সোমবার, ৩ অক্টোবর, ২০২২

ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের পুত্র ছত্রপতি সম্ভাজী মহারাজ

 

ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের পুত্র   ছত্রপতি সম্ভাজী মহারাজ

বজরঙ্গি খোকন
 
Gajanan Gonte
-এর সাথে আছেন।

হিন্দুত্ব রক্ষার জন্য নিজের জীবন বলিদান দিয়েছিলাম ছত্রপতি #সম্ভাজী_মহারাজ (শিবাজীর পুত্র)।
ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের পুত্র ছিলেন সম্ভাজী মহারাজ..ছোট বেলা থেকে খুব সংঘর্ষের মধ্যে কেটেছে তার..2 বছর বয়সে তার মা মারা যান...তার ঠাকুমা "জিজা বাঈ"(শিবাজী মহারাজের মা)এর কাছে মানুষ..ছোট থেকেই শাস্ত্র ও অস্ত্রতে নিপুণ ছিলেন...মাত্র 13 বছর বয়সে 13 ভাষা জানতেন..ইংলিশ,পর্তুগীজ,স্পেনিশ,ভারতের রিজোনাল ভাষা,মোগল দের ভাষা সব...13 বছর বয়সেই সে বুদ্ধভূষণ সহ অনেক বই লেখেন...16 বছর বয়সে 60 কেজির তরোয়াল নিয়ে রায়গড় এর যুদ্ধ জয় করেন...9 বছর বয়সে 1200 কিলোমিটার দূরে ঔরঙ্গজেবের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন শিবাজী মহারাজ এবং সম্ভাজী মহারাজ..তখন তাঁদের বন্দি করে নেয়..কিন্তু সম্ভাজী মহারাজের চতুরতায় প্রথমে শিবাজী মহারাজ বন্দিদশা থেকে বের হয়ে আসেন, তারপরে সম্ভাজী মহারাজ বের হয়ে রাজ্যে ফিরে আসেন...সম্ভাজী মহারাজ খুব চতুর ছিলেন...
"কবি কলস"তার এডভাইজার ছিলেন...23 বছর বয়সে শিবাজী মহারাজের মৃত্যুর সাথে সাথে সে রাজ্য ভার গ্রহণ করেন...ওরঙ্গাবাদে মোগলদের সব থেকে বড় কেল্লা ছিলো...প্রথম বারেই মোগলদের ঔরঙ্গজেবের সেনাদের পরাজিত করে সেই কেল্লা দখল করেন...ঔরঙ্গজেবের ঘুম উড়ে যায়...সম্ভাজী মহারাজ ঘোষণা করেন, যদি কেউ ঔরঙ্গজেবের দ্বারা হিন্দুদের ধর্মপরিবর্তনে সাহায্য করে, তাহলে তার ছাতি ছিঁড়ে হৃদপিন্ড বের করে নেবেন...হুসেন আলী খানকে 2 লক্ষ সেনা নিয়ে পাঠায় ঔরঙ্গজেব, সম্ভাজী মহারাজ কে মারতে...কিন্তু 1 বছর চেষ্টা করেও একটা যুদ্ধ জিততে পারে না মোগলরা...ভারতবর্ষের ইতিহাসে সম্ভাজী মহারাজ এক মাত্র রাজা ছিলেন 9 বছরে 120টা যুদ্ধ লড়েছেন, কিন্তু একবারও পরাজিত হয়নি..

ঔরঙ্গজেব পর্তুগীজ, এবং অন্য অনেক রাজার সাহায্য নিয়ে, সম্ভাজীকে পরাজিত করতে চেয়েছিল, কিন্তু সম্ভাজী গোয়াতে গিয়ে পর্তুগীজদের নাম-নিশান শেষ করে দেন...যে সব রাজারা সাহায্য করেছিল, তাদের সব- গুলোকে হত্যা করেন..
সম্ভাজী মহারাজের যুদ্ধ কৌশল ছিলো যথেষ্ট উন্নত..নতুন নতুন পদ্ধতিতে যুদ্ধ করতেন, যার জন্য শত্রুরা বুঝে উঠতে পারতো না...রাবারের কাপড়ের সাথে তেল আর বারুদ দিয়ে তীর বানিয়ে আক্রমণ করতেন...এতে বেশি বিস্ফোরণ হতো আর বেশি ক্ষতি হতো শত্রু পক্ষের....
ঔরঙ্গজেব বার বার মার খেতো আর হারতো...তখন সে ফন্দি করে সম্ভাজীকে পরাজিত করার...
সম্ভাজী মহারাজের শালার সাথে মিলে ঔরঙ্গজেব শত্রুতা করে...কবি কলস আর সম্ভাজী মহারাজ একদিন গোপন মিটিং এ যাচ্ছিলেন, তখন সেই খবর ওরঙ্গজেবকে তার শালা দিয়ে দেয়...মাত্র 2 হাজার সেনা নিয়ে তাকে বন্দি করে...যাকে 8 লক্ষ সেনা কিছু করতে পারেনি মাত্র 2 হাজার সেনার কাছে সম্ভাজী বন্দি হন...কারণ নিজের লোক বেইমানি করেছিল...
ঔরঙ্গজেব সম্ভাজীকে খুব অত্যাচার করে...গায়ের চামড়া ছাড়িয়ে লবণ লাগায়,নখ উপরে ফেলে, হাত পা কেটে দেয়...ঔরঙ্গজেব বলেছিলো মারাঠা সাম্রাজ্য দিয়ে দাও. আর ইসলাম কবুল করো, তা হলে ছেড়ে দেবো...সম্ভাজীর উত্তর ছিলো মারাঠা আমি,দেশের জন্য হাজার বার মরবো, আবার জন্ম নেবো, আবার ভারত মায়ের জন্য জীবন উৎসর্গ করবো....তারপর তাকে ঔরঙ্গজেব টুকরো টুকরো করে কেটে কেটে হত্যা করে....
দুর্ভাগ্যের বিষয় এই মহান ভারতীয় বীর পুত্রের ইতিহাস. আমাদের পড়ানো হয় না...ওনার প্রাপ্য সম্মান এখনো দেয়া হয়নি ভারতের ইতিহাসে... কিছু বিকৃত,বিক্রি হওয়া মানসিকতার মানুষ ভারত মায়ের বীর পুত্রদের ইতিহাস লুকিয়েছে এবং বর্বরদের মহান বানানোর চেষ্টা করেছে.... 🙂

জয় হিন্দ,জয় ভারত.জয় শ্রীরাম 🕉🚩🇮🇳🙏🏻❤💝

শেয়ার অপশন না থাকলে কপি পেস্ট করে শেয়ার করুন, বারবার লেখার প্রয়োজন নেই। হিন্দু ধর্মের সত্যকে তুলে ধরে মানুষ কে জাগিয়ে তুলুন ।


শেয়ার করেছেন : প্রণব কুমার কুণ্ডু


1


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন