আমি, আমার পরিচিত এবং অপরিচিতদেরও ভিডিও সহযোগিতায় ফেসবুক
মঙ্গলবার, ২৬ জুন, ২০১৮
আমি, আমার পরিচিত এবং অপরিচিতদেরও ভিডিও
আমি, আমার পরিচিত এবং অপরিচিতদেরও ভিডিও সহযোগিতায় ফেসবুক
লেবেলসমূহ:
আমি আমার পরিচিত এবং অপরিচিতদেরও ভিডিও
ফেসবুকের উপলব্ধি
সোমবার, ২৫ জুন, ২০১৮
হুমায়ূন আজাদ-এর কথন
হুমায়ূন আজাদ-এর কথন শেয়ার করেছেন প্রণব কুমার কুণ্ডু
সত্য একবার বলতে হয়
সত্য বারবার বললে
মিথ্যার মতো শোনায়।
মিথ্যা বারবার বলতে হয়
মিথ্যা বারবার বললে
সত্য ৰলে মনে হয়॥ —হুমায়ূন আজাদ।
লেবেলসমূহ:
হুমায়ূন আজাদ-এর কথন
রবিবার, ২৪ জুন, ২০১৮
তসলিমা নাসরিন
তসলিমা নাসরিন
1 বছর আগে

Pranab Kumar Kundu একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন৷
ঘুরে আসুন, ঘুরে আসুন কালীঘাট, বউবাজার, খিদিরপুর, লেবুতলার বেশ্যালয় ,কন্যারা কী করে পূতিগন্ধময় নিকৃষ্ট পরিবেশে যৌনদাসীর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে দেখে আসুন। কী করে কন্যাশিশু পাচার হচ্ছে, বিক্রি হয়ে যাচ্ছে পতিতালয়গুলোতে প্রতিদিন, দেখে আসুন। কন্যারা শুধু ধর্ষণের নয়, গণধর্ষণের শিকার হচ্ছে। রাস্তা ঘাটে অলিতে গলিতে কন্যাদের যৌন হেনস্থা দিন দিন বাড়ছে। ঘরের ভেতর শত শত কন্যা প্রতিদিন স্বামী-শ্বশুরবাড়ির নির্যাতন সইছে দেখে আসুন। লেখাপড়া জানা কন্যারাও নির্যাতন অসহ্য হয়ে উঠলে আত্মহত্যা করছে , চলুন দেখে আসি কত শত কন্যাকে পণপ্রথার শিকার হতে হচ্ছে, বধূহত্যার হারই বা কেমন বাড়ছে দেখে আসি। বাল্য- বিবাহের শিকার কত লক্ষ কন্যা , দেখে আসি চলুন। কী বলছি কী! আমি কী করে দেখবো, আমার তো পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ নিষেধ! কারণ আমি যে মস্ত বড় এক অপরাধ করেছি! কন্যাদের সমানাধিকার চেয়ে দু'ডজন বই লিখেছি!!
প্রভুপাদ
নেতাজি সুভাষ
্নেতাজি সুভাষ
শেয়ার করেছেন প্রণব কুমার কুণ্ডু
নেতাজী সুভাষ বোস, ভারতের ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায় |
-------------------------------------------
-------------------------------------------------------------------
নেতাজী যদি ফিরে আসতেন জয়ী হয়ে হোক, পরাজিত হয়েই হোক, এমনকি বন্দি হয়েও হোক -- তাহলে সেদিন দেশের যে অবস্হা ছিল তাঁকে রুখবার সাধ্য কারও ছিল না | যে সশস্ত্র বিপ্লবী অভ্যূত্থানের উত্তাল তরঙ্গ সেদিন সৃষ্টি হতো তার অপ্রতিরোধ্য দূর্বার স্রোতে সাম্রাজ্যবাদী শাসনযন্ত্র এবং পুঁজিপতি ও গান্ধীবাদীদের ষড়যন্ত্র কোথায় ভেসে যেতো | কিন্তু, তারা নিস্কন্টক হল, পণ্ডিত ( ! ) জওহরলালকে আর তলোয়ার দিয়ে নেতাজী সুভাষচন্দ বোসকে অভ্যর্থনা জানাতে হতো না |
------ ' গান্ধীবাদ স্বাধীন ভারতবর্ষকে এক সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেবে | ' -( Bose,Werth,Ayer )
গান্ধীবাদীদের সুভাষ বোসের প্রতি এত অবিচার, এত অভদ্রতা, কুৎসিত, আচরনের মধ্যেও তাঁর ধোয্য, সৌজন্যবোধ তেজ ও দৃঢ়তা দেখে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ সেদিন মুগ্ধ হয়ে , অভিনন্দনবানী পাঠিয়ে " দেশনায়ক " বলে সম্বোধন করেছিলেন |
আজকাল যে-সব ছাত্র - যুবকরা একদিকে নেতাজীর ছবিতে মালা দেয়, আর একদিকে " কংগ্রেস জিন্দাবাদ " শ্লোগান তুলে, ---- তাদের অতীতের ঘটনাগুলোকে স্মরন করতে বলি | কংগ্রেসের গান্ধীবাদী নেতৃত্ব সুভাষবোসকে কোনঠাসা করার জন্য কিভাবে একটার পর একটা ঘৃন্য ষড়যন্ত্র করেছিল ---- সেগুলি ভেবে দেখতে অনুরোধ করি |
গান্ধী তার অসহযোগ অস্তটি বৃটিশের বিরুদ্ধে নয়, কংগ্রেস সভাপতি ( সুভাষচন্দ বোসের) বিরুদ্ধে প্রয়োগ করেছিল | তাঁকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছিল | আজ যারা কংগ্রেসের ঝান্ডা বহন করছেন, একই মন্চে গান্ধী, নেহেরু, ইন্দিরা, ও নেতাজীর ছবি স্থাপন করছেন, তাদের, বিশেষভাবে পশ্চিমবঙ্গের বিভ্রান্ত ছাত্র-যুব সম্প্রদায়কে স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসের এই কলংকজনক অধ্যায়ের কথা স্বরন করতে বলি |
লালবাহাদুর শাস্ত্রী বলেছিলেন, ---- " উনিই আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন | " ( নেতাজী সম্পর্কে এই ছিল প্রথম সত্যোচ্চারন )
মোরারজী দেশাই ছিলেন গান্ধী শিবিরের নেতা | গান্ধীবাদ তার মতাদর্শ কিন্তুু তিনিই ঐতিহাসিক পরিস্থিতিতে মূল্যায়ন করে বলেছিলেন, ---- ' যদি মহাযুদ্ধের পর সুভাষ বোস ভারতে ফিরে আসতে পারেন তবে, তিনিই হতেন সর্বেসর্বা | নেহেরু বলে কেউ থাকতো না, নেহেরু পরিবারের কেউ নেতা হতো না | ( দেয়ার উড হ্যা্ড বিন নো নেহেরু, নান ফ্রম হিজ ফ্যামিলি ) সুভাষচন্দ হতেন ভারতের নিয়তি পুরুষ | '
ডঃ পট্টভি সীতারামাইয়া বলেছিলেন, --- ' চারিত্রশক্তিতে নজিরবিহীন, বিশালাত্বে সীমাহীন, কীর্তিতে মহীয়ান ছিলেন নেতাজী সুভাষচন্দ বোস | '
বলেছিলেন জাপানি জেনারেল কাওয়াবে, --- " বিপ্লবী সৈন্যদলের সংগঠক ও প্রেরনাদাতারুপে, পাকা রনকৌশলী হিসাবে ও সামরিক অভিযানের পরিকল্পনাকারী রুপে সুভাষচন্দ বসুকে নিয়ে যে কোনো জাতি গর্বিত হতে পারেন | নেতাজী সুভাষ চন্দ বসুকে নিয়ে শুধু ভারতের গর্ববোধ করাই উচিত নয়, আধুনিক ভারতের মহত্তম বিপ্লবী ও শ্রেষ্ঠ মিলিটারি জেনারেল রুপে তাঁকে অভিবাদন জানানোও উচিত | ' কিন্তু, আমরা তাঁকে কি দিয়েছি ? ' তেজোর কুকুর ', ' লুণ্ঠনকারী ', ' আক্রমনকারী ', ' দস্যু ' -- ইত্যাদি ইত্যাদি |
-------------------------------------------
-------------------------------------------------------------------
নেতাজী যদি ফিরে আসতেন জয়ী হয়ে হোক, পরাজিত হয়েই হোক, এমনকি বন্দি হয়েও হোক -- তাহলে সেদিন দেশের যে অবস্হা ছিল তাঁকে রুখবার সাধ্য কারও ছিল না | যে সশস্ত্র বিপ্লবী অভ্যূত্থানের উত্তাল তরঙ্গ সেদিন সৃষ্টি হতো তার অপ্রতিরোধ্য দূর্বার স্রোতে সাম্রাজ্যবাদী শাসনযন্ত্র এবং পুঁজিপতি ও গান্ধীবাদীদের ষড়যন্ত্র কোথায় ভেসে যেতো | কিন্তু, তারা নিস্কন্টক হল, পণ্ডিত ( ! ) জওহরলালকে আর তলোয়ার দিয়ে নেতাজী সুভাষচন্দ বোসকে অভ্যর্থনা জানাতে হতো না |
------ ' গান্ধীবাদ স্বাধীন ভারতবর্ষকে এক সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেবে | ' -( Bose,Werth,Ayer )
গান্ধীবাদীদের সুভাষ বোসের প্রতি এত অবিচার, এত অভদ্রতা, কুৎসিত, আচরনের মধ্যেও তাঁর ধোয্য, সৌজন্যবোধ তেজ ও দৃঢ়তা দেখে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ সেদিন মুগ্ধ হয়ে , অভিনন্দনবানী পাঠিয়ে " দেশনায়ক " বলে সম্বোধন করেছিলেন |
আজকাল যে-সব ছাত্র - যুবকরা একদিকে নেতাজীর ছবিতে মালা দেয়, আর একদিকে " কংগ্রেস জিন্দাবাদ " শ্লোগান তুলে, ---- তাদের অতীতের ঘটনাগুলোকে স্মরন করতে বলি | কংগ্রেসের গান্ধীবাদী নেতৃত্ব সুভাষবোসকে কোনঠাসা করার জন্য কিভাবে একটার পর একটা ঘৃন্য ষড়যন্ত্র করেছিল ---- সেগুলি ভেবে দেখতে অনুরোধ করি |
গান্ধী তার অসহযোগ অস্তটি বৃটিশের বিরুদ্ধে নয়, কংগ্রেস সভাপতি ( সুভাষচন্দ বোসের) বিরুদ্ধে প্রয়োগ করেছিল | তাঁকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছিল | আজ যারা কংগ্রেসের ঝান্ডা বহন করছেন, একই মন্চে গান্ধী, নেহেরু, ইন্দিরা, ও নেতাজীর ছবি স্থাপন করছেন, তাদের, বিশেষভাবে পশ্চিমবঙ্গের বিভ্রান্ত ছাত্র-যুব সম্প্রদায়কে স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসের এই কলংকজনক অধ্যায়ের কথা স্বরন করতে বলি |
লালবাহাদুর শাস্ত্রী বলেছিলেন, ---- " উনিই আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন | " ( নেতাজী সম্পর্কে এই ছিল প্রথম সত্যোচ্চারন )
মোরারজী দেশাই ছিলেন গান্ধী শিবিরের নেতা | গান্ধীবাদ তার মতাদর্শ কিন্তুু তিনিই ঐতিহাসিক পরিস্থিতিতে মূল্যায়ন করে বলেছিলেন, ---- ' যদি মহাযুদ্ধের পর সুভাষ বোস ভারতে ফিরে আসতে পারেন তবে, তিনিই হতেন সর্বেসর্বা | নেহেরু বলে কেউ থাকতো না, নেহেরু পরিবারের কেউ নেতা হতো না | ( দেয়ার উড হ্যা্ড বিন নো নেহেরু, নান ফ্রম হিজ ফ্যামিলি ) সুভাষচন্দ হতেন ভারতের নিয়তি পুরুষ | '
ডঃ পট্টভি সীতারামাইয়া বলেছিলেন, --- ' চারিত্রশক্তিতে নজিরবিহীন, বিশালাত্বে সীমাহীন, কীর্তিতে মহীয়ান ছিলেন নেতাজী সুভাষচন্দ বোস | '
বলেছিলেন জাপানি জেনারেল কাওয়াবে, --- " বিপ্লবী সৈন্যদলের সংগঠক ও প্রেরনাদাতারুপে, পাকা রনকৌশলী হিসাবে ও সামরিক অভিযানের পরিকল্পনাকারী রুপে সুভাষচন্দ বসুকে নিয়ে যে কোনো জাতি গর্বিত হতে পারেন | নেতাজী সুভাষ চন্দ বসুকে নিয়ে শুধু ভারতের গর্ববোধ করাই উচিত নয়, আধুনিক ভারতের মহত্তম বিপ্লবী ও শ্রেষ্ঠ মিলিটারি জেনারেল রুপে তাঁকে অভিবাদন জানানোও উচিত | ' কিন্তু, আমরা তাঁকে কি দিয়েছি ? ' তেজোর কুকুর ', ' লুণ্ঠনকারী ', ' আক্রমনকারী ', ' দস্যু ' -- ইত্যাদি ইত্যাদি |
' জীবনে যতোজন শ্রেষ্ঠ মানুষের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে, চন্দ্র বসু তাঁদের মধ্যে অন্যতম | ' --- বলেছিলেন, ফিলিপাইন্সের জনক ও প্রেসিডেন্ট ডাঃ জোসেফ লরেল |
গান্ধীর মতো একটা লোক, তার ' হরিজন ' পত্রিকাতে লিখতে বাধ্য হল, ----- ' নেতাজী নামের প্রভাব বিরাট | তাঁর সকল কাজের ভেতর দিয়ে প্রকট হয়েছে তাঁর অকুতোভয়তা | নেতাজী হলেন দেশপ্রেমিকের মাথার মুকুট | দেশপ্রেমের রাজা তিনি | '
এই রকম বোধদয় অনেকের হয়েছে | তবে অনেক দেরিতে |
আর তাই আজও রহস্যে মোড়া, - নেতাজী সুভাষচন্দ বোস, লালবাহাদুর শাস্ত্রী, ডঃ শ্যামাপ্রসাদজীর মৃত্যু রহস্য |
গান্ধীর মতো একটা লোক, তার ' হরিজন ' পত্রিকাতে লিখতে বাধ্য হল, ----- ' নেতাজী নামের প্রভাব বিরাট | তাঁর সকল কাজের ভেতর দিয়ে প্রকট হয়েছে তাঁর অকুতোভয়তা | নেতাজী হলেন দেশপ্রেমিকের মাথার মুকুট | দেশপ্রেমের রাজা তিনি | '
এই রকম বোধদয় অনেকের হয়েছে | তবে অনেক দেরিতে |
আর তাই আজও রহস্যে মোড়া, - নেতাজী সুভাষচন্দ বোস, লালবাহাদুর শাস্ত্রী, ডঃ শ্যামাপ্রসাদজীর মৃত্যু রহস্য |
ভারত মাতা কি -- জয় |
ড. সুভাষ মুখোপাধ্যায়
ড. সুভাষ মুখোপাধ্যায় শেয়ার করেছেন প্রণব কুমার কুণ্ডু
"এক ডক্টর কী মওত" তপন সিনহার এই সিনেমাটি যে ১৯৯০ সালে তৈরী হয়। ডঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের এর জীবন ও মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তপন সিনহা এই ছবিটি পরিচালনা করেন।
সুভাষ মুখোপাধ্যায় (জানুয়ারি ১৬, ১৯৩১ - জুন ১৯, ১৯৮১) একজন ভারতীয় চিকিৎসক ছিলেন, যিনি ভারতে প্রথম এবং পৃথিবীর দ্বিতীয় নল-জাত শিশু দুর্গার সৃষ্টিকর্তা হিসেবে স্বীকৃত। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের নিকট তাঁর গবেষণার ফল জানানোর ক্ষেত্রে তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দ্বারা প্রচণ্ড ভাবে বাধাপ্রাপ্ত হন এবং হতাশ হয়ে ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দের ১৯শে জুন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন। তাঁর জীবন ও মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তপন সিনহা এক ডক্টর কি মউত নামক হিন্দি চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন।
প্রথম জীবন
প্রথম জীবন
তিনি ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে কলিকাতা জাতীয় আয়ুর্বিজ্ঞান বিদ্যামন্দির থেকে এমবিবিএস পাশ করেন এবং ধাত্রীবিদ্যায় প্রথম স্থান অর্জন করেন। তিনি ঐ বছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শারীরবিদ্যা বিষয়ে বিএসসি ডিগ্রী অর্জন করেন এবং ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক সচ্চিদানন্দ ব্যানার্জীর অধীনে প্রজননশারীরবিদ্যা বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইংল্যান্ডযান এবং ১৯৬৭ খৃষ্টাব্দে এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধ্যাপক জন লোরেনের সঙ্গে গবেষণা করে লিউটিনাইজিং হরমোনের পরিমাপ নির্ণয়ের এক নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করে দ্বিতীয়বার পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন।
গবেষণা
কোনো আধুনিক গবেষণাগার তথা যন্ত্রপাতি ছাড়াই তিনি এক অসাধ্য সাধন করে ফেললেন।দিনটি ছিল
১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দের ৩রা অক্টোবর।
গবেষণা
কোনো আধুনিক গবেষণাগার তথা যন্ত্রপাতি ছাড়াই তিনি এক অসাধ্য সাধন করে ফেললেন।দিনটি ছিল
১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দের ৩রা অক্টোবর।
তিনি ভারতের প্রথম চিকিৎসক ও বিজ্ঞানী হিসেবে এক নল-জাত শিশুর জন্ম দিয়ে ইতিহাস স্থাপন করেন। তিনি এই শিশুটির নাম রাখেন দুর্গা (কানুপ্রিয়া আগরওয়াল)। ব্রিটিশ বৈজ্ঞানিক প্যাট্রিক স্টেপটো ও রবার্ট জিওফ্রি এডওয়ার্ডস দ্বারা ওল্ডহ্যাম জেনারেল হসপিটালে পৃথিবীর প্রথম নল-জাত শিশু লুইস জন ব্রাউনের জন্ম দেওয়ার ৬৭ দিন পরে সুভাষের গবেষণার দ্বারা দুর্গার জন্ম হয়।
কিন্তু আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে তাঁর গবেষণার সম্বন্ধে বক্তৃতা দিতে চাইলেপশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিতে অস্বীকার করে। এই গবেষণার স্বীকৃতি প্রদান না করে পশ্চিমবঙ্গ সরকারেরস্বাস্থ্যদপ্তর তাঁর গবেষণার সত্যতা সম্বন্ধেই সন্দেহ প্রকাশ করে ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দের ১৮ই নভেম্বর পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। সুভাষের সমস্ত গবেষণা মিথ্যা বলে এই কমিটি রায় দেয়। শাস্তি স্বরূপ সুভাষকে রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অপথ্যালমোলজি নামক প্রতিষ্ঠানের চক্ষু বিভাগে স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়, যার ফলে প্রজনন শারীরবিদ্যা সমন্ধে সমস্ত গবেষণা তাঁকে বন্ধ করে দিতে হয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আমলাতান্ত্রিকতা ও পশ্চিমবঙ্গেরচিকিৎসক সমাজ দ্বারা ক্রমাগত বিদ্রুপ ও অপমানে হতাশ হয়ে সুভাষ ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দের ১৯শে জুন কলকাতায় নিজের বাসভবনে আত্মহত্যা করেন।
স্বীকৃতি
স্বীকৃতি
টি. সি. আনন্দ কুমারের গবেষণার ফলে ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দের ১৬ই আগস্ট হর্ষবর্ধন রেড্ডি বুরি জন্মগ্রহণ করলে তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম নলজাত শিশু বলে গণ্য করা হয়। অবশেষে এল সেই মাহেন্দ্রক্ষন ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে আনন্দ কুমার কলকাতা শহরে অনুষ্ঠিত একটি বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে যোগ দিতে এলে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের গবেষণা নথিগুলি তাঁর হাতে আসে। এই সমস্ত নথিগুলি যাচাই করে ও দুর্গার পিতা-মাতার সাথে আলোচনা করে তিনি নিশ্চিত হন যে, সুভাষ মুখোপাধ্যায়ই ছিলেন প্রথম নল-জাত শিশুর স্রষ্টা।পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরকে পাঠানো গবেষণা সংক্রান্ত সুভাষের চিঠির কথা তিনি সংবাদমাদ্যমে প্রচার করেন। কানুপ্রিয়া আগরওয়ালা বা দুর্গা তাঁর ২৫ তম জন্মদিনে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের এক স্মৃতিসভায় নিজের পরিচয় সর্বসমক্ষে জানিয়ে ঘোষণা করেন যে, সুভাষের গবেষণা মিথ্যে ছিল না।
তথ্যসূত্র :Wikipedia
লেবেলসমূহ:
ড. সুভাষ মুখোপাধ্যায়
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)