শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০১৯

রূপক রায়-এর কলাম ( তেরো )


রূপক রায়-এর কলাম ( তেরো )
ফেসবুক থেকে       শেয়ার করেছেন        প্রণব কুমার কুণ্ডু





প্রণব কুমার কুণ্ডু








রাজকুমার রাজবংশী,
ছাগলটা কে, সেটা একটু পরই বুঝতে পারবে।
কাম ত্যাগ বলতে ভগবান কামের ভোগ বাসনা ত্যাগ করতে বলেন নি, কামকে নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলে অবৈধ বা অনুচিত কামের দিকে ইঙ্গিত করেছেন।
সেক্স, ভগবানের নাম নিয়ে সন্তান উৎপাদনের জন্য করা উচিত, এতে আমার কোনো দ্বিমত নেই।
কিন্তু স্ত্রীর দেহ ভোগ করার জন্য সেক্স করা পাপ, এটা কোথায় লিখা আছে ?
নারীরও যে শরীরের চাহিদা আছে, এটা কি বোঝো ? নারীরা লজ্জা ও জড়তার কারণে নিজের চাহিদার কথা সব সময় মুখ ফুটে বলে না, কিন্তু মাসের পর মাস যে স্বামী তার স্ত্রীর যৌন চাহিদা মেটায় না, সেই নারী ই বিপথে পা বাড়ায় এবং পরিবার, সমাজ ও সংসারকে কলঙ্কিত করে, এটা বোঝার মতো বাস্তব বুদ্ধি কি তোমার আছে ? এই বাস্তব বুদ্ধি যদি তোমার না থাকে, তাহলে তুমি তোমার বিশ্বাস- স্ত্রীর দেহ ভোগ করার জন্য সেক্স করা পাপ- নিয়ে থাকো, অন্যদিকে তোমার স্ত্রী অন্যের বিছানায় গিয়ে সময় কাটাক বা তোমার বিছানাতেই অন্যকে ডেকে আনুক, আর এসব বিষয় কানাকানি হয়ে তোমরা প্রতিবেশিরা তোমায় হিজড়া বলুক, তাতে আমার কোনো আপত্তি নেই।
চৈতন্যদেবের আদর্শ তো রাত্রিবেলা চুপি চুপি ঘুমন্ত স্ত্রীকে বিছানায় রেখে, স্ত্রী ও মায়ের দায়িত্ব পালন না ক'রে সংসার থেকে পালিয়ে যাওয়া; তার ভক্তদের ৯৯% সংসারে থেকে হরিভক্তি করবে কেনো ? আবার শুনি চৈতন্যদেব নাকি বলে গেছে সন্ন্যাস কলি যুগের জন্য নয়, তাহলে বাকি ১ % চৈতন্য ভক্তই বা সন্ন্যাস নিয়ে হরিনাম প্রচার করবে কেনো ? এখানে আরেকটা প্রশ্ন, চৈতন্যদেব যদি বলে যান যে, সন্ন্যাস কলিযুগের জন্য নয়, তাহলে তিনি কেনো সন্ন্যাস নিয়ে সংসার ত্যাগ করেছিলেন, তিনি কি সত্যযুগের মানুষ ?
শ্রীকৃষ্ণকে আমি ঈশ্বর মানি না, এটা তোমার মাথায় ঢুকলো কিভাবে ? শ্রীকৃষ্ণের ঈশ্বরত্ব প্রমাণ করার জন্য এবং তার চরিত্রকে কলঙ্কমুক্ত করার জন্য গত চার বছরে আমি যে পরিশ্রম করেছি, সেটা আজ পর্যন্ত বাংলার কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান করে নি, এটা আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি। আর শ্রীকৃষ্ণকে নিয়ে আমি যত পোস্ট লিখেছি, সেটা তুমি যেকোনো একদিন সারাদিন পড়েও শেষ করতে পারবে না। আমার চেয়ে তুমি শ্রীকৃষ্ণকে বেশি জানো, না বেশি বড় ভক্ত যে শ্রীকৃষ্ণ বিষয়ে আমাকে জ্ঞান দিতে এসেছো ?
তোমার কমেন্টের পরে Hriday Chowdhury নামের এক বলদা কমেন্ট করেছে,
"ভগবান দৃষ্টিপাত করা মাত্রই গর্ভ সঞ্চার হয়।"
নিশ্চয় এই জ্ঞান সে অশ্লীল ও বিকৃত পুরাণগুলো থেকে অর্জন করেছে, যেখানে কৃষ্ণের ১৬১০৮ স্ত্রীর কথা বলা হয়েছে এবং প্রত্যেক স্ত্রীর ১০টি ছেলে এবং ১টি মেয়ে হিসেবে ১,৭৭,১৮৮ জন সন্তানের কথা বলা হয়েছে; এটা যে বিশ্বাস করে তাকে তো ঐ থিয়োরি বিশ্বাস করতেই হবে যে, "ভগবান দৃষ্টিপাত করা মাত্রই গর্ভ সঞ্চার হয়"।কারণ, এই হিসেবে প্রতিদিন কৃষ্ণের সন্তান জন্ম নিতো প্রায় ২০/২৫ জন, একটা লোকের পক্ষে সেক্স করে তো আর এত সন্তানের জন্ম দেওয়া সম্ভব নয়; তাই ঐ ধরণের আজগুবী বিশ্বাস। আর কৃষ্ণ সম্পর্কে এতটুকু জ্ঞান নিয়ে হৃদয় এবং তার কিছু সাঙ্গপাঙ্গো আমার সাথে ডিবেট করতে চায়, আমার সম্পর্কে যারা জানে এবং যারা আমার টোটাল লেখার সাথে পরিচিত, তারা এটা শুনলেই তো হেসে ফেলবে।
শুনরে মূর্খের দল, শ্রীকৃষ্ণের একজন মাত্র স্ত্রী ছিলো, তিনি রুক্মিণী এবং তাদের একজনই সন্তান ছিলো- নাম প্রদ্যুম্ন। এর বাইরে কৃষ্ণের স্ত্রী ও সন্তান সম্পর্কে যা কিছু বলা হয়, সবই মিথ্যা প্রচার, আর এগুলো আমি তথ্য প্রমাণ যুক্তি সহ অনেক আগেই ফেসবুকে পাবলিশ করে দিয়েছি, যারা এগুলো পড়েছে, তারা জানে আমার নলেজ সম্পর্কে, তোরা এসব বিষয়ে ঘেউ ঘেউ করিস, কারণ, সেই পোস্টগুলো পড়ার সৌভাগ্য তোদের হয় নি। তাই কৃষ্ণ সম্পর্কে প্রকৃত সত্য জানিস না এবং আমার কৃষ্ণ প্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলিস।
হৃদয় নামের বলদা আরো বলেছে, রুক্মিণী ও কৃষ্ণ নাকি যৌন জীবন যাপন করে নি !
তোদের চৈতন্যদেব যেমন হিজড়া, বিয়ে করে বউকে ছেড়ে পালিয়ে যায়, তেমনি শ্রীকৃষ্ণকেও মনে করিস নাকি ?
আচ্ছা, একটা কথা বল তো, বিয়ে করা বৈধ স্ত্রীর সাথে সেক্স করলে তোদের এত আপত্তি কিসের ? নাকি ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণের বর্ণনা মতো- রাধা ও কৃষ্ণের তথাকথিত পরকীয়া প্রেম ও যৌনলীলাকেই তোরা সমাজে প্রতিষ্ঠা করতে চাস ?
বেওয়ারিশ কুত্তার মতো ঘেউ ঘেউ না করে, ঠিক ঠাক যুক্তি দিয়ে উত্তরগুলো দিস।
জয় হিন্দ।
💜 জয় হোক সনাতনের 💜

৩টি মন্তব্য:

  1. কিছু আধুনিক হিন্দুভাইয়েরা নাক কপালে উঠাবে এবং নিজের অজানতে জ্ঞান প্রদান করিবে- আ'হা, পুরাণ-!! এর কোন ভিত্তি নেই.!! এগুলো বিকৃত রূপকথার কাহিনি!!
    কিন্তু আপনি একজন সচেতন হিন্দু হলে, তার পাগলামির প্রলাপ ছিন্ন করতে পারবেন..
    আপনি যদি ছান্দোগ্য উপনিষৎ পড়ে থাকেন (ছান্দোগ্য উপনিষৎ হল, সামবেদের ছান্দোগ্য ব্রাহ্মণের অন্তর্ভুক্ত..)
    তাহলে সেখানে সুস্পষ্ট দেখতে পাবেন যে "পুরাণকে পঞ্চম বেদ বলা হয়েছে.."
    (ছান্দোগ্য উপনিষৎ ৭ম প্রপাঠক বা অধ্যায়ের, ১ম খণ্ডের, ২য় ভার্স..) অর্থাৎ, উপনিষদের ভাষ্য অনুযায়ী পুরান ধর্ম গ্রন্থগুলোই হচ্ছে বেদের অংশ। যেহেতু হিন্দু ধর্মের প্রথম দুটি ধর্ম গ্রন্থ হচ্ছে বেদ এবং উপনিষদ যা হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করে।

    উত্তরমুছুন
  2. হিন্দু ধর্মের মা কালী ও পাঠা বলীর
    মহৎ এবং সুন্দর ইতিহাস। হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ থেকে।
    *সূত্রঃ-[কালিকা পুরান:আধ্যায় -১৩: পাঠাবলী খন্ড:ভুবনময় চট্টোপাধ্যায়:৪র্থ সংকলন*

    কালী দেবীর বর্তমান মুর্তিতে ইচ্ছে করে কাপড় লাগিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু,হিন্দু ধর্মগ্রন্থ মতে কালি সব সময় উলঙ্গ হয়েই থাকতে পছন্দ করত, তাই কালি দিনে বের হতো না, রাতের বেলাতে বের হতে তার ভালো লাগত। তো কালি একদিন রাতের বেলায় বনের মধ্যে ঘুরতে বেড়িয়ে ছিলো, ঘুরতে ঘুরতে দেখলো সকাল হয়ে যাচ্ছে, কালি এখন কি করবে উলঙ্গ অবস্তায় মানুষ যদি দেখে ফেলে তবেতো কালি লজ্জা পাবে। তার মান ইজ্জত যাবে।
    কালি চিন্তা করলো যে,এখন কি করা যায়?
    আমাকে তো সবাই দেখে ফেলবে হঠাৎ করে কালি দেবি দেখতে পেলো এক যুবক ছাগলের পাল নিয়ে যাচ্ছে, কালি দেবি তখন ছাগীর রূপ ধারন করে সেই ছাগলের পালের মধ্যে প্রবেশ করলো।
    সেই ছাগলের পালের মধ্যে এক পাঠা(পুরুষ ছাগল) নতুন একটা ছাগীকে দেখে উত্তেজিত হয়ে পাঠা কালী রূপী ছাগীর সাথে যৌন সঙ্গম করে ফেললো।
    এবার ছাগী রূপী কালি ভীষন ক্ষেপে গেলো, যে এতো বড় সাহস!! আমি হলাম একজন দেবী আর আমার সাথে এই আকাম কুকাম করলো পাঠা??? সুতরাং এই পাঠাকে প্রতিদিন আমার (কালীর) সামনে বলী দিতে হবে!!
    এভাবে কালিপূজায় পাঠা বলীর নিয়ম শুরু হয়েছে।
    *সূত্রঃ-[কালিকা পুরান:আধ্যায় -১৩: পাঠাবলী খন্ড:ভুবনময় চট্টোপাধ্যায়:৪র্থ সংকলন]*
    এখন হয়তো কিছু আধুনিক হিন্দুভাইয়েরা নাক কপালে উঠাবে এবং নিজের অজানতে জ্ঞান প্রদান করিবে- আ'হা, পুরাণ-!! এর কোন ভিত্তি নেই.!! এগুলো বিকৃত রূপকথার কাহিনি!!
    কিন্তু আপনি একজন সচেতন হিন্দু হলে, তার পাগলামির প্রলাপ ছিন্ন করতে পারবেন..
    আপনি যদি ছান্দোগ্য উপনিষৎ পড়ে থাকেন (ছান্দোগ্য উপনিষৎ হল, সামবেদের ছান্দোগ্য ব্রাহ্মণের অন্তর্ভুক্ত..)
    তাহলে সেখানে সুস্পষ্ট দেখতে পাবেন যে "পুরাণকে পঞ্চম বেদ বলা হয়েছে.."
    (ছান্দোগ্য উপনিষৎ ৭ম প্রপাঠক বা অধ্যায়ের, ১ম খণ্ডের, ২য় ভার্স..) অর্থাৎ, উপনিষদের ভাষ্য অনুযায়ী পুরান ধর্ম গ্রন্থগুলোই হচ্ছে বেদের অংশ। যেহেতু হিন্দু ধর্মের প্রথম দুটি ধর্ম গ্রন্থ হচ্ছে বেদ এবং উপনিষদ যা হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করে।

    বি:দ্র: এখানে সমস্ত কিছু দেওয়া হয়েছে হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ থেকে রেফারেন্সসহ। তাই রেফারেন্সটা খেয়াল করুন।

    হিন্দু ভাইদের কাছে আমার একটা প্রশ্ন,
    এটা কেমন ধর্ম? যে ধর্মের দেবিকে ছাগল ধর্ষণ করে?🤣😂

    উত্তরমুছুন
  3. লুইচ্চা কৃস্নের নষ্টামি Part-3
    শ্রীকৃষ্ণের অনেক স্ত্রীর মধ্যে, একজন স্ত্রীর নাম হল "রুক্মিণী"..
    রুক্মিণীর পিতার নাম ছিল ভীষ্মক.. সে ছিল একজন ভূপতি বা রাজা.. সে একজন নৃপতিও ছিল বটে..
    .
    রুক্মিণীর বয়স যখন ৮ বছরে পদার্পণ করে, তখন ভীষ্মক চিন্তিত হয়ে বলে কন্যা রুক্মিণীকে কার সাথে দ্রুত বিয়ে দিবো.!....
    ভীষ্মক দমঘোষকে বলল, হে রাজেন্দ্র আমার কন্যা ৮ বছরে পদার্পণ করেছে.. আকাশবাণী মাধ্যমে বলা হয়েছে, কন্যা চতুর্ভুজকে প্রদান করতে হবে, আর এই চতুর্ভুজই বা কে.? তখন দমঘোষ বলিল চতুর্ভুজ আমারই পুত্র, যে ত্রিলোক বিখ্যাত.. তারপর চতুর্ভুজ ও রুক্মিণীর পরিবারদ্বয়ের সম্মতিক্রমে বিবাহের সময় নির্ধারিত হল..
    .
    অতঃপর ভীষ্মক কন্যার বিয়েতে, তার সকল আত্মীয়-সজনকে নিমন্ত্রণ করল..
    নিমন্ত্রণে সবাই আগমন করিল..
    তারপর সন্ধ্যার সময় রুক্মিণী, তার সখীদের সাথে "অম্বিকাপুজা" করার জন্যে বাহিরে বের হল..
    তখন গোপ বেশধারী হরিকে দেখা করল, ফলে কামে তাহার চিত্ত কলুষিত হইলো..
    -----তখন কেশব বা শ্রীকৃষ্ণ বলল, তাত.! এই কন্যারত্ন হরণ করিবার জন্য আমার ইচ্ছা হইতেছে.!😍😍
    কৃষ্ণের এই কথা শুনিয়া, তাত উত্তর প্রদান করিল, তুই শীঘ্র গমন করিয়া স্ত্রীরত্ন গ্রহণ কর আমিও তোর পিছে পিছে আসিতেছি..
    ------তখন শ্রীকৃষ্ণ রথে করে রুক্মিণীকে নিয়ে, তথা হতে বায়ুবেগে স্থানত্যাগ করল..
    অতঃপর ভীষ্মক মহা হাহাকারে কেঁদে উঠল.!
    এবং দানবগণও রাগে সমুদ্রের মত গর্জন করতে লাগল..👹👿😈💀
    .
    স্কন্দপুরাণ (আবন্ত্যখণ্ডের, রেবাখণ্ডের অধ্যায়-১৪২, ভার্স ১-৩২)
    (পণ্ডিতবর শ্রীযুক্ত পঞ্চানন তর্করত্ন কর্তৃক অনূদিত)
    (শ্রীনটবর চক্রবর্তী দ্বারা মুদ্রিত ও প্রকাশিত, কোলকাতা)

    যেটা জানাগেল-
    -----শ্রীকৃষ্ণ, কৃষ্ণলীলা করার সময়, রুক্মিণীর বয়স ছিল মাত্র ৮ বছর এবং শ্রীকৃষ্ণ রুক্মিণীকে হরণ করেছিলো.!
    -----শ্রীকৃষ্ণ রুক্মিণীকে হরণ করার জন্যে, রুক্মিণীর পিতা ভীষ্মক আর্তনাদে কেঁদে উঠেছিল.!
    -----শ্রীকৃষ্ণ রুক্মিণীকে হরণ করার সময়, রুক্মিণী "অম্বিকাপুজা" রত ছিলো..
    ------শ্রীকৃষ্ণ ৮ বছর বয়সী রুক্মিণীর চরিত্র হরণের জন্যে, তার হৃদয়ে ইচ্ছার সূত্রপাত ঘটে..
    -------আর চতুর্ভুজের কথাতো বাদই দিলাম..
    হিন্দু ধর্ম গ্রন্থের এই কাহিনির শেষে আমরা যা জানতে পারলাম যে, কৃষ্ণের চরিত্র বেশ্যা,লম্পট,নোংরা এবং বদমাশিতে ভরা। আর এই চরিত্রহীনকে হিন্দুরা পুজা করে!🤮🤮

    উত্তরমুছুন