার মৃত্যু ঘটে।
মহম্মদের আট বৎসর বয়সে, মহম্মদের ঠাকুরদা, আবদুল মত্লেব মারা যান।
তখন মহম্মদের কাকা, আবুতালের ভাই-এর ছেলে, মহম্মদকে, দেখভাল করেন।
এইসব কারণে, মহম্মদের, বিদ্যাশিক্ষার সুযোগ ঘটে নি।
সম্ভবত, মহম্মদ 'নিরক্ষর' ছিলেন।
তবে 'নিরক্ষর' থাকা মানেই, 'আশিক্ষিত' নয়।
মহম্মদের সাধারণ জ্ঞান এবং অনেক ক্ষেত্রে, 'কাণ্ডজ্ঞান', যথেষ্ট উঁচু পর্যায়ের ছিল।
মহম্মদ, সুনিপুণ সংগঠক ছিলেন।
হজরত মহম্মদ, posthumous সন্তান ছিলেন।
তাঁর পিতার মৃত্যুর পর, তাঁর জন্ম।
অনেকে এটাকে 'অপয়া', বলে মনে করে। কিন্তু, হজরত মহম্মদের 'জন্ম', 'অপয়া' ছিল না। তিনি, 'বিখ্যাত', 'অতিবিখ্যাত', 'লোক' হয়েছিলেন। যদিও তাঁর, 'অখ্যাতি'ও ছিল। তিনি একাধিক বিবা্হ করেছিলেন। শোনা যায়, তাঁর, নয় থেকে তেরো জন, বিবাহিত পত্নী ছিল। একটি. নয় বছরের কম বয়সি শিশু কন্যাকেও, তিনি বিবাহ করেছিলেন। তিনি দাঙ্গা-হাঙ্গামাকে প্রশ্রয় দিতেন, তিনি নিজেও, 'যুদ্ধে' জড়িয়ে পড়েছিলেন। পরবর্তিতে, তাঁর প্রবর্তীত 'ইসলামের' 'ধর্মবিজয়', সংঘটিত হয়েছিলছিল, 'যুদ্ধবিজয়ের' বিজয় উৎসবের উপর ভর করে। 'ইসলাম', অন্য ধর্মমতকে শ্রদ্ধা জানায় না। তাদের 'বিধর্মী' এবং 'কাফের' বলে। যেখানে ইসলাম ধর্মমতের প্রাধান্য আছে, সেখানে তারা এখনো বড়ই নিষ্ঠুর।
হজরত মহম্মদ, অতগুলো বিবাহ করেছিলেন, কিন্তু তিনি, বা তাঁর লোকজন বিধান দিয়েছিলেন, একজন মুসলমান পুরুষ একই সময়ে চারটির বেশি নারীকে, বিবাহ করতে পারবে না।
'এ যেন নিজের বেলায় অাঁটিসুটি, পরের বেলায় চিমটি কাটি'।
যেকোন জনগোষ্ঠিতে, মোটামুটি ভাবে, নারীপুরুষের সংখ্যা, অর্ধেক অর্ধেক। একজন পুরুষ যদি চারটে করে বিবাহ করে, তবে অতজন নারী পাবে কোথা থেকে ? তাই নারীর প্রতি 'লোলুপতা' তাদের থেকে গেছে ! অন্য জাতিগোষ্ঠি থেকে তারা জোর করে 'নারী' ধরে নিয়ে গেছে, 'নারী' লুণ্ঠন করেছে।
বছর তেরো বয়স হলে, মহম্মদ, তার কাকা আবুতালের 'উটবাহিনীতে' ( caravan ) যোগ দিয়ে, কাকার সাথে 'সিরিয়ার' দিকে ব্যবসাবাণিজ্যে বেরোত।
caravan, a company of traveller across the deserts.
নিরাপত্তার জন্য, একত্রে ভ্রমণকারী মরুযাত্রী দল।
পঁচিশ বছর বয়স পর্যন্ত, মহম্মদ অনেক কষ্ট ও ক্লেশ স্বীকার করেছিলেন।
এরপরে মহম্মদ, 'খাদিজা' নাম্নী এক ধনবতী আর ব্যবসায়ী নারীর সংস্পর্শে আসেন। খাদিজা 'বিধবা' ছিলেন ! তার আগে খাদিজার কতবার বিবাহ হয়েছিল জানা যায় না। মহম্মদ তাঁর কাছে 'কাজ' নেন। খাদিজা, মহম্মদের চেয়ে প্রায় কুড়ি বছরের বড়ো ছিলেন। পরবর্তিতে খাদিজা মহম্মদকে বিবাহ করেন।
ততদিনে মহম্মদ অর্থনৈতিক ভাবে, ভালো অবস্থায় পৌঁছে যান !
মহম্মদ, একেশ্বরবাদ প্রচার করেন যখন তাঁর বয়স চল্লিশ বছর। তার মানে তখন ৬১০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ। মক্কাবাসিরা, মহম্মদের 'একেশ্বরবাদ' মানতে চায়নি। ফলে, মারামারি হানাহানি কাটাকাটির উপক্রম হয়েছিল।
নিজের প্রাণ বাঁচাতে মহম্মদ মক্কা থেকে মদিনায় পালিয়ে গেলেন, মরুভূমির রাস্তায়। সেটা ৬২২ খ্রিস্টাব্দ।
একথা জানতে ভুলবেন না মহম্মদের মত জাঁদরেল লোকও পালিয়ে বেঁচেছিলেন !
সেই সময়কে মনে রাখার জন্য পরবর্তিতে, সেই সময় থেকে 'হিজরী' ক্যালেণ্ডারের শুরু হয়।
হিজরী ক্যালেণ্ডার, পলায়মান ব্যক্তির পলায়নের ওপর ভিত্তি করে শুরু হয়।
ইসলামের 'একেশ্বরবাদ' আর কিছু নয়, আমাদের 'ব্রহ্ম'বাদ। যেটা বেদান্তসারের, উপনিষদ্-এর মূল কথা !
ইসলামের 'কাবা', ওটা 'প্রাচীন শিবমন্দির' ছিল !
মারামারি হানাহানি, মন্দির লুঠপাটে, কালো রঙের 'শিবলিঙ্গ'টি ভেঙ্গেচুড়ে ধূলিসাৎ হয়ে গেছে !
কিন্তু কালো রঙের 'সতীপীঠ'টি অক্ষত থেকে গেছে !
'লিঙ্গপীঠ' আসলে ক্লীবলিঙ্গ !
'লিঙ্গবেদি' 'স্ত্রীলিঙ্গ' !
এখনকার ধার্মিক মুসলমানেরা 'মক্কায়' 'হজ'-এ গিয়ে, ঐ কালো রঙের 'লিঙ্গবেদি'টি, অর্থাৎ, 'সতীপীঠ'টি 'চুম্বন' করেন !
হজ-এ গেলে ওটা একটা অবশ্য কর্তব্য !
এই 'লিঙ্গবেদি'/'সতীপীঠ' চুম্বন, গৃহস্থালি পর্যায় পয্যন্ত সম্ভবত প্রসারিত হয়, ভালোবাসার আবেগ মথিত করার জন্য।
মহম্মদের 'ইসলামধর্ম'-এর প্রথম জয়যাত্রা শুরু, 'মক্কা'র 'পুরনো শিবমন্দির' দখল, যা আসলে প্রচুর লোকজন অস্ত্রশস্ত্র সাথে নিয়ে, বিনা বাধায় 'বলপ্রয়োগ' এবং fear psychosis-এ দখল !
ঐ মন্দিরে 'মক্কা'র/'আরব'-এর অনেক স্থানীয় দেবদেবীর মূর্তি সংরক্ষিত/গচ্ছিত থাকত।
ঐসব দেবদেবীর মুর্তিগুলো, সংখ্যায় তিনশোর ওপর, চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেওয়া হয়।
আত্মরক্ষার্থে এবং নিজ গোষ্ঠী বাড়াতে, মহম্মদ অস্ত্রধারণও করেন।
'কাবা' দখল নেওয়ার পর, সমগ্র আরব দেশ দখল করে নেন, মহম্মদ আর তার বাহিনী।
এবং ওখান থেকে ইসলামের জয়যাত্রার সূচনা হয়।
এর পরে মহম্মদের ইচ্ছা ছিল, সিরিয়া জয় করা।
কিন্তু তার আগেই, ৬৩২ খ্রীস্টাব্দের সফর চাঁদের বিশ তারিখে, অসুস্থ হয়ে দেহ রাখেন।
তখন মহম্মদের বয়স হয়েছিল ৬২ বৎসর।
* অতিরিক্ত সূত্র, 'সরল বাঙ্গালা অভিধান", পৃষ্ঠা ১০২৮- ২৯। আকাশ তথ্য। বিভিন্ন ইউ টিউব।
হজরত মহম্মদ-এর পূর্বপুরুষেরা, সিরিয়ার লোক ছিলেন !
পুর্বপুরুষদের একজন, তিনিও 'হজরত' ছিলেন, নাম হজরত এব্রাহিম।
তাঁর দুই 'বৌ' ছিল!
এক 'বৌ' 'হাজেরা'-কে, শিশুপুত্রসহ, হজরত এব্রাহিম, নির্মমভাবে আরবের মরুভূমিতে, নির্বাসিত করেছিলেন !
অন্য পত্নী, 'সারা খাতুন'-কে নিয়ে, হজরত এব্রাহিম, সিরিয়াতে বাস করতে থাকেন।
সারা খাতুনের ছেলে, এস্হাক্।
এস্হাক্-এর ছেলে, ইয়াকুব।
ইবাকুব, ' হজরত এস্রাইল' নামে পরিচিত ছিলেন।
এস্রাইল-এর বংশে, হজরত ইউসুফ, 'হজরত ইসার ( Jesus Christ )', 'মাতা মেরী', হজরত মুসা, হজরত সোলেমান প্রভৃতি মহাত্মাগণ জন্মেছিলেন।
'হজরত ইসার', উনিই, 'Jesus Christ'. উনিই, 'যিশু খ্রিস্ট'।
এখানে, 'হজরত' শব্দের অর্থ, সম্ভবত, 'অতি সম্মানীয় ব্যক্তি'।
এখানে পেয়ে গেলেন, যিশু খ্রিস্টের, এবং, যিশু খ্রিস্টের বংশের, সংক্ষিপ্ত পরিচিতিও ! 'মাতা মেরী'কেও পেলেন।
হজরত এব্রাহিমের নির্বাসিতা 'স্ত্রী', হাজেরার পুত্র, 'এস্মাইল'-এর বংশে, 'হজরত মহম্মদ'-এর জন্ম।
এসমাইল 'মক্কা' বাণিজ্যকেন্দ্রের সংগঠক ও প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।
এসমাইলের একাদশ পুরুষ থেকে, 'কোরেশ' নামক বিখ্যাত বংশের উদ্ভব হয়।
কোরেশ বংশের অষ্টম পুরুষ, 'হাসেম'।
হাসেমের পুত্র, 'আবদুল মত্লেব'।
আবদুল মত্লেবের ছেলে, 'আবদুল্লা'।
এই আবদুল্লা, 'মহম্মদ'-এর জনক।
আমিনার গর্ভাবস্থায়, আমিনার স্বামী, আবদুল্লা, আমিনাকে সঙ্গে নিয়ে, 'মদিনা'য় চলে যান, এবং সেখানেই আকস্মিক ভাবে, আবদুল্লার মৃত্যু ঘটে।
৫৭০ খ্রিস্টাব্দে হজরত মহম্মদের জন্ম।
জন্মের অল্প কিছুদিন পরে, মহম্মদের মা, মহম্মদকে, আরবের যাযাবর জাতি, 'বেদুইন'-দের হাতে তুলে দিয়েছিলেন, মহম্মদকে বড় করে তুলতে এবং দেখভাল করার জন্য। মায়ের কোল ছেড়ে মহম্মদ তখন বেদুইনদের সাথে মরুভূমিতেই থাকত। এর ফলে শিশুরা অনেক বেশি কর্মঠ ও মরুভূমির ধকল সইতে পারত।
বেদুইন, আরবের যাযাবর জাতিবিশেয। আরবিতে বলা হয়, 'বদবী'। অর্থ মরুবাসী। ইংরেজিতে 'bedouin'.
হজরত মহম্মদের ছয় বৎসর বয়সে, তাঁর মা, আমিনার মৃত্যু ঘটে।
মহম্মদের আট বৎসর বয়সে, মহম্মদের ঠাকুরদা, আবদুল মত্লেব মারা যান।
তখন মহম্মদের কাকা, আবুতালের ভাই-এর ছেলে, মহম্মদকে, দেখভাল করেন।
এইসব কারণে, মহম্মদের, বিদ্যাশিক্ষার সুযোগ ঘটে নি।
সম্ভবত, মহম্মদ 'নিরক্ষর' ছিলেন।
তবে 'নিরক্ষর' থাকা মানেই, 'আশিক্ষিত' নয়।
মহম্মদের সাধারণ জ্ঞান এবং অনেক ক্ষেত্রে, 'কাণ্ডজ্ঞান', যথেষ্ট উঁচু পর্যায়ের ছিল।
মহম্মদ, সুনিপুণ সংগঠক ছিলেন।
হজরত মহম্মদ, posthumous সন্তান ছিলেন।
তাঁর পিতার মৃত্যুর পর, তাঁর জন্ম।
অনেকে এটাকে 'অপয়া', বলে মনে করে। কিন্তু, হজরত মহম্মদের 'জন্ম', 'অপয়া' ছিল না। তিনি, 'বিখ্যাত', 'অতিবিখ্যাত', 'লোক' হয়েছিলেন। যদিও তাঁর, 'অখ্যাতি'ও ছিল। তিনি একাধিক বিবা্হ করেছিলেন। শোনা যায়, তাঁর, নয় থেকে তেরো জন, বিবাহিত পত্নী ছিল। একটি. নয় বছরের কম বয়সি শিশু কন্যাকেও, তিনি বিবাহ করেছিলেন। তিনি দাঙ্গা-হাঙ্গামাকে প্রশ্রয় দিতেন, তিনি নিজেও, 'যুদ্ধে' জড়িয়ে পড়েছিলেন। পরবর্তিতে, তাঁর প্রবর্তীত 'ইসলামের' 'ধর্মবিজয়', সংঘটিত হয়েছিলছিল, 'যুদ্ধবিজয়ের' বিজয় উৎসবের উপর ভর করে। 'ইসলাম', অন্য ধর্মমতকে শ্রদ্ধা জানায় না। তাদের 'বিধর্মী' এবং 'কাফের' বলে। যেখানে ইসলাম ধর্মমতের প্রাধান্য আছে, সেখানে তারা এখনো বড়ই নিষ্ঠুর।
হজরত মহম্মদ, অতগুলো বিবাহ করেছিলেন, কিন্তু তিনি, বা তাঁর লোকজন বিধান দিয়েছিলেন, একজন মুসলমান পুরুষ একই সময়ে চারটির বেশি নারীকে, বিবাহ করতে পারবে না।
'এ যেন নিজের বেলায় অাঁটিসুটি, পরের বেলায় চিমটি কাটি'।
যেকোন জনগোষ্ঠিতে, মোটামুটি ভাবে, নারীপুরুষের সংখ্যা, অর্ধেক অর্ধেক। একজন পুরুষ যদি চারটে করে বিবাহ করে, তবে অতজন নারী পাবে কোথা থেকে ? তাই নারীর প্রতি 'লোলুপতা' তাদের থেকে গেছে ! অন্য জাতিগোষ্ঠি থেকে তারা জোর করে 'নারী' ধরে নিয়ে গেছে, 'নারী' লুণ্ঠন করেছে।
বছর তেরো বয়স হলে, মহম্মদ, তার কাকা আবুতালের 'উটবাহিনীতে' ( caravan ) যোগ দিয়ে, কাকার সাথে 'সিরিয়ার' দিকে ব্যবসাবাণিজ্যে বেরোত।
caravan, a company of traveller across the deserts.
নিরাপত্তার জন্য, একত্রে ভ্রমণকারী মরুযাত্রী দল।
পঁচিশ বছর বয়স পর্যন্ত, মহম্মদ অনেক কষ্ট ও ক্লেশ স্বীকার করেছিলেন।
এরপরে মহম্মদ, 'খাদিজা' নাম্নী এক ধনবতী আর ব্যবসায়ী নারীর সংস্পর্শে আসেন। খাদিজা 'বিধবা' ছিলেন ! তার আগে খাদিজার কতবার বিবাহ হয়েছিল জানা যায় না। মহম্মদ তাঁর কাছে 'কাজ' নেন। খাদিজা, মহম্মদের চেয়ে প্রায় কুড়ি বছরের বড়ো ছিলেন। পরবর্তিতে খাদিজা মহম্মদকে বিবাহ করেন।
ততদিনে মহম্মদ অর্থনৈতিক ভাবে, ভালো অবস্থায় পৌঁছে যান !
মহম্মদ, একেশ্বরবাদ প্রচার করেন যখন তাঁর বয়স চল্লিশ বছর। তার মানে তখন ৬১০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ। মক্কাবাসিরা, মহম্মদের 'একেশ্বরবাদ' মানতে চায়নি। ফলে, মারামারি হানাহানি কাটাকাটির উপক্রম হয়েছিল।
নিজের প্রাণ বাঁচাতে মহম্মদ মক্কা থেকে মদিনায় পালিয়ে গেলেন, মরুভূমির রাস্তায়। সেটা ৬২২ খ্রিস্টাব্দ।
একথা জানতে ভুলবেন না মহম্মদের মত জাঁদরেল লোকও পালিয়ে বেঁচেছিলেন !
সেই সময়কে মনে রাখার জন্য পরবর্তিতে, সেই সময় থেকে 'হিজরী' ক্যালেণ্ডারের শুরু হয়।
হিজরী ক্যালেণ্ডার, পলায়মান ব্যক্তির পলায়নের ওপর ভিত্তি করে শুরু হয়।
ইসলামের 'একেশ্বরবাদ' আর কিছু নয়, আমাদের 'ব্রহ্ম'বাদ। যেটা বেদান্তসারের, উপনিষদ্-এর মূল কথা !
ইসলামের 'কাবা', ওটা 'প্রাচীন শিবমন্দির' ছিল !
মারামারি হানাহানি, মন্দির লুঠপাটে, কালো রঙের 'শিবলিঙ্গ'টি ভেঙ্গেচুড়ে ধূলিসাৎ হয়ে গেছে !
কিন্তু কালো রঙের 'সতীপীঠ'টি অক্ষত থেকে গেছে !
'লিঙ্গপীঠ' আসলে ক্লীবলিঙ্গ !
'লিঙ্গবেদি' 'স্ত্রীলিঙ্গ' !
এখনকার ধার্মিক মুসলমানেরা 'মক্কায়' 'হজ'-এ গিয়ে, ঐ কালো রঙের 'লিঙ্গবেদি'টি, অর্থাৎ, 'সতীপীঠ'টি 'চুম্বন' করেন !
হজ-এ গেলে ওটা একটা অবশ্য কর্তব্য !
এই 'লিঙ্গবেদি'/'সতীপীঠ' চুম্বন, গৃহস্থালি পর্যায় পয্যন্ত সম্ভবত প্রসারিত হয়, ভালোবাসার আবেগ মথিত করার জন্য।
মহম্মদের 'ইসলামধর্ম'-এর প্রথম জয়যাত্রা শুরু, 'মক্কা'র 'পুরনো শিবমন্দির' দখল, যা আসলে প্রচুর লোকজন অস্ত্রশস্ত্র সাথে নিয়ে, বিনা বাধায় 'বলপ্রয়োগ' এবং fear psychosis-এ দখল !
ঐ মন্দিরে 'মক্কা'র/'আরব'-এর অনেক স্থানীয় দেবদেবীর মূর্তি সংরক্ষিত/গচ্ছিত থাকত।
ঐসব দেবদেবীর মুর্তিগুলো, সংখ্যায় তিনশোর ওপর, চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেওয়া হয়।
আত্মরক্ষার্থে এবং নিজ গোষ্ঠী বাড়াতে, মহম্মদ অস্ত্রধারণও করেন।
'কাবা' দখল নেওয়ার পর, সমগ্র আরব দেশ দখল করে নেন, মহম্মদ আর তার বাহিনী।
এবং ওখান থেকে ইসলামের জয়যাত্রার সূচনা হয়।
এর পরে মহম্মদের ইচ্ছা ছিল, সিরিয়া জয় করা।
কিন্তু তার আগেই, ৬৩২ খ্রীস্টাব্দের সফর চাঁদের বিশ তারিখে, অসুস্থ হয়ে দেহ রাখেন।
তখন মহম্মদের বয়স হয়েছিল ৬২ বৎসর।
* অতিরিক্ত সূত্র, 'সরল বাঙ্গালা অভিধান", পৃষ্ঠা ১০২৮- ২৯। আকাশ তথ্য। বিভিন্ন ইউ টিউব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন