শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৭

মা দুর্গার শ্রীচরণদ্বয়ের পাদুকা ( গদ্যরচনা )


মা দুর্গার শ্রীচরণদ্বয়ের পাদুকা  ( গদ্যরচনা )


দুর্গা পূজায়, অসুরের পায়ে, 'পাদুকা' আমি দেখেছি।

কিন্তু, মা দুর্গার পাদুকা ?

আলতা পরা, মা দুর্গার পাদুটি তো, পাদুকা ছাড়াই থাকে। মা দুর্গার ভক্তরা, যেখানে, পায়ে হাত দিয়ে,  'প্রণাম' করবে বলে।

মা দুর্গার পাদুকা কিন্তু আছে !

'শ্রীশ্রীচণ্ডী'তে  লেখা আছে !

মা দুর্গার পাদুকা জোড়া, বহুমুল্য মণিমাণিক্য দিয়ে রচিত ও সজ্জিত।

উত্তম রক্তচন্দন ও কুঙ্কুমের মিলিত লাল জলে ধোওয়া।

প্রস্তুত করেছে, এবং পরিষ্কার করে নির্মল করেছে, দেবাঙ্গনারা।

মণি।
দীপ্তশালী মূল্যবান পাথর। মানিক।

মানিক।
বহুমূল্য রত্ন।
মনিমাণিক্য।
বিবিধ রত্নাদি।

রত্ন।
মণিমাণিক্য ইত্যাদি। বহুমূল্য মণিমুক্তা।

কুঙ্কুম।
জাফরান বা জাফরান ফলের নির্যাস।
কুঙ্কুম, প্রসাধনী হিসাবে ব্যবহার হয়।

জাফরান, কুসুম ফুলের শুষ্ক কেশর।
জাফরানি রং হলদে রঙ। অন্য নাম  'পীত' রঙ।

কেশর।
ফুলের ভেতরের কেশতুল্য সূক্ষ্ম বস্তু। জাফরান।
কেশর জাফরান-এর রংবিশিষ্ট।
আনেক সময় বলা হয়, 'কেশরী' রং।


'দেবাঙ্গনা' হচ্ছে,  'দিব্যাঙ্গনা' বা দিব্যনারী। যেমন, অপ্সরা।


তবে, মা দুর্গার পাদুকা, কি চটি জুতো, না গোড়ালি সমেত পা-ঢাকা জুতো, তা আমি বলতে পারব না।

চটি জুতো, গোড়ালি খোলা থাকে, এমন জুতো। অর্থাৎ, গোড়ালির উপরিভাগ ঢাকা ধাকে না।

চটি জুতোয়, পায়ের পাতার উপরিভাগ-এর অনেক অংশ, বা  বেশিরভাগ অংশ,  ঢাকা থাকে না।  অর্থাৎ খোলা থাকে।



*  সূত্র  'শ্রীশ্রীচণ্ডী', গীতা প্রেস। পৃষ্ঠা ২০৩।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন