বৈদিক সনাতন ধর্ম
শেয়ার করেছেন :- প্রণব উমার কুণ্ডু
বৈদিক সনাতন ধর্মের জয়
বেদ বিরোধী ইংরেজ , বামপন্থী ও কংগ্রেসি ইতিহাসবিদদের লেখা ইতিহাসের সত্যতা
আজ থেকে প্রায় ২৫০০ বছর আগে একজন গ্রিস ইতিহাসবিদ যার নাম Megasthenes ভারতবর্ষের ভ্রমণ করতে আসেন । মূলত পাটলিপুত্র ও তার আশেপাশের কিছু রাজ্যে প্রায়১২বছর সময় কাটিয়েছিলেন ।
মেগাস্থিনিস বহু দেশ ভ্রমণ করেছিলেন । এবং তিনি বহু গ্রন্থ লিখেছিলেন বিভিন্ন দেশের সমাজ ও শাসন ব্যবস্থার উপরে ।
ভারত বর্ষ ভ্রমণ করার পরে তিনি লিখলেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দাসপ্রথা আছে কিন্তু ভারতবর্ষে কোন দাসপ্রথা নেই ।
ভারতবর্ষে যুদ্ধ রাজা ও রাজার সেনাদের মধ্যেই হতো সাধারণ প্রজার উপরে কোন অত্যাচার হতো না এবং ভারতবর্ষের প্রতিটা মানুষ একে অপরকে সম্মান করতেন ।
আর সেই সময় গোটা পৃথিবীর 40% ধন-সম্পদ ভারতবর্ষের অধীনে ছিল
বর্তমান ভারতবর্ষে রোমিলা থাপার এর মতন কিছু ইতিহাসবিদ আছেন পূর্বেও ছিল ।
তারা ইতিহাস লিখে ভারতবর্ষের আর্যরা বিদেশ থেকে এসেছে । আর্যরা শুদ্রদের উপরে অত্যাচার করতো বৈদিক কাল থেকে ।
বৈদিক কাল বলতে গেলে ইংরেজদের মতে আজ থেকে ২৫০০ থেকে ৩০০০ বছর আগের সময়কাল।
মূল বিষয়ে ---- সনাতন ধর্মের ব্রাহ্মণ , ক্ষত্রিয় , বৈশ্য , শূদ্র এই চারটি ভাগ শুধুমাত্র কর্মের ক্ষেত্রে জন্মের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই বা কখনো ছিল না ।
আজ থেকে ৩০০ বছর আগেও প্রতিটা ৬ বছর বয়সের ছেলেদের উপনয়ন সংস্কার হত (পৈতে )।
তারপর সে 12 বছর শিক্ষা গ্রহণ করতে যেত গুরুকুলে । ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সে যখন তার শিক্ষা সম্পূর্ণ হয়ে যেত তখন সে বাড়িতে আসত ।
তারপরেও যদি কেউ মনে করত আরও শিক্ষা গ্রহণ করার প্রয়োজন আছে ।
তাহলে সে নালান্দা তক্ষশিলার মতন উঁচু গুরুকুলে শিক্ষা গ্রহণ করতে যেত ।
1947 সাল পর্যন্ত 70% গুরুকুলে পড়াশোনা হত । ইংরেজদের আসার আগে পর্যন্ত গুরুকুলে কোন ভেদাভেদ ছিল না ।
মোগল শাসন এ কিছু কিছু জায়গায় মূর্খ পূজারীরা নিজেদেরকে মহাজ্ঞানী ভাবতো এবং চাষী , কুমর , কামার প্রভৃতি মানুষদের সাথে খারাপ ব্যবহার করতো ।
আর্যরা কি বিদেশ থেকে এসেছে ??
না ,সেরম কোনো ঐতিহাসিক প্রমাণ নেই । ইংরেজরা যে প্রমাণ দিয়েছে । সেই প্রমাণের উপর ভিত্তি করে এটাও বলা চলে । আর্যরা ভারতবর্ষে থেকে গোটা পৃথিবীতে গিয়েছে বা ছড়িয়েছে ।
শূদ্র ------- ১২ বছর গুরুকুলে পড়াশোনা করার পরেও যে ছাত্র শিক্ষা গ্রহণ করতে পারত না । মানে বর্তমানে যারা ফেল করা ছাত্র সে সময় ভ্যান রিস্কা ছিলনা তাই চাষবাস , মাটির জিনিস তৈরি করা লোহার জিনিস তৈরি করা এই সমস্ত কাজ যারা করত তাদেরকে শূদ্র বলা হত ।
তবে শুদ্রদের কখনো অপমানিত করা হতো না । চাষীকে অন্নদাতা বলা হত
বৈশ্য ------ ১২ বছর গুরুকুলে পড়াশোনা করার পরেও ফেল করুক বা পাস করুক । যারা ব্যবসা-বাণিজ্য করত তাদেরকে বৈশ্য বলা হত । তারা চাষী , কুমর , কামার ইনাদের কাছ থেকে জিনিসপত্র কিনতেন ও অন্য রাজ্য বা বিদেশে গিয়ে বিক্রি করতেন
ক্ষত্রিয় ------ ১২ বছর পড়াশোনা করার পরে যারা অস্ত্র শিক্ষায় উত্তীর্ণ হতেন তারাই মূলত রাজার সেনা , সেনাপতি বা রাজা হয়ে রাজ্য কে রক্ষা করতেন অন্য রাজ্য বা বিদেশীদের হাত থেকে তারাই ক্ষত্রিয় । যেমন আমাদের দেশের সেনা
ব্রাহ্মণ ---- ১২ বছর পড়াশোনা করার পরেও যারা আরো পড়াশোনা করতেন । তারাই পরবর্তীকালে গুরুকুলের প্রধান শিক্ষক বা ঋষি হতেন। জ্ঞানী ও ত্যাগী মানুষদেরকে ব্রাহ্মণ বলা হত
গুরুকুলে মোট ১৮ থেকে ২০ বিষয়ে পড়াশোনা হতেই ১২ বছরে । সেখানে চাষ থেকে শুরু করে বিজ্ঞান পর্যন্ত । মাটি থেকে শুরু করে আকাশ পর্যন্ত । অস্ত্র বিদ্যা থেকে আধ্যাত্বিক বিষয় । যারা আধ্যাত্বিক বিদ্যা লাভ করতেন তারাই গবেষক বা ঋষি হতেন
ইংরেজরা শুধু গুরুকুলের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করেনি । তার সাথে মিথ্যে ইতিহাস লিখেছে ।
বেদের বহু ভুল অনুবাদ করেছে । মনু স্মৃতিতে মিথ্যে শ্লোক রচনা করেছে ।
মুসলমানদের বুদ্ধি ছিল না । মুসলমানরা ধর্ম পরিবর্তন , হত্যা , মন্দির , মূর্তি ভাঙ্গা , লুট এইসব করেছে ।
সোমনাথ মন্দিরের শিবের মূর্তি পূজা হতো । মাহমুদ গজনবীর সময় যে মুসলিম লেখক ইতিহাসবিদ ছিলেন ibn asir তার লেখা kamilut tawarikh বইটিতে উল্লেখ করা আছে ।
মুসলমানদের মধ্যে একমাত্র দারাশিকো বেদ উপনিষদ দর্শনশাস্ত্র চর্চা করেছে ।
বৈদিক সনাতন ধর্মের জয়
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন