রবিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮






Santanu Prodhan গোষ্ঠীটিতে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন: 💥ALL BENGAL RSS💥রাস্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ💥
-8:32
5,53,643'বার দেখেছে
Ichorepaka Media
ইতিহাস আমাদের পড়তে বাধ্য করেছে যে, ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হলেন পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু;কিন্তু তা যে সত্য নয় সেটা ইতিহাসকারেরাও জানেন,তবু ইতিহাসের বিকৃতি ঘটিয়ে আমাদের সামনে ভুল তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে। ১৯৪৩ সালের ২১ শে অক্টোবর সুভাষ চন্দ্র বোস অখণ্ড ভারতে প্রথম আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করেন,এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী তথা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসাবে সুভাষ চন্দ্র বোস শপথ নেন, কর্ণেল এ.সি. চ্যাটার্জী এই সরকারের অর্থমন্ত্রী এবং রাসবিহারী বোস এই সরকারের পরামর্শদাতা রূপে নিযুক্ত হন।
ঠিক দু'দিনের মাথায় অর্থাৎ ২৩ শে অক্টোবর ১৯৪৩ তাঁর আজাদ হিন্দ বাহিনী ব্রিটেন ও আমেরিকার বিরুদ্ধে ২ য় বিশ্বযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। তাঁর এই আজাদ হিন্দ সরকারকে সেইসময় ৯ টি দেশ মান্যতা দিয়েছিল। জাপান ৩০ শে অক্টোবর, ১৯৪৩ এই সরকারকে মান্যতা দেয়,এরপর একে একে জার্মানি,ফিলিপেন্স,থাইল্যান্ড, মাঞ্চুরিয়া,ক্রোয়েশিয়া এই সরকারকে মান্যতা প্রদান করে।সুভাষ বোস গান্ধীবাদী অহিংস নীতি পরিত্যাগ করে সত্যই ব্রিটেনের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছিলেন,ইঁটের বদলে পাটকেল দিয়ে তিনি ব্রিটিশ সরকারকে জবাব দিয়েছিলেন। তৎকালীন বার্মার রাজধানী রেঙ্গুনকে হেডকোয়ার্টার বানিয়ে জাপানের সহায়তায় তিনি মায়ানমারের পথে ভারতের উত্তর- পূর্ব সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢোকার সিদ্ধান্ত নেন। ৩০ শে ডিসেম্বর, ১৯৪৩ তিনি ব্রিটিশদের হাতে থাকা আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপ ছিনিয়ে নিয়ে তার নাম দেন শহীদ দ্বীপ ও স্বরাজ দ্বীপ। এরপর দূর্বার গতিতে উত্তর -পূর্ব দিক দিয়ে ভারতের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন এবং ১৮ ই মার্চ,১৯৪৪ তাঁর বাহিনী ভারতের মাটিতে প্রথম পা দেয়,যেটা আজ নাগাল্যান্ডের রাজধানী কোহিমা বলে পরিচিত। কিন্তু এরপর আর বেশিদূর তাঁর বাহিনীর পক্ষে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি প্রথমত, ভারী বর্ষণ এবং দ্বিতীয়ত,কোনো যুদ্ধ বিমান তাদের হাতে না থাকার জন্য,কিন্তু এই সময়ের মধ্যেই প্রায় ৪৫ হাজার ব্রিটিশ সেনা ও ৩ হাজার মার্কিন সেনাকে খতম করে তাঁর বাহিনী এই বার্তা সমগ্র বিশ্বে পৌঁছাতে পেরেছিল যে,অহিংসার পূজারি ভারত প্রয়োজনে রুদ্ররূপ ধারণ করতে পারে।
তাই তাঁর সরকার গঠনের ৭৫ বর্ষপূর্তিকে স্বীকৃতি জানিয়ে মোদিজি আজ ২১ শে অক্টোবর লালকেল্লায় প্রথা ভেঙে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সুভাষ চন্দ্র বোস ও তাঁর সরকারকে আনুষ্ঠানিক মান্যতা দিলেন। সম্মান জানানো হল আজাদ হিন্দ সরকারকে এবং বাহিনীর জীবিত ১০ জন সদস্যকে। তাই আজ ২১ শে অক্টোবর, রবিবার আমাদের বাঙালির কাছে একটা গৌরবময় দিন,দেরিতে হলেও ঘরের ছেলের স্বীকৃতি পাওয়ার দিন। আর এই শাপমোচনের কারিগর মোদি সরকারকে প্রতিটি বাঙালির ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থ ভুলে ধন্যবাদ জানানো উচিত।
লাইক করুন
মন্তব্য
মন্তব্যগুলি
মন্তব্য লিখুন...
প্রণব কুমার কুণ্ডু


সেটা ছিল একটা আনন্দের দিন !

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন