অষ্টমী ( গদ্যরচনা)
হিন্দুধর্মে হিন্দুসংস্কৃতিতে তিনটি 'প্রধান' 'অষ্টমী' আছে।
জন্মাষ্টমী।
দুর্গাষ্টমী।
রাধাষ্টমী।
অষ্টমী।
অষ্টমী তিথি বিশেষ । অষ্টমী হচ্ছে 'আটের' এই সংখ্যা ! যে তিথিতে চন্দ্রের অষ্ট(আট) কলার ক্রিয়া হয়। অষ্টমী, আটের পূরণী। চন্দ্রের অষ্টকলারূপ তিথিবিশেষ। অষ্টমী তিথি।
অষ্টমী। কৃষ্ণঅষ্টমী বা কৃষ্ণাষ্টমী। সেরকম ভাবে, ভীষ্ম অষ্টমী, মহা অষ্টমী, ইত্যাদি।
আষ্টমী হতে পারে, শুক্ল পক্ষের অষ্টমী, কৃষ্ণ পক্ষের অষ্টমী।
ঐ অষ্টমীগুলি তিথি। অষ্টমী তিথি।
তিথি।
তিথি, চান্দ্রমাসের ত্রিশভাগের এক ভাগ।প্রতিপদ দ্বিতীয়া ইত্যাদি। তিথির সংখ্যা ১৬। এখানে পূর্ণিমা এবং অমাবস্যাকে তিথির মধ্যে ধরা হয়েছে।
অন্য ভাবে, প্রতিপদ থেকে পূর্ণিমা বা অমাবস্যা পর্যন্ত, পঞ্চদশ, বিভিন্ন তিথি পরিমিত কাল।
তিথি বলতে, আমরা, চান্দ্রদিন বুঝি। এটা 'অহোরাত্র'ও হতে পারে। অর্থাৎ, দিন-রাত জুড়ে হতে পারে।
তিথি, চন্দ্রকলার, হ্রাস-বৃদ্ধি দিয়ে, হ্রাস-বৃদ্ধি নিয়ে, নিরূপিত হয়।
তিথি, একটা সীমাবদ্ধ কাল। যেমন, প্রতিপদ, দ্বিতীয়া ইত্যাদি।
তিথি, চন্দ্রকলার ক্রিয়ার, উপলক্ষিত কাল।
তিথির সংখ্যানুসারে, পনেরো ( ১৫ ), এই সংখ্যা।
'তিথিপ্রণী', চন্দ্র। আমাদের শাস্ত্রে, চন্দ্র 'পুরুষ'। চন্দ্র, 'উপগ্রহ'। কিন্তু চন্দ্রের স্ত্রী, 'রোহিণী' নক্ষত্র। কত বড়ঘরে চন্দ্রের বিয়ে !
সমস্ত তিথিগুলোর, প্রণেতা, চন্দ্র।
চন্দ্রকলা।
চন্দ্রকলা। চন্দ্রমন্ডলের ১/১৬ অংশ। চাঁদের কলার ষোলো ভাগের এক ভাগ। এটা মোটামুটি ভাবে, গড়পড়তা হিসেব।
প্রতিপদ।
কৃষ্ণ পক্ষের বা শুক্ল পক্ষের, প্রথম তিথি। প্রতিপদে প্রতিপদে, তিথি এগিয়ে যায়।পূর্ণিমা বা অমাবস্যা আসে।
পক্ষ।
প্রতিপদ থেকে, চতুর্দশী পর্যন্ত, চন্দ্রকলার হ্রাস-বৃদ্ধি হেতু, প্রতিমাসে, 'কৃষ্ণা( কৃষ্ণ )' ও 'শুক্লা( শুক্ল )' 'পক্ষ' হিসাবে দেখা যায়।
পূর্ণিমার পরের প্রতিপদ থেকে অমাবস্যা পর্যন্ত, যে পক্ষ, তা 'কৃষ্ণ' পক্ষ। কৃষ্ণ পক্ষে, 'পক্ষ', অমাবস্যার দিকে গড়ায় ।
অমাবস্যার পরের প্রতিপদ থেকে, পূর্ণিমা পর্যন্ত যে 'পক্ষ', তা 'শুক্ল' পক্ষ । শুক্ল পক্ষে, পক্ষ, পূর্ণিমার দিকে এগোয়।
পূর্ণিমার পরবর্তী, প্রতিপদ থেকে, অমাবস্যার আগে পর্যন্ত, তিথিগুলোকে একসাথে বলে, 'পক্ষ'। এক্ষেত্রে যেহেতু, তিথিগুলি অমাবস্যার দিকে এগিয়ে যায়, তাই, 'কৃষ্ণ পক্ষ'।
অমাবস্যার পরবর্তী, প্রতিপদ থেকে পূর্ণিমার আগে পর্যন্ত তিথিগুলোকে একসাথে বলে, 'শুক্ল পক্ষ'।এক্ষেত্রে, তিথিগুলো, পুর্ণিমা আসার দিকে এগোতে থাকে।
পক্ষ, মাসার্ধ। মাসের অর্ধ।
পক্ষ, প্রতিপদ ইত্যাদি। পক্ষ, প্রতি পদে পদে এগোতে থাকে, পূর্ণিমা বা অমাবস্যার দিকে।
পক্ষ, পঞ্চদশ তিথি কাল। হতে পারে, পঞ্চদশ আহোরাত্র !
পঞ্চদশ তিথি পরিমিত কাল।
প্রতিপদ।
দ্বিতীয়া
তৃতীয়া
চতুর্থী
পঞ্চমী
ষষ্ঠী
সপ্তমী
অষ্টমী
নবমী
দশমী
একাদশী
দ্বাদশী
ত্রয়োদশী
চতুর্দশী
অমাবস্যা বা পূর্ণিমা।
'প্রতিপদ', প্রথমা তিথি। প্রথমা তিথিকে প্রতিপদ বলা হয়।
লেখক প্রণব কুমার কুণ্ডু
হিন্দুধর্মে হিন্দুসংস্কৃতিতে তিনটি 'প্রধান' 'অষ্টমী' আছে।
জন্মাষ্টমী।
দুর্গাষ্টমী।
রাধাষ্টমী।
অষ্টমী।
অষ্টমী তিথি বিশেষ । অষ্টমী হচ্ছে 'আটের' এই সংখ্যা ! যে তিথিতে চন্দ্রের অষ্ট(আট) কলার ক্রিয়া হয়। অষ্টমী, আটের পূরণী। চন্দ্রের অষ্টকলারূপ তিথিবিশেষ। অষ্টমী তিথি।
অষ্টমী। কৃষ্ণঅষ্টমী বা কৃষ্ণাষ্টমী। সেরকম ভাবে, ভীষ্ম অষ্টমী, মহা অষ্টমী, ইত্যাদি।
আষ্টমী হতে পারে, শুক্ল পক্ষের অষ্টমী, কৃষ্ণ পক্ষের অষ্টমী।
ঐ অষ্টমীগুলি তিথি। অষ্টমী তিথি।
তিথি।
তিথি, চান্দ্রমাসের ত্রিশভাগের এক ভাগ।প্রতিপদ দ্বিতীয়া ইত্যাদি। তিথির সংখ্যা ১৬। এখানে পূর্ণিমা এবং অমাবস্যাকে তিথির মধ্যে ধরা হয়েছে।
অন্য ভাবে, প্রতিপদ থেকে পূর্ণিমা বা অমাবস্যা পর্যন্ত, পঞ্চদশ, বিভিন্ন তিথি পরিমিত কাল।
তিথি বলতে, আমরা, চান্দ্রদিন বুঝি। এটা 'অহোরাত্র'ও হতে পারে। অর্থাৎ, দিন-রাত জুড়ে হতে পারে।
তিথি, চন্দ্রকলার, হ্রাস-বৃদ্ধি দিয়ে, হ্রাস-বৃদ্ধি নিয়ে, নিরূপিত হয়।
তিথি, একটা সীমাবদ্ধ কাল। যেমন, প্রতিপদ, দ্বিতীয়া ইত্যাদি।
তিথি, চন্দ্রকলার ক্রিয়ার, উপলক্ষিত কাল।
তিথির সংখ্যানুসারে, পনেরো ( ১৫ ), এই সংখ্যা।
'তিথিপ্রণী', চন্দ্র। আমাদের শাস্ত্রে, চন্দ্র 'পুরুষ'। চন্দ্র, 'উপগ্রহ'। কিন্তু চন্দ্রের স্ত্রী, 'রোহিণী' নক্ষত্র। কত বড়ঘরে চন্দ্রের বিয়ে !
সমস্ত তিথিগুলোর, প্রণেতা, চন্দ্র।
চন্দ্রকলা।
চন্দ্রকলা। চন্দ্রমন্ডলের ১/১৬ অংশ। চাঁদের কলার ষোলো ভাগের এক ভাগ। এটা মোটামুটি ভাবে, গড়পড়তা হিসেব।
প্রতিপদ।
কৃষ্ণ পক্ষের বা শুক্ল পক্ষের, প্রথম তিথি। প্রতিপদে প্রতিপদে, তিথি এগিয়ে যায়।পূর্ণিমা বা অমাবস্যা আসে।
পক্ষ।
প্রতিপদ থেকে, চতুর্দশী পর্যন্ত, চন্দ্রকলার হ্রাস-বৃদ্ধি হেতু, প্রতিমাসে, 'কৃষ্ণা( কৃষ্ণ )' ও 'শুক্লা( শুক্ল )' 'পক্ষ' হিসাবে দেখা যায়।
পূর্ণিমার পরের প্রতিপদ থেকে অমাবস্যা পর্যন্ত, যে পক্ষ, তা 'কৃষ্ণ' পক্ষ। কৃষ্ণ পক্ষে, 'পক্ষ', অমাবস্যার দিকে গড়ায় ।
অমাবস্যার পরের প্রতিপদ থেকে, পূর্ণিমা পর্যন্ত যে 'পক্ষ', তা 'শুক্ল' পক্ষ । শুক্ল পক্ষে, পক্ষ, পূর্ণিমার দিকে এগোয়।
পূর্ণিমার পরবর্তী, প্রতিপদ থেকে, অমাবস্যার আগে পর্যন্ত, তিথিগুলোকে একসাথে বলে, 'পক্ষ'। এক্ষেত্রে যেহেতু, তিথিগুলি অমাবস্যার দিকে এগিয়ে যায়, তাই, 'কৃষ্ণ পক্ষ'।
অমাবস্যার পরবর্তী, প্রতিপদ থেকে পূর্ণিমার আগে পর্যন্ত তিথিগুলোকে একসাথে বলে, 'শুক্ল পক্ষ'।এক্ষেত্রে, তিথিগুলো, পুর্ণিমা আসার দিকে এগোতে থাকে।
পক্ষ, মাসার্ধ। মাসের অর্ধ।
পক্ষ, প্রতিপদ ইত্যাদি। পক্ষ, প্রতি পদে পদে এগোতে থাকে, পূর্ণিমা বা অমাবস্যার দিকে।
পক্ষ, পঞ্চদশ তিথি কাল। হতে পারে, পঞ্চদশ আহোরাত্র !
পঞ্চদশ তিথি পরিমিত কাল।
প্রতিপদ।
দ্বিতীয়া
তৃতীয়া
চতুর্থী
পঞ্চমী
ষষ্ঠী
সপ্তমী
অষ্টমী
নবমী
দশমী
একাদশী
দ্বাদশী
ত্রয়োদশী
চতুর্দশী
অমাবস্যা বা পূর্ণিমা।
'প্রতিপদ', প্রথমা তিথি। প্রথমা তিথিকে প্রতিপদ বলা হয়।
লেখক প্রণব কুমার কুণ্ডু
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন