বৃহস্পতিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৮

রাধা কৃষ্ণ


    রাধা কৃষ্ণ


     ফেসবুক থেকে শেয়ার করেছেন        প্রণব কুমার কুণ্ডু

কৃষ্ণ, রাধা এবং হ্লাদিনী শক্তি:
রাধার ভক্ত, সমর্থক এবং রাধার অস্তিত্ব রক্ষার প্রচেষ্টাকারী গোষ্ঠীর একটি ব্যাপক অপপ্রচার হলো- রাধা, কৃষ্ণের হ্লাদিনী শক্তি। এই হ্লাদিনী শক্তির মানে হলো "আনন্দদায়িনী শক্তি"; সুতরাং- রাধা, কৃষ্ণের হ্লাদিনী শক্তি, এটা দ্বারা বোঝানো হয় যে- রাধা, কৃষ্ণের আনন্দদায়িনী শক্তি, আরেকটু খোলসা করে বললে বলতে হয়- রাধা, কৃষ্ণের সেক্স পার্টনার; কেননা, যৌন আনন্দই পার্থিব জগতের সর্বোচ্চ এবং সর্বোত্তম আনন্দ।
এই "হ্লাদিনী শক্তি" শব্দগুচ্ছটা বৈষ্ণব সমাজের আবিষ্কার; কারণ, হিন্দুধর্মের প্রাচীন কোনো গ্রন্থে এই শব্দের ব্যবহার নেই।

এমন কি যে ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে রাধা একটি নষ্টা মেয়ে, যে ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণের মূল উদ্দেশ্য রাধার মাধ্যমে শ্রীকৃষ্ণের ঐশ্বরিক মহিমাকে ধ্বংস করে হিন্দু সমাজকে বিলুপ্ত করা, সেই ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণেও শ্রীকৃষ্ণ এক স্থানে রাধাকে বলেছে,
"আদ্যাশক্তি প্রকৃতি যে তুমি সুলোচনে।"
তার মানে উদ্ভট ও গাঁজাখুরি কাহিনী সমৃদ্ধ ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণেও রাধাকে আদ্যাশক্তি বলা হয়েছে, রাধাকে কৃষ্ণের হ্লাদিনী শক্তি বলা হয় নি।
এখন বলি, কিভাবে এই 'হ্লাদিনী শক্তি' কনসেপ্টটির আবিষ্কার ?
ভারতে মুসলিম দুঃশাসন শুরু হওয়ার পর, রাধার মাধ্যমে কৃষ্ণের চরিত্রকে ধ্বংস করে হিন্দুধর্মকে ধ্বংস করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে রচনা করা হয় ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ; এই পুরাণে রাধার চরিত্র একটি কলঙ্কিনী মেয়ের চরিত্র, স্বামী থাকা সত্ত্বেও যে কৃষ্ণের সাথে প্রেম ও যৌনক্রিয়া করে বেড়ায় এবং রাধার সাথে সঙ্গ দেওয়ার কারণে এই পুরাণে কৃষ্ণের চরিত্রও একটি লম্পট চরিত্র। হিন্দুসমাজকে ধোকা দেওয়ার জন্য এই পুরাণের প্রকৃত রচয়িতা এবং পৃষ্ঠপোষকরা, এই পুরাণটি চালিয়ে দেয় মহর্ষি বেদব্যাসের নামে এবং এই ধোকা ও চালাকিকে বুঝতে না পেরে, এই পুরাণ থেকে কাহিনী ধার করে জয়দেব নামের এক সংস্কৃত কবি, সংস্কৃত ভাষায় লিখে "গীত গোবিন্দ" এবং বড়ু চণ্ডীদাস নামের এক বাঙ্গালি কবি বাংলায় লিখে "শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য" নামের একটি কাব্য। এরপর এই সব মিথ্যাগল্পের উপর ভিত্তি করে রচিত হয় বৈষ্ণব পদাবলী নামের রাধা ও কৃষ্ণের মিথ্যা প্রেম ও বিরহের গান, যাতে চৈতন্যদেব ও বৈষ্ণব সমাজের ছিলো এবং এখনও আছে প্রত্যক্ষ সমর্থন, এতে করে রাধা ও কৃষ্ণের প্রেম বাঙ্গালি হিন্দুদের মাথায় শেকড় গেঁড়ে বসে।
যা হোক, চৈতন্যদেবের আবির্ভাবের আগের ও পরের কয়েকশ বছরে, রাধা কৃষ্ণের মিথ্যা প্রেমের গল্প যখন বাঙ্গালি হিন্দুদের মাথায় শেকড় গেঁড়ে বসে, তখন এই প্রেম নিয়ে হিন্দুরা, হিন্দু বিরোধী শক্তির প্রশ্নের মুখে পড়ে নানাভাবে নাজেহাল হতে শুরু করে; যেমন- কৃষ্ণ, ভগবান হয়ে এমন প্রেম করতে যাবে কেনো, যেখানে রাধা অন্যের স্ত্রী অর্থাৎ এই সম্পর্ক ছিলো অবৈধ পরকীয়ার ? এর সাথে হিন্দু বিরোধী শক্তিরা যুক্ত করে আরো একটি তথ্য যে রাধা ছিলো কৃষ্ণের মামী, সুতরাং এটা শুধু অবৈধ পরকীয়া প্রেমই নয়, এটা অনৈতিকও বটে, একজন স্বর্গীয় মহিমার ভগবান বা ঈশ্বর এসব কাজ কিভাবে করতে পারে বা এসব লীলার মাধ্যমে তিনি জগতকে তিনি কি শিক্ষা দিয়ে গেছেন ? ইত্যাদি ইত্যাদি।
এসব অভিযোগ উঠার পর হিন্দুদের উচিত ছিলো শাস্ত্রগ্রন্থ ঘেঁটে খুঁজে দেখা যে, সত্যই রাধা ও কৃষ্ণের প্রেম বলে হিন্দু শাস্ত্রে কিছু আছে কি না বা সত্যই রাধা, কৃ্ষ্ণের মামী ছিলো কি না ? কিন্তু এই কষ্ট স্বীকার না করে, হিন্দু বিরোধী শক্তির অপপ্রচারকেই হিন্দুরা সত্য বলে ধরে নিয়ে কৃষ্ণের মান বাঁচাতে, তাঁর এই তথাকথিত অবৈধ ও অনৈতিক পরকীয়া প্রেমের পক্ষে যুক্তি খোঁজার জন্য নানা উদ্ভট থিয়োরির আবিষ্কার করে. যার মধ্যে একটি হলো এই 'হ্লাদিনী শক্তি'। হ্লাদিনী উচ্চারণ করতে যাদের অসুবিধা হচ্ছে, তারা এটাকে 'হলাদিনী' ও উচ্চারণ করতে পারেন, তাতে অর্থের হেরফের হবে না।
যা হোক, এই হ্লাদিনী শক্তির থিয়োরিকে প্রতিষ্ঠিত করতে, এর প্রবক্তারা আবার ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ থেকেই ধার করে এক ঐশ্বরিক গল্পের, যে গল্প বলছে- রাধা ও কৃষ্ণ, তারা একই শক্তির দুই রূপ, তারা গোলকে বাস করতেন; তো পৃথিবী থেকে পাপের বোঝা নামাতে, কৃষ্ণ, পৃথিবীতে আসার সিদ্ধান্ত নিলে রাধাও পৃথিবীতে আসার সিদ্ধান্ত নেন কৃষ্ণকে সঙ্গ দেওয়ার উদ্দেশ্যে। কোনো পুরুষের নারী সঙ্গের প্রধান কারণ হলো যৌনতা, তাহলেও এই গল্পটি এটাই প্রমান করে যে, পৃথিবীতে কৃষ্ণের আসার একটি প্রধান কারণ যৌনসুখ উপভোগ, কিন্তু যা মোটেই সত্য নয়।
তাছাড়া রাধা যদি দেবলোকের সদস্য হয় এবং কৃষ্ণের সঙ্গে মিলে পৃথিবীতে নেমে আসার এই পরিকল্পনা করে, এই ঘটনার উল্লেখ শুধু ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে থাকবে কেনো ? পৃথিবীতে কৃষ্ণের জন্ম নেওয়া সনাতন ধর্মের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, এই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার বর্ণনা হিন্দুশাস্ত্রের প্রাচীন সকল গ্রন্থে আছে, রাধা যদি এই ঘটনার অংশ হতো, তাহলে রাধার কথাও সেই সব গ্রন্থে উল্লেখ থাকতো, সেই সব গ্রন্থে রাধার উল্লেখ নেই মানেই ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে বর্ণনা করা রাধার সব কাহিনী মিথ্যা; তাছাড়া- রাধা, কৃষ্ণ এই নামগুলো পৃথিবীর; দেবলোকে বা স্বর্গ-গোলোকে রাধা কৃষ্ণ বলে কিছু নেই, দেবলোকে আছে বিষ্ণু, নারায়ণ, লক্ষ্মী এসব নাম, সুতরাং স্বর্গের কাহিনী বর্ণনায় যখন বলা হচ্ছে রাধা, কৃষ্ণ; এসব নাম, তখনই প্রমান হয়ে যাচ্ছে যে, এসব কাহিনী পুরোটাই বোগাস।
এত সব কাহিনী বাদ দিলেও রাধা যে কৃষ্ণের হ্লাদিনী শক্তি, এই কথাও কৃষ্ণের প্রামান্য কোনো জীবনী গ্রন্থ যেমন- ভাগবত, হরিবংশ, মহাভারতে নেই কেনো ? নেই; কারণ, কৃষ্ণের হ্লাদিনী শক্তি বলে বাস্তবে কিছু নেই, আর কৃষ্ণ আনন্দ করার জন্যও এই পৃথিবীতে আসেন নি, তিনি এসেছিলেন অধর্মকে বিনাশ করে ধর্মকে প্রতিষ্ঠা করতে, যে কথা বলা আছে গীতার ৪র্থ অধ্যায়ের ৭ ও ৮ নং শ্লোকে, যেখানে শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন-
যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত।
অভ্যুত্থানমধর্মস্য তদাত্মানং সৃজাম্যহম্।।
পরিত্রাণায় সাধুনাং বিনাশায় চ দুষ্কৃতাম।
ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে।।
এর অর্থ- যখনই ধর্মের অধঃপতন হয় এবং অধর্মের অভ্যুত্থান হয়, তখনই আমি নিজেকে প্রকাশ ক’রে অবতীর্ণ হই, সাধুদের পরিত্রাণ করি, দুষ্কৃতকারীদের বিনাশ করি এবং ধর্মকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করি।
গীতা হচ্ছে হিন্দুধর্মের সর্বোচ্চ গ্রন্থ, তাই গীতার কথাই শেষ কথা। গীতায় যেখানে শ্রীকৃষ্ণ বলছেন, আমি পৃথিবীতে আসি অধর্মকে বিনাশ করে ধর্মকে প্রতিষ্ঠা করতে, সেখানে রাধা ভক্তরা কিভাবে বলে যে, কৃষ্ণ পৃথিবীতে আসে আনন্দ করতে ? কৃষ্ণকে লম্পট প্রমান করতে তারা এত মরিয়া কেনো ? না, কৃষ্ণকে লম্পট হিসেবে প্রমান করতে পারলে নিজেদের লাম্পট্যের সুবিধা হবে, এজন্যই তাদের এই মিথ্যার বেসাতি ? যেমন- যারা গাঁজা খায়, তারা এটা প্রচার করে যে মহাদেব শিবও তো গাঁজা খায়, তাহলে আমরা খেলে দোষ কী ?
রাধার ভক্তদেরকে আমি একটা স্পেশাল প্রশ্ন করছি, আচ্ছা বলেন তো, কৃষ্ণের জীবনে রাধার দরকারটা কী ? নারী ছাড়া কোনো পুরুষ সম্পূর্ণ নয়, এই থিয়োরিতে কৃষ্ণের জীবনে তার স্ত্রী রুক্মিনী তো রয়েছেই, কৃষ্ণের স্ত্রীকে বাদ দিয়ে কৃষ্ণের তথাকথিত গার্লফ্রেন্ডের ব্যাপারে আপনাদের এত আগ্রহ কেনো ? কৃষ্ণের স্ত্রী রুক্মিনী, যার সম্পর্কে কৃষ্ণ নিজে রুক্মিনীর পিতাকে বলেছেন,
"আপনার যে কন্যা রুক্মিনী তিনি প্রকৃত মানুষী নহেন। তিনি লক্ষ্মী। ব্রহ্মার বচন অনুসারে কোনো কারণবশত তিনি ভূলোকে জনগ্রহন করিয়াছেন।" ( হরিবংশ, পৃষ্ঠা ১৮৯, নিউ বেঙ্গল প্রেস, কোলকাতা)
এই লক্ষ্মীর অবতার রুক্মিনীকে আপনারা কৃষ্ণের পাশে দাঁড় না করিয়ে, কৃষ্ণের সাথে তার পূজা বা আরাধনা না করে, কোনো একজন নষ্টা ও চরিত্রহীনা মেয়েকে আপনারা কেনো পূজা করছেন ? নিজেরা ভবিষ্যতে পরকীয়া প্রেম করে নষ্টামি করবেন সেজন্য, নাকি পরকীয়া প্রেম কোনো ঘটনা নয়, চাইলেই যে কেউ পরকীয়া প্রেম ও তার সাথে যৌনক্রিয়া করতে পারে, ছেলে মেয়েকেই এই শিক্ষা দেওয়ার জন্য ? কৃষ্ণের পাশে রাধাকে দাঁড় করিয়ে আপনার সমাজকে কী শিক্ষা দিচ্ছেন এবং সমাজকে কোথায় নিয়ে গেছেন এবং যাচ্ছেন, সেটা কি একবার ভেবে দেখেছেন ?
অনেকে এও বলে যে রাধা হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণের অন্তরঙ্গা শক্তি, এসব মনগড়া এবং অশিক্ষিত ও অল্পশিক্ষিত কানমন্ত্র দীক্ষামন্ত্র শিক্ষামন্ত্র গুরুদের কুশিক্ষার ফল। কোথায় লেখা আছে যে রাধা, কৃষ্ণের অন্তরঙ্গা শক্তি ? কৃষ্ণের অন্তরঙ্গা শক্তি যোগমায়া, যে কথা বলা আছে গীতার ৭ম অধ্যায়ের ২৫ নং শ্লোকে, এভাবে-
নাহং প্রকাশঃ সর্বস্য যোগমায়াসমাবৃতঃ।
মূঢ়োহয়ং নাভিজানাতি লোকো মামজমব্যয়ম।।- (গীতা, ৭/২৫)
এর অর্থ : আমি মূঢ় ও বুদ্ধিহীন ব্যক্তিদের কাছে কখনও প্রকাশিত হই না। তাদের কাছে আমি আমার অন্তরঙ্গা শক্তি যোগমায়ার দ্বারা আবৃত থাকি। তাই তারা আমার অজ ও অব্যয় স্বরূপকে জানতে পারে না।
ফলে কৃষ্ণের অন্তরঙ্গা শক্তি রাধা নয় এবং কৃষ্ণ, আনন্দ করার জন্যও পৃথিবীতে আসেন নি, তাই কৃষ্ণের হ্লাদিনী শক্তির কোনো প্রশ্নই আসে না। হিন্দু বিরোধী শক্তির প্রশ্নের মুখে পড়ে, নিজেদের (ভুল) বিশ্বাসের মান বাঁচাতে বৈষ্ণব সাধু সন্ন্যাসী গুরুরা আবিষ্কার করেছিলো এই হ্লাদিনী শক্তির থিয়োরি, যার মাধ্যমে তারা এটা বোঝাবার চেষ্টা করে যে- রাধা কৃষ্ণের প্রেম জাগতিক নয়, এই প্রেম আধ্যাত্মিক; এছাড়াও এটা নিচের অর্থাৎ পৃথিবীর কোনো ব্যাপার নয়, এটা সম্পূর্ণ উপরের ব্যাপার, এটা বোঝা সহজ নয় বা সবার পক্ষে বোঝাও সহজ নয়, প্রভুর কৃপা হলেই কেবল এটা বোঝা সম্ভব; এসব বলে বলে তারা এমন ধোঁয়াশার সৃষ্টি করে যে, রাধা ও কৃষ্ণের তথাকথিত প্রেমের ব্যাপারে তাদের ভক্তরা স্পষ্ট করে কিছু জানতে বা বুঝতে পারে না। আর এইসব গুরুরাও স্পষ্ট করে তাদের শিষ্যদেরকে কিছু বোঝাতে বা জানাতে পারে না; কারণ, ঐসব কানমন্ত্র বা দীক্ষামন্ত্র বা শিক্ষামন্ত্র গুরুরা বা পদাবলী কীর্তনীয়ারাও তো আসলে স্পষ্ট করে রাধা কৃষ্ণের প্রকৃত থিয়োরিটা জানে না বা বোঝেই না, তারা অন্যদেরকে তা জানাবে বা বোঝাবে কিভাবে ?
একটা কথা কিন্তু পরিষ্কার যে, যে যে বিষয়টা জানে বা বোঝে, সে কিন্ত অন্যদেরকে সেই বিষয়টা জানাতে বা বোঝাতে সক্ষম; কানমন্ত্র গুরুরা বা পদাবলী কীর্তনিয়ারা কাউকেই রাধা কৃষ্ণের প্রকৃত থিয়োরি স্পষ্ট করে বোঝাতে পারে না, এর কারণ তারা নিজেরাই বিষয়টি বোঝে না।
কৃষ্ণের হলাদিনী বা হ্লাদিনী শক্তি বলে যে কিছু নেই এবং কানমন্ত্র গুরু ও পদাবলী কীর্তনীয়াদের বিদ্যার দৌড় যে কতটুকু, আশা করছি আমার পাঠক বন্ধুদেরকে তা বোঝাতে সক্ষম হয়েছি।
জয় হিন্দ।

জয় শ্রীরাম, জয় শ্রী কৃষ্ণ।

💜 জয় হোক সনাতনের 💜


২টি মন্তব্য:

  1. কিন্তু এখনো হিন্দুদের মন্দিরে রাধাকৃষ্ণ মূর্তি একসাথে থাকে এবং একসাথে পূজাও করা হয়।
    তারা কি ঠিক কাজ করছে?

    উত্তরমুছুন
  2. কিন্তু এখনো হিন্দুদের মন্দিরে রাধাকৃষ্ণ মূর্তি একসাথে থাকে এবং একসাথে পূজাও করা হয়।
    তারা কি ঠিক কাজ করছে?

    উত্তরমুছুন