আমার লেখালেখির খবর ( গদ্যরচনা )
আমি প্রণব কুমার কুণ্ডু, এখন বয়স ৭১, ঠিকানা ২২৩ মিত্রপাড়া রোড, নৈহাটি, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত, পিন ৭৪৩ ১৬৫।
ফোন ৯১ ০৩৩ ২৫০২ ৩৮৭৮
মোবাইল ৯১ ৮০১৭৪ ৩৫১৮০
আমার প্রথম প্রকাশিত লেখা, 'কবিতা', বড়োদের উপযোগী, সেটা ১৯৬২ সালে প্রকাশিত, 'নির্ম্মলেন্দু' নামে এক মাসিক পত্রিকায়, যেটা কলকাতা থেকে প্রকাশিত হত।
তখন আমি বিজ্ঞান শাখায়, একাদশ শ্রেণির উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হচ্ছি।
এর কিছুদিন পরে, আমি ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র দৈনিক 'স্বাধীনতা' পত্রিকার ছোটদের বিভাগ, 'কিশোর-সভায়' 'কবিতা' এবং 'বিজ্ঞানের' ওপর লেখা শুরু করি।
তারপর, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের মুখপত্র, 'জনসেবক' পত্রিকার ছোটোদের বিভাগে 'কবিতা' এবং বড়োদের বিভাগে 'গল্প' ও 'রম্যরচনা' ইত্যাদি লিখি।
'দৈনিক বসুমতী'তে আমি ছোটোদের বিভাগে 'কবিতা' ও 'বিজ্ঞানের' ওপর লিখি। 'দৈনিক বসুমতীর' বড়োদের বিভাগে, রবিবারে, বিজ্ঞানের ওপর লিখি।
'মাসিক বসুমতী'তেও আমার বিজ্ঞানের ওপর লেখা আছে।
'বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদের' 'জ্ঞান ও বিজ্ঞান' পত্রিকায়, ছোটোদের এবং বড়োদের, উভয় বিভাগেই, আমার বিজ্ঞানের ওপর লেখা আছে।
'যুগান্তর'-এর ছোটোদের বিভাগ, 'ছোটদের পাততাড়ি'তে বিজ্ঞানের ওপর আমার লেখা আছে।
'আনন্দবাজারের' ছোটোদের বিভাগ 'আনন্দমেলায়' আমার একটি ছোট্ট কবিতা অন্য এক জনার নামে, প্রকাশিত হয়েছে !
আমি কলকাতার 'স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল' থেকে, বিজ্ঞানে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিই।
পরে, কলকাতার পার্ক স্ট্রিটের 'সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ' থেকে, বিজ্ঞানে, স্নাতক হই।
এগুলি মোটামুটিভাবে ১৯৬৬ সাল পর্যন্তের ঘটনা !
ইনটারনেটের সাথে সংশ্লিষ্ট আমার ঠিকানাগুলি
blog pranabk.blogspot.com মূলত কবিতা এবং কবিতা সম্বন্ধীয় ব্লগগুলির জন্য
blog pranabk2.blogspot.com মূলত গদ্য রচনাগুলির জন্য
Twitter.com/pkkundu10 যোগসূত্র দেওয়া আছে, গদ্যরচনা এবং কবিতার জন্য
Twitter.com/pkkundu101 যোগসূত্র দেওয়া আছে, কবিতা এবং গদ্যরচনার জন্য
Facebook.com/pkkundu10 যোগসূত্র দেওয়া আছে, সমস্ত 'লেখাগুলির' জন্য
Google + plus.google.com pranab kumar kundu গদ্য + কবিতাগুলির জন্য
Email pkkundu10@gmail.com
আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতা 'পরাজয়'
পরাজয়
মেক্সিকোর ইসলা হলবক্স দ্বীপের লালটুকটুকে রঙিন সারস |
পরাজয়
পরাজয়
পল্লীমেয়ে সন্ধ্যরাণী
পল্লীমেয়ে সন্ধ্যরাণী
এলায়ে তার চুলের বেণী
ঢেকে দিল আকাশ প্রদীপ
সূর্যকে ;
সূর্যকে ;
যুঁই মালতী মালায় গাঁথি
সঙ্গে লয়ে একতারাটি
বাউল গানে দেয় মাতিয়ে
বিশ্বকে।
বিশ্বকে।
দিনের শেষে সাঁঝের তপন
ধরেছে সে রক্ত বরন
বিদায় নিছে সন্ধ্যা হতে
একটি ছোটো চুম্বনে ;
লাজুক সে যে পল্লীমেয়ে
মুখটি যায় আবীরে ছেয়ে
নত করে লুকায় সে যে
মুখটি অবগুণ্ঠনে !
মেঘের চুল আকাশ ভালে
চন্দ্র তাহার টিপটি জ্বলে
তারা শোভে মাথার চুলের
কাঁটাতে ;
কাঁটাতে ;
হাতের আঙ্গুল চাঁপার কলি
দেহের পরে লুটায় ঢলি
চাঁপা যেমন লুটায় আপন
পাতাতে।
মুখটি ভরা মিষ্টি হেসে
সূর্য আবার ওঠে ভেসে
পূব আকাশে উঁকি দিতে
পল্লীবালাকে ;
দেখেই তারে পল্লীবালা
পালিয়ে যায় ছুটে একেলা
পালিয়ে যায় সামনে দিয়ে
চোখের পলকে।
রবি তারে ধরতে যায়
তার সোনার কিরণে
ধরতে নারে যায় সে হেরে
বালার প্রেম লুণ্ঠনে !
পাতাতে।
মুখটি ভরা মিষ্টি হেসে
সূর্য আবার ওঠে ভেসে
পূব আকাশে উঁকি দিতে
পল্লীবালাকে ;
দেখেই তারে পল্লীবালা
পালিয়ে যায় ছুটে একেলা
পালিয়ে যায় সামনে দিয়ে
চোখের পলকে।
রবি তারে ধরতে যায়
তার সোনার কিরণে
ধরতে নারে যায় সে হেরে
বালার প্রেম লুণ্ঠনে !
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন