মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৬

চৈতন্যতত্ত্ব




চৈতন্যতত্ত্ব


আমার চৈতন্যতত্ত্ব অনাদি এবং মৌলিক।

অনাদি অর্থাৎ আদিহীন। কারণহীন। উৎপত্তিহীন। স্বয়ম্ভূ।

মৌলিকের ভেতরও মৌলিকতা আছে। মৌলিকত্ব আছে। মৌলিকতত্ত্বও  আছে।

মৌলিকের ভেতর,  অণীয়ান। অণুর চেয়েও ক্ষুদ্র। অনুতর। সূক্ষ্ম। সূক্ষ্ম থেকেও সূক্ষ্ম। সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম। [ সংস্কৃতে, অণু + ঈয়স্ ]।

এর পরে করণ চৈতন্যতত্ত্ব। আরো সূক্ষ্ম, কারণ চৈতন্যতত্ত্ব। আরো সূক্ষ্ম, তা হবার নয়। সেটা কারণাতীত চৈতন্য বা কারণাতীত চৈতন্যতত্ত্ব।

সেটা তাহলে, শূন্য চৈতন্য। শূন্য চৈতন্য-এর আবার 'তত্ত্ব' হবে কি ভাবে ?

মৌলিকের ভেতর অণীয়ান। সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম। কেবলমাত্র ওখানে, চৈতন্য-এর  'ফোটন' কণার স্পন্দন !

আমার হৃদয় তা কেবল অনুভূতিতে গ্র্হণ করতে সক্ষম !

আমার চৈতন্যের  চৈতন্যবোধ বিশ্ব জুড়ে পরিব্যাপ্ত !

আমার অনুভূতির তরঙ্গে তরঙ্গে তা তরঙ্গায়িত !

লিমেরিক-এর সংখ্যা তিনশো ছাড়িয়েছে !







     কবি প্রাবন্ধিক প্রণব কুমার কুণ্ডু'র ছবি 


লিমেরিক-ছড়াকার   প্রণব কুমার কুণ্ডু


লিমেরিক-এর সংখ্যা তিনশো ছাড়িয়েছে !

আমার 'লিমেরিক' কবিতার সংখ্যা এখন তিনশো  ছাড়িয়ে গেছে। আপনারা যাঁরা 'লিমেরিক' পড়তে ভালোবাসেন, তাঁরা দেখুন

http//pranabk.blogspot.com

Twitter.com/pkkundu10
Twitter.com/pkkundu101

Facebook.com/pkkundu10

Google+ pranab kumar kundu

Printerest


ধন্যবাদ !


প্রণব কুমার কুণ্ডু।

১৬।০২।২০১৭।


আমার বীজপুরুষ




আমার বীজপুরুষ


আমার বীজপুরুষ। আমার বংশ প্রবর্তক। আমার আদি পুরুষ।

তিনিই আমার ঈশ্বর। তিনিই আমার জগদীশ্বর।

আমার বীজপুরুষের বাইরে, আমার আর কোন ঈশ্বর, জগদীশ্বর, ঠাকুর-দেবতা, গুরু, পুরোহিত, তর্পণ,  শ্রাদ্ধ প্রভৃতি নেই।


আমার বীজপুরুষ।
আমার বংশপ্রবর্তক।
আমার আদিপুরুষ।
আমার আদিপুরুষই আমার ঈশ্বর।
আমার আদিপুরুষই আমার জগদীশ্বর।

সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৬

মশক




মশক


মশক।
মশা।
মশ।
কীট বিশেষ।
মশ্ ( শব্দ করা ) + যথাক্রমে অন্ ও অক কর্তৃ । বি. পু।


মশার উল্লেখ আছে

শক্লযজুর্বেদে  ২৪.২৯ ।

পাণিনী  ২. ১. ৪৮। উদুম্বরমশক। স্থূল মশক ।

মনু  ১. ৪০ ।



'সর্ব্বং খলস্য চরিতং মশকঃ করোতি' ! হিতোপদেশ। ১. ৮২ । তারাকুমার কবিরত্ন। পরিশোধিত সংবং  ১২৪৫।



*  সূত্র  'বঙ্গীয় শব্দকোষ', পৃষ্ঠা  ১৭৪১।
*  সুত্র  ''সরল বাঙ্গালা অভিধান', সুবলচন্দ্র মিত্র সংকলিত। পৃষ্ঠা  ১০২৭।

পর্ব পার্বণ পরব

পর্ব পার্বণ পরব


পর্ব।
দেবতার পূজা,  বা শাস্ত্রে বর্ণিত ধর্ম আচরণের জন্য,  নির্দিষ্ট দিন।

ওটাকেই বলা হয়, পার্বণ।

পরব।
সামাজিক বা ধর্মীয় উৎসব।

সংক্রান্তি তিথি
অষ্টমী তিথি
চতুর্দশী তিথি
পূর্ণিমা তিথি
অমাবস্যা তিথি  ইত্যাদির প্রতিপালনও পার্বণ।

তবে আজকাল, পর্ব পার্বণ পরব ইত্যাদি শব্দগুলি, মোটামুটিভাবে সমার্থবাচক শব্দে পরিণত হয়েছে।

এখন হিন্দুধর্মের সৎ আচরণ পালনে, তুলনামূলকভাবে,অনীহা দেখা যাচ্ছে।

হিন্দুধর্মের শিষ্টাচার, এখন কেবলমাত্র. সামাজিক এবং ধর্মীয় উৎসবে পরিণত  হয়েছে।

আঙটিসম্রাট




আঙটিসম্রাট


আমার পরিচিত একজন আঙটিসম্রাট ছিলেন !

আমি যখন তাঁকে প্রথম দেখি, তখন তিনি, নৈহাটি শহরের সাব-পোস্টাফিসে 'আউট-ডোরে'র কাজ করতেন !

তাঁর দুই হাতের সব আঙুলে ছিল গাদাগাদা আঙটিধারণ !

সোনার আঙটি। রূপোর আঙটি। পেতলের আঙটি। তামার আঙটি। সেগুলোতে সব দামি দামি 'পাথর' বসানো ! আর বেশ ভারি ভারি !

আমার কাছে তাঁর নিজের নামের কোন গুরুত্বই ছিল না !

তিনি আমার কাছে ছিলেন কেবল আঙটিসম্রাট !

আঙটি, আঙুলে অলঙ্কাররূপে পরা হয়, এমন বলয় !

তবে, আঙটিসম্রাটের আঙটিগুলো ছিল, বলতে পারেন, অলঙ্কারের বাইরেও, অলঙ্কারের চেয়েও, অনেক বেশি !

আঙটিসম্রাট, আঙটিগুলো,  তুকতাক, বশীকরণ, আর তাঁর নিজের ভালো এবং মঙ্গলকামনায় পরত !

আঙটি। অঙ্গুরীব।আংটি।

এই আঙটিসম্রাট, একদিন মালগাড়ির তলা দিয়ে লাইন পেরোতে গিয়ে, মালগাড়ির চাকায় চাকায় পিষ্ট হয়ে, অমানুষিক কষ্ট স্বীকার করে, কাটা পড়লেন !

রেল পুলিশের,  আঙটিসম্রাটের 'লাশ',  'লাশকাটাঘরে' নেবার পথে,  এবং,  মড়িঘরে',   যে ঘরে, লাশ কেটে, 'শবব্যবচ্ছেদ' করা হয়, আঙটিসম্রাটের দুই হাতের সমস্ত আঙুলের, সমস্ত  দামি দামি আঙটিগুলো,  'খোয়া' গিয়েছিল !

গার্হস্থ্য আশ্রমে



গার্হস্থ্য আশ্রমে


গার্হস্থ্য বা গার্হস্থ বলতে বোঝায় গৃহস্থাশ্রম। গৃহস্থ জীবন।

আশ্রম অর্থাৎ সংসার ত্যাগী সাধু বা তপস্বিদের আবাস। শাস্ত্রচর্চার বা সাধনার স্থান। মঠ।

সৎসঙ্গ, সাধু লোকের বা ভালো লোকের সঙ্গ বা সাহচর্য।

গার্হস্থ্য আশ্রমে, সৎসঙ্গের, স্ত্রীসংসর্গের নিয়ম আছে।

স্ত্রীসংসর্গ অর্থাৎ, স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস। সংগম।


ঋতু শুরুর দিন থেকে, ঋতুর পঞ্চম দিন, অথবা, ঋতুর ষষ্ঠ দিন  থেকে,  ঋতুর একাদশ দিন পর্যন্ত, স্ত্রীসংসর্গ অর্থাৎ, স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস, সংগম-এর  প্রশস্ত সময়।

ঋতু, স্ত্রীলোকেদের মাসিক রজস্রাব। স্ত্রীরজ।

ঋতুমতী, রজস্বলা। যার ঋতুস্রাব হয়, এমন।

ঋতুস্নান, ঋতুমতী হওয়ার পর, চতুর্থ দিনের দিন, স্নান করার সংস্কার।


সুখসঙ্গম, ধীরে ধীরে, সময় বইয়ে, করা যায় বা দেওয়া যায়।

প্রয়োজনে, প্রত্যাহার,
এবং অথবা, কুম্ভক, করা যায়।

সাবধানে চলা ভালো।




*  সূত্র :  শ্রীশ্রীগোস্বামীপ্রভুর মন্ত্রশিষ্য বরিশাল নিবাসী, প্রয়াত রসিকচন্দ্র রায়ের ডাইরী। 'মন্দির' পত্রিকা, পৌষ  ১৪১৬।