শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৬

মোদিজি মশাই !




মোদিজি মশাই !


মোদিজি !
দু হাজার টাকার নোট পেলাম ! কে দু হাজার টাকার নোটের ভাঙ্গানি দেবে ?

মোদিজি !
দৈনন্দিন বাজার করব  কি ভাবে ? কে দু হাজার টাকার নোটের ভাঙ্গানি দেবে ?

মোদিজি !
মুদিখানার কেনাকাটাও বা কি করে করব  ? কে দু হাজার টাকার নোটের ভাঙ্গানি দেবে ?

মোদিজি !
দু হাজার টাকার নোটের ভাঙ্গানি পা্ওয়ার অভাবে, দু হাজার টাকার নোটের ভাঙ্গানি দেবার জন্য,  একপ্রস্থ নতুন ব্যাঙ্ক খুলুন ! গৃহস্থ বাঁচুক !

মোদিজি !
নাকি আপনি চাইছেন, গৃ্হস্থ কাঁদুক ?

বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৬

দু হাজার টাকার নোট





দু হাজার টাকার নোট


দু হাজার টাকার নোট, কি গরীব, কি মধ্যবিত্ত, কি উচ্চবিত্ত, এদের কারোর, দৈনন্দিন বাজার খরচে, কাজে আসবে না !

ওটার ভাঙ্গানি পাওয়া যাবে না !

পাঁচশো টাকার বা হাজার টাকার নোটের মতো, ঘরে তুলে রাখতে হবে !

ও টাকা আবার 'ব্যান' ( ban ) করতে হবে !

দু হাজার টাকার নোট বাজারজাত করা, কি ফাজলামি ? না খচরামি ? না নিমকহারামি ? না নিমকহালালি ?

বুঝতে পারছি না !

আমার গদ্যরচনায় দেশের নাম


আমার গদ্যরচনায় দেশের নাম

দেশ অনুসারে পৃষ্ঠাদর্শন

ব্লগ দর্শকদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় দেশের গ্রাফ
প্রবেশপৃষ্ঠাদর্শন
ভারত
892
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
473
জার্মানি
61
পোল্যান্ড
16
আয়ারল্যান্ড
8
নেদারল্যান্ডস
8
ফিলিপাইন
4
ডেনমার্ক
2
ব্রাজিল
1

ব্রাউজার অনুসারে পৃষ্ঠাদর্শন

প্রবেশপৃষ্ঠাদর্শন
Firefox
823 (51%)
Chrome
545 (34%)
Internet Explorer
108 (6%)
Safari
60 (3%)
SamsungBrowser
29 (1%)
UCBrowser
21 (1%)
Opera
1 (<1%)
চিত্র সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রাউজার প্রদর্শন করছে

অপারেটিং সিস্টেম অনুসারে পৃষ্ঠাদর্শন

প্রবেশপৃষ্ঠাদর্শন
Windows
998 (62%)
Macintosh
261 (16%)
Linux
209 (13%)
Android
108 (6%)
iPhone
8 (<1%)
Unix
3 (<1%)
compatible
1 (<1%)
চিত্র সবচেয়ে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম প্রদর্শন করছে

বিন্দুজ নাদজ




বিন্দুজ  নাদজ


পৃথিবীতে দুই ধরণের 'প্রজা' আছে ! প্রজা, এখানে, মনুষ্য ! অর্থাৎ, মানুষ !
এক ধরণের প্রজা, স্ত্রী-পুরুষের সংযোগ-সম্পর্কে, যাদের জন্ম !

শাস্ত্রে, এদের বলা হয় 'বিন্দুজ' ! কেননা,শাস্ত্রে, 'শুক্র'কে বলা হয়, 'বিন্দু' ! বিন্দু অর্থে ফোঁটা। যেমন, বীর্য বিন্দু ! সেই 'বিন্দু' থেকে জন্ম বলে, 'বিন্দুজ' ! 'জ', বিণ., সমাসের পরপদে থাকলে, অর্থ,   জাত, উৎপন্ন,  যেমন,  জলজ, পঙ্কজ, সরোজ, ইত্যাদি ! এখানে, সেই হিসাবে, মানুষ 'বিন্দুজ' !

আমাদের দুই' ভ্রূ'-এর মধ্যে 'আজ্ঞাচক্র' থাকে। সেই আজ্ঞাচক্রকেও বলে বিন্দু ! ওখানে, আমার নামে নাম, প্রণবরূপ অন্তরাত্মার  অবস্থান ! প্রণববিন্দু হেতু, ভ্রুমধ্য, বিন্দু !

বিন্দু, রূপক অর্থে, প্রকৃতি। আবার বিন্দু, বীজবিশেষ-ও !

নায়িকার ওষ্ঠে, নায়কের কৃত, দন্তক্ষত-ও বিন্দু !

বিন্দুপাতে সন্তানের জন্ম !

বীর্যবিন্দুর একটি শুক্রাণু , যেহেতু ডিম্বাণুকে ভেদ করে, তাই বিন্দু বেদনশীল এবং সেই শুক্রাণু বেদনশীলতার-ও জ্ঞাতা !

শুক্রাণু, প্রাণশক্তি সম্পন্ন !

বেদন। বোধ। অনুভূতি।
বেদন। জ্ঞান। জ্ঞাপন।
বেদন। ব্যথা। বেদনা।


প্রজা আবার সৃষ্টি হয়, শব্দ অর্থৎ 'নাদ' থেকে ! নাদ, ধ্বনিবিশেষ !

এখানে, প্রজা বলতে মানুষ !

'প্রজাপতি' শব্দ থেকে, 'প্রজা' শব্দ এসেছে !

আমাদের দেশে এখন প্রজা, ভারতরাষ্ট্রের এবং প্রাদেশিক রাজ্যের, যেমন পশ্চিমবঙ্গের, লোকজন !

একসময়ে 'প্রজাপতিরা' ছিলেন,  মনুষ্যকুলের স্রষ্টা বা প্রধান পালক। যেমন 'বিধাতা' !

'প্রজাপতি নির্বন্ধ' কথাটা এখানে সাযুজ্যপূর্ণ ! নির্বন্ধ, অর্থাৎ, বিধান, নিয়ম, ব্যবস্থা। যেমন, 'বিধি নির্বন্ধ"। 'দৈবের নির্বন্ধ'। ইত্যাদি !

শুরুতে, বিধাতা ছাড়াও, ব্রহ্মা ছিলেন 'প্রজাপতি' !

এরপরে অন্য প্রজাপতিরা এসে গেলেন, যেমন

১। মরীচি
২। অত্রি
৩। নারদ
৪। অঙ্গিরা
৫। পুলস্ত্য
৬। পুলহ
৭। ক্রতু
৮।দক্ষ
৯। বশিষ্ঠ
১০। ভৃগু

এই দশ জন সকলেই ব্র্হ্মার 'মানস পুত্র' ছিলেন !

'নাদ' থেকেও, 'প্রজা' সৃষ্টি !

সেই প্রজাসৃষ্টি সংঘটিত হয়, 'দীক্ষা'  'মন্ত্র' 'উপদেশ' 'পরামর্শ' ইত্যাদির দ্বারা !

দীক্ষা।

দীক্ষা, ইষ্টমন্ত্রদান, ইষ্টমন্ত্র গ্রহণ, গুরুর কাছ থেকে প্রাপ্ত মন্ত্র বা উপদেস গ্রহণ। নিয়ম পালন। সংস্কার সাধন। ব্রত পালন। ইত্যাদি।

মন্ত্র।

মন্ত্র হচ্ছে, পবিত্র শব্দ বা শব্দ সমষ্টি বা পবিত্র বাক্য, বা বাক্য সমষ্টি, যা সঠিক ভাবে আন্তরিকতার সাথে স্পষ্ট উচ্চারণ করে, দেব-দেবীর পূজা করা হয় !

মন্ত্র উচ্চারণে, ত্রাণ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে ! ত্রাণ, বিপদ পাপ প্র্ভৃতি থেকে, উদ্ধার রক্ষা নিষ্কৃতি মুক্তি !

মন্ত্র সংস্কৃতে লেখা এবং মন্ত্র, বৈদিক সাহিত্যের অংশবিশেষ !

মন্ত্রতন্ত্র বলতে বোঝায়, বিবিধ মন্ত্র ও সেই অনুযায়ী বিভিন্ন প্রক্রিয়া !

মন্ত্র দ্বারা পবিত্রকৃত করা যায়, একে বলে মন্ত্রপুত করা !

মন্ত্রের আবার শক্তি বা জোর থাকে, একে বলে মন্ত্রশক্তি !

মন্ত্রদ্বারা আবার কাউকে বশীভূতও করা যায় !

মন্ত্রশিষ্য, কোন ব্যক্তি কর্তৃক দীক্ষিত শিষ্য !

অনেকে আবার মন্ত্রের সাহায্যে কর্মসাধনও করে থাকেন, তাঁরা মন্ত্রসাধক !

মন্ত্রের দ্বারা সিদ্ধিলাভের প্রয়াস করা যায়।

মন্ত্র জপ দ্বারা সিদ্ধিপ্রাপ্ত হলে, তাঁকে বলা হয়, মন্ত্রসিদ্ধ।


উপদেশ/পরামর্শ

উপদেশ হচ্ছে, পরামর্শ। সৎ পরামর্শ !

উপদেশ কখনও বা অনুশাসন !  কখনো শিক্ষা।

গুরু বা শিক্ষক বা কোন ভালো উপদেশক বা সেই ধরণের অন্য কেউ, উপদেষ্টা হতে পারেন !


পরামর্শ,

 পরামর্শ, সাধারণত, পরস্পর আলোচনা সাপেক্ষে, দিঙ্‌নির্ণয় করা বা করানো ! স্থির সিদ্ধান্তে পোঁছানো !

পরামর্শে, যুক্তি থাকে, মন্ত্রণাও থাকতে পারে। পরামর্শ অভিমতও। কখনো, 'বুদ্ধি' দেওয়া !


নিবৃত্তিপরায়ণ সাধু-মহাপুরুষরা, যাঁরা একসময়ে ছিলেন,
নিবৃত্তিপরায়ণ সাধু-মহাত্মারা, যাঁরা এখন আছেন,
এবং নিবৃত্তিপরায়ণ সাধু-সন্ন্যাসিরা যাঁরা আগামী ভবিষ্যতে হবেন,
তাঁরা, যাদের মন্ত্রদীক্ষা দেবেন, সেই দীক্ষিত সন্তানেরা, তাঁদের 'নাদজ প্রজা' !

যুক্তি-তর্কের খাতিরে, ধরে নিন, 'সপ্ত ঋষি', এবং 'চতুর্দশ মনু', বিবাহিত ছিলেন। তাঁদের থেকে জন্মপ্রাপ্ত সন্তানেরা, 'প্রাথমিক ভাবে' 'বিন্দুজ প্রজা' !

সেই সন্তানেরা যদি কোন 'গুরুদেব'-এর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন,  তবে তাঁরা, সেই গুরুদেব-এর 'নাদজ প্রজা' !

এখানে একটু পৌরাণিক গল্প বলে নিই !

চতুঃসন,
ভগবানের যে অবতারে, চারজন 'সন', অর্থাৎ, সনক, সনন্দন বা সনন্দ, সনাতন, সনৎকুমার ছিলেন, তাঁরা সবাই ছিলেন, 'কৌমার' ব্রতধারী ! এঁদের কাছ থেকে, যারা, 'নির্দেশনা', 'উপদেশ' ইত্যাদি পেয়েছিলেন, তারা সবাই ছিলেন ঐ 'চতুঃসন'-এর  'নাদজ প্রজা' !

বর্তমান যুগে, গুরু-শিষ্যের পরম্পরায়, শিষ্যরা, পুরনো ভাবধারায় 'প্রজা' !

এখন অনের ধর্মীয় সংগঠনও, সংগঠনের কোন কোন ব্যক্তিবিশেষের নামে, দাপিয়ে গুরুগিরি চালায় !
সংগঠনের আয়-উন্নতি তাতে ভালোই হয় ! তাদের শিষ্যরাও, সেই সংগঠনের  'নাদজ প্রজা' ! সেই 'প্রজারা' সংগঠনকে অর্থনৈতিকভাবে অনেক শক্তিশালী করে তোলে !


'আমার কথা ( এক )'



               প্রণব কুমার কুণ্ডু, প্রবন্ধ লেখক, কবি


লিমেরিক-ছড়াকার   প্রণব কুমার কুণ্ডু



'আমার কথা  ( এক )'




আমি পঞ্চান্ন বছর ধরে বাংলা ভাষায় কবিতা লিখছি ! আমার কোন প্রকাশিত কবিতার বই নেই। কোন প্রকাশনা সংস্থা এগিয়ে আসে নি ! দিলাম অনেকগুলো কবিতা ইন্টারনেটে লোড করে । ভালো সাড়া পাচ্ছি ! আমার কবিতার পাঠক-পাঠিকার সংখ্যা এখন সবচেয়ে বেশি ভারতে। তারপরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।



১। ভারত


২। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

অন্যান্য দেশগুলি যেমন


৩। জার্মানি

৪। বাংলাদেশ

৫। রাশিয়া

৬। নেদারল্যাণ্ডস

৭। ফ্রান্স

৮। আয়ারল্যাণ্ড

৯। সংযুক্ত আরব আমিরাত

১০। অস্ট্রেলিয়া

১১। রুমানিয়া

১২। সৌদি আরব

১৩। ডেনমার্ক

১৪। ইন্দোনেশিয়া

১৫। চিলি

১৬। তুরস্ক

১৭। ভেনেজুয়েলা

১৮। সিঙ্গাপুর

১৯। চীন

২০। ভিয়েতনাম

২১। মরোক্কো

২২। কাতার

২৩। পাকিস্তান

২৪। ফিলিপিন

২৫। পোল্যাণ্ড

২৬। ফিজি

২৭। মিশর

২৮। বেলজিয়াম

২৯। যুক্তরাজ্য

৩০। আলজেরিয়া

৩১। ইসরায়েল

৩২। বাহরাইন

৩৩। সুরিনাম

৩৪। বতসোয়ানা

৩৫। গ্রীস

৩৬। অস্ট্রিয়া

৩৭। সার্বিয়া

৩৮। ঘানা

৩৯। হাঙ্গেরি

৪০। ইতালি

৪১। থাইল্যান্ড

৪২। ইরাক

৪৩। আর্মেনিয়া

৪৪। এন্টিগুয়া ও বারবুডা

৪৫। নাইজেরিয়া

৪৬। চেচিয়া

৪৭।বেলারুশ

৪৮। জর্ডন

৪৯। আজারবাইজান

৫০। ইউক্রেন

৫১। কেনিয়া

৫২। সিঙ্গাপুর

৫৩। কিরগিজিস্তান

৫৪। কাজাখস্তান

৫৫। ব্রাজিল

৫৬। বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা

৫৭। জর্জিয়া

৫৮। দক্ষিণ কোরিয়া

৫৯। কুয়েত

৬০। মেক্সিকো

৬১। সুইজারল্যান্ড

৬২। হংকং

৬৩। ফরাসী পলিনেশিয়া

৬৪। সুইডেন

৬৫। কানাডা

৬৬। লেবানন

৬৭। ওমান

৬৮। আর্জেন্টিনা

৬৯। ফিলিস্থিন

৭০। রুয়ান্ডা

৭১। কলম্বিয়া

৭২। মঙ্গোলিয়া

৭৩। হাঙ্গেরি

৭৪। জাপান

৭৫। ডোমেনিকান প্রজাতন্ত্র

৭৬। পেরু

৭৭। লিবিয়া

৭৮।স্পেন

৭৯। মালয়েশিয়া





প্রভৃতি

অন্তত ৭৯ টি দেশে ।



এখন দেখছি বাংলা কবিতায় পাঠক /পাঠিকার সংখ্যার এবং রাষ্ট্র সংখ্যার নিরিখে আমার কবিতা আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে গেছে !

এখন পর্যন্ত  ৪২৭৭ টি  কবিতা এবং কবিতা সংক্রান্ত বিবরণ পাবেন।

আমার কবিতায় নৈতিক আধ্যাত্মিক সাংস্কৃতিক সামাজিক রাজনৈতিক ধর্মীয় বিষয় বস্তু পাবেন। বিদ্রুপাত্মক কবিতাও আছে ! ছোটদের জন্যেও কবিতা আছে। মনোরঞ্জনের কবিতাও পাবেন ! হাসির কবিতা পাবেন।

এছাড়া 'ছড়া কবিতা'  আর  'লিমেরিক'  আছে। প্রেমের কবিতা পাবেন। বিজ্ঞান বিযয়ক কবিতা পাবেন। সমস্ত কবিতার সূচি পাবেন। সূচি দেখে কবিতা নির্বাচন করতে পারবেন। সূচি আপ-টু-ডেট পাবেন। সূচিতে নির্দিষ্ট কবিতা  'ক্লিক' করলে কবিতাটি পেয়ে যাবেন।


বিশ্বে  ৯৬৭০৪ জন  'পাঠক / পাঠিকা'  এখন পর্যন্ত আমার কবিতা পড়েছেন / দেখেছেন / 'ক্লিক' করেছেন।


আমার কবিতা পড়ুন। আপনার পরিচিত অন্যান্যরা, যারা কবিতা পড়তে ভালোবাসেন, তাদের বলুন।

মতামত জানান। কবিতাপ্রাপ্তির ঠিকানাগুলি, ট্যুইটার, ফেসবুক, ব্লগ, গুগুল+।।

Blog : pranabk.blogspot.com



ধন্যবাদ !


এর মধ্যে আমার গদ্যরচনার ব্লগ শুরু হয়েছে। গদ্যরচনাও দেখুন ! pranabk2.blogspot.com

নতুন সংষোজনা, Google+ ওখানে ইংরেজিতে pranab kumar kundu সার্চ করুন। পেয়ে যাবেন ! ট্যুইটার এবং ফেসবুকেও আমার গদ্যরচনা পাবেন। 'প্রণব কুমার কুণ্ডুর গদ্যরচনা'।

আরেকটা 'ব্লগ'ও শুরু করেছি !
"প্রণব কুমার কুণ্ডুর বিভিন্ন বিষয়ক রচনা"
pranabk3blogspot.com
ওটাও দেখুন !


নমস্কার !

অনন্দে থাকুন !

প্রণব কুমার কুণ্ডু ।
১০।০৮।২০১৭। / ৩০।১০। ২০১৬


ঠিকানা


Twitter.com/pkkundu10
Twitter.com/pkkundu101

Facebook.com/pkkundu10

http//pranabk.blogspot.com

Email: pkkundu10@gmail.com



মোবাইল  +৯১ ৮০১৭৪৩৫১৮০ / ৯১২৩০০৭৭২৯


স্থায়ি ঠিকানা

২২৩ মিত্রপাড়া রোড

শ্যামাসুন্দরীতলা

নৈহাটি

উত্তর ২৪ পরগনা

পশ্চিমবঙ্গ

ভারত

পিনকোড ৭৪৩১৬৫ ।










বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৬

শ্রীমদ্ভাগবত

শ্রীমদ্ভাগবত

শ্রীমদ্ভাগবত


শ্রীমদ্ভাগবতে


সর্গ
বিসর্গ
স্থান
পোষণ
কর্মবাসনা
মন্বন্তর
ঈশানুকথা
নিরোধ
মুক্তি
এবং আশ্রয়
এই দশটি বিষয়
লক্ষিত হয়।
আশ্রয়। অর্থাৎ ঈশ্বরে আশ্রয়। ঈশ্বরের কোলে অাশ্রয়। আশ্রয়। শ্রীকৃষ্ণে আশ্রয়। ভগবান শ্রীকৃষ্ণে আশ্রয়। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কোলে আশ্রয় !


দশম বিষয়
আশ্রয়-এর তত্ত্বজ্ঞান লাভের জন্য
বিশিষ্ট পুরাণকারেরা
অন্য নয়টি বিষয়ের বিষয়কে
কোথাও শ্রুতির প্রমাণের সাহায্যে
কোথাও তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে  বৃত্তির সাহায্যে
বা কোথাও
সাক্ষাৎ রূপে
বর্ণনা করেছেন।

* সূত্র : 'শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত', পৃষ্ঠা ৩২। গীতা প্রেস।
* * আকর গ্রন্থ, শ্রীমদ্ভাগবত-মহাপুরাণ, গীতা প্রেস।




শাস্ত্রের ধারণায়, ঈশ্বর 'জন্মরহিত' ! ঈশ্বর যদি জন্মরহিত হন, তাহলে ঈশ্বর 'স্বয়ম্ভূ' হতে পারেন না ! তিনি 'স্বয়ংসৃষ্ট' হতে পারেন না ! কেননা সেটাও, অর্থাৎ স্বয়ংসৃষ্ট হওয়া, বা স্বয়ম্ভূ হওয়াও,  তো  জন্ম !
শাস্ত্রের ধারণায়, ঈশ্বরের শক্তি, 'মায়া' !
মায়াকে কে সৃষ্টি করল ?
মায়াকে কি ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন ?
কিন্তু তখনও তো সৃষ্টি প্রক্রিয়া শুরুই হয় নি !
তার আগেই মায়ার প্রাদুর্ভাব হল কি করে ?
তাহলে কি মায়া ঈশ্বরের প্রথম সৃষ্টি ?
আসলে,  হিন্দু শাস্ত্রে, অনেক জায়গায় দেখবেন, শাস্ত্রের বক্তব্য আছে, কিন্তু তার পে্ছনে প্রকৃত যুক্তি,  বিচার,  বিশ্লেষণ নেই !
ঈশ্বরের নিজের দ্বারা, সৃষ্টি প্রক্রিয়াকে বলে 'সর্গ'। এটা কিন্তু 'স্বর্গ' নয় !
ঈশ্বরের নিজের দ্বারা, সৃষ্টি প্রক্রিয়াকে বলে 'সর্গ'।
সুতরাং ঈশ্বর যে সৃষ্টি করেন না, একথা ঠিক নয় !
'সর্গ'  প্রক্রিয়া,  সেটা, চর-অচর সৃষ্টির আগে চলেছিল ! যুগ যুগ বছর আগে ! বহুযুগ আগে ! বহুযুগ ধরে !
প্রাণীগোষ্ঠী এবং উদ্ভিদগোষ্ঠী একসাথে চর-অচর।চর, অর্থাৎ,  যারা চলাচল করতে পারে। চর-এর movement আছে। কিন্তু, অচর-এর movement নেই । অচর থিতু।
যুক্তি-তর্কের খাতিরে, ধরে নিন, তখন শুধু এক ঈশ্বর আছেন !
'ব্রহ্মাণ্ড' বলে কিছু নেই !
ঈশ্বর, প্রথমে, 'সূক্ষ্ম কারণ ব্রহ্মাণ্ড'  তৈরি করবেন ! অর্থাৎ, 'তত্ত্বে', ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করার প্রচেষ্টা, চালাবেন ! এটা , purely theoretical., অর্থাৎ,  পরিপূর্ণভাবে তত্ত্বীয়। বাদীয়। ধারণাগত !
'কারণ'-এর, ধারণার আগেও, 'কারণাতীত', একটা পর্যায় থাকে। 'কারণ', হচ্ছে, হেতু, মূল ! 'কারণাতীত', 'কারণ' পর্যায়েরও, আগের পর্যায় ! তখন বলা যেতে পারে, সেটা 'শূন্য' পর্যায় ! 'নিরঞ্জন' পর্যায় ! 'ঈশ্বর' পর্যায় ! 'পরব্রহ্ম' পর্যায় !
আমি কিছু ব্যাখ্যা দেবার চেষ্টা করছি মাত্র !
ঈশ্বর বৈজ্ঞানিক ছিলেন ! বিরাট বড়, অতি বড়, বিজ্ঞানী !
পরে ঈশ্বর, 'সূক্ষ্ম করণ ব্রহ্মাণ্ড'  তৈরি করবেন !
করণ',   'কারণ'-এর সহায়ক কাজের প্রধান সহায়ক ! করণে, সূক্ষ্ম  material সৃষ্টি ! সেটা, বস্তুগত। পদার্থগত । বাস্তব ! প্রথমে পরমাণু সৃষ্টি। বিভিন্ন মৌল পদার্থের পরমাণু। পরে মৌলিক পদার্থের মৌলিক অণু । এরপরে যুগ্ম অণু। তারপরে,  chemical compound.  যৌগ পদার্থ। সংশ্লেষে সংশ্লেষে, বিভিন্ন পদার্থের অণুর সমবায় গড়ে উঠল ! যৌগ অণু। যৌগিক অণু। মিশ্র অণু্। জটিল অণু। ইত্যাদি।
এগুলো সবই রসায়নবিদ্যার ব্যাপার ! ঈশ্বর এক বিরাট বড় রসায়নবিদ ছিলেন !
এরপরে, 'সূক্ষ্ম ব্রহ্মাণ্ড'  তৈরি !
এগুলোর  সব এক-একটা পর্যায় ঘটতে, যুগ যুগ বছর কেটে যায় !
তারপর শুরু হয়, ব্রহ্মাণ্ড তৈরির কাজ ! ধীরে ধীরে স্থূল সৃষ্টি। ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি !
এগুলো সবই, যুগ যুগ বছরের ধাক্কা !
এখানে, ঈশ্বর আবার পদার্থবিদ !


সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬

সাকার নিরাকার ব্রহ্ম




সাকার নিরাকার ব্রহ্ম


ব্রাহ্মধর্ম। ব্রাহ্মদের কাছে, 'নিরাকার পরমেশ্বর'-এর উপাসনা !

হিন্দুদের মধ্যেও, অনেকে, 'নিরাকার পরমেশ্বর'-এর উপাসনা করে থাকেন !

তবে তাঁরা হিন্দুই ছিলেন, হিন্দুই আছেন, আর হিন্দুই থেকে যাবেন !

তবে, 'ব্রাহ্ম,' কারা ?

যারা রাজা রামমোহন রায়, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, কেশবচন্দ্র সেন, শিবনাথ শাস্ত্রী,  প্রমুখদের গোষ্ঠীভূক্ত হয়ে, 'পরমেশ্বর' সম্বন্ধে এক বিশেষ ধাবণার বশবর্তী হয়েছেন, এবং সেই 'পরমেশ্বর'কে, 'ব্রহ্ম' নাম দিয়ে, বিশেষ 'উপাসনা' পদ্ধতির মাধ্যমে, তাঁরা, তাঁদের ধর্মকর্ম এবং তাঁদের 'সমাজ' চালিয়েছেন, 'তাঁরা' !


ওঁনারা তো ! 'পরমেশ্বর'-এর 'নিরাকার' ভাগটা ( যদি কিছু থাকে ), 'ব্রহ্ম' নাম দিয়ে, নিলেন ! কিন্তু যদি পরমেশ্বর'-এর 'সাকার' রূপও থাকে, তবে সেই 'সাকার রূপটি', হয় ফেলে দিলেন, নয়তো তাঁরা নিলেনই না !

নিরাকার 'ব্রহ্ম' হচ্ছেন, 'ফক্কা', কিছুই না !  ওটা শূন্য । সংস্কৃতে শব্দটা হচ্ছে, 'ফক্কিকা' !

সাকার পরমেশ্বর হচ্ছেন' পরমেশ্বরের 'সাকার' form ! ফর্ম হচ্ছে, গঠন, আকার,  আকৃতি,  মূর্তি,  রূপ, এমন কি 'অনুভব'ও ! অনুভবটাই আসলে আসল !

সাকার পরমেশ্বর হচ্ছেন, পরমেশ্বরের সাকার form !

পরমাশ্বরকে যদি  'ব্রহ্ম' বলি, তবে 'নিরাকার ব্রহ্ম' বলে, আরেকটা কথা চালু আছে !

'নিরাকার ব্রহ্ম', কিছুই না ! ওটাও শূন্য !

ওটা, 'সাকারের মতন', অন্য  আরেকটা  'আকার' বিশিষ্ট নয় !

ব্রহ্মের স্থূল  form  থাকে কিনা, আমার জানা নেই !
ব্রহ্মের সূক্ষ্ম  form  থাকে কিনা, তা, আমার জানা নেই !
ব্রহ্মের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম  form  থাকে কিনা,  তাও আমার জানা নেই !
ব্রহ্মের 'করণ' form  আছে কিনা আমি জানি না !
ব্রহ্মের কারণ  form সম্বন্ধে আমি নিজে অজ্ঞ !
ব্রহ্মের কারণাতীত  form  সম্বন্ধেও কিছু বলতে পারব না !

এগুলো সব 'ধারণাগত' ভাবে ধারণা !

প্রেরণা, যার যার মানসিক প্রবৃত্তি ! কোন গুরুদেব বা কোন শাস্ত্র, কাকে কি ভাবে, কতটা  brainwashing ( মগজধোলাই ) করতে পারল, সেটা আমার দেখবার নয় !

মগজধোলাই হচ্ছে, অবাস্তব বিষয়গুলিতে বাস্তবতা আনা ! যথার্থ আধ্যাত্মিকতার শিক্ষা না দিয়ে, ঠাকুর-দেবতা, পুরোহিত তন্ত্র, দান, দক্ষিণা,  ইত্যাদি মেনে  নেওয়ানো !

তবে একটা ব্যাপার বুঝি, 'সাকার ব্রহ্ম' আর 'ব্রহ্মাণ্ড' কথাদুটি, সাযুজ্যপূর্ণ ! দুটির মধ্যে যোগসূত্র আছে ! দেখুন :
ব্রহ্ম + অণ্ড = ব্রহ্মাণ্ড !

অণ্ড তো ডিম !

সাবেকি ইন্দুধর্মমতে, সূচনায়, ডিম ভেঙ্গে, ওপরের আকাশ আর নিচের মাটি, অর্থাৎ, পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছিল !

আর ডিমের ভেতরে, যে গ্যাস তৈরি হয়েছিল, যদি বলি, সেই গ্যাস থেকেই, বাতাস তৈরি হয়েছিল, তবে তো সেটা, আরেকটা 'তত্ত্ব' তৈরি হবে !

আর ডিমের খোলাগুলি কোথায় গেল ?

সেগুলো হয়তো, নীহারিকা  ( nebula )  হয়ে, দূরে, বহুদূরে,  মহাশূন্যে,  জটলা করতে লাগল !