ঝিঙের খাদ্যগুণ:
গরমকালের
একটি স্বাস্থ্যকর সবজি হল ঝিঙে; কম-বেশি অনেকেই খেতে পছন্দ করি ।
এটি মিষ্টি ও তেতো দুই রকমের হয়ে থাকে।
এর বৈজ্ঞানিক নাম : লুকা অ্যাকুটিঙ্গুলা।
ঝিঙের পুষ্টিগুণ :
প্রতি ১০০ গ্রাম ঝিঙেতে-
শর্করা ৪.৩ গ্রাম, আমিষ ১.৮ গ্রাম, জলীয় অংশ (জল) ৯৫ গ্রাম, খাদ্য শক্তি ৩০ কিলোক্যালরী, খনিজ লবণ, ০.৩ গ্রাম, চর্বি ০.৬ গ্রাম। ভিটামিন এ ৬৭০ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন বি-১ বা থায়ামিন ০.১১ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-২ বা রাইবোফ্লাভিন ০.০৪ মিলিগ্রাম, নায়াসিন বা ভিটামিন বি-৬ ০.৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৬ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৪০ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৪০ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৪০ মিলিগ্রাম, আয়রণ ০.৫ মিলিগ্রাম, আঁশ ০.৫ গ্রাম, ভিটামিন-ই ১.২০ মিলিগ্রাম।
ঝিঙের স্বাস্থ্য গুণ :
গরমকালের এই সবজিরও বেশ কিছু স্বাস্থ্য গুণ রয়েছে।
যেমন:
১. তেতো ঝিঙের মধ্যে রয়েছে জোলাপের গুণ অর্থাৎ তেতো ঝিঙে পেট পরিস্কার করে, যারা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় জর্জরিত তারা তেতো ঝিঙে খান; সুফল লাভ করবেন ।
২. ঝিঙে ওজন কমাতে সাহায্য করে। যারা একটু মোটা হয়ে যাচ্ছেন তারা নিয়মিত ঝিঙে খান। শরীর তন্বী হবে।
৩. ঝিঙের লতার শিকড় গরুর দুধে বা ঠান্ডা জলে ঘষে সকাল বেলা তিন দিন খেলে পাথুরি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৪. তেতো ঝিঙে শ্লেষ্মা নাশ করতেও সাহায্য করে।
৫. এছাড়া তেতো ঝিঙে শূল, গুল্ম ও অর্শ রোগের বিশেষ উপকারী। তাই এসব রোগের রোগীদের অব্যর্থ ওষুধ
৬. তেতো ঝিঙে বমি কমাতে সাহায্য করে। যাদের বমি সহজে কমছেনা তারা তেতো ঝিঙে খান, সঙ্গে সঙ্গে কমে যাবে।
৭. যারা মাথাব্যথায় ভোগেন তারা শুকনো ঝিঙের গুঁড়ো নস্যির মতো করে নাকে ব্যবহার করে দেখুন মাথা ব্যথা সেরে যাবে।
৮. যাদের শরীর ফুলে যাওয়ার কারণে প্রস্রাব কমে আসছে তারা ঝিঙের রস গরম করে খেয়ে দেখুন সুফল পাবেন ।
৯. ঝিঙে গাছের পাতার রস বাহ্যিক ব্যবহারে দাদ নিরাময় হয়। বাজার চলতি অয়েনমেন্ট ব্যবহার করে যারা ফল পাননি তারা চেষ্টা করতে পারেন। দাদের জায়গায় এই পাতা বেটে রস লাগান ।
১০. ঝিঙের রং দেখতে পিত্ত রসের মতো। ঝিঙে পিত্তথলির সমস্যা দূর করে। যাদের পিত্তথলিতে সমস্যা রয়েছে তারা সেবন করুন ।
তাই নিশ্চিন্তে ঝিঙে খান।সুস্থ থাকুন ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন