বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৬

শ্রীমদ্ভাগবত

শ্রীমদ্ভাগবত

শ্রীমদ্ভাগবত


শ্রীমদ্ভাগবতে


সর্গ
বিসর্গ
স্থান
পোষণ
কর্মবাসনা
মন্বন্তর
ঈশানুকথা
নিরোধ
মুক্তি
এবং আশ্রয়
এই দশটি বিষয়
লক্ষিত হয়।
আশ্রয়। অর্থাৎ ঈশ্বরে আশ্রয়। ঈশ্বরের কোলে অাশ্রয়। আশ্রয়। শ্রীকৃষ্ণে আশ্রয়। ভগবান শ্রীকৃষ্ণে আশ্রয়। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কোলে আশ্রয় !


দশম বিষয়
আশ্রয়-এর তত্ত্বজ্ঞান লাভের জন্য
বিশিষ্ট পুরাণকারেরা
অন্য নয়টি বিষয়ের বিষয়কে
কোথাও শ্রুতির প্রমাণের সাহায্যে
কোথাও তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে  বৃত্তির সাহায্যে
বা কোথাও
সাক্ষাৎ রূপে
বর্ণনা করেছেন।

* সূত্র : 'শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত', পৃষ্ঠা ৩২। গীতা প্রেস।
* * আকর গ্রন্থ, শ্রীমদ্ভাগবত-মহাপুরাণ, গীতা প্রেস।




শাস্ত্রের ধারণায়, ঈশ্বর 'জন্মরহিত' ! ঈশ্বর যদি জন্মরহিত হন, তাহলে ঈশ্বর 'স্বয়ম্ভূ' হতে পারেন না ! তিনি 'স্বয়ংসৃষ্ট' হতে পারেন না ! কেননা সেটাও, অর্থাৎ স্বয়ংসৃষ্ট হওয়া, বা স্বয়ম্ভূ হওয়াও,  তো  জন্ম !
শাস্ত্রের ধারণায়, ঈশ্বরের শক্তি, 'মায়া' !
মায়াকে কে সৃষ্টি করল ?
মায়াকে কি ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন ?
কিন্তু তখনও তো সৃষ্টি প্রক্রিয়া শুরুই হয় নি !
তার আগেই মায়ার প্রাদুর্ভাব হল কি করে ?
তাহলে কি মায়া ঈশ্বরের প্রথম সৃষ্টি ?
আসলে,  হিন্দু শাস্ত্রে, অনেক জায়গায় দেখবেন, শাস্ত্রের বক্তব্য আছে, কিন্তু তার পে্ছনে প্রকৃত যুক্তি,  বিচার,  বিশ্লেষণ নেই !
ঈশ্বরের নিজের দ্বারা, সৃষ্টি প্রক্রিয়াকে বলে 'সর্গ'। এটা কিন্তু 'স্বর্গ' নয় !
ঈশ্বরের নিজের দ্বারা, সৃষ্টি প্রক্রিয়াকে বলে 'সর্গ'।
সুতরাং ঈশ্বর যে সৃষ্টি করেন না, একথা ঠিক নয় !
'সর্গ'  প্রক্রিয়া,  সেটা, চর-অচর সৃষ্টির আগে চলেছিল ! যুগ যুগ বছর আগে ! বহুযুগ আগে ! বহুযুগ ধরে !
প্রাণীগোষ্ঠী এবং উদ্ভিদগোষ্ঠী একসাথে চর-অচর।চর, অর্থাৎ,  যারা চলাচল করতে পারে। চর-এর movement আছে। কিন্তু, অচর-এর movement নেই । অচর থিতু।
যুক্তি-তর্কের খাতিরে, ধরে নিন, তখন শুধু এক ঈশ্বর আছেন !
'ব্রহ্মাণ্ড' বলে কিছু নেই !
ঈশ্বর, প্রথমে, 'সূক্ষ্ম কারণ ব্রহ্মাণ্ড'  তৈরি করবেন ! অর্থাৎ, 'তত্ত্বে', ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করার প্রচেষ্টা, চালাবেন ! এটা , purely theoretical., অর্থাৎ,  পরিপূর্ণভাবে তত্ত্বীয়। বাদীয়। ধারণাগত !
'কারণ'-এর, ধারণার আগেও, 'কারণাতীত', একটা পর্যায় থাকে। 'কারণ', হচ্ছে, হেতু, মূল ! 'কারণাতীত', 'কারণ' পর্যায়েরও, আগের পর্যায় ! তখন বলা যেতে পারে, সেটা 'শূন্য' পর্যায় ! 'নিরঞ্জন' পর্যায় ! 'ঈশ্বর' পর্যায় ! 'পরব্রহ্ম' পর্যায় !
আমি কিছু ব্যাখ্যা দেবার চেষ্টা করছি মাত্র !
ঈশ্বর বৈজ্ঞানিক ছিলেন ! বিরাট বড়, অতি বড়, বিজ্ঞানী !
পরে ঈশ্বর, 'সূক্ষ্ম করণ ব্রহ্মাণ্ড'  তৈরি করবেন !
করণ',   'কারণ'-এর সহায়ক কাজের প্রধান সহায়ক ! করণে, সূক্ষ্ম  material সৃষ্টি ! সেটা, বস্তুগত। পদার্থগত । বাস্তব ! প্রথমে পরমাণু সৃষ্টি। বিভিন্ন মৌল পদার্থের পরমাণু। পরে মৌলিক পদার্থের মৌলিক অণু । এরপরে যুগ্ম অণু। তারপরে,  chemical compound.  যৌগ পদার্থ। সংশ্লেষে সংশ্লেষে, বিভিন্ন পদার্থের অণুর সমবায় গড়ে উঠল ! যৌগ অণু। যৌগিক অণু। মিশ্র অণু্। জটিল অণু। ইত্যাদি।
এগুলো সবই রসায়নবিদ্যার ব্যাপার ! ঈশ্বর এক বিরাট বড় রসায়নবিদ ছিলেন !
এরপরে, 'সূক্ষ্ম ব্রহ্মাণ্ড'  তৈরি !
এগুলোর  সব এক-একটা পর্যায় ঘটতে, যুগ যুগ বছর কেটে যায় !
তারপর শুরু হয়, ব্রহ্মাণ্ড তৈরির কাজ ! ধীরে ধীরে স্থূল সৃষ্টি। ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি !
এগুলো সবই, যুগ যুগ বছরের ধাক্কা !
এখানে, ঈশ্বর আবার পদার্থবিদ !


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন