সূর্যকে নিয়ে পৌরাণিক গল্প
সূর্যের সাথে বিয়ে হয়েছিল সংজ্ঞার।
সংজ্ঞা সূর্যের তেজ সহ্য করতে পারত না !
চোখ কুঁচকে থাকত !
শরীর জ্বলে-পুড়ে খাক হয়ে যেত !
সেই অসুবিধা দূর করতে, সংজ্ঞার বাবা ত্বষ্টা, সূর্যকে বারো ভাগে বিভক্ত করলেন !
ফলে, সংজ্ঞা সূর্যের ভীষণ তেজ থেকে, কিছুটা রেহাই পেলেন !
সূর্যকে বারো ভাগে বিভক্ত করার ফলে, এক এক ভাগে , এক এক আলাদা আলাদা 'আদিত্য'-র উদ্ভয় হল !
সূর্যকে বারো ভাগে ভাগ করার জন্য, এক এক বাংলা মাসে, এক এক আদিত্য, সূর্যের জায়গায়, দিনের বেলায় আকাশে উদিত থাকে !
তার মধ্যে, ফাল্গুন মাসের সূর্যের অংশটার নাম, 'সূর্য'-ই থেকে যায় !
বাকি এগারো মাসের আদিত্যদের জন্য, সব আদিত্য-র ক্ষেত্রেই, আলাদা আলাদা নাম রয়েছে !
ত্বষ্টা, সুর্যের কেমন তরো শ্বশুর ছিলেন, দেখো !
শ্বশুর ত্বষ্টা কিনা, রেগে টং হয়ে, তাঁর জামাই, সূর্ষকে, বারো ভাগে ভাগ করে ফেলল !
অমন রাগি শ্বশুর প্রাপ্তি, যদি তোমাদের মধ্যে কারো ভাগ্যে হয়, তবে তো বড়ই ঝামেলায় পড়ে যাবে !
কাজেই, এখন থেকেই সাবধানে থেকো ! ভালোভাবে দেখে শুনে শ্বশুরবাড়ি করো !
* সূত্র 'বঙ্গীয় শব্দকোষ', সাহিত্য অকাদেমি, পৃষ্ঠা ২৭২।
** 'হরিবংশ'। সংস্কৃত। ৯.৫০-৫৪ শ্লোক।
*** 'বিষ্ণুপুরাণ', ১.১৫ ১৩০-১৩২ শ্লোক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন