রবিবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৬

বেলুড় মঠ

স্বামী বিবেকানন্দ ও বর্ষার বেলুড় মঠ


১৯০১ সালে, হাওড়ার  বেলুর মঠের মাঠে, বর্ষার জল দাঁড়াত।
বিবেকানন্দ নিজে, অন্যদের সাথে নিয়ে, বর্ষার জমা মাঠের জল বের করার জন্য, একটা গভীর নর্দমা কাটার কাজে খেটেছিলেন ! তখনকার বেলুড় মঠের কোন কোন জায়গায়, বৃষ্টির জল কয়েক ফুট পর্যন্ত দাঁড়িয়ে যেত।

তখন মঠে একটা সারস ছিল।

ছিল কতকগুলো হংসী সমেত হাঁস।

বর্ষার জল পেয়ে সারস আর হাঁসগুলোর খুব স্ফূর্তি !

মঠে একটা কৃষ্ণসার হরিণ ছিল। মঠের ব্র্‌হ্মচারিত্ব  হরিণটির ভালো লাগছিল না ! সেটা কয়েকদিনের জন্য পালিয়েছিল ! পরে সেটি খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল।

মঠে কয়েকটি রাজহাঁস রাজহংসী ছিল।
রাজহাঁস .'হংসশ্রেষ্ঠ'। হংসগণের রাজা। তার ঠোঁটদুটো লাল। পায়ের নিচের দিকটাও লাল। লম্বা গলা। চোখদুটোও লাল। ধবধবে সাদা রঙের পালক। দেখতে দারুণ সুন্দর !
ব্রহ্মা আর সরস্বতীর বা্হন, এই সুন্দর রাজহাঁস।
একটা রাজহংসীর অসুখ করেছিল। রাজহংসীর গায়ের পালক খসে যাচ্ছিল। কারবলিক অ্যাসিড দেওয়া জলে, রাজহংসীটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। রাজহংসীটি তাতে সেরে উঠেছিল।
তখনকার বেলুড় মঠে কয়েকটি গাইগরু ছিল। দুটো গাই বাচ্চা দিয়েছিল ! 


*  তথ্যসূত্র : সিস্টার নিবেদিতাকে লেখা, বিবেকানন্দের চিঠি। নিবেদিতাকে বিবেকানন্দ,  'কল্যানীয়া নিবেদিতা', বলে সম্বোধন করেছিলেণ। বিবেকানন্দের ঠিকানা ছিল : মঠ, বেলুড়, হাওড়া
তারিখ : ৭ই সেপ্টেম্বর, ১৯০১
সংকলন পুস্তকের নাম, 'স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা', 'উদ্বোধন কার্যালয়  কলিকাতা-৩ 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন