রবিবার, ২০ মে, ২০১৮







Pranab Kumar Kundu একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন৷
বিশ্বজিৎ রায় MINUSTAH Log Base, Port au Prince - Haiti রয়েছেন।

 মহাভারতের বর্ণনায় আছে ।
আবার বৈদিক শাস্ত্র ঘাটলে দেখা যাবে আমাদের
খাদ্য কিন্তু নিরামিষ । কোন মাছ ও মাংস নয় । তা
আমরা বেদেও দেখি সেখানেও মাছ ও মাংস
খাওয়াকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ।

" পাষণ্ড তারা যারা প্রাণী-মাংসভোজন করে।
তারা যেন প্রকারান্তরে বিষপান করে। ইশ্বর তাদের
যেন উপযুক্ত শাস্তি প্রদানকরেন।" (ঋগ্বেদ
১০.৮৭.১৬-১৯)

"মানুষ তখনই কলুষিত হয়, যখন সে মাংস ভক্ষণ,
সুরাপান ও জুয়া খেলায় লিপ্ত হয়।" (অথর্ববেদ ১.৬০.৭)

তাছাড়া অন্যান্য শাস্ত্রেও মাছ ও মাংসকে
নিষিদ্ধ করেছে ।
এখন কথা হচ্ছে আমরা যদি আর্য
হয়ে থাকি, আমাদের কোন বর্ণে যদি মাছ মাংস
খাওয়া নিষেধ থাকে, তাহলে এই মাছ ও মাংস
খাওয়া প্রচলন কোথা থেকে শুরু হয়?

এজন্যে আমাদের ইতিহাস ঘাটতে হবে ।

আসলে আমাদের যে চারটি বর্ণ ছিল,  ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়,
বৈশ্য ও শূদ্র,  তারা কেউ আগে এই মাছ ও মাংস খেত
না । আর তাঁর স্বীকৃতি বেদেও দেওয়া আছে । কিন্তু
দ্বাপরে শেষে কৃষ্ণ যখন এই ধরাধাম থেকে চলে যায়
তখন থেকেই বর্ণসঙ্করের সৃষ্টি হয় । এই বর্ণসঙ্করের
কথা গীতায় অর্জুন কৃষ্ণকে বলেছিলেন ।

এই বর্ণসঙ্কর কি?
গীতায় ৪/১৩ নং শ্লোকে বলেছে গুণ ও কর্ম অনুসারে
চারটি বর্ণ আর চারটি আশ্রম আছে । এই চারটি
আশ্রম হচ্ছে ব্রহ্মচারী, গৃহস্থ, বানপ্রস্থ ও সন্ন্যাসী
আর চারটি বর্ন হচ্ছে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র

 শাস্ত্রের নিয়মানুসারে ব্রাহ্মনের সাথে
ব্রাহ্মনের বিয়ে হবে, ক্ষত্রিয়ের সাথে ক্ষত্রিয়,
বৈশ্যের সাথে বৈশ্য আর শূদ্রের সাথে শূদ্র ।

তবে ব্রাহ্মণের অনুমতি সাপক্ষে,  ক্ষত্রিয়ের সাথে
ব্রাহ্মণের বা ব্রাহ্মণের সাথে ক্ষত্রিয়ের মিলন
হতে পারে ।

কিন্তু যখন শুদ্রের সাথে অন্যান্য বর্ণের
মিলন হবে বা বৈশ্যের সাথে অন্যান্য বর্ণের মিলন
হবে তখনই বর্ণসঙ্করের সৃষ্টি হবে ।

আর তখনই এই বৈদিক সমাজের অধপতন শুরু হবে। 

এই বর্ণসঙ্করের কারণে যে সন্তান উৎপাদন হবে 
তা ব্যাভিচারের কারণ হয়ে দাঁড়াবে । 
আর সেটা আমরা দেখি
কলিযুগের শুরুতেই বর্ণসঙ্করের সৃষ্টি হয়েছে । তবে
যে কলিযুগ থেকে শুরু হয়েছে তা নয় সেটা দ্বাপরের
শেষে থেকে শুরু হয়েছে কিন্তু তখন সেটা খুবই কম
ছিল ।

এখন আমরা দেখব এই বর্ণসঙ্করের ফলে কোন কোন
জাতি সৃষ্টি হয়েছে আর তাদের নাম কি ছিল ।

শূদ্র + ব্রাহ্মণ = চণ্ডালের জন্ম হয়।
শূদ্র + ক্ষত্রিয় = নিষাদের জন্ম হয়।
শূদ্র + বৈশ্য = সূত্রধরের জন্ম হয়।

বৈশ্য + ব্রাহ্মণ = বৈদেহকের জন্ম হয়।

আবার এই চণ্ডাল, নিষাদ, সূত্রধর ও বৈদেহকের সাথে
আবার মিলনের ফলে অনেক নিম্নমানের জাতির
সৃষ্টি হয় ।
যেমন –
বৈশ্য + ক্ষত্রিয় = সৈরন্ধ্র (মগধ দেশীয়)
সূত্রধর + সৈরন্ধ্র = আয়োগব (এরা ফাঁদ পেতে পশুপাখি শিকার করে)
বৈদেহক + সৈরন্ধ্র = মৈরেয়ক (এরা মাংস ভক্ষণ ও মদ্যপান করে)
নিষাদ + সৈরন্ধ্র = মদ্গুর (এরা নৌকা চালিয়ে মাছ ধরে)
চণ্ডাল + সৈরন্ধ্র = শ্বপাক (এরা কুকুরের মাংস খায়)
আয়োগব + সৈরন্ধ্র = কর্মকার (এরা মাংস বিক্রি করে)
মৈরেয়ক + সৈরন্ধ্র = স্বাদুকর
মদ্গুর + সৈরন্ধ্রী = ক্ষৌদ্র (এরা মাংস রান্না করে)
শ্বপাক + সৈরন্ধ্র = সৌগন্ধ
বৈদেহক + আয়োগবী = মায়াজীবী (এরা অত্যন্ত নিষ্ঠুর ও ক্রুর স্বভাব, কাঁচা মাংস রক্ত খায়)
নিষাদ + আয়োগবী = মদ্রনাভ
চণ্ডাল + আয়োগবী = পুক্কশ (পশুদের খাটায়, পশুমাংস ভক্ষণ করে)
বৈদেহক + নিষাদ = চৌক্ষুদ্র
কর্মকার + নিষাদ = কারাবর
চণ্ডাল + বৈদেহী = সৌপাক
নিষাদ + বৈদেহী = আহিতুণ্ডিক (এরা বন্য পশু হত্যা করে তাদের মাংস খায়)
সৌপাক + নিষাদ = অন্তেবসায়ী (এরা এমন নিম্নজাতি যে, চণ্ডালেরাও এদের পরিত্যাগ করে।)

এভাবে চণ্ডাল ও নিষাদ শ্রেণী থেকে অসংখ্য
বর্ণসঙ্করের সৃষ্টি হলো।
এদের থেকেই মাছ ও মাংস খাওয়া প্রচলন শুরু হলো। 
এবং অবৈদিক সমস্ত কার্যাকলাপগুলো শুরু হলো ।

আমরা মনে করি শূদ্ররা হলো নিচু জাতি কিন্তু
শূদ্রেদের থেকেও নিচু জাতি আছে তাদের কথা
শ্রীমদ্ভাগবতে বর্ণনা করা হয়েছে –
ভাগবতের ২/৪/১৮ নং শ্লোকে এই নিম্ন জাতির কথা
তুলে ধরেছে –
কিরাত – এই জাতিরা ভারতে থাকে । আধুনিক বিহার ও ছোটনাগপুরের সাঁওতাল পরগনায় ।
হূণ – জার্মানি এবং রাশিয়ার অধিবাসীদের হূন বলা হয় ।
আন্ধ্র – দক্ষিণ ভারতের একটি প্রদেশের অধিবাসী
পুলিন্দ – গ্রীকদের পুলিন্দ বলা হয়। আর তারাই মাছ খাওয়া শেখায়,  তাই তাদের ম্লেচ্ছ বলা হয়।
আভীর – এটা সিন্ধু প্রদেশের অপর প্রান্তে, এই জাতি বর্তমান বিশ্বে মধ্য প্রদেশ, বিশেষ করে আরবের দেশগুলোতে । তারাও পুরো বিশ্বকে মাছ খাওয়া শেখায় । তাই তাদেরকেও ম্লেচ্ছ বলা হয় ।

শুম্ভ বা কঙ্ক – প্রাচীন ভারতের একটি প্রদেশের অধিবাসী ।
যবন – বর্তমান তুরুস্কের অধিবাসীদের যবন বলা হয়। তারা মাছ ও মাংস খাওয়া দুটোই শেখায় ।
খস – এই জাতির মানুষদের গোঁফের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, যেমন, তারা হচ্ছে চীন, মঙ্গোলীয়া, কোরিয়া, জাপান আরো অনেক দেশের ।

উপরোক্ত যে সমস্ত জাতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তারা সারা বিশ্বে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এবং তারা সমস্ত অবৈদিক পন্থায় চলত। তারা তাদের প্রচলিত কিছু ধর্ম, মত পথকে বিশ্বাস করে ।
আর তাদের করুণায়,  এই মহান ভারতবর্ষে আমরাঅবৈদিক কালচার শুরু করেছি তাদের থেকে আমরা এই মাছ ও মাংস খাওয়া শিখি ।
যদিও এই মাছ ও মাংস খাওয়া হচ্ছে যক্ষ, রাক্ষস,ভূত, পিশাচ শ্রেণীর লোকের খাবার আর সেটা আমরা আমাদের প্রধান খাবার হিসেবে গ্রহন করে, ববৈদিক সংস্কৃতিকে নষ্ট করছি । শুধু তাই নয়, এরা হিন্দুদের আরো অনেক অবৈদিক জিনিস শিখিয়ে দিয়ে গেছে । 
চা খাওয়া সেটা চীনেরা শিখিয়েছে আর ব্রিটিশরা তো আছেই, প্যান্ট শার্ট
পরা, লুঙ্গি পরা ইত্যাদি। এখনতো মেয়েরা এমন সব ড্রেস পরে যা কিনা পাশ্চাত্যে দেশের নকল ।
বিভিন্ন ধরনের আরো খাবার যেমন ফাষ্টফুড, চায়নিজ খাবার ইত্যাদি । এমনকি তাদের শিখিয়ে
দেওয়া কিছু নাস্তিক থি্ওরি, কিছু নিম্নমানের দর্শন ইত্যাদি যা বলে শেষ করা যাবে না । যার কারণে আমরা বৈদিক রীতিনীতি ছেড়েছি আর যা আমাদের দুঃখ দেয় তা গ্রহণ করছি । যার ফলে আমাদের হিন্দুদের অবস্থা পুরা এলোমেলো হয়ে গেছে ।
তবে ইসকন প্রতিষ্ঠা আচার্য সেই বৈদিক সমাজ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিলেন, তাকে লণ্ডনের সাংবাদিকরা যখন জিজ্ঞাসা করল,
আপনি আমাদের দেশে কেন আসলেন, শ্রীল প্রভুপাদ বললেন, “তোমরা ভারত শাসন করে
অনেক হীরা, সোনা, মানিক্য এবং অনেক সম্পদ নিয়ে এসেছ কিন্তু আসল জিনিসটা আনতে ভুলে গেছআর সেটাই আমি তোমাদের দিতে এসেছি আর তা হলো গীতার জ্ঞান ।”

তিনি পুরা বিশ্বের মানুষকে এই বৈদিক কালচার শিখিয়েছেন, ছেলেদের প্যান্ট সার্ট খুলিয়ে ধুতি, তিলক, গলায় তুলসীর মালা আর মেয়েদের শাড়ি পরানো, সবাইকে মাছ, মাংস ইত্যাদি নোংরা খাবারগুলো ছাড়িয়ে কিভাবে নিরামিষ খেতে হয় বা রান্না করতে হয় তা শিখিয়েছেন ।
কিভাবে পূজা করতে হয়, কিভাবে বৈদিক শাস্ত্রগুলো পড়তে হয়, সংস্কৃতি শিক্ষা, বাংলা শিক্ষা আর হিন্দি শিক্ষা তিনি শিখিয়েছেন । সমস্ত বৈদিক কালচারগুলো শিখিয়েছেন । 
আর বর্তমানে আমরা সে বর্ণসঙ্করের উৎপাদিত অবৈদিক কালচার গুলো
শিখছি,  যার কারণে,  পুরো ভারত পারমার্থিক পথের উলটো রাস্তায় হাটছে ।

৯/১০/১৯৬৬ সালে আমেরিকান সাংবাদিক প্রশ্নে
শ্রীল প্রভুপাদ বলেছেন আমি এসেছি পুরা বিশ্বকে হিন্দুস্থানে পরিণত করতে ।

তাই সবাই একটু সূক্ষ্ম ভাবে চিন্তা করুন।।

1 টি মন্তব্য:

  1. Karmakar der bola hoyeche meat seller...kintu Karmakar ra holo Artisans not meat seller...Karmakar der bola hoy Biswabrahman karon eder sristikarta Biswakarma.

    উত্তরমুছুন